Sponsored
তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র নষ্ট করার নিয়মঃ

=================

আপনি যদি ঘরে বা অন্য কোথাও সন্দেহজনক কোনো (যাদুর) বস্তু বা তাবিজ পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিচে উল্লেখিত নিয়মে নষ্ট করে নিবেন। কিছুতেই নষ্ট না করে ফেলে দিবেন না। কারণ, যাদুর জিনিসপত্র ফেলে দিলেও এর প্রভাব থেকে যায়।

# যেভাবে নষ্ট করবেন যাদুর জিনিসপত্র #
=================
প্রথমে অযু করে নিন। এরপর একটা বড়ো পাত্রে (বালতি বা গামলায়) পর্যাপ্ত পানি নিন। তারপর নিচের সুরা ও আয়াতগুলো "যাদুর জিনিসপত্র বা তাবিজ নষ্টের নিয়তে" ৩/৫/৭ বার (যতবার সম্ভব হয়) করে পড়ে পড়ে পানিতে ফুঁ দিন।
০১) সূরা ফাতিহা,
০২) আয়াতুল কুরসি,
০৩) সুরা ইখলাস,
০৪) সুরা ফালাক,
০৫) সুরা নাস।
সম্ভব হলে এগুলোর সাথে সুরা আরাফের ১১৭-১২২ নং আয়াত, সুরা ইউনুসের ৮১-৮২ নং আয়াত এবং সুরা ত্বহার ৬৯ নং আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে পারেন।

সুরা আরাফের আয়াতগুলো—
وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ ﴿١١٧﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿١١٨﴾ فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ ﴿١١٩﴾ وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ ﴿١٢٠﴾ قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿١٢١﴾ رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ ﴿١٢٢﴾

সুরা ইউনুসের আয়াতগুলো—
فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ ﴿٨١﴾ وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ ﴿٨٢﴾

সুরা ত্বহার আয়াত—
وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ ﴿٦٩﴾

তারপর তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র ওই পানিতে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
তাবিজ খুলে/ভেঙ্গে ভিতরের কাগজ বের করে টুকরো টুকরো করে নিবেন। তাবিজ/জাদুর জিনিসপত্র পলিথিন বা অন্য কিছু দিয়ে জড়ানো থাকলে তা খুলে/ভেঙ্গে সবকিছু আলাদা আলাদা করে নিয়ে পানিতে ভেজাবেন। প্রয়োজনে হাতুড়ি, ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন । একাজগুলো করার সময় মুখে (হাল্কা আওয়াজে) তিন কুল পড়তে থাকবেন (বারবার)।

কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর সেগুলো মাটিতে পুঁতে দিতে পারেন, পুড়িয়ে দিতে পারেন, নদী-খাল ইত্যাদিতে অথবা নির্জন কোনো জায়গায় ফেলে দিতে পারেন। তাহলেই আল্লাহর রহমতে যাদুর সকল প্রভাব নষ্ট হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

লক্ষণীয়ঃ

২। তাবিজ বা যাদুর অন্য যেকোনো জিনিস খালি হাতে না ধরে গ্লাভস ব্যবহার করা ভাল। গ্লাভস না পেলে হাতে পলিথিন মুড়িয়ে বা রুকইয়াহর আয়াত পড়া তেল হাতে মেখে নিতে পারেন। তাবিজ ধরার পূর্বে এবং নষ্ট করার পুরো সময়জুড় সুরা ফালাক, নাস পড়তে থাকবেন।

৩। তামা বা অন্য ধকোনো ধাতুর তৈরী তাবিজ বা আংটিতে খোদাই করা তাবিজ লেখা থাকলে লেখাটা ঘষে মুছে ফেলবেন। ঘষে মুছতে না পারলে পুড়িয়ে হলেও লেখাটা মুছে ফেলা জরুরী। নিজে করতে না পারলে কোন স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে তা মুছিয়ে নিবেন।

৪। তাবিজে গিঁট দেয়া থাকলে সাবধানে প্রতিটা গিঁট খুলে ফেলবেন।

# একান্তই যদি তাবিজগুলো আপনি নিজে নষ্ট করতে না পারেন তাহলে একজন দ্বীনদার রাক্বীর কাছে গিয়ে তা নষ্ট করে নিবেন # তাবিজের ব্যখ্যা দেওয়া হয় না। আপনি নিচের নিয়মে তাবিজ নষ্ট করে নিন।

তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র নষ্ট করার নিয়মঃ

=================

আপনি যদি ঘরে বা অন্য কোথাও সন্দেহজনক কোনো (যাদুর) বস্তু বা তাবিজ পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিচে উল্লেখিত নিয়মে নষ্ট করে নিবেন। কিছুতেই নষ্ট না করে ফেলে দিবেন না। কারণ, যাদুর জিনিসপত্র ফেলে দিলেও এর প্রভাব থেকে যায়।

# যেভাবে নষ্ট করবেন যাদুর জিনিসপত্র #
=================
প্রথমে অযু করে নিন। এরপর একটা বড়ো পাত্রে (বালতি বা গামলায়) পর্যাপ্ত পানি নিন। তারপর নিচের সুরা ও আয়াতগুলো "যাদুর জিনিসপত্র বা তাবিজ নষ্টের নিয়তে" ৩/৫/৭ বার (যতবার সম্ভব হয়) করে পড়ে পড়ে পানিতে ফুঁ দিন।
০১) সূরা ফাতিহা,
০২) আয়াতুল কুরসি,
০৩) সুরা ইখলাস,
০৪) সুরা ফালাক,
০৫) সুরা নাস।
সম্ভব হলে এগুলোর সাথে সুরা আরাফের ১১৭-১২২ নং আয়াত, সুরা ইউনুসের ৮১-৮২ নং আয়াত এবং সুরা ত্বহার ৬৯ নং আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে পারেন।

সুরা আরাফের আয়াতগুলো—
وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ ﴿١١٧﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿١١٨﴾ فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ ﴿١١٩﴾ وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ ﴿١٢٠﴾ قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿١٢١﴾ رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ ﴿١٢٢﴾

সুরা ইউনুসের আয়াতগুলো—
فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ ﴿٨١﴾ وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ ﴿٨٢﴾

সুরা ত্বহার আয়াত—
وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ ﴿٦٩﴾

তারপর তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র ওই পানিতে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
তাবিজ খুলে/ভেঙ্গে ভিতরের কাগজ বের করে টুকরো টুকরো করে নিবেন। তাবিজ/জাদুর জিনিসপত্র পলিথিন বা অন্য কিছু দিয়ে জড়ানো থাকলে তা খুলে/ভেঙ্গে সবকিছু আলাদা আলাদা করে নিয়ে পানিতে ভেজাবেন। প্রয়োজনে হাতুড়ি, ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন । একাজগুলো করার সময় মুখে (হাল্কা আওয়াজে) তিন কুল পড়তে থাকবেন (বারবার)।

কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর সেগুলো মাটিতে পুঁতে দিতে পারেন, পুড়িয়ে দিতে পারেন, নদী-খাল ইত্যাদিতে অথবা নির্জন কোনো জায়গায় ফেলে দিতে পারেন। তাহলেই আল্লাহর রহমতে যাদুর সকল প্রভাব নষ্ট হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

লক্ষণীয়ঃ

২। তাবিজ বা যাদুর অন্য যেকোনো জিনিস খালি হাতে না ধরে গ্লাভস ব্যবহার করা ভাল। গ্লাভস না পেলে হাতে পলিথিন মুড়িয়ে বা রুকইয়াহর আয়াত পড়া তেল হাতে মেখে নিতে পারেন। তাবিজ ধরার পূর্বে এবং নষ্ট করার পুরো সময়জুড় সুরা ফালাক, নাস পড়তে থাকবেন।

৩। তামা বা অন্য ধকোনো ধাতুর তৈরী তাবিজ বা আংটিতে খোদাই করা তাবিজ লেখা থাকলে লেখাটা ঘষে মুছে ফেলবেন। ঘষে মুছতে না পারলে পুড়িয়ে হলেও লেখাটা মুছে ফেলা জরুরী। নিজে করতে না পারলে কোন স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে তা মুছিয়ে নিবেন।

৪। তাবিজে গিঁট দেয়া থাকলে সাবধানে প্রতিটা গিঁট খুলে ফেলবেন।

একান্তই যদি তাবিজগুলো আপনি নিজে নষ্ট করতে না পারেন তাহলে একজন দ্বীনদার রাক্বীর কাছে গিয়ে তা নষ্ট করে নিবেন #
তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র নষ্ট করার নিয়মঃ ================= আপনি যদি ঘরে বা অন্য কোথাও সন্দেহজনক কোনো (যাদুর) বস্তু বা তাবিজ পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিচে উল্লেখিত নিয়মে নষ্ট করে নিবেন। কিছুতেই নষ্ট না করে ফেলে দিবেন না। কারণ, যাদুর জিনিসপত্র ফেলে দিলেও এর প্রভাব থেকে যায়। # যেভাবে নষ্ট করবেন যাদুর জিনিসপত্র # ================= প্রথমে অযু করে নিন। এরপর একটা বড়ো পাত্রে (বালতি বা গামলায়) পর্যাপ্ত পানি নিন। তারপর নিচের সুরা ও আয়াতগুলো "যাদুর জিনিসপত্র বা তাবিজ নষ্টের নিয়তে" ৩/৫/৭ বার (যতবার সম্ভব হয়) করে পড়ে পড়ে পানিতে ফুঁ দিন। ০১) সূরা ফাতিহা, ০২) আয়াতুল কুরসি, ০৩) সুরা ইখলাস, ০৪) সুরা ফালাক, ০৫) সুরা নাস। সম্ভব হলে এগুলোর সাথে সুরা আরাফের ১১৭-১২২ নং আয়াত, সুরা ইউনুসের ৮১-৮২ নং আয়াত এবং সুরা ত্বহার ৬৯ নং আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে পারেন। সুরা আরাফের আয়াতগুলো— وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ ﴿١١٧﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿١١٨﴾ فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ ﴿١١٩﴾ وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ ﴿١٢٠﴾ قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿١٢١﴾ رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ ﴿١٢٢﴾ সুরা ইউনুসের আয়াতগুলো— فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ ﴿٨١﴾ وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ ﴿٨٢﴾ সুরা ত্বহার আয়াত— وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ ﴿٦٩﴾ তারপর তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র ওই পানিতে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তাবিজ খুলে/ভেঙ্গে ভিতরের কাগজ বের করে টুকরো টুকরো করে নিবেন। তাবিজ/জাদুর জিনিসপত্র পলিথিন বা অন্য কিছু দিয়ে জড়ানো থাকলে তা খুলে/ভেঙ্গে সবকিছু আলাদা আলাদা করে নিয়ে পানিতে ভেজাবেন। প্রয়োজনে হাতুড়ি, ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন । একাজগুলো করার সময় মুখে (হাল্কা আওয়াজে) তিন কুল পড়তে থাকবেন (বারবার)। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর সেগুলো মাটিতে পুঁতে দিতে পারেন, পুড়িয়ে দিতে পারেন, নদী-খাল ইত্যাদিতে অথবা নির্জন কোনো জায়গায় ফেলে দিতে পারেন। তাহলেই আল্লাহর রহমতে যাদুর সকল প্রভাব নষ্ট হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। ✅ লক্ষণীয়ঃ ২। তাবিজ বা যাদুর অন্য যেকোনো জিনিস খালি হাতে না ধরে গ্লাভস ব্যবহার করা ভাল। গ্লাভস না পেলে হাতে পলিথিন মুড়িয়ে বা রুকইয়াহর আয়াত পড়া তেল হাতে মেখে নিতে পারেন। তাবিজ ধরার পূর্বে এবং নষ্ট করার পুরো সময়জুড় সুরা ফালাক, নাস পড়তে থাকবেন। ৩। তামা বা অন্য ধকোনো ধাতুর তৈরী তাবিজ বা আংটিতে খোদাই করা তাবিজ লেখা থাকলে লেখাটা ঘষে মুছে ফেলবেন। ঘষে মুছতে না পারলে পুড়িয়ে হলেও লেখাটা মুছে ফেলা জরুরী। নিজে করতে না পারলে কোন স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে তা মুছিয়ে নিবেন। ৪। তাবিজে গিঁট দেয়া থাকলে সাবধানে প্রতিটা গিঁট খুলে ফেলবেন। # একান্তই যদি তাবিজগুলো আপনি নিজে নষ্ট করতে না পারেন তাহলে একজন দ্বীনদার রাক্বীর কাছে গিয়ে তা নষ্ট করে নিবেন # তাবিজের ব্যখ্যা দেওয়া হয় না। আপনি নিচের নিয়মে তাবিজ নষ্ট করে নিন। তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র নষ্ট করার নিয়মঃ ================= আপনি যদি ঘরে বা অন্য কোথাও সন্দেহজনক কোনো (যাদুর) বস্তু বা তাবিজ পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটা নিচে উল্লেখিত নিয়মে নষ্ট করে নিবেন। কিছুতেই নষ্ট না করে ফেলে দিবেন না। কারণ, যাদুর জিনিসপত্র ফেলে দিলেও এর প্রভাব থেকে যায়। # যেভাবে নষ্ট করবেন যাদুর জিনিসপত্র # ================= প্রথমে অযু করে নিন। এরপর একটা বড়ো পাত্রে (বালতি বা গামলায়) পর্যাপ্ত পানি নিন। তারপর নিচের সুরা ও আয়াতগুলো "যাদুর জিনিসপত্র বা তাবিজ নষ্টের নিয়তে" ৩/৫/৭ বার (যতবার সম্ভব হয়) করে পড়ে পড়ে পানিতে ফুঁ দিন। ০১) সূরা ফাতিহা, ০২) আয়াতুল কুরসি, ০৩) সুরা ইখলাস, ০৪) সুরা ফালাক, ০৫) সুরা নাস। সম্ভব হলে এগুলোর সাথে সুরা আরাফের ১১৭-১২২ নং আয়াত, সুরা ইউনুসের ৮১-৮২ নং আয়াত এবং সুরা ত্বহার ৬৯ নং আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে পারেন। সুরা আরাফের আয়াতগুলো— وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ ﴿١١٧﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿١١٨﴾ فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ ﴿١١٩﴾ وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ ﴿١٢٠﴾ قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿١٢١﴾ رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ ﴿١٢٢﴾ সুরা ইউনুসের আয়াতগুলো— فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ ﴿٨١﴾ وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ ﴿٨٢﴾ সুরা ত্বহার আয়াত— وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ ﴿٦٩﴾ তারপর তাবিজ বা যাদুর জিনিসপত্র ওই পানিতে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তাবিজ খুলে/ভেঙ্গে ভিতরের কাগজ বের করে টুকরো টুকরো করে নিবেন। তাবিজ/জাদুর জিনিসপত্র পলিথিন বা অন্য কিছু দিয়ে জড়ানো থাকলে তা খুলে/ভেঙ্গে সবকিছু আলাদা আলাদা করে নিয়ে পানিতে ভেজাবেন। প্রয়োজনে হাতুড়ি, ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন । একাজগুলো করার সময় মুখে (হাল্কা আওয়াজে) তিন কুল পড়তে থাকবেন (বারবার)। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর সেগুলো মাটিতে পুঁতে দিতে পারেন, পুড়িয়ে দিতে পারেন, নদী-খাল ইত্যাদিতে অথবা নির্জন কোনো জায়গায় ফেলে দিতে পারেন। তাহলেই আল্লাহর রহমতে যাদুর সকল প্রভাব নষ্ট হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। ✅ লক্ষণীয়ঃ ২। তাবিজ বা যাদুর অন্য যেকোনো জিনিস খালি হাতে না ধরে গ্লাভস ব্যবহার করা ভাল। গ্লাভস না পেলে হাতে পলিথিন মুড়িয়ে বা রুকইয়াহর আয়াত পড়া তেল হাতে মেখে নিতে পারেন। তাবিজ ধরার পূর্বে এবং নষ্ট করার পুরো সময়জুড় সুরা ফালাক, নাস পড়তে থাকবেন। ৩। তামা বা অন্য ধকোনো ধাতুর তৈরী তাবিজ বা আংটিতে খোদাই করা তাবিজ লেখা থাকলে লেখাটা ঘষে মুছে ফেলবেন। ঘষে মুছতে না পারলে পুড়িয়ে হলেও লেখাটা মুছে ফেলা জরুরী। নিজে করতে না পারলে কোন স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে তা মুছিয়ে নিবেন। ৪। তাবিজে গিঁট দেয়া থাকলে সাবধানে প্রতিটা গিঁট খুলে ফেলবেন। একান্তই যদি তাবিজগুলো আপনি নিজে নষ্ট করতে না পারেন তাহলে একজন দ্বীনদার রাক্বীর কাছে গিয়ে তা নষ্ট করে নিবেন #
Like
19
0 Comments 0 Shares 501 Views 0 Reviews
Sponsored
Sponsored