ভারতের কলকাতায় নির্মিত ‘ডিকশনারি’ ছবিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেতা মোশাররফ করিম। নেপাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছে ছবিটি। সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে আন্তর্জাতিক বিভাগে এই সম্মান লাভ করেছে এটি। ৬ থেকে ১০ মে এই উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নেয় ৫০টির মতো দেশের চলচ্চিত্র।

ডিকশনারি দিয়েই কলকাতার সিনেমায় অভিষেক হলো মোশাররফ করিমের। সিনেমাটি গত ১২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মুক্তি পায়। সেখানকার উদ্বোধনী প্রদর্শনীতেও উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। তখনই ছবিটি দেখে সবাই মোশাররফ করিমের অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন। সিনেমা হলে মুক্তির পর মোশাররফ করিমের কলকাতার ভক্তরা একটি হলের পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনীর সব কটি টিকিট কিনে নেন। তাঁদের অনুরোধে মোশাররফ করিম ভক্তদের সঙ্গে বসে সিনেমাটি উপভোগ করেন।

নেপাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বিজয়ী সিনেমার নাম ঘোষণা করা হয় ১০ মে। এ বছর সেরা সিনেমা বিভাগে কয়েক শ সিনেমা থেকে প্রতিযোগিতার জন্য বাছাই করা হয় যুক্তরাষ্ট্র, চীন, পর্তুগাল, তুরস্কসহ নয়টি দেশের সিনেমা। করোনার কারণে সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হয়েছিল এই উৎসবের। সিনেমার মানের ওপর ভিত্তি করে প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা বাছাই করা হয়।

চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি বিনিময়ের উদ্দেশ্যে নেপাল সম্প্রতি এই উৎসব শুরু করেছে। বিশ্ব চলচ্চিত্রে নেপালের তরুণ চলচ্চিত্রকারদের পরিচিত করা এবং তাঁদের কাজকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা এই উৎসবের অন্যতম লক্ষ্য।

ডিকশনারি সিনেমাটিকে পুরস্কৃত করা প্রসঙ্গে উৎসব কর্তৃপক্ষ তাদের সাইটে জানিয়েছে, উষ্ণ রসিকতা এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ প্রতিস্থাপনের সমালোচনাসহ চিত্রিত সমকালীন ভারতীয় সমাজের এক টুকরা সূক্ষ্ম চিত্রের জন্য তারা এই সিনেমাকে অন্যগুলো থেকে আলাদা মনে করেন। সেরা ছবিকে পুরস্কার হিসেবে গৌতম বুদ্ধ ট্রফি ছাড়াও দেওয়া হয় দেড় হাজার ডলার নগদ অর্থ।

বুদ্ধদেব গুহর দুটি ছোটগল্প ‘বাবা হওয়া’ ও ‘স্বামী হওয়া’ অবলম্বনে ডিকশনারি ছবিটি পরিচালনা করেছেন ব্রাত্য বসু। ছবিতে মোশাররফ করিমকে দেখা গেছে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মকরক্রান্তি চ্যাটার্জি চরিত্রে। তাঁর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী পৌলমী বসু। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত জাহান, আবীর চট্টোপাধ্যায়, মধুরিমা বসাক প্রমুখ। এর আগে গত ২০ মার্চ দক্ষিণ ভারতের কেরালার এক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নিয়েছিল ডিকশনারি।