১. রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার আমল (ও ছওয়াব) বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু তিনটি আমল ব্যতীত (যেগুলোর ছওয়াব বন্ধ হয় না) : (১) ছাদাকায়ে জারিয়া, (২) ইলম যার দ্বারা (লোকের) উপকার সাধিত হয় এবং (৩) সুসন্তান, যে তার (পিতা-মাতা) জন্য দো‘আ করে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩)।

২. রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘জ্ঞানের মর্যাদা আমার নিকট ইবাদতের চেয়ে বেশী। তোমাদের দ্বীনের সর্বোত্তম দিক হলো তোমাদের আল্লাহভীতি’ (হাকেম, ত্ববারানী, বায্যার, ছহীছুল জামে‘ হা/ ৪৩১৪) ।

৩. রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ যার কল্যাণের ইচ্ছা করেন তাকে দ্বীনের সুষ্ঠু জ্ঞান দান করেন। আর আমি নিছক বণ্টনকারী। মূলতঃ দান করেন আল্লাহই’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২০০)।

৪. রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে কোন পথ অবলম্বন করে আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতের একটি পথ সহজ করে দিবেন। তাদের সম্মানে ফেরেশতারা নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেয় এবং তাদের জন্য যমীন ও আসমানের সকল কিছু এমনকি পানির মাছ পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে। একজন ইবাদতকারীর উপর জ্ঞানীর মর্যাদার তুলনা হল সমস্ত তারকারাজির উপর চাঁদের মর্যাদার তুলনা। জ্ঞানীরা হলেন নবীদের উত্তরাধিকারী। নবীগণ উত্তরাধিকার হিসাবে দীনার বা দিরহাম (অর্থ-সম্পদ) রেখে যান না বরং তারা জ্ঞানকে রেখে যান। যে তা গ্রহণ করলো সে যেন পূর্ণ অংশই পেল’ (আবুদাঊদ, তিরমীযী, ইবনে মাজাহ, সনদ ছহীহ) ।

৫. রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখনই কোন দল আল্লাহর কোন ঘরে একত্রিত হয়ে কুরআন তেলাওয়াত করে এবং ঐ বিষয়ে পরস্পর আলোচনা করে তখনই তাদের উপর (আল্লাহর পক্ষ থেকে) শান্তি অবতীর্ণ হতে থাকে। আল্লাহর রহমত তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখে। ফেরেশতারাও তাদেরকে ঘিরে রাখেন এবং আল্লাহ তাদের কথা তার ফেরেশতাদের নিকট উল্লেখ করেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৪)।

৬. রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়’ (বুখারী, মিশকাত হা/২১০৯)।