Recent Actualizat
-
" যৌতুকের লিস্ট দেখি প্রথমে? "
" জি? "
" এত বড় অফিসার মানুষ! বিয়ে করছেন, যৌতুক নিবেন না? "
" তা তো নেবই। "
" তারই লিস্ট চাচ্ছি, দেখি। "
" লিস্ট তো করিনি! "
" মুখস্ত করেছেন নিশ্চয়? "
" জি। "
" তাহলে বলে ফেলুন আপনার কী কী চাই। "
" তোমাকে। "
" ব্যস? "
" না, আরও আছে। "
" বলুন। "
" তোমার বিশাল মন থেকে এক থলি বিশ্বাস চাই। "
" আর? "
" এক মুঠ ভরসা। "
" আর? "
" এক চিমটি আস্থা। "
" আর? "
" এক আনা বিশুদ্ধ ভালোবাসা। "
" আর? "
" আপাতত এইটুকুই। "
" ঠিক তো? "
" জি। "
একটু নীরব থেকে মেয়েটি বলল,
" দুঃখিত। "
" কেন? "
" বিয়েটা হচ্ছে না তাই। "
" কারণ? "
" একদিনের মধ্যে আপনার চাওয়াগুলো পূরণ করা যাবে না। "
" আমি সময় বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। "
" বিয়ের তারিখ পিছাতে চাচ্ছেন? "
" একদমই না। "
" তাহলে? "
" এখনকার দুরত্বটা বিয়ের পরও বজায় রাখতে চাচ্ছি। "
" ভেবে বলছেন? "
" জি। "
" যদি দূরত্ব না কমে?"
"কমবে। "
" দেনাপাওনা না মিটে? "
" মিটবে। "
" নিজের উপর এত বিশ্বাস? "
" জি। "
" বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে না? "
" না, ঠিকঠাক। "
" আমার আত্মবিশ্বাস খুব কম। ঝুঁকি নেওয়া কি ঠিক হবে? "
" জামানত লাগবে? "
" কী দিতে চাচ্ছেন? "
" আমার ছোট্ট মন। "
আবারও নীরবতা। ছেলেটি বলল,
" কিছু না বলে চলে যাচ্ছেন যে? "
" আমি বলতে আসিনি। "
" তাহলে? "
" দেখতে এসেছিলাম। "
" কী দেখলেন? "
মেয়েটি জবাবে মৃদু হেসে চলে গেল।
কয়েক মাস পর,
" দূরত্ব কমল তাহলে। "
" হুম "
" দেনাপাওনাও মিটল। "
" হুম। "
" কিন্তু..."
" কী? "
" সেদিন কী দেখতে এসেছিলে সেটা জানা হলো না। "
" জানতেই হবে? "
" মন শান্ত হবে। "
" শুনুন তবে। "
" বলো। "
" আমাকে রিকশা থেকে নামতে দেখেই আপনি ছুটে এসেছিলেন। "
" তোমাকে সামনাসামনি দেখার জন্য ব্যাকুল ছিলাম খুব। "
" আমাকে পথ দেখিয়ে রেষ্টুরেন্টের ভেতর নিয়ে গেলেন। অথচ ঐ স্থানটা আমার বাড়ির পাশে। আমার পরিচিত, আপনার অপরিচিত। "
" হতে পারে, কিন্তু ঐ সময়টুকু আমার দায়িত্বে ছিলে। সুরক্ষা করা আমার কর্তব্য। "
" চেয়ার টেনে আমার বসার সুবিধা করে দিয়েও আপনি ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন যতক্ষণ না আমি বসলাম। "
" যদি ভাব অসম্মান করেছি! "
" কথোপকথনের মধ্যে আমি কফির গ্লাসটা ধরতে গেলে আপনি টিস্যু প্যাঁচিয়ে দিলেন দ্রুত। "
" হাতে গরম লাগে যদি! "
" বিল পরিশোধ করার সময় টিপস দেওয়ার পরও অতিরিক্ত বিশ টাকা দিয়েছিলেন। "
" ওরা পানির দাম নোট করতে ভুলে গিয়েছিল। "
" না, আমি নোট করতে মানা করেছিলাম। "
" কেন? "
" সততা দেখার জন্য। "
" তাই? "
" জি, আপনার মধুর কথায় পটিনি। আমার প্রতি ব্যাকুলতা, কর্তব্যপরায়ণতা, সম্মান, যত্নবান আর সততা দেখেই পটেছি। যেগুলো আপনি মনের অজান্তেই করেছেন। অভিনয় ছিল না একটুও।
" নিশ্চিত? "
" পুরোপুরি, নাহলে কি দেনাপাওনা মিটিয়ে কাছে আসি? "
মেয়েটি হাসে। ছেলেটি মুগ্ধ হয়ে ভাবে, ' আমি সেদিন পটাতে নয় এই মায়াবী মুখটার স্নিগ্ধতা মাপতে গিয়েছিলাম। ঠিক কতটা গভীরে ডুবলে কোমল হৃদয়টা স্পর্শ করা যায় তা অনুধাবন করতে গিয়েলাম। ঠিকঠাক হিসেব করতে পেরেছিলাম বলেই আজ আমি সফল। দুটো মন একে অপরের জীবন। '
সমাপ্তি
" যৌতুকের লিস্ট দেখি প্রথমে? " " জি? " " এত বড় অফিসার মানুষ! বিয়ে করছেন, যৌতুক নিবেন না? " " তা তো নেবই। " " তারই লিস্ট চাচ্ছি, দেখি। " " লিস্ট তো করিনি! " " মুখস্ত করেছেন নিশ্চয়? " " জি। " " তাহলে বলে ফেলুন আপনার কী কী চাই। " " তোমাকে। " " ব্যস? " " না, আরও আছে। " " বলুন। " " তোমার বিশাল মন থেকে এক থলি বিশ্বাস চাই। " " আর? " " এক মুঠ ভরসা। " " আর? " " এক চিমটি আস্থা। " " আর? " " এক আনা বিশুদ্ধ ভালোবাসা। " " আর? " " আপাতত এইটুকুই। " " ঠিক তো? " " জি। " একটু নীরব থেকে মেয়েটি বলল, " দুঃখিত। " " কেন? " " বিয়েটা হচ্ছে না তাই। " " কারণ? " " একদিনের মধ্যে আপনার চাওয়াগুলো পূরণ করা যাবে না। " " আমি সময় বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। " " বিয়ের তারিখ পিছাতে চাচ্ছেন? " " একদমই না। " " তাহলে? " " এখনকার দুরত্বটা বিয়ের পরও বজায় রাখতে চাচ্ছি। " " ভেবে বলছেন? " " জি। " " যদি দূরত্ব না কমে?" "কমবে। " " দেনাপাওনা না মিটে? " " মিটবে। " " নিজের উপর এত বিশ্বাস? " " জি। " " বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে না? " " না, ঠিকঠাক। " " আমার আত্মবিশ্বাস খুব কম। ঝুঁকি নেওয়া কি ঠিক হবে? " " জামানত লাগবে? " " কী দিতে চাচ্ছেন? " " আমার ছোট্ট মন। " আবারও নীরবতা। ছেলেটি বলল, " কিছু না বলে চলে যাচ্ছেন যে? " " আমি বলতে আসিনি। " " তাহলে? " " দেখতে এসেছিলাম। " " কী দেখলেন? " মেয়েটি জবাবে মৃদু হেসে চলে গেল। কয়েক মাস পর, " দূরত্ব কমল তাহলে। " " হুম " " দেনাপাওনাও মিটল। " " হুম। " " কিন্তু..." " কী? " " সেদিন কী দেখতে এসেছিলে সেটা জানা হলো না। " " জানতেই হবে? " " মন শান্ত হবে। " " শুনুন তবে। " " বলো। " " আমাকে রিকশা থেকে নামতে দেখেই আপনি ছুটে এসেছিলেন। " " তোমাকে সামনাসামনি দেখার জন্য ব্যাকুল ছিলাম খুব। " " আমাকে পথ দেখিয়ে রেষ্টুরেন্টের ভেতর নিয়ে গেলেন। অথচ ঐ স্থানটা আমার বাড়ির পাশে। আমার পরিচিত, আপনার অপরিচিত। " " হতে পারে, কিন্তু ঐ সময়টুকু আমার দায়িত্বে ছিলে। সুরক্ষা করা আমার কর্তব্য। " " চেয়ার টেনে আমার বসার সুবিধা করে দিয়েও আপনি ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন যতক্ষণ না আমি বসলাম। " " যদি ভাব অসম্মান করেছি! " " কথোপকথনের মধ্যে আমি কফির গ্লাসটা ধরতে গেলে আপনি টিস্যু প্যাঁচিয়ে দিলেন দ্রুত। " " হাতে গরম লাগে যদি! " " বিল পরিশোধ করার সময় টিপস দেওয়ার পরও অতিরিক্ত বিশ টাকা দিয়েছিলেন। " " ওরা পানির দাম নোট করতে ভুলে গিয়েছিল। " " না, আমি নোট করতে মানা করেছিলাম। " " কেন? " " সততা দেখার জন্য। " " তাই? " " জি, আপনার মধুর কথায় পটিনি। আমার প্রতি ব্যাকুলতা, কর্তব্যপরায়ণতা, সম্মান, যত্নবান আর সততা দেখেই পটেছি। যেগুলো আপনি মনের অজান্তেই করেছেন। অভিনয় ছিল না একটুও। " নিশ্চিত? " " পুরোপুরি, নাহলে কি দেনাপাওনা মিটিয়ে কাছে আসি? " মেয়েটি হাসে। ছেলেটি মুগ্ধ হয়ে ভাবে, ' আমি সেদিন পটাতে নয় এই মায়াবী মুখটার স্নিগ্ধতা মাপতে গিয়েছিলাম। ঠিক কতটা গভীরে ডুবলে কোমল হৃদয়টা স্পর্শ করা যায় তা অনুধাবন করতে গিয়েলাম। ঠিকঠাক হিসেব করতে পেরেছিলাম বলেই আজ আমি সফল। দুটো মন একে অপরের জীবন। ' সমাপ্তিVă rugăm să vă autentificați pentru a vă dori, partaja și comenta! -
0 Commentarii 0 Distribuiri 446 Views 0 previzualizare
Mai multe povesti