Son Güncellemeler
  • যে মানুষ অন্যের অনুভূতির মূল্য দিতে জানে না, সে কখনো কাউকে ভালোবাসতে পারে না।
    যে মানুষ অন্যের অনুভূতির মূল্য দিতে জানে না, সে কখনো কাউকে ভালোবাসতে পারে না।
    Like
    Love
    8
    0 Yorumlar 0 hisse senetleri 571 Views 0 önizleme
  • Like
    12
    0 Yorumlar 0 hisse senetleri 585 Views 0 önizleme
  • আর আমি নিশি, মুরগীর ডিম দিয়ে কেক বানাই,মুরগীর মাংশ দিয়ে পিজ্জা,পাস্তা বানাই

    যারা বলেন ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা করে
    চাকরী না করে উদ্দ্যেক্তা হইলেন কেন?

    তাদের জন্য
    দেখুন দুজনে উদ্দ্যেক্তা হয়ে আজ বিশ্ববাসীর কাছে আইডল হিসেবে ধরা দিয়েছেন
    Like
    Haha
    Love
    11
    0 Yorumlar 0 hisse senetleri 580 Views 0 önizleme
  • হাত তো অনায়াসে ছেড়ে দিয়ে চলে গেলে,
    হৃদয় হতে তো যেতে পারলে না..!
    হাত তো অনায়াসে ছেড়ে দিয়ে চলে গেলে, হৃদয় হতে তো যেতে পারলে না..!
    Like
    24
    0 Yorumlar 0 hisse senetleri 565 Views 0 önizleme
  • Like
    Yay
    Haha
    20
    0 Yorumlar 0 hisse senetleri 573 Views 0 önizleme
  • -বৌমা একটু চ্যাপা শুটকির ভর্তা করতো ।
    -মা দুপুরের রান্না হয়ে গেছে। রাতে করে দিব ? আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে।
    -তোমার শরীর কবে ভালো থাকে বলতো ! দুই তিন আইটেমের বেশি কিছু করতে বললেই শুনি তোমার শরীর ভালো নেই । আমাদের সময় আমরা কাজের জন্য ঠিকমত খাবার সময় পেতাম না। সকালের নাস্তা খেতাম দুপুরে, দুপুরের খাবার বিকালে আর রাতের খাবার সেই দুপুর রাতে। এত আরামে থাক তারপরেও তোমার কষ্টের শেষ নাই । বলেই আমার শাশুড়ি মা দমাদমা পা ফেলে নিজের রুমে গিয়ে কাউকে ফোন করে আমার নামে যা নয় তাই বলতে লাগলেন। আমি একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে রান্নাঘরে ঢুকে গেলাম। এই যে মা বলল আমাকে বেশি কিছু রান্না করেতে বললে আমি করি না। এইরকম আরও অনেক দোষ আছে আমার । অথচ সেই দোষগুলোর কিছুই আমি করিনা। রান্না করার আগে মা বলে দেন এটা এটা রান্না কর। আর মাঝে মাঝে রান্না শেষ করে বের হলেই উনার অন্য কিছু রান্নার কথা মনে হয়। আমি কখনই কিছু বলিনা। চুপচাপ সেই কাজ করে ফেলি। কোন এক অজানা কারণে মা আমার কোন কাজই পছন্দ করেন না। আবার যদি বলি মা আপনি দেখিয়ে দেন তাহলে সেই মত করবো । তাহলেও সমস্যা উনি দেখাবেন না। বলেন কেন তোমার মা তোমারে বাইশ বছর পর্যন্ত কি শিখাইছে ? আমার বিয়ে হয়েছে দুই বছর। আমার বিয়ের চারদিন পর থেকে পুরো বাসার সকল কাজের দায়িত্ব আমার কাঁধে চলে আসছে। রনি আমাকে বলে দিয়েছে আমার মা কোন কাজ করবে না । তুমি পারলে করবে না পারলে ফেলে রাখবে। আমি পারলেও করি না পারলেও করি। তারপরেও আমার দোষের কোন শেষ নাই। সেইসব দোষ আবার মা আমাকে বলেন না। উনার ছেলেকে আমার পিছনে বলেন। আর উনার ছেলে তাই নিয়ে আমার সাথে অশান্তি করে। আমি অবাক হয়ে দেখি কিভাবে একজন মানুষ অবলীলায় আরেকজনের নামে মিথ্যা কথা বলেন। আমি যতই রনিকে বলি আমি এই কাজ করি নাই । কিছুতেই সে আমার কথা বিশ্বাস করে না। এমন না যে, আমার প্রেমের বিয়ে। আমার শাশুড়ি মা নিজে আমাকে পছন্দ করে এনেছেন। তারপরেও কেন এমন আমি বুঝি না। আজকে সকাল থেকেই জ্বর জ্বর লাগছে। তাই বলেছিলাম ভর্তাটা রাতে করি। তাতেও এতকথা শুনতে হল। শুটকি টালতে টালতে মাথাটা ঘুরাতে লাগলো । চারপাশের সব অন্ধকার হয়ে আসলো। কিছুতেই আর দাঁড়াতে পারছিনা। বাথরুমে পেয়ে গেল সাথে সাথে। আমি চুলা থেকে তাওয়া নামিয়ে রেখে বাথরুমের দিকে দৌড়ে গেলাম। কোনমতে ফ্রেশ হয়ে দাঁড়াতেই আর পারলাম না। দড়াম করে বাথরুমে পড়ে গেলাম। গলা দিয়ে শুধু একটা চিৎকার বের হয়ে আসলো। ঠিক কত সময় পরে জ্ঞান আসলো বুঝতে পারলাম না । জ্ঞান ফিরে দেখি রনি আমার পাশে বসে আছে। মা একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে রাগি রাগি মুখ করে। এটা অবশ্য নতুন না। বিয়ের পর থেকেই আমার শরীর খারাপ হলে মার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তাই এখন আর শরীর খারাপ লাগলে কাউকে বলিনা। আর বলেও কি হবে? শরীর খারাপ থাকলেও সব কাজ আমাকেই করতে হয়। শুধু শুধু বলে মায়ের মেজাজ খারাপ করার কি দরকার।
    -কিভাবে পড়ে গেলে সাথী ?
    -মাথাটা ঘুরে উঠেছিল । শরীর খারাপ থাকলে এতকিছু করার কি দরকার ? মা সাথে সাথে বলে উঠলেন তোর বউ কি কোন কথা শুনে ? যা মনে চায় করে। কিছু হলে বলেও না। আমি অবাক হয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম – মা আমিতো আপনাকে বলেছিলাম আমার শরীর ভালো না।
    - কি বললে !! কখন বলেছ ? তুমি বলতে চাচ্ছ আমি ইচ্ছা করে চেয়েছি তুমি পড়ে যাও ?
    - আমিতো সে কথা একবারো বলিনি মা । আমি বলেছি আপনাকে আমার শরীরটা ভালো নেই । মা আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলেন রনি তার আগেই মাকে থামিয়ে দিয়ে বলল – মা মনে হয় শুনতে পায় নাই। যাক যা হবার হয়ে গেছে । আমি উঠে বসতে যাবো সেই সময় বুঝতে পারলাম ডান পা নাড়াতে পারছিনা। ব্যাথায় আমি কুঁকড়ে গেলাম। রনি পা টা ভালো করে দেখে বলল –সাথী পা তো ফুলে গেছে। মনে হয় মচকে গেছে। দাঁড়াও আমি পায়ে পানি পট্টি বেঁধে দিচ্ছি। কিন্তু ক্রমশই আমার ব্যাথা বাড়তে লাগলো। একসময় আমি অসহ্য হয়ে গেলাম। সন্ধ্যার সময় রনি খুব বিরক্ত হয়ে বলল – চল একটা এক্সরে করে দেখি। যা অবস্থা পা টা ভেঙ্গে গেছে নাকি আল্লাহ ভালো জানেন।
    এক্সরে করে ডাক্তার কে দেখানোর পরে ডাক্তার বলল প্লাস্টার করতে হবে। পা ভেঙ্গে গেছে উনার। একমাস প্লাস্টার রাখতে হবে। একমাস পরে আসবেন। আর ব্যাথা কমানোর ঔষধ দিয়ে দিলেন।
    প্লাস্টার করে বাসায় চলে আসলাম। আমার হাঁটা চলা একদম বন্ধ। পরেরদিন ব্যাথা একটু কমার পরেই আমি চিন্তায় পড়লাম ঘরের কাজ কে করবে ? আমার শ্বশুর সকাল বেলায় নাস্তা না খেয়েই অফিসে চলে গেলেন। রনি নিচ থেকে পাউরুটি নিয়ে আসলো। আমরা তাই দিয়ে নাস্তা খেলাম। রনি ফ্রিজ দেখে বলল – রান্না করা লাগবে না । যা আছে তাই দিয়ে দুপুরে হবে। রাতে আমি অফিস থেকে এসে কিছু একটা করে নিবো। রনি অফিসে চলে গেলো। সারাদিনে মা একবারও আমার রুমে আসে নাই। ছুটা বুয়া ঘর মুছে ,কাপড় ধুয়ে যাবার সময় আমাকে বলল – ভাবি আপনারে টেবিলে ভাত দিয়া যাই । আমি বললাম আচ্ছা । বিকালে মা আমার বিছানার পাশের টেবিলে এক কাপ চা এনে দিয়ে চলে গেলেন। আমি অবাক হয়ে ভাবতে লাগলাম দুই বছরেও আমার উপরে এই বাসার কারো কোন মায়া হলনা কেন ! আমি কি কম করেছি উনাদের জন্য ? রনি ও সারাদিনে একবার ফোন করে জানতে চায়নি আমি খেয়েছি কিনা বা শরীরের এখন কি অবস্থা । বিয়ের পর থেকেই লক্ষ্য করেছি রনি আমাকে নিয়ে বেশি আহ্লাদ দেখায় না। নতুন বিয়ে হলে বউয়ের প্রতি স্বামীদের যে একটা আবেগ কাজ করে সেটা রনির ভিতরে ছিল না। ও সবসময় চুপচাপ থাকে আমার সামনে। কিন্তু ওর বাবা, মা অন্য আত্মীয়দের সামনে ও অনেক কথা বলে। আমি মাঝে মাঝে বলি – চল আজকে রাত জেগে ছবি দেখি । ও বলে না রাত বেশি জাগলে সকালে অফিস যেতে সমস্যা হবে। কিন্তু মাঝে মঝেই দেখি অনেক রাত পর্যন্ত আমার শ্বশুর আর ও মিলে ডিসকভারিতে কোন প্রোগ্রাম দেখে । যদি বলি চল দুইজনে মিলে একটু ঘুরে আসি ও সাথে সাথে মাকে গিয়ে বলে- মা চল আমরা বাহিরে যাবো। আমি প্রথম প্রথম ভাবতাম একমাত্র ছেলে তাই বাবা মাকে রেখে কোথাও যেতে চায়না। কিন্তু তাই বলে আমাকে নিয়ে ও কখনই বেড়াতে যাবেনা !! স্বামীর মুখ থেকে নিজের প্রশংসা কে না শুনতে চায়। তাই আমিও মাঝে মাঝে ও অফিস থেকে আসার আগে একটু সেজে থাকি। কিন্তু আজ পর্যন্ত রনি আমাকে আদর করে বলেনি সাথী তুমি খুব সুন্দর। আমি যে দেখতে খারাপ তাও না। পরে পরে মনে হতে লাগলো রনির মনে হয় বিয়ের আগে কারো সাথে কোন সম্পর্ক ছিল। তাই আমাকে ওর ভালো লাগেনা। কৌশলে একদিন আমার ননাসের কাছে এই ব্যপারে জানতে চাইলাম । উনি বললেন – না,না আমার ভাই কখনো কোন মেয়েকে পছন্দ করলে আমরা তো তার সাথেই রনিকে বিয়ে দিতাম। ও সবসময়ই মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করবে বলেছে। অবশেষে বুঝতে পারলাম আমার প্রতি রনির অনীহার মুল কারণ আমার শাশুড়ি মা। উনি রনির কাছে নিয়মিত ভাবে আমার নামে সত্যি মিথ্যা বানিয়ে নানা কথা বলেন। আর উনার বাধ্য সন্তান সেগুলো বিশ্বাস করে আমার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখে। রাতে শুধু ডিম ভাজি আর ডাল দিয়ে ভাত খেল সবাই। অথচ আমি ভালো থাকতে এ খাবার উনারা কোনভাবেই খেতে পারতেন না।
    এভাবেই দুইদিন কেটে গেলো। তিনদিনের দিন সকালে মায়ের সেকি চিৎকার। আমি পারবনা তোদের এসব কাজ করতে। পা ভেঙ্গেছে তো কি হয়েছে ? সারাদিন বিছানায় শুয়ে বসে থাকতে হবে? আস্তে আস্তে উঠে এটা সেটা করা যায়না ? আমি কি তোর বউয়ের চাকর যে রান্না করে তোর বউয়ের সামনে খাবার দিয়ে আসতে হবে ? আমি পারবনা বলে দিলাম। কিছুক্ষণ পরেই রনি আমার কাছে এসে বলল- সাথী যে কয়দিন তোমার পা ভালো না হচ্ছে তুমি তোমাদের বাসায় গিয়ে থাকো। রনির কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। এই দুইবছরে যতই খারাপ লাগুক আমি চিৎকার করে রনির সাথে কখনো কথা বলি নাই। ওকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি আমার কথাগুলো। কিন্তু আজকে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না । আমি চিৎকার করে রনিকে বললাম – কেন রনি আমি অসুস্থ হলে আমাকে আমাদের বাসায় চলে যেতে হবে কেন ? কয়েকদিন আগে যে আমার আম্মা অসুস্থ হলেন সে সময়ত আম্মার সেবা করার জন্য তোমরা আমাকে আমাদের বাসায় গিয়ে থাকতে দেওনি । মা আমাকে বলেছে তোমার আম্মাকে সেবা করতে যাবা আর আমাকে দেখবে কে ? আমি আমার মায়ের সেবা করতে যেতে পারবোনা। তাহলে এখন আমি কিভাবে মায়ের সেবা নিতে যাব ? এই দুই বছর আমি সবরকম ভাবে তোমাদের সাথে মিশার চেষ্টা করে আসছি। কিন্তু কোনভাবেই তোমরা আমাকে আপন ভাবতে পারছনা। মানুষ নিজেদের বাসায় কুকুর,বিড়াল পুষলেও তো মায়া হয়। ওরা অসুস্থ হলে ওদের খেয়াল করে। আমি কি কুকুর বিড়ালেরও অধম রনি ? আমি অসুস্থ হলে কখনই মা সেটা মেনে নিতে চায়না। এমনকি তুমি নিজেও বিরক্ত হও। তোমার বোনের সামান্য মাথা ব্যাথা হলেও মা তোমাকে নিয়ে দৌড়ে দেখতে চলে যায়। আর আমি গায়ে জ্বর নিয়ে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সব করি। তাতে তোমাদের কিছুই যায় আসেনা। এখন আমার পা ভেঙ্গে গেছে। আমি একেবারেই চলতে পারিনা। তোমাদের কাজ আমি করতে পারিনা তাই আমাকে এখন আর তোমরা বাসায় রাখবে না। আমাকে ভালো হবার জন্য আমার মায়ের কাছে জেতে হবে। ভালো হয়ে এসে আবার তোমাদের সেবা করতে হবে। কেন রনি ? এমন কেন ? তোমাদের কিছু হলে আমি সব করি তাহলে আমি অসুস্থ হলে তোমরা কেন আমাকে দেখতে পারবেনা? স্বামী হিসেবে কি তোমার কোন দায়িত্ব নেই। আমি অনেক চেষ্টা করেছি তোমাদের আপন হতে। তোমার মনে আমার জন্য একটু জায়গা করে নিতে। কিন্তু আমি সফল হতে পারি নাই রনি। পা ভালো হওয়া পর্যন্ত না আমি সারাজীবনের জন্য তোমার জীবন থেকে চলে যাব। বলেই আমি আমার বড় ভাইকে ফোন করে আসতে বললাম। রনি বুঝতে পারলো আমি সত্যি সত্যি চলে যেতে চাইছি। তাই ও আমার পাশে বসে আমার হাত ধরে বলল – সাথী কে বলেছে আমার মনে তোমার জন্য জায়গা নেই। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই হয়তো তোমাকে সে রকম করে ভালবাসি বলা হয় নাই। কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসি বিশ্বাস কর।
    -না, রনি ভালবাসি মুখে বলতে হয়না। ব্যবহারেই বুঝা যায় তুমি আমাকে কেমন ভালোবাসো। আজ পর্যন্ত তুমি আমার কোন কথা বিশ্বাস করনি। মা তোমাকে সত্যি মিথ্যা যা বলেছেন তাই নিয়ে তুমি আমাকে কম কথা শুনাও নাই। আমি বারবার তোমাকে বুঝাতে চেয়েছি তোমার এ রকম ব্যবহারে তোমার সাথে আমার দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু তুমি আমার কোন কথায় কান দেওনি। আমি তোমাকে কখনো বলি নাই তুমি তোমার মা,বাবাকে ভালবেসনা। তুমি উনাদের পাশাপাশি আমাকেও একটু ভালোবাসো। এমন তো না যে আমাকে ভালবাসলে উনাদের ভালবাসায় কম পড়ে যাবে। বাবা মায়ের প্রতি ভালবাসা আর বউয়ের ভালবাসা কি এক ? কিন্তু তুমি আমার ভালো লাগা মন্দ লাগার দিকে কখনো দেখ নাই। তোমার মা , বোন অসুস্থ হলে তুমি যে পেরেশান হয়ে যাও আমার বেলায় তার দশ ভাগের একভাগ পেরেশান তুমি কখনো হও নাই। দুই বছরে যখন তোমার ভিতরে আমি ঢুকতে পারি নাই তাহলে আরও বারো বছরেও পারবোনা। তাই শুধু শুধু এক ছাদের নিচে থাকার কোন মানে হয়না । এই সময় মা রুমে ঢুকে বললেন – কি হয়েছে বৌমা এমন চিৎকার করছ কেন ? আর কি বলছ তুমি রনির সাথে তুমি আর থাকবেনা ? কি এমন হয়েছে ? এক সংসারে থাকতে গেলে এমন অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। আমি সবসময় তোমাদের ভালো চেয়েছি। আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে বললাম – কি ভালো চেয়েছেন মা ? আপনি যে আপনার ছেলের কাছে আমার নামে নালিশ করেন কেন করেন? আপনি ভালো করেই জানেন আপনার ছেলে আপনার কথা অন্ধের মত বিশ্বাস করবে। আপনার ধারনা ছেলেকে বশে রাখলেই আপনার ভালো। তাই, যা নয় তাই বলে ছেলেকে সবসময় আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। আপনার চেষ্টা সফল হোল । আমি সবসময়ের জন্য দূরে চলে যাচ্ছি। আর মানিয়ে নেয়ার কথা বললেন না । মানিয়ে নিতে আমি অনেক কিছু এই দুই বছরে ছাড় দিয়েছি। কোন লাভ হয় নাই। ভবিষ্যতেও হবেনা। আমাদের দেশের মেয়েরা মানিয়ে নিতে নিতে এমন অবস্থা হয় যে তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। ততদিনে তাদের দুই তিনটা ছেলে মেয়ে হয়ে যায়। তখন তাদের এক দল ডিভোর্সের চিন্তা করে আর একদল মরে মরে সারা জীবন বেঁচে থাকে। যারা বাচ্চা হবার পরে ডিভোর্সের চিন্তা করে তাদের ডিভোর্সের পরে সবচেয়ে বেশি মানুষিক বিপর্যয়ে পড়ে সন্তানরা। আর যারা মরে মরে সংসার করে তাঁরা একজীবনে স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকদের কথা শুনে আর পরবর্তীতে সন্তানদের কথা শুনে। কারণ সন্তানরা ছোট থেকে তাদের মায়ের অসন্মান দেখে বড় হয় । তাই তারাও মনে করে এর কোন সন্মান নেই। আমি তাদের মত হতে চাইনা। তাই যে সম্পর্কে সন্মান নেই সন্তান হবার আগেই আমি সেই সম্পর্ক থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চাই। মরে মরে নয় আমি বাঁচার মত করে বাঁচতে চাই। বউ হয়েছি তো কি হয়েছে আমিও মানুষ।

    (সমাপ্ত)

    ~ আমিও মানুষ
    -বৌমা একটু চ্যাপা শুটকির ভর্তা করতো । -মা দুপুরের রান্না হয়ে গেছে। রাতে করে দিব ? আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। -তোমার শরীর কবে ভালো থাকে বলতো ! দুই তিন আইটেমের বেশি কিছু করতে বললেই শুনি তোমার শরীর ভালো নেই । আমাদের সময় আমরা কাজের জন্য ঠিকমত খাবার সময় পেতাম না। সকালের নাস্তা খেতাম দুপুরে, দুপুরের খাবার বিকালে আর রাতের খাবার সেই দুপুর রাতে। এত আরামে থাক তারপরেও তোমার কষ্টের শেষ নাই । বলেই আমার শাশুড়ি মা দমাদমা পা ফেলে নিজের রুমে গিয়ে কাউকে ফোন করে আমার নামে যা নয় তাই বলতে লাগলেন। আমি একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে রান্নাঘরে ঢুকে গেলাম। এই যে মা বলল আমাকে বেশি কিছু রান্না করেতে বললে আমি করি না। এইরকম আরও অনেক দোষ আছে আমার । অথচ সেই দোষগুলোর কিছুই আমি করিনা। রান্না করার আগে মা বলে দেন এটা এটা রান্না কর। আর মাঝে মাঝে রান্না শেষ করে বের হলেই উনার অন্য কিছু রান্নার কথা মনে হয়। আমি কখনই কিছু বলিনা। চুপচাপ সেই কাজ করে ফেলি। কোন এক অজানা কারণে মা আমার কোন কাজই পছন্দ করেন না। আবার যদি বলি মা আপনি দেখিয়ে দেন তাহলে সেই মত করবো । তাহলেও সমস্যা উনি দেখাবেন না। বলেন কেন তোমার মা তোমারে বাইশ বছর পর্যন্ত কি শিখাইছে ? আমার বিয়ে হয়েছে দুই বছর। আমার বিয়ের চারদিন পর থেকে পুরো বাসার সকল কাজের দায়িত্ব আমার কাঁধে চলে আসছে। রনি আমাকে বলে দিয়েছে আমার মা কোন কাজ করবে না । তুমি পারলে করবে না পারলে ফেলে রাখবে। আমি পারলেও করি না পারলেও করি। তারপরেও আমার দোষের কোন শেষ নাই। সেইসব দোষ আবার মা আমাকে বলেন না। উনার ছেলেকে আমার পিছনে বলেন। আর উনার ছেলে তাই নিয়ে আমার সাথে অশান্তি করে। আমি অবাক হয়ে দেখি কিভাবে একজন মানুষ অবলীলায় আরেকজনের নামে মিথ্যা কথা বলেন। আমি যতই রনিকে বলি আমি এই কাজ করি নাই । কিছুতেই সে আমার কথা বিশ্বাস করে না। এমন না যে, আমার প্রেমের বিয়ে। আমার শাশুড়ি মা নিজে আমাকে পছন্দ করে এনেছেন। তারপরেও কেন এমন আমি বুঝি না। আজকে সকাল থেকেই জ্বর জ্বর লাগছে। তাই বলেছিলাম ভর্তাটা রাতে করি। তাতেও এতকথা শুনতে হল। শুটকি টালতে টালতে মাথাটা ঘুরাতে লাগলো । চারপাশের সব অন্ধকার হয়ে আসলো। কিছুতেই আর দাঁড়াতে পারছিনা। বাথরুমে পেয়ে গেল সাথে সাথে। আমি চুলা থেকে তাওয়া নামিয়ে রেখে বাথরুমের দিকে দৌড়ে গেলাম। কোনমতে ফ্রেশ হয়ে দাঁড়াতেই আর পারলাম না। দড়াম করে বাথরুমে পড়ে গেলাম। গলা দিয়ে শুধু একটা চিৎকার বের হয়ে আসলো। ঠিক কত সময় পরে জ্ঞান আসলো বুঝতে পারলাম না । জ্ঞান ফিরে দেখি রনি আমার পাশে বসে আছে। মা একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে রাগি রাগি মুখ করে। এটা অবশ্য নতুন না। বিয়ের পর থেকেই আমার শরীর খারাপ হলে মার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তাই এখন আর শরীর খারাপ লাগলে কাউকে বলিনা। আর বলেও কি হবে? শরীর খারাপ থাকলেও সব কাজ আমাকেই করতে হয়। শুধু শুধু বলে মায়ের মেজাজ খারাপ করার কি দরকার। -কিভাবে পড়ে গেলে সাথী ? -মাথাটা ঘুরে উঠেছিল । শরীর খারাপ থাকলে এতকিছু করার কি দরকার ? মা সাথে সাথে বলে উঠলেন তোর বউ কি কোন কথা শুনে ? যা মনে চায় করে। কিছু হলে বলেও না। আমি অবাক হয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম – মা আমিতো আপনাকে বলেছিলাম আমার শরীর ভালো না। - কি বললে !! কখন বলেছ ? তুমি বলতে চাচ্ছ আমি ইচ্ছা করে চেয়েছি তুমি পড়ে যাও ? - আমিতো সে কথা একবারো বলিনি মা । আমি বলেছি আপনাকে আমার শরীরটা ভালো নেই । মা আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলেন রনি তার আগেই মাকে থামিয়ে দিয়ে বলল – মা মনে হয় শুনতে পায় নাই। যাক যা হবার হয়ে গেছে । আমি উঠে বসতে যাবো সেই সময় বুঝতে পারলাম ডান পা নাড়াতে পারছিনা। ব্যাথায় আমি কুঁকড়ে গেলাম। রনি পা টা ভালো করে দেখে বলল –সাথী পা তো ফুলে গেছে। মনে হয় মচকে গেছে। দাঁড়াও আমি পায়ে পানি পট্টি বেঁধে দিচ্ছি। কিন্তু ক্রমশই আমার ব্যাথা বাড়তে লাগলো। একসময় আমি অসহ্য হয়ে গেলাম। সন্ধ্যার সময় রনি খুব বিরক্ত হয়ে বলল – চল একটা এক্সরে করে দেখি। যা অবস্থা পা টা ভেঙ্গে গেছে নাকি আল্লাহ ভালো জানেন। এক্সরে করে ডাক্তার কে দেখানোর পরে ডাক্তার বলল প্লাস্টার করতে হবে। পা ভেঙ্গে গেছে উনার। একমাস প্লাস্টার রাখতে হবে। একমাস পরে আসবেন। আর ব্যাথা কমানোর ঔষধ দিয়ে দিলেন। প্লাস্টার করে বাসায় চলে আসলাম। আমার হাঁটা চলা একদম বন্ধ। পরেরদিন ব্যাথা একটু কমার পরেই আমি চিন্তায় পড়লাম ঘরের কাজ কে করবে ? আমার শ্বশুর সকাল বেলায় নাস্তা না খেয়েই অফিসে চলে গেলেন। রনি নিচ থেকে পাউরুটি নিয়ে আসলো। আমরা তাই দিয়ে নাস্তা খেলাম। রনি ফ্রিজ দেখে বলল – রান্না করা লাগবে না । যা আছে তাই দিয়ে দুপুরে হবে। রাতে আমি অফিস থেকে এসে কিছু একটা করে নিবো। রনি অফিসে চলে গেলো। সারাদিনে মা একবারও আমার রুমে আসে নাই। ছুটা বুয়া ঘর মুছে ,কাপড় ধুয়ে যাবার সময় আমাকে বলল – ভাবি আপনারে টেবিলে ভাত দিয়া যাই । আমি বললাম আচ্ছা । বিকালে মা আমার বিছানার পাশের টেবিলে এক কাপ চা এনে দিয়ে চলে গেলেন। আমি অবাক হয়ে ভাবতে লাগলাম দুই বছরেও আমার উপরে এই বাসার কারো কোন মায়া হলনা কেন ! আমি কি কম করেছি উনাদের জন্য ? রনি ও সারাদিনে একবার ফোন করে জানতে চায়নি আমি খেয়েছি কিনা বা শরীরের এখন কি অবস্থা । বিয়ের পর থেকেই লক্ষ্য করেছি রনি আমাকে নিয়ে বেশি আহ্লাদ দেখায় না। নতুন বিয়ে হলে বউয়ের প্রতি স্বামীদের যে একটা আবেগ কাজ করে সেটা রনির ভিতরে ছিল না। ও সবসময় চুপচাপ থাকে আমার সামনে। কিন্তু ওর বাবা, মা অন্য আত্মীয়দের সামনে ও অনেক কথা বলে। আমি মাঝে মাঝে বলি – চল আজকে রাত জেগে ছবি দেখি । ও বলে না রাত বেশি জাগলে সকালে অফিস যেতে সমস্যা হবে। কিন্তু মাঝে মঝেই দেখি অনেক রাত পর্যন্ত আমার শ্বশুর আর ও মিলে ডিসকভারিতে কোন প্রোগ্রাম দেখে । যদি বলি চল দুইজনে মিলে একটু ঘুরে আসি ও সাথে সাথে মাকে গিয়ে বলে- মা চল আমরা বাহিরে যাবো। আমি প্রথম প্রথম ভাবতাম একমাত্র ছেলে তাই বাবা মাকে রেখে কোথাও যেতে চায়না। কিন্তু তাই বলে আমাকে নিয়ে ও কখনই বেড়াতে যাবেনা !! স্বামীর মুখ থেকে নিজের প্রশংসা কে না শুনতে চায়। তাই আমিও মাঝে মাঝে ও অফিস থেকে আসার আগে একটু সেজে থাকি। কিন্তু আজ পর্যন্ত রনি আমাকে আদর করে বলেনি সাথী তুমি খুব সুন্দর। আমি যে দেখতে খারাপ তাও না। পরে পরে মনে হতে লাগলো রনির মনে হয় বিয়ের আগে কারো সাথে কোন সম্পর্ক ছিল। তাই আমাকে ওর ভালো লাগেনা। কৌশলে একদিন আমার ননাসের কাছে এই ব্যপারে জানতে চাইলাম । উনি বললেন – না,না আমার ভাই কখনো কোন মেয়েকে পছন্দ করলে আমরা তো তার সাথেই রনিকে বিয়ে দিতাম। ও সবসময়ই মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করবে বলেছে। অবশেষে বুঝতে পারলাম আমার প্রতি রনির অনীহার মুল কারণ আমার শাশুড়ি মা। উনি রনির কাছে নিয়মিত ভাবে আমার নামে সত্যি মিথ্যা বানিয়ে নানা কথা বলেন। আর উনার বাধ্য সন্তান সেগুলো বিশ্বাস করে আমার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখে। রাতে শুধু ডিম ভাজি আর ডাল দিয়ে ভাত খেল সবাই। অথচ আমি ভালো থাকতে এ খাবার উনারা কোনভাবেই খেতে পারতেন না। এভাবেই দুইদিন কেটে গেলো। তিনদিনের দিন সকালে মায়ের সেকি চিৎকার। আমি পারবনা তোদের এসব কাজ করতে। পা ভেঙ্গেছে তো কি হয়েছে ? সারাদিন বিছানায় শুয়ে বসে থাকতে হবে? আস্তে আস্তে উঠে এটা সেটা করা যায়না ? আমি কি তোর বউয়ের চাকর যে রান্না করে তোর বউয়ের সামনে খাবার দিয়ে আসতে হবে ? আমি পারবনা বলে দিলাম। কিছুক্ষণ পরেই রনি আমার কাছে এসে বলল- সাথী যে কয়দিন তোমার পা ভালো না হচ্ছে তুমি তোমাদের বাসায় গিয়ে থাকো। রনির কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। এই দুইবছরে যতই খারাপ লাগুক আমি চিৎকার করে রনির সাথে কখনো কথা বলি নাই। ওকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি আমার কথাগুলো। কিন্তু আজকে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না । আমি চিৎকার করে রনিকে বললাম – কেন রনি আমি অসুস্থ হলে আমাকে আমাদের বাসায় চলে যেতে হবে কেন ? কয়েকদিন আগে যে আমার আম্মা অসুস্থ হলেন সে সময়ত আম্মার সেবা করার জন্য তোমরা আমাকে আমাদের বাসায় গিয়ে থাকতে দেওনি । মা আমাকে বলেছে তোমার আম্মাকে সেবা করতে যাবা আর আমাকে দেখবে কে ? আমি আমার মায়ের সেবা করতে যেতে পারবোনা। তাহলে এখন আমি কিভাবে মায়ের সেবা নিতে যাব ? এই দুই বছর আমি সবরকম ভাবে তোমাদের সাথে মিশার চেষ্টা করে আসছি। কিন্তু কোনভাবেই তোমরা আমাকে আপন ভাবতে পারছনা। মানুষ নিজেদের বাসায় কুকুর,বিড়াল পুষলেও তো মায়া হয়। ওরা অসুস্থ হলে ওদের খেয়াল করে। আমি কি কুকুর বিড়ালেরও অধম রনি ? আমি অসুস্থ হলে কখনই মা সেটা মেনে নিতে চায়না। এমনকি তুমি নিজেও বিরক্ত হও। তোমার বোনের সামান্য মাথা ব্যাথা হলেও মা তোমাকে নিয়ে দৌড়ে দেখতে চলে যায়। আর আমি গায়ে জ্বর নিয়ে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সব করি। তাতে তোমাদের কিছুই যায় আসেনা। এখন আমার পা ভেঙ্গে গেছে। আমি একেবারেই চলতে পারিনা। তোমাদের কাজ আমি করতে পারিনা তাই আমাকে এখন আর তোমরা বাসায় রাখবে না। আমাকে ভালো হবার জন্য আমার মায়ের কাছে জেতে হবে। ভালো হয়ে এসে আবার তোমাদের সেবা করতে হবে। কেন রনি ? এমন কেন ? তোমাদের কিছু হলে আমি সব করি তাহলে আমি অসুস্থ হলে তোমরা কেন আমাকে দেখতে পারবেনা? স্বামী হিসেবে কি তোমার কোন দায়িত্ব নেই। আমি অনেক চেষ্টা করেছি তোমাদের আপন হতে। তোমার মনে আমার জন্য একটু জায়গা করে নিতে। কিন্তু আমি সফল হতে পারি নাই রনি। পা ভালো হওয়া পর্যন্ত না আমি সারাজীবনের জন্য তোমার জীবন থেকে চলে যাব। বলেই আমি আমার বড় ভাইকে ফোন করে আসতে বললাম। রনি বুঝতে পারলো আমি সত্যি সত্যি চলে যেতে চাইছি। তাই ও আমার পাশে বসে আমার হাত ধরে বলল – সাথী কে বলেছে আমার মনে তোমার জন্য জায়গা নেই। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই হয়তো তোমাকে সে রকম করে ভালবাসি বলা হয় নাই। কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসি বিশ্বাস কর। -না, রনি ভালবাসি মুখে বলতে হয়না। ব্যবহারেই বুঝা যায় তুমি আমাকে কেমন ভালোবাসো। আজ পর্যন্ত তুমি আমার কোন কথা বিশ্বাস করনি। মা তোমাকে সত্যি মিথ্যা যা বলেছেন তাই নিয়ে তুমি আমাকে কম কথা শুনাও নাই। আমি বারবার তোমাকে বুঝাতে চেয়েছি তোমার এ রকম ব্যবহারে তোমার সাথে আমার দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু তুমি আমার কোন কথায় কান দেওনি। আমি তোমাকে কখনো বলি নাই তুমি তোমার মা,বাবাকে ভালবেসনা। তুমি উনাদের পাশাপাশি আমাকেও একটু ভালোবাসো। এমন তো না যে আমাকে ভালবাসলে উনাদের ভালবাসায় কম পড়ে যাবে। বাবা মায়ের প্রতি ভালবাসা আর বউয়ের ভালবাসা কি এক ? কিন্তু তুমি আমার ভালো লাগা মন্দ লাগার দিকে কখনো দেখ নাই। তোমার মা , বোন অসুস্থ হলে তুমি যে পেরেশান হয়ে যাও আমার বেলায় তার দশ ভাগের একভাগ পেরেশান তুমি কখনো হও নাই। দুই বছরে যখন তোমার ভিতরে আমি ঢুকতে পারি নাই তাহলে আরও বারো বছরেও পারবোনা। তাই শুধু শুধু এক ছাদের নিচে থাকার কোন মানে হয়না । এই সময় মা রুমে ঢুকে বললেন – কি হয়েছে বৌমা এমন চিৎকার করছ কেন ? আর কি বলছ তুমি রনির সাথে তুমি আর থাকবেনা ? কি এমন হয়েছে ? এক সংসারে থাকতে গেলে এমন অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। আমি সবসময় তোমাদের ভালো চেয়েছি। আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে বললাম – কি ভালো চেয়েছেন মা ? আপনি যে আপনার ছেলের কাছে আমার নামে নালিশ করেন কেন করেন? আপনি ভালো করেই জানেন আপনার ছেলে আপনার কথা অন্ধের মত বিশ্বাস করবে। আপনার ধারনা ছেলেকে বশে রাখলেই আপনার ভালো। তাই, যা নয় তাই বলে ছেলেকে সবসময় আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। আপনার চেষ্টা সফল হোল । আমি সবসময়ের জন্য দূরে চলে যাচ্ছি। আর মানিয়ে নেয়ার কথা বললেন না । মানিয়ে নিতে আমি অনেক কিছু এই দুই বছরে ছাড় দিয়েছি। কোন লাভ হয় নাই। ভবিষ্যতেও হবেনা। আমাদের দেশের মেয়েরা মানিয়ে নিতে নিতে এমন অবস্থা হয় যে তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। ততদিনে তাদের দুই তিনটা ছেলে মেয়ে হয়ে যায়। তখন তাদের এক দল ডিভোর্সের চিন্তা করে আর একদল মরে মরে সারা জীবন বেঁচে থাকে। যারা বাচ্চা হবার পরে ডিভোর্সের চিন্তা করে তাদের ডিভোর্সের পরে সবচেয়ে বেশি মানুষিক বিপর্যয়ে পড়ে সন্তানরা। আর যারা মরে মরে সংসার করে তাঁরা একজীবনে স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকদের কথা শুনে আর পরবর্তীতে সন্তানদের কথা শুনে। কারণ সন্তানরা ছোট থেকে তাদের মায়ের অসন্মান দেখে বড় হয় । তাই তারাও মনে করে এর কোন সন্মান নেই। আমি তাদের মত হতে চাইনা। তাই যে সম্পর্কে সন্মান নেই সন্তান হবার আগেই আমি সেই সম্পর্ক থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চাই। মরে মরে নয় আমি বাঁচার মত করে বাঁচতে চাই। বউ হয়েছি তো কি হয়েছে আমিও মানুষ। (সমাপ্ত) ~ আমিও মানুষ
    Like
    7
    0 Yorumlar 0 hisse senetleri 581 Views 0 önizleme
  • Like
    1
    0 Yorumlar 0 hisse senetleri 624 Views 0 önizleme
  • ︵❝།།___─༅༎

    ─༅༎●আমি এক বেহায়া ঘুড়ি•

    ︵❝།།তুমি না চাইলেও, তোমার আকাশেই উড়ি..!༉

    ︵❝།།••••
    ︵❝།།💚🍒___─༅༎ ─༅༎●আমি এক বেহায়া ঘুড়ি•💚🍒 ︵❝།།তুমি না চাইলেও, তোমার আকাশেই উড়ি..!༉💔 ︵❝།།💚••••🥲
    Like
    2
    0 Yorumlar 0 hisse senetleri 613 Views 0 önizleme
  • Like
    1
    0 Yorumlar 0 hisse senetleri 658 Views 0 önizleme
  • Like
    1
    0 Yorumlar 0 hisse senetleri 641 Views 0 önizleme
Daha Hikayeler