• একটা নিউজ থেকে জানলাম মেট্রো রেলে দিনে খরচ হয় ৩ কোটি, আয় হয় দেড় কোটি। এখন পর্যন্ত সক্ষমতার ৬০ ভাগ যাত্রী চলাচল করছে মেট্রোতে। ফলে, বাকী ৪০ ভাগ এ্যাচিভ হওয়ার পরেও মেট্রো লসে চলবে। মেট্রোরে প্রফিটেবল করার উপায় কী?

    মেট্রো স্টেশনগুলোরে মার্কেটে রুপান্তরিত করেন। স্টেশনের চারপাশে যদি যথেষ্ঠ পরিমান শপ থাকে, এগুলো থেকে যে আয় হবে সেটা টিকেটের আয়ের চাইতে বেশী হওয়ার কথা। ইভেন, শপিং থেকে আয় যদি টিকেটের আয়ের কয়েক গুন হয়ে উঠে তখন টিকিটেট প্রাইসও কমাতে পারবে মেট্রো কতৃপক্ষ। এতে যাত্রীর সংখ্যা যেমন বাড়বে, জনগনেরও উপকার হবে। কতৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারেন।
    একটা নিউজ থেকে জানলাম মেট্রো রেলে দিনে খরচ হয় ৩ কোটি, আয় হয় দেড় কোটি। এখন পর্যন্ত সক্ষমতার ৬০ ভাগ যাত্রী চলাচল করছে মেট্রোতে। ফলে, বাকী ৪০ ভাগ এ্যাচিভ হওয়ার পরেও মেট্রো লসে চলবে। মেট্রোরে প্রফিটেবল করার উপায় কী? মেট্রো স্টেশনগুলোরে মার্কেটে রুপান্তরিত করেন। স্টেশনের চারপাশে যদি যথেষ্ঠ পরিমান শপ থাকে, এগুলো থেকে যে আয় হবে সেটা টিকেটের আয়ের চাইতে বেশী হওয়ার কথা। ইভেন, শপিং থেকে আয় যদি টিকেটের আয়ের কয়েক গুন হয়ে উঠে তখন টিকিটেট প্রাইসও কমাতে পারবে মেট্রো কতৃপক্ষ। এতে যাত্রীর সংখ্যা যেমন বাড়বে, জনগনেরও উপকার হবে। কতৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারেন।
    Like
    11
    0 Commentarios 0 Acciones 691 Views 0 Vista previa
  • "মেট্রো রেল স্টেশনে ইংরেজি ও হিন্দিতে গন্তব্য লেখা অথচ বাংলা নেই!
    "মেট্রোরেল কি ভারতে চলে
    "মেট্রো রেল স্টেশনে ইংরেজি ও হিন্দিতে গন্তব্য লেখা অথচ বাংলা নেই!🤨 "মেট্রোরেল কি ভারতে চলে❓
    Like
    Haha
    18
    0 Commentarios 0 Acciones 700 Views 0 Vista previa
  • প্রথমেই বলে রাখি আমি অনার্স এবং মাস্টার্স করেছি রসায়নে। কিন্তু তার মানে এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে কেমিস্ট্রি আমার খুবই পছন্দের বিষয়। বরং কেমিস্ট্রি আমার সবচাইতে অপছন্দের বিষয়গুলোর মধ্যে একটা। এইচএসসি এবং এসএসসি তে আমি সবচাইতে কম নম্বর পেয়েছিলাম কেমিস্ট্রিতে।

    তারপরও আমি কেমিস্ট্রিতে অনার্স-মাস্টার্স করেছি।
    কেন? কারণ সেই মুহূর্তে ওটাই ছিল আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এভেইলেবল সবচাইতে ভালো সাবজেক্ট এবং পরিবার চেয়েছিল আমি সেটাই নিই। নিয়েছি, পড়েছি, ভালো রেজাল্ট করেছি। এবং তারপর আমার ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে তৈরি করেছি। রসায়নে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করলে আমি জীবনেও সফল হতে পারতাম না।

    সে যাই হোক,
    রসায়নের মত একটা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার পর একজন ভদ্রমহিলা কেন মেট্রোরেলের ট্রেন অপারেটর হয়েছেন, এটা নিয়ে অনেক শিক্ষিত মানুষের হাহাকার দেখতে পাচ্ছি। ভদ্রমহিলার নাম মরিয়ম আফিজা। তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করে মেট্রোরেলের চালক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি ছাড়া আরও ৫ জন নারী চালক যোগ দিয়েছেন মেট্রোরেলে।

    আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে মেট্রোরেলের চালক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটা আমি দেখেছিলাম এবং এহসান সাহেবের সাথে তখনই সেটা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। বিজ্ঞপ্তিতে লেখা ছিল- "পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও গণিত সহ প্রথম বিভাগে স্নাতক কিংবা সমপর্যায়ের সিজিপিএ। শিক্ষাজীবনের কোন পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি প্রাপ্ত কারো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।" (বা এমন কিছু। অনেকদিন আগে দেখা, মনে নেই ঠিক ঠাক)

    যারা হাহাকার করছেন তাদের হাহাকারের কারণটা যদিও আমি বুঝতে পারিনি। উনারা কী ভেবেছিলেন, মেট্রো রেল চালানোর জন্য সিএনজির ড্রাইভার বা মিনিবাসের ড্রাইভারকে বসিয়ে দিলে হবে?? একজন রিকশাচালক কি প্লেন ওড়াতে পারবে, সেই শিক্ষাটা তার আছে? ভাবনাটাই তো অযৌক্তিক!

    একজন পাইলটের প্লেন ওড়ানো যদি অসম্মানের না হয়ে থাকে, তাহলে মেট্রোরেল চালানো কেন অসম্মানের হবে? উচ্চ শিক্ষিত হয়ে মেট্রোরেল চালানো যাবে না এইসব অদ্ভুত ভাবনা মানুষের মনে আসে কী করে? বরং জিনিসটা চালানোর জন্য জব রিকোয়ারমেন্টই ছিল বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চ শিক্ষিত মানুষ!

    মরিয়ম আফিজাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
    সারা বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২৯ জন এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি তাদের একজন। বাংলাদেশের মেট্রোরেল তার হাত ধরে যাত্রা শুরু করবে। এটাকে আমি উন্নয়ন ও প্রগতি হিসাবেই দেখি। তিনি যে বক্সের বাইরে চিন্তা করেছেন, নিজের জন্য চ্যালেঞ্জিং একটা পেশা বেছে নিয়েছেন, এটার জন্য তাকে সাধুবাদ।
    প্রথমেই বলে রাখি আমি অনার্স এবং মাস্টার্স করেছি রসায়নে। কিন্তু তার মানে এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে কেমিস্ট্রি আমার খুবই পছন্দের বিষয়। বরং কেমিস্ট্রি আমার সবচাইতে অপছন্দের বিষয়গুলোর মধ্যে একটা। এইচএসসি এবং এসএসসি তে আমি সবচাইতে কম নম্বর পেয়েছিলাম কেমিস্ট্রিতে। তারপরও আমি কেমিস্ট্রিতে অনার্স-মাস্টার্স করেছি। কেন? কারণ সেই মুহূর্তে ওটাই ছিল আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এভেইলেবল সবচাইতে ভালো সাবজেক্ট এবং পরিবার চেয়েছিল আমি সেটাই নিই। নিয়েছি, পড়েছি, ভালো রেজাল্ট করেছি। এবং তারপর আমার ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে তৈরি করেছি। রসায়নে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করলে আমি জীবনেও সফল হতে পারতাম না। সে যাই হোক, রসায়নের মত একটা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার পর একজন ভদ্রমহিলা কেন মেট্রোরেলের ট্রেন অপারেটর হয়েছেন, এটা নিয়ে অনেক শিক্ষিত মানুষের হাহাকার দেখতে পাচ্ছি। ভদ্রমহিলার নাম মরিয়ম আফিজা। তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করে মেট্রোরেলের চালক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি ছাড়া আরও ৫ জন নারী চালক যোগ দিয়েছেন মেট্রোরেলে। আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে মেট্রোরেলের চালক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটা আমি দেখেছিলাম এবং এহসান সাহেবের সাথে তখনই সেটা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। বিজ্ঞপ্তিতে লেখা ছিল- "পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও গণিত সহ প্রথম বিভাগে স্নাতক কিংবা সমপর্যায়ের সিজিপিএ। শিক্ষাজীবনের কোন পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি প্রাপ্ত কারো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।" (বা এমন কিছু। অনেকদিন আগে দেখা, মনে নেই ঠিক ঠাক) যারা হাহাকার করছেন তাদের হাহাকারের কারণটা যদিও আমি বুঝতে পারিনি। উনারা কী ভেবেছিলেন, মেট্রো রেল চালানোর জন্য সিএনজির ড্রাইভার বা মিনিবাসের ড্রাইভারকে বসিয়ে দিলে হবে?? একজন রিকশাচালক কি প্লেন ওড়াতে পারবে, সেই শিক্ষাটা তার আছে? ভাবনাটাই তো অযৌক্তিক! একজন পাইলটের প্লেন ওড়ানো যদি অসম্মানের না হয়ে থাকে, তাহলে মেট্রোরেল চালানো কেন অসম্মানের হবে? উচ্চ শিক্ষিত হয়ে মেট্রোরেল চালানো যাবে না এইসব অদ্ভুত ভাবনা মানুষের মনে আসে কী করে? বরং জিনিসটা চালানোর জন্য জব রিকোয়ারমেন্টই ছিল বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চ শিক্ষিত মানুষ! মরিয়ম আফিজাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সারা বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২৯ জন এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি তাদের একজন। বাংলাদেশের মেট্রোরেল তার হাত ধরে যাত্রা শুরু করবে। এটাকে আমি উন্নয়ন ও প্রগতি হিসাবেই দেখি। তিনি যে বক্সের বাইরে চিন্তা করেছেন, নিজের জন্য চ্যালেঞ্জিং একটা পেশা বেছে নিয়েছেন, এটার জন্য তাকে সাধুবাদ।
    Like
    Love
    27
    0 Commentarios 0 Acciones 106 Views 0 Vista previa
Patrocinados
fresh