অনেকের কাছেই আমরা শুনে থাকি, আমেরিকায় যাওয়া খুবই কঠিন, এমনকি সহজে ভিসা পাওয়া যায় না! 🤔

 

👉 আসলে বাস্তবতা হলো আমেরিকার ৫ (পাঁচ) বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসা (B1-B2) বাংলাদেশ থেকে পাওয়া খুবই সহজ, যদি আপনি সঠিক পন্থায় এবং সঠিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করেন! 🇺🇸🇺🇸🇺🇸

 

✨ আমরা অনেকেই আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করতে ভয় পাই, কারণ আমরা মনে করে থাকি অন্য সব উন্নত দেশগুলোর মতো ট্যুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এর সময় অনেক ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হয়, পূর্বেই বায়োমেট্রিক্স নেয়া হয় এবং পরে ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে ভিসা ইস্যু অথবা রিফিউস করা হয়। 

 

কিন্তু আমেরিকান ট্যুরিস্ট ভিসার (B1-B2) ক্ষেত্রে পদ্ধতিটি সম্পূর্ণই ভিন্ন এবং সহজ! 💖

এই ভিসা পাওয়ার জন্য অনেক বেশী কাগজপত্র দরকার নেই! এমনকি আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা এসেট ভ্যালুয়েশনও চাইবে না! এছাড়াও আপনার যদি একাধিক দেশ ভিজিট করা থাকে তাহলে সেটা নিঃস্বন্দেহে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে বিভিন্ন দেশ ভিজিট করা থাকলেই আপনি আমেরিকার ভিসা পেয়ে যাবেন। 🇺🇸 🗽

 

✅ আপনার যদি সঠিক কৌশল জানা থাকে তাহলে সাদা পাসপোর্টেও সহজেই আপনি আমেরিকার ভিসা পেতে পারেন!🇺🇸💖

 

🗽 আমেরিকান ট্যুরিস্ট ভিসার প্রথম দুইটি ধাপ হলোঃ

১। সিজিআই প্রোফাইল তৈরি করা। 

২। ভিসা ফি এর রিসিপ্ট প্রিন্ট আউট করে ইস্টার্ন ব্যাংকের (EBL) যে কোনো ব্রাঞ্চে অফলাইনে জমা দেওয়া |আর আপনার যদি (EBL) ব্যাংকে একাউন্ট থাকে তাহলে (EBL) ব্যাংকের APP-এর মাধ্যমে অনলাইন-এ ভিসা ফি জমা দিতে পারবেন। 

 

✨ বর্তমানে জনপ্রতি ভিসা ফি হচ্ছে $১৮৫ ডলার যা বর্তমান বাজারের ডলার মূল্য অনুযায়ী হচ্ছে ২১,০৯০ টাকা। 💵

 

✅ আমেরিকান মাল্টিপল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসা বাংলাদেশ থেকে সাধারণত ৫ বছরের জন্য দেওয়া হয় এবং এই ভিসাটি মূলতো ২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে।

✨ প্রথমত : DS-160: Online Nonimmigrant এপ্লিকেশন ফর্ম এর উপর।

✨ দ্বিতীয়ত : ভিসা অফিসারের সাথে একটি শর্ট ইন্টারভিউ এর উপর।

 

✅ DS -160 ফর্ম কেন গুরুত্বপূর্ণ ? 

- যেহেতু আমেরিকান ট্যুরিস্ট ভিসা ব্যক্তিগত তথ্য ও ইন্টারভিউ ভিত্তিক, তাই DS-160 ফর্মে সকল ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য নির্ভুল ও সঠিকভাবে প্রদান করতে হয়। একটা বিষয় মনে রাখবেন, সঠিকভাবে DS-160 এপ্লিকেশন ফর্মটি পূরণ করলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা ৭০% নিশ্চিত হয়ে যাবে।

 

✅ ভিসা অফিসারের সাথে ইন্টারভিউ কেমন হবে?

- ভিসা অফিসারদের বেশিরভাগ প্রশ্ন আপনাদের দেওয়া DS-160 ফর্ম এর উপর ভিত্তি করেই হয়ে থাকে। ইন্টারভিউয়ের উপর মূলত বাকী ৩০% সম্ভবনা নির্ভর করে। এছাড়া সাক্ষাৎকারের সময়কাল মূলত ২-৩ মিনিটের হয়ে থাকে (কারো কারো ক্ষেত্রে ৫-১০ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘ হয়)। এই অল্প সময়ে ভিসা অফিসারগণ মূলত আপনাদের সাইকোলজিকালি পরীক্ষা করে। আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, বাচনভঙ্গি, ড্রেস আপ থেকে শুরু করে আপনি কিভাবে কনসুলার অফিসারদের প্রতিটি প্রশ্নের সু-ব্যাখ্যা সংক্ষেপে দিতে পারছেন সবকিছুর উপর বিবেচনা করে তারা তাৎক্ষণিকভাবে একটি সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়াও আপনি কেন আমেরিকা যাবেন তার সুনির্দিষ্ট কারণ দেখাতে হবে। ইন্টারভিউ এর সময় ভিসা অফিসারদের বুঝাতে হবে যে, আপনার আমেরিকা যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ আছে এবং আপনি আমেরিকায় যাবেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিরে আসবেন, তাহলেই আপনার ভিসা হবে।

 

✅ তাই, আপনি যখন আমেরিকার ট্যুরিস্ট ভিসার (B1+B2) জন্য আবেদন করবেন, তখন অবশ্যই আপনার DS-160 ফর্মটি কোন দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হাতে পূরণ করতে হবে। কেননা, DS-160 ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করতে না পারলে এটি শুধুমাত্র আপনার রিফিউজ এর কারণই হবেনা, বরং পরবর্তীতে আবেদন করার সময়েও জটিলতা সৃষ্টি করবে।

 

♨️ সতর্কতাঃ অনেক এজেন্সি বা ব্যক্তিবর্গ আপনাকে কন্ট্রাক্টে ভিসা নিশ্চয়তার প্রলোভন দেখিয়ে আমেরিকায় যাওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। সবসময়ই মনে রাখবেন আমেরিকান ভিসা কখনই কন্ট্রাক্টে অথবা চুক্তিভিত্তিক হয় না। তাই এ ধরনের লোভনীয় ফাঁদে না পড়ে অবশ্যই বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান এবং দক্ষ ব্যক্তি দ্বারা আবেদন করুন।

 

#B1B2 #VisaAid #usvisa #usvisaupdate #exploreamerica #visitusafrombd #VisaJourneyBD #USVisahelpbd #b1b2visa #TravelDreams #usvisaexperiencebd #usavisa #usavisaprocessing #usa #america #canada #uk #love #newyork #instagram #california #travel #instagood #fashion #photography #australia #india #germany #trump #london