আগামী বছর মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৯.১ শতাংশ - আইএমএফের প্রতিবেদন
আগামী বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে ৬ শতাংশ হতে পারে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। গতকাল মঙ্গলবার অক্টোবর মাসের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইএমএফ। সেখানেই এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
চলতি বছর বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটি বলছে, আগামী বছর এই প্রবৃদ্ধি কমে ৬ শতাংশে নামতে পারে। এ ছাড়া ২০২৭ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।
বাংলাদেশের পাশাপাশি আগামী বছর ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, সৌদি আরব, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের প্রবৃদ্ধিও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তবে আফগানিস্তান ও ইউক্রেন সম্পর্কে ২০২৩ সালের জন্য কোনো পূর্বাভাস দেয়নি আইএমএফ। তবে চলতি বছর ইউক্রেনে ৩৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
করোনার প্রভাব, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমছে। আইএমএফ বলেছে, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা আগামী বছর কমে ২ দশমিক ৭ শতাংশে নামতে পারে। ২০২১ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশ।
জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মূল্যস্ফীতি সম্পর্কেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আইএমএফের সদ্য প্রকাশিত ইকোনমিক আউটলুকে। এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, যা চলতি বছর বেড়ে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ দাঁড়াবে।
বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির সম্পর্কে আইএমএফ বলছে, গত দুই বছর মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বছরে তা ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। তবে ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। আর সেটি হলে গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হবে আগামী বছর। তবে ২০২৭ সালে মূল্যস্ফীতি কমে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে আইএমএফ মনে করে।
এ ছাড়া গত বছরের তুলনায় চলতি বছর দেশে চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ। তবে আগামী বছর এই ঘাটতি কিছুটা কমে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও আইএমএফের ২০২২ সালের বার্ষিক সভা ১০ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে। চলবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সভা চলার মধ্যেই নতুন ইকোনমিক আউটলুক প্রকাশ করেছে আইএমএফ।
- Art
- Causes
- Crafts
- Dance
- Drinks
- Film
- Fitness
- Food
- Jeux
- Gardening
- Health
- Domicile
- Literature
- Music
- Networking
- Autre
- Party
- Religion
- Shopping
- Sports
- Theater
- Wellness