নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির কবলে জার্মানি
জার্মানিতে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার শতকরা ১০ দশমিক ৪ শতাংশে পৌঁছেছে। ফলে নাগরিক জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে ইউরোপের এই প্রভাবশালী দেশে। এরইমধ্যে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে দেশটির উৎপাদন খাত, বন্ধ হচ্ছে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কাও।
জার্মান ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিস শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালে দুই জার্মানির একত্রীকরণের পর এই প্রথম মূল্যস্ফীতি এই পর্যায়ে পৌঁছালো।
জার্মান ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিসের পরিচালক ডক্টর জর্জ থিয়েল বলেন, জ্বালানি পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়াই হচ্ছে এই মারাত্মক মুদ্রাস্ফীতির প্রধান কারণ।
গত অক্টোবর মাসে জার্মানিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে শতকরা ৪৬ শতাংশ বেশি ছিল জ্বালানিপণ্যের দাম। এ কারণে গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে শতকরা ৫৫ শতাংশ।
এছাড়া গ্যাসের দাম বেড়েছে গত বছরের অক্টোবর মাসের তুলনায় শতকরা ১০৯ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে গ্যাস নির্ভর উৎপাদনে দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা।
জ্বালানির সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্য পণ্যের দামও বেড়েছে একইভাবে। দেশটিতে গতবছরের তুলনায় চলতি বছরে খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সমঝোতায় রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জার্মানি। কিন্তু জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায়, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উল্টো বিপদে পড়ে দেশটি। জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে মস্কো। এর ফলেই রেকর্ড মূল্যস্ফীতি দেখছে জার্মান জনতা।
এরইমধ্যে জার্মানির অধিকাংশ শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কয়েক লাখ নাগরিক। ইউক্রেন ও ন্যাটো প্রশ্নে জার্মান সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে তারা। এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের দাবিও উঠেছে এসব বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।
উল্লেখ্য, 'জার্মান ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক' ছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইউরোপে সোভিয়েত ইউনিয়ন অধিকৃত এলাকা নিয়ে গঠিত একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র হিসাবে এর অস্তিত্ব ছিলো। পরে ১৯৯০ সালে এটি পশ্চিম জার্মানির সাথে একীভূত হয়ে বর্তমানের জার্মানি রাষ্ট্র গঠন করে। সমাজতান্ত্রিক পূর্ব জার্মানি ও পুঁজিবাদি পশ্চিম জার্মানি ১৯৯০ সালের ১৩ অক্টবর আবার একীভূত হয়।
- Art
- Causes
- Crafts
- Dance
- Drinks
- Film
- Fitness
- Food
- Jocuri
- Gardening
- Health
- Home
- Literature
- Music
- Networking
- Alte
- Party
- Religion
- Shopping
- Sports
- Theater
- Wellness