• –একজন বিজ্ঞ আলেম ছিলেন। যার অনেক ছাত্র ছিল। যখনই তার কাছে নতুন কোন শিষ্য আসতো তিনি তখন তার পরীক্ষা নিতেন।
    –তিনি কিছু পাখি পালতেন। আর পাখিগুলোকে তিনি একটি কথা শিক্ষা দিয়েছিলেন, কথাটি হল; "শিকারি আয়েগা, দানা ডালেগা, জাল বিছায়েগা, ফাসনা নেহি"। অর্থাৎ "শিকারি আসবে, খাবার দিবে, জাল পাতবে, ফেঁসে যেও না।"
    –যখনই নতুন কোন ছাত্র আসতো তখনই তিনি তাকে কিছু দানা আর একটি জাল দিয়ে বলতেন, "যাও ঐ গাছের নিচ থেকে কিছু পাখি ধরে নিয়ে আসো।"
    –পাখিগুলো মানুষ দেখামাত্রই এই বলে গান গাইতে শুরু করতো যে, "শিকারি আয়েগা, দানা ডালেগা, জাল বিছায়েগা, ফাসনা নেহি"। তখন বেশিরভাগ ছাত্রই ফিরে আসতো এই ভেবে যে, এত চালাক পাখি ধরা যাবে না!
    –কিন্ত যদি কোন ছাত্র জাল পাততো আর দানা দিতো তবে দেখতো যে, পাখিগুলো মুখে ঐ কথা বলছে ঠিকই কিন্ত দানা খেতে আসছে আর জালে ফেঁসে যাচ্ছে। অর্থাৎ তাদের মুখের কথা তাদের কোন কাজেই আসছে না।
    –এই পাখিগুলো আসলে কি বলছে তারা সেটা নিজেরাই জানে না। পাখিগুলো জানে না- 'শিকারি' কি জিনিস! 'জাল' কি জিনিস! 'ফাসনা' কি জিনিস! তাই তোতারা মুখে যতই গান গাওক না কেন, তাও জালে ফেঁসে মৃত্যু ডেকে আনছে।
    ★ আজকের জামানায় আমাদের অবস্থাও ঠিক যেন পাখিদের মতই হয়ে গেছে। আমরা মুখে 'লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি, কিন্তু আমরা এর মর্ম জানি না। প্রত্যেক সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ি কিন্তু আমরা বুঝি না এর ভিতর আল্লাহ কি বলতে চেয়েছেন।
    –একই সাথে আমরা সুদ-ঘুষ, পরনিন্দা, অহংকার, যিনা, গীবত, অশ্লীলতা, পর্দাহীনতা, ও অসংখ্য হারাম কাজ করছি আর কথা বলা পাখির মতই আবার কালেমা বলছি আর নিজেকে মুসলমান হিসেবে দাবীও করছি! কাজেই আমাদের এই সাক্ষ্যদান কথা বলা পাখির মতন। আমরা মুখে কালেমা জপার পরেও শিকারির জালে ফেঁসে যাচ্ছি।
    আল্লাহ তাআলা আমাদের যথাযথভাবে অনুবাধন করার তৌফিক দান করুন।
    আমীন
    –একজন বিজ্ঞ আলেম ছিলেন। যার অনেক ছাত্র ছিল। যখনই তার কাছে নতুন কোন শিষ্য আসতো তিনি তখন তার পরীক্ষা নিতেন। –তিনি কিছু পাখি পালতেন। আর পাখিগুলোকে তিনি একটি কথা শিক্ষা দিয়েছিলেন, কথাটি হল; "শিকারি আয়েগা, দানা ডালেগা, জাল বিছায়েগা, ফাসনা নেহি"। অর্থাৎ "শিকারি আসবে, খাবার দিবে, জাল পাতবে, ফেঁসে যেও না।" –যখনই নতুন কোন ছাত্র আসতো তখনই তিনি তাকে কিছু দানা আর একটি জাল দিয়ে বলতেন, "যাও ঐ গাছের নিচ থেকে কিছু পাখি ধরে নিয়ে আসো।" –পাখিগুলো মানুষ দেখামাত্রই এই বলে গান গাইতে শুরু করতো যে, "শিকারি আয়েগা, দানা ডালেগা, জাল বিছায়েগা, ফাসনা নেহি"। তখন বেশিরভাগ ছাত্রই ফিরে আসতো এই ভেবে যে, এত চালাক পাখি ধরা যাবে না! –কিন্ত যদি কোন ছাত্র জাল পাততো আর দানা দিতো তবে দেখতো যে, পাখিগুলো মুখে ঐ কথা বলছে ঠিকই কিন্ত দানা খেতে আসছে আর জালে ফেঁসে যাচ্ছে। অর্থাৎ তাদের মুখের কথা তাদের কোন কাজেই আসছে না। –এই পাখিগুলো আসলে কি বলছে তারা সেটা নিজেরাই জানে না। পাখিগুলো জানে না- 'শিকারি' কি জিনিস! 'জাল' কি জিনিস! 'ফাসনা' কি জিনিস! তাই তোতারা মুখে যতই গান গাওক না কেন, তাও জালে ফেঁসে মৃত্যু ডেকে আনছে। ★ আজকের জামানায় আমাদের অবস্থাও ঠিক যেন পাখিদের মতই হয়ে গেছে। আমরা মুখে 'লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি, কিন্তু আমরা এর মর্ম জানি না। প্রত্যেক সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ি কিন্তু আমরা বুঝি না এর ভিতর আল্লাহ কি বলতে চেয়েছেন। –একই সাথে আমরা সুদ-ঘুষ, পরনিন্দা, অহংকার, যিনা, গীবত, অশ্লীলতা, পর্দাহীনতা, ও অসংখ্য হারাম কাজ করছি আর কথা বলা পাখির মতই আবার কালেমা বলছি আর নিজেকে মুসলমান হিসেবে দাবীও করছি! কাজেই আমাদের এই সাক্ষ্যদান কথা বলা পাখির মতন। আমরা মুখে কালেমা জপার পরেও শিকারির জালে ফেঁসে যাচ্ছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের যথাযথভাবে অনুবাধন করার তৌফিক দান করুন। আমীন
    0 Comments 0 Shares 1K Views 0 Reviews
  • --একদিন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ) কে বলেছিল "ঘুমাতে যাওয়ার আগে ৫টি কাজ প্রতিরাতে করবে"
    ১..৪ হাজার দিনার সদকা করবে।
    ২..একটি কুরআন খতম করবে।
    ৩..জান্নাতের মূল্য পরিশোধ করবে।
    ৪..দুজন ব্যক্তি যদি দুজনের উপর রাগ করে থাকে তাইলে সেই রাগ ভাঙ্গিয়ে তাদেরকে খুশি করে তুলবে।
    ৫..একবার হজ্জ করবে, তারপর ঘুমাতে যাবে।
    ---হযরত আলী (রাঃ) তখন বললেন "হে রাসূলুল্লাহ! এটা তো মনে হচ্ছে অসম্ভব,আমি এই পাঁচটি কাজ কিভাবে করতে পারবো?
    --তখন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন:
    ১.. "সূরা ফাতিহা ৪বার পড়লেই চার হাজার দিনার সদকা করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে"
    ২.. "সূরা ইখলাস ৩বার পড়লে একটি কুরআন খতমের সাওয়াব পাবে"
    ৩.. "তিনবার যেকোনো একটি দরুদ শরীফ পড়বে, তাহলে জান্নাতের মুল্য পরিশোধ করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাওয়া যাবে। যেমন সবচেয়ে ছোট দরুদ শরীফ হচ্ছে "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম"
    ৪.."যেকোনো ইস্তাগফার বা আস্তাগফিরুল্লাহ ১০বার পাঠ করলে দুজন অখুশি মানুষকে খুশি করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে"
    ৫.."সর্বশেষ কালেমা শাহাদত চারবার পাঠ করলে একটি হজ্জ সমপরিমাণ সাওয়াব পাওয়া যাবে"
    সুবাহানাল্লাহ আমরা যদি সারাদিন এর ব্যস্ততা সরিয়ে আল্লাহ্ তায়ালা কে দুই ঘণ্টা সময় দেই মন থেকে আমাদের আল্লাহ্ বেশি কিছু চাই না আমাদের থেকে ,,,
    আমাদের আল্লাহর একটাই চাওয়া তোমরা তোমাদের কিছু টা সময় আমাকে দাও আমি তোমাদের আমার সব টা দিয়ে দিবো হে আমার বান্দারা।।
    আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সবাইকে বোঝার জন্য উত্তম তৌফিক দান করুন আমীন
    আপনি যদি মনে করে থাকেন লেখাটা সেয়ার কারলে কোন মুসলমান ভাইয়ের উপকার হতে পারে তাহলে সেয়ার করুন, আল্লাহ্ র ইচ্ছায় আপনারও উপকৃত হতে পারেন!
    --একদিন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ) কে বলেছিল "ঘুমাতে যাওয়ার আগে ৫টি কাজ প্রতিরাতে করবে" ১..৪ হাজার দিনার সদকা করবে। ২..একটি কুরআন খতম করবে। ৩..জান্নাতের মূল্য পরিশোধ করবে। ৪..দুজন ব্যক্তি যদি দুজনের উপর রাগ করে থাকে তাইলে সেই রাগ ভাঙ্গিয়ে তাদেরকে খুশি করে তুলবে। ৫..একবার হজ্জ করবে, তারপর ঘুমাতে যাবে। ---হযরত আলী (রাঃ) তখন বললেন "হে রাসূলুল্লাহ! এটা তো মনে হচ্ছে অসম্ভব,আমি এই পাঁচটি কাজ কিভাবে করতে পারবো? --তখন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন: ১.. "সূরা ফাতিহা ৪বার পড়লেই চার হাজার দিনার সদকা করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে" ২.. "সূরা ইখলাস ৩বার পড়লে একটি কুরআন খতমের সাওয়াব পাবে" ৩.. "তিনবার যেকোনো একটি দরুদ শরীফ পড়বে, তাহলে জান্নাতের মুল্য পরিশোধ করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাওয়া যাবে। যেমন সবচেয়ে ছোট দরুদ শরীফ হচ্ছে "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" ৪.."যেকোনো ইস্তাগফার বা আস্তাগফিরুল্লাহ ১০বার পাঠ করলে দুজন অখুশি মানুষকে খুশি করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে" ৫.."সর্বশেষ কালেমা শাহাদত চারবার পাঠ করলে একটি হজ্জ সমপরিমাণ সাওয়াব পাওয়া যাবে" সুবাহানাল্লাহ 🌺🌿 আমরা যদি সারাদিন এর ব্যস্ততা সরিয়ে আল্লাহ্ তায়ালা কে দুই ঘণ্টা সময় দেই মন থেকে আমাদের আল্লাহ্ বেশি কিছু চাই না আমাদের থেকে ,,, আমাদের আল্লাহর একটাই চাওয়া তোমরা তোমাদের কিছু টা সময় আমাকে দাও আমি তোমাদের আমার সব টা দিয়ে দিবো হে আমার বান্দারা।। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সবাইকে বোঝার জন্য উত্তম তৌফিক দান করুন আমীন 🤲🥀🌺 আপনি যদি মনে করে থাকেন লেখাটা সেয়ার কারলে কোন মুসলমান ভাইয়ের উপকার হতে পারে তাহলে সেয়ার করুন, আল্লাহ্ র ইচ্ছায় আপনারও উপকৃত হতে পারেন!
    Like
    9
    0 Comments 0 Shares 603 Views 0 Reviews
  • তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র নষ্ট করার নিয়মঃ

    =================

    আপনি যদি ঘরে বা অন্য কোথাও সন্দেহজনক কোনো (যাদুর) বস্তু বা তাবিজ পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিচে উল্লেখিত নিয়মে নষ্ট করে নিবেন। কিছুতেই নষ্ট না করে ফেলে দিবেন না। কারণ, যাদুর জিনিসপত্র ফেলে দিলেও এর প্রভাব থেকে যায়।

    # যেভাবে নষ্ট করবেন যাদুর জিনিসপত্র #
    =================
    প্রথমে অযু করে নিন। এরপর একটা বড়ো পাত্রে (বালতি বা গামলায়) পর্যাপ্ত পানি নিন। তারপর নিচের সুরা ও আয়াতগুলো "যাদুর জিনিসপত্র বা তাবিজ নষ্টের নিয়তে" ৩/৫/৭ বার (যতবার সম্ভব হয়) করে পড়ে পড়ে পানিতে ফুঁ দিন।
    ০১) সূরা ফাতিহা,
    ০২) আয়াতুল কুরসি,
    ০৩) সুরা ইখলাস,
    ০৪) সুরা ফালাক,
    ০৫) সুরা নাস।
    সম্ভব হলে এগুলোর সাথে সুরা আরাফের ১১৭-১২২ নং আয়াত, সুরা ইউনুসের ৮১-৮২ নং আয়াত এবং সুরা ত্বহার ৬৯ নং আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে পারেন।

    সুরা আরাফের আয়াতগুলো—
    وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ ﴿١١٧﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿١١٨﴾ فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ ﴿١١٩﴾ وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ ﴿١٢٠﴾ قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿١٢١﴾ رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ ﴿١٢٢﴾

    সুরা ইউনুসের আয়াতগুলো—
    فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ ﴿٨١﴾ وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ ﴿٨٢﴾

    সুরা ত্বহার আয়াত—
    وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ ﴿٦٩﴾

    তারপর তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র ওই পানিতে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
    তাবিজ খুলে/ভেঙ্গে ভিতরের কাগজ বের করে টুকরো টুকরো করে নিবেন। তাবিজ/জাদুর জিনিসপত্র পলিথিন বা অন্য কিছু দিয়ে জড়ানো থাকলে তা খুলে/ভেঙ্গে সবকিছু আলাদা আলাদা করে নিয়ে পানিতে ভেজাবেন। প্রয়োজনে হাতুড়ি, ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন । একাজগুলো করার সময় মুখে (হাল্কা আওয়াজে) তিন কুল পড়তে থাকবেন (বারবার)।

    কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর সেগুলো মাটিতে পুঁতে দিতে পারেন, পুড়িয়ে দিতে পারেন, নদী-খাল ইত্যাদিতে অথবা নির্জন কোনো জায়গায় ফেলে দিতে পারেন। তাহলেই আল্লাহর রহমতে যাদুর সকল প্রভাব নষ্ট হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

    লক্ষণীয়ঃ

    ২। তাবিজ বা যাদুর অন্য যেকোনো জিনিস খালি হাতে না ধরে গ্লাভস ব্যবহার করা ভাল। গ্লাভস না পেলে হাতে পলিথিন মুড়িয়ে বা রুকইয়াহর আয়াত পড়া তেল হাতে মেখে নিতে পারেন। তাবিজ ধরার পূর্বে এবং নষ্ট করার পুরো সময়জুড় সুরা ফালাক, নাস পড়তে থাকবেন।

    ৩। তামা বা অন্য ধকোনো ধাতুর তৈরী তাবিজ বা আংটিতে খোদাই করা তাবিজ লেখা থাকলে লেখাটা ঘষে মুছে ফেলবেন। ঘষে মুছতে না পারলে পুড়িয়ে হলেও লেখাটা মুছে ফেলা জরুরী। নিজে করতে না পারলে কোন স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে তা মুছিয়ে নিবেন।

    ৪। তাবিজে গিঁট দেয়া থাকলে সাবধানে প্রতিটা গিঁট খুলে ফেলবেন।

    # একান্তই যদি তাবিজগুলো আপনি নিজে নষ্ট করতে না পারেন তাহলে একজন দ্বীনদার রাক্বীর কাছে গিয়ে তা নষ্ট করে নিবেন # তাবিজের ব্যখ্যা দেওয়া হয় না। আপনি নিচের নিয়মে তাবিজ নষ্ট করে নিন।

    তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র নষ্ট করার নিয়মঃ

    =================

    আপনি যদি ঘরে বা অন্য কোথাও সন্দেহজনক কোনো (যাদুর) বস্তু বা তাবিজ পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিচে উল্লেখিত নিয়মে নষ্ট করে নিবেন। কিছুতেই নষ্ট না করে ফেলে দিবেন না। কারণ, যাদুর জিনিসপত্র ফেলে দিলেও এর প্রভাব থেকে যায়।

    # যেভাবে নষ্ট করবেন যাদুর জিনিসপত্র #
    =================
    প্রথমে অযু করে নিন। এরপর একটা বড়ো পাত্রে (বালতি বা গামলায়) পর্যাপ্ত পানি নিন। তারপর নিচের সুরা ও আয়াতগুলো "যাদুর জিনিসপত্র বা তাবিজ নষ্টের নিয়তে" ৩/৫/৭ বার (যতবার সম্ভব হয়) করে পড়ে পড়ে পানিতে ফুঁ দিন।
    ০১) সূরা ফাতিহা,
    ০২) আয়াতুল কুরসি,
    ০৩) সুরা ইখলাস,
    ০৪) সুরা ফালাক,
    ০৫) সুরা নাস।
    সম্ভব হলে এগুলোর সাথে সুরা আরাফের ১১৭-১২২ নং আয়াত, সুরা ইউনুসের ৮১-৮২ নং আয়াত এবং সুরা ত্বহার ৬৯ নং আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে পারেন।

    সুরা আরাফের আয়াতগুলো—
    وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ ﴿١١٧﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿١١٨﴾ فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ ﴿١١٩﴾ وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ ﴿١٢٠﴾ قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿١٢١﴾ رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ ﴿١٢٢﴾

    সুরা ইউনুসের আয়াতগুলো—
    فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ ﴿٨١﴾ وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ ﴿٨٢﴾

    সুরা ত্বহার আয়াত—
    وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ ﴿٦٩﴾

    তারপর তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র ওই পানিতে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
    তাবিজ খুলে/ভেঙ্গে ভিতরের কাগজ বের করে টুকরো টুকরো করে নিবেন। তাবিজ/জাদুর জিনিসপত্র পলিথিন বা অন্য কিছু দিয়ে জড়ানো থাকলে তা খুলে/ভেঙ্গে সবকিছু আলাদা আলাদা করে নিয়ে পানিতে ভেজাবেন। প্রয়োজনে হাতুড়ি, ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন । একাজগুলো করার সময় মুখে (হাল্কা আওয়াজে) তিন কুল পড়তে থাকবেন (বারবার)।

    কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর সেগুলো মাটিতে পুঁতে দিতে পারেন, পুড়িয়ে দিতে পারেন, নদী-খাল ইত্যাদিতে অথবা নির্জন কোনো জায়গায় ফেলে দিতে পারেন। তাহলেই আল্লাহর রহমতে যাদুর সকল প্রভাব নষ্ট হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

    লক্ষণীয়ঃ

    ২। তাবিজ বা যাদুর অন্য যেকোনো জিনিস খালি হাতে না ধরে গ্লাভস ব্যবহার করা ভাল। গ্লাভস না পেলে হাতে পলিথিন মুড়িয়ে বা রুকইয়াহর আয়াত পড়া তেল হাতে মেখে নিতে পারেন। তাবিজ ধরার পূর্বে এবং নষ্ট করার পুরো সময়জুড় সুরা ফালাক, নাস পড়তে থাকবেন।

    ৩। তামা বা অন্য ধকোনো ধাতুর তৈরী তাবিজ বা আংটিতে খোদাই করা তাবিজ লেখা থাকলে লেখাটা ঘষে মুছে ফেলবেন। ঘষে মুছতে না পারলে পুড়িয়ে হলেও লেখাটা মুছে ফেলা জরুরী। নিজে করতে না পারলে কোন স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে তা মুছিয়ে নিবেন।

    ৪। তাবিজে গিঁট দেয়া থাকলে সাবধানে প্রতিটা গিঁট খুলে ফেলবেন।

    একান্তই যদি তাবিজগুলো আপনি নিজে নষ্ট করতে না পারেন তাহলে একজন দ্বীনদার রাক্বীর কাছে গিয়ে তা নষ্ট করে নিবেন #
    তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র নষ্ট করার নিয়মঃ ================= আপনি যদি ঘরে বা অন্য কোথাও সন্দেহজনক কোনো (যাদুর) বস্তু বা তাবিজ পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিচে উল্লেখিত নিয়মে নষ্ট করে নিবেন। কিছুতেই নষ্ট না করে ফেলে দিবেন না। কারণ, যাদুর জিনিসপত্র ফেলে দিলেও এর প্রভাব থেকে যায়। # যেভাবে নষ্ট করবেন যাদুর জিনিসপত্র # ================= প্রথমে অযু করে নিন। এরপর একটা বড়ো পাত্রে (বালতি বা গামলায়) পর্যাপ্ত পানি নিন। তারপর নিচের সুরা ও আয়াতগুলো "যাদুর জিনিসপত্র বা তাবিজ নষ্টের নিয়তে" ৩/৫/৭ বার (যতবার সম্ভব হয়) করে পড়ে পড়ে পানিতে ফুঁ দিন। ০১) সূরা ফাতিহা, ০২) আয়াতুল কুরসি, ০৩) সুরা ইখলাস, ০৪) সুরা ফালাক, ০৫) সুরা নাস। সম্ভব হলে এগুলোর সাথে সুরা আরাফের ১১৭-১২২ নং আয়াত, সুরা ইউনুসের ৮১-৮২ নং আয়াত এবং সুরা ত্বহার ৬৯ নং আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে পারেন। সুরা আরাফের আয়াতগুলো— وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ ﴿١١٧﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿١١٨﴾ فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ ﴿١١٩﴾ وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ ﴿١٢٠﴾ قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿١٢١﴾ رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ ﴿١٢٢﴾ সুরা ইউনুসের আয়াতগুলো— فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ ﴿٨١﴾ وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ ﴿٨٢﴾ সুরা ত্বহার আয়াত— وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ ﴿٦٩﴾ তারপর তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র ওই পানিতে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তাবিজ খুলে/ভেঙ্গে ভিতরের কাগজ বের করে টুকরো টুকরো করে নিবেন। তাবিজ/জাদুর জিনিসপত্র পলিথিন বা অন্য কিছু দিয়ে জড়ানো থাকলে তা খুলে/ভেঙ্গে সবকিছু আলাদা আলাদা করে নিয়ে পানিতে ভেজাবেন। প্রয়োজনে হাতুড়ি, ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন । একাজগুলো করার সময় মুখে (হাল্কা আওয়াজে) তিন কুল পড়তে থাকবেন (বারবার)। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর সেগুলো মাটিতে পুঁতে দিতে পারেন, পুড়িয়ে দিতে পারেন, নদী-খাল ইত্যাদিতে অথবা নির্জন কোনো জায়গায় ফেলে দিতে পারেন। তাহলেই আল্লাহর রহমতে যাদুর সকল প্রভাব নষ্ট হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। ✅ লক্ষণীয়ঃ ২। তাবিজ বা যাদুর অন্য যেকোনো জিনিস খালি হাতে না ধরে গ্লাভস ব্যবহার করা ভাল। গ্লাভস না পেলে হাতে পলিথিন মুড়িয়ে বা রুকইয়াহর আয়াত পড়া তেল হাতে মেখে নিতে পারেন। তাবিজ ধরার পূর্বে এবং নষ্ট করার পুরো সময়জুড় সুরা ফালাক, নাস পড়তে থাকবেন। ৩। তামা বা অন্য ধকোনো ধাতুর তৈরী তাবিজ বা আংটিতে খোদাই করা তাবিজ লেখা থাকলে লেখাটা ঘষে মুছে ফেলবেন। ঘষে মুছতে না পারলে পুড়িয়ে হলেও লেখাটা মুছে ফেলা জরুরী। নিজে করতে না পারলে কোন স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে তা মুছিয়ে নিবেন। ৪। তাবিজে গিঁট দেয়া থাকলে সাবধানে প্রতিটা গিঁট খুলে ফেলবেন। # একান্তই যদি তাবিজগুলো আপনি নিজে নষ্ট করতে না পারেন তাহলে একজন দ্বীনদার রাক্বীর কাছে গিয়ে তা নষ্ট করে নিবেন # তাবিজের ব্যখ্যা দেওয়া হয় না। আপনি নিচের নিয়মে তাবিজ নষ্ট করে নিন। তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র নষ্ট করার নিয়মঃ ================= আপনি যদি ঘরে বা অন্য কোথাও সন্দেহজনক কোনো (যাদুর) বস্তু বা তাবিজ পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিচে উল্লেখিত নিয়মে নষ্ট করে নিবেন। কিছুতেই নষ্ট না করে ফেলে দিবেন না। কারণ, যাদুর জিনিসপত্র ফেলে দিলেও এর প্রভাব থেকে যায়। # যেভাবে নষ্ট করবেন যাদুর জিনিসপত্র # ================= প্রথমে অযু করে নিন। এরপর একটা বড়ো পাত্রে (বালতি বা গামলায়) পর্যাপ্ত পানি নিন। তারপর নিচের সুরা ও আয়াতগুলো "যাদুর জিনিসপত্র বা তাবিজ নষ্টের নিয়তে" ৩/৫/৭ বার (যতবার সম্ভব হয়) করে পড়ে পড়ে পানিতে ফুঁ দিন। ০১) সূরা ফাতিহা, ০২) আয়াতুল কুরসি, ০৩) সুরা ইখলাস, ০৪) সুরা ফালাক, ০৫) সুরা নাস। সম্ভব হলে এগুলোর সাথে সুরা আরাফের ১১৭-১২২ নং আয়াত, সুরা ইউনুসের ৮১-৮২ নং আয়াত এবং সুরা ত্বহার ৬৯ নং আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে পারেন। সুরা আরাফের আয়াতগুলো— وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ ﴿١١٧﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿١١٨﴾ فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ ﴿١١٩﴾ وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ ﴿١٢٠﴾ قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿١٢١﴾ رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ ﴿١٢٢﴾ সুরা ইউনুসের আয়াতগুলো— فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ ﴿٨١﴾ وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ ﴿٨٢﴾ সুরা ত্বহার আয়াত— وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ ﴿٦٩﴾ তারপর তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র ওই পানিতে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তাবিজ খুলে/ভেঙ্গে ভিতরের কাগজ বের করে টুকরো টুকরো করে নিবেন। তাবিজ/জাদুর জিনিসপত্র পলিথিন বা অন্য কিছু দিয়ে জড়ানো থাকলে তা খুলে/ভেঙ্গে সবকিছু আলাদা আলাদা করে নিয়ে পানিতে ভেজাবেন। প্রয়োজনে হাতুড়ি, ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন । একাজগুলো করার সময় মুখে (হাল্কা আওয়াজে) তিন কুল পড়তে থাকবেন (বারবার)। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর সেগুলো মাটিতে পুঁতে দিতে পারেন, পুড়িয়ে দিতে পারেন, নদী-খাল ইত্যাদিতে অথবা নির্জন কোনো জায়গায় ফেলে দিতে পারেন। তাহলেই আল্লাহর রহমতে যাদুর সকল প্রভাব নষ্ট হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। ✅ লক্ষণীয়ঃ ২। তাবিজ বা যাদুর অন্য যেকোনো জিনিস খালি হাতে না ধরে গ্লাভস ব্যবহার করা ভাল। গ্লাভস না পেলে হাতে পলিথিন মুড়িয়ে বা রুকইয়াহর আয়াত পড়া তেল হাতে মেখে নিতে পারেন। তাবিজ ধরার পূর্বে এবং নষ্ট করার পুরো সময়জুড় সুরা ফালাক, নাস পড়তে থাকবেন। ৩। তামা বা অন্য ধকোনো ধাতুর তৈরী তাবিজ বা আংটিতে খোদাই করা তাবিজ লেখা থাকলে লেখাটা ঘষে মুছে ফেলবেন। ঘষে মুছতে না পারলে পুড়িয়ে হলেও লেখাটা মুছে ফেলা জরুরী। নিজে করতে না পারলে কোন স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে তা মুছিয়ে নিবেন। ৪। তাবিজে গিঁট দেয়া থাকলে সাবধানে প্রতিটা গিঁট খুলে ফেলবেন। একান্তই যদি তাবিজগুলো আপনি নিজে নষ্ট করতে না পারেন তাহলে একজন দ্বীনদার রাক্বীর কাছে গিয়ে তা নষ্ট করে নিবেন #
    Like
    19
    0 Comments 0 Shares 432 Views 0 Reviews
Sponsored
fresh