• আমেরিকার ভূরাজনীতি ও একটি অভ্যুত্থান

    আমাদের প্রথমেই মনে রাখতে হবে আমেরিকা কখনো দেশ গঠনে বন্ধুপ্রতীম নয়।তারা সাধারনণত কথিত উঠতি অর্থনীতির দেশকে ফেলে দেয়ার জন্য কাজ করে থাকে।দর্জিগিরি আর ক্রীতদাস বিক্রির টাকার উপর নির্ভর করে যেটুকু এগিয়েছিলো বাংলাদেশ,তা টেকসই কিছু নয়।আর জাতিগঠনের মৌলিক দিকে না এগিয়ে রাস্তা আর ব্রিজের যে উন্নয়ন তা মানবিক মানুষ গঠনে ব্যর্থ হয়ে কোনদিকে গিয়েছে,দেখাই যাচ্ছে।তো, আসা যাক মূল আলোচনায়।যেসব দেশকে আমেরিকা ফেলে দেয়, সেসব শাসকদের অন্যায় থাকে না,তা নয়। দীর্ঘদিন শাসন চালিয়ে তারা শোষক হয়ে ওঠে।শোষণ, অত্যাচার,দুর্নীতি ক্রমবর্ধমান আকারে বেড়ে মানুষকে আক্রান্ত করে ফেলে।কিন্তু এসব মূলত আমেরিকার ক্ষোভের কারণ নয়।যতোক্ষণ পর্যন্ত তারা আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করতে পারে,ততোক্ষণ তারা সকল অন্যায় দেখেও দেখে না।ঠিক যখন তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়,তখন তারা যেভাবেই হোক সেই সরকারকে ফেলে দেয়। ইরাক, লিবিয়া,আফগানিস্তান এমন ঘটনার শিকার। নতুন যুক্ত হলো বাংলাদেশ।

    আমেরিকার বহুদিনের পরিকল্পনা বাংলাদেশ- মিয়ানমার-সেভেন সিস্টার ওয়ার জোন তৈরি করা। উদ্দেশ্য চীনের নজরদারী বৃদ্ধি করা।এদিকে চীন সফরে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে ১৬০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুত প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছেন।বাংলাদেশের কর্ণফুলী ট্যানেলও করে দিয়েছে চীনারাই।চীনাদের পরিকল্পিত ভারত ঘেরাওয়ের কাজ তারা এগিয়ে নিচ্ছিলো।ত্রিমুখী শক্তির মাঝখানে বাংলাদেশ যেন গরীব ঘরের এক সুন্দরী, ধর্ষিত হওয়া ছিলো তার সময়ের ব্যাপার।চীনের পরিকল্পনা আর এগোতে দিলে ভারতের বিপদ। আমেরিকা চায় না চীনের শক্তি বৃদ্ধি পাক।আবার ভারত চীন দুদেশই চায় বাংলাদেশ তার একক প্রেমিকা থাকুক।এমন অবস্থায় নীতি বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে যায়।উদগ্র উন্নতির আকাঙ্ক্ষা মাঝে মাঝে বিপদে ফেলে।বেশি আশা লোভের নৌকায় নিয়ে যায় মানুষকে।

    চীনারা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উত্তরে তাদের ভূমিতে কাশগড় থেকে পাকিস্তানের দক্ষিণে গ্যদার সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে।তারপর ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রেলপথের প্রজেক্ট নিয়েছে।এদিকে শ্রীলঙ্কার হাম্বারটোটা বন্দর চীনাদের নিয়ন্ত্রণে। চতুর্ভুজাকারে ভারতকে ঘিরে ঘরার জন্য প্রয়োজন ছিলো কক্সবাজারে একটি স্থাপনা।কক্সবাজার থেকে মিয়ানমারের উপর দিয়ে উত্তর মিয়ানমার--অরুণাচল হয়ে দক্ষিণ তিব্বত হয়ে কাশগড় পর্যন্ত রোড ইনফ্রাসট্রাকচার বানিয়ে এসব জায়গায় সামরিক স্থাপনা বসিয়ে ভারতকে ঘিরে ধরা চীনের উদ্দেশ্য। আমেরিকার হস্তক্ষেপ থেকে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে ভারত এবার বন্ধুত্ব থেকে তার হাত গুটিয়ে নিলো।দুই নৌকায় পা দেয়ার ফলাফল হলো ভয়াবহ।অনেক উন্নতির আকাঙ্ক্ষা ভরাডুবির দিকে ধাবিত করলো।

    অভ্যুত্থানের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ পাঠ করলেই জানা যায় আমেরিকা কীভাবে পরিকল্পনার দিকে এগোয়। শীর্ষস্থানীয় কোনো পত্রিকার মাধ্যমে কিছু মানুষকে তারা নায়ক বানিয়ে তোলে।তাদের গায়ে আন্তর্জাতিক পদকের ভূষণ লাগানো হয়।এদিকে বাজার অনিয়ন্ত্রণ করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে সাধারণ জনগণকে বিষিয়ে তোলা হয়। এমন অবস্থায়ও সরকার টিকে থাকতে পারে,যদি দারুণ সৎ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করে। উদাহরণ হিসেবে ফিদেল কাস্ট্রোর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।তাঁর মিতো সৎ থেকে কঠোর কঠিনভাবে রাষ্ট্র চালাতে বাংলাদেশের সরকার পারেনি। বরং স্বজনপ্রীতি,দুর্নীতি,অর্থপাচার,ক্ষমতার অপব্যবহার মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে।শক্তিশালী বহিঃশত্রু থেকে আপনি তখনই বাঁচতে পারবেন,যখন আপনার ঘর ঠিক থাকবে।

    অভ্যুত্থানের পূর্বে জনগণের ক্ষুব্ধতার সাথে সামরিক বাহিনীকেও ক্ষুব্ধ করার নানামুখী কার্যকলাপ গ্রহণ করা হয়। পরিকল্পিত অনিয়ম ঘটিয়ে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়।বলতে পারেন, সবকিছু আমেরিকার পরিকল্পনা,তবে শেখ হাসিনার দোষ নাই? দোষ আছে।সেটার একদিক হলো ফিদেল এর মতো হতে না পারা।অশিল্প লোভের দোকান।তবে এমন ঘটনা ২০০৬ সালেই হতে পারতো। আমেরিকার ১৮ বছর দেরি হলো,এই যা!

    অভ্যুত্থান বা কোনো দেশের সরকারকে ফেলে দিতে আমেরিকা দীর্ঘ গবেষণা চালায়।সেই চেশের মানুষ, সমাজ ও মানুষের আবেগের চুকচেরা বিশ্লেষণ করে। পতিত বামদের আবেগ আর ধর্মের অন্ধতা এখানে প্রয়োগ করা হয়।বাজার পপরিস্থিতি আর আইনশৃঙ্খলা এমন অবস্থায় আসে যে শাসককে হত্যা করলেও জনগণ ক্ষোভের পরিবর্তে উল্লাস করবে।এ এক সাজানো চিত্রনাট্য ;যার উপর দিয়ে হেঁটে যাবে তার জন্মভূমির মানুষেরা।হেঁটে যাবে আধাবুদ্ধিজীবী।

    অভ্যুত্থানের পর কী হয়
    হুমায়ূন আহমেদ তাঁর দেয়াল উপন্যাসে লিখেছেন, মেজর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের পর সে বছর প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাধারনণত ইলিশ মাছের দাম কমলে অন্য মাছের দামও কমে যায়। আরবীয় দেশগুলোর সাহায্য আসতে থাকে।জনগণ খুব খুশি হলো। ভাবলো, দেশের উপর একটা রহমত এসেছে। অপরদিকে ক্যান্টনমেন্ট এর ভেতরে শত শত হত্যার হাহাকারে বাতাস ভারি হয়ে উঠলো।এবারও এমন কিছু হতে পারে। ভর্তুকি দিয়ে দ্রব্যমূল্য কিছুটা কমানো হতে পারে। সাধারণ মানুষ থেকে ফেসবুক বুদ্ধিজীবীরা সরকারের প্রশংসা করবে।মিডিয়াগুলোতে প্রচুর সুনাম করা হবে। আসল বীভৎসতা প্রকাশ পাবে অনেক পরে। চলবে আর্মির অভিযান। অপছন্দের লোকদের বাড়ি থেকে টাকা ও অস্ত্র বের হবে।মানুষ জয়ধ্বনি দেবে। আর্মির প্রশংসা করবে।কেউ ভাববেও না,একদল মানুষ যারা ইতিহাস,দর্শন,সাহিত্য,রাজনীতির কিছুই না জেনে শুধু অস্ত্রের জোরে ১৮ কোটি মানুষের উপরে মাতবরি করছে।

    আমেরিকার পরবর্তী কাজ
    এই সরকার সহজে ক্ষমতা ছাড়বে না।রাষ্ট্র সংস্কারের নামে তারা দীর্ঘদিন দেশ শাসন করবে।ততোদিনে দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের প্রসার ঘটবে,বা ঘটানো হবে।তখন শান্তির জন্য বাংলাদেশে আসবে জাতিসংঘ বা আমেরিকা।সেন্টমার্টিন তাদের হাতে দেবে তাদের পুতুল সরকার।অথবা এটা অন্যভাবেও ঘটতে পারে।তারা খোলস পরিবর্তন করে আরী সূক্ষ্ম চাল দিতে পারে। আরো আধুনিক কায়দায় তাদের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটাতে পারে।

    ভারতের লাভক্ষতি
    সাদ্দাম এবং গাদ্দাফি ততোক্ষণ ভালো ছিলো, যতোক্ষণ আমেরিকার স্বার্থরক্ষা হচ্ছিলো।দুজন তখনই শত্রু হলেন যখন তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হলো।সাদ্দাম ডলার বাদ দইয়ে অন্য মুদ্রার কথা বললেন।গাদ্দাফি তার গচ্ছিত অঢেল স্বর্ণ বিক্রি করে আফ্রিকায় ব্যাংকের কথা বললেন।তাঁরা তখনই মৃত্যুর মুখে পড়লেন।শেখ হাসিনাকে দিয়ে ভারতের স্বার্থরক্ষা হচ্ছিলো।চীনের সাথে সম্পর্ক ভারতকে ক্ষেপিয়ে তুললো।কিন্তু চীনের পরিবর্তে ভারতের নতুন শত্রু হবে আমেরিকা।সেভেন সিস্টারে অশান্তি বৃদ্ধি পাবে।পররাষ্ট্রনীতি চলে দুভাবে-- এক:নতজানু হয়ে সম্পর্ক রক্ষা,দুই: চাপে রেখে সম্পর্ক আদায় করা।প্রতিবেশি বেশি অনড় হলে দ্বিতীয়টি সহজে পারা যায় না।পারতে গিয়ে বিএনপি বিপদে পড়েছিলো।দশট্রাক অস্ত্র ভারতে প্রবেশ করাতে গিয়ে তারা ভারতের স্থায়ী শত্রুতে পরিণত হয়।এই সরকার প্রথমত আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করবে।কারণ তারাই দীর্ঘদিন এদের প্রমোট করেছে।তাতে ভারতের আগে ক্ষতি হবে চীনের।ভারত ক্ষতি টের পাবে কিছুটা পরে।

    উপসংহার
    একটি ঐতিহাসিক গল্প দিয়ে লেখাটি শেষ করি--
    নবাব সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসন ছেড়ে পালানোর পর মীর জাফর আলী খান সিংহাসনে আরোহণ করবেন। হাতল ধরে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।দীর্ঘ অপেক্ষার পর ক্লাইভ আসলেন।তার হাত ধরে মীর সাহেব সিংহাসনে বসতে বসতে বললেন,"আমি অতোটা অকৃতজ্ঞ নই।" ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট ছিলো সেই হাতল ধরে দাঁড়িয়ে থাকার সময়।উপনিবেশবাদের চেহারা পাল্টেছে।অস্ত্রের চেয়ে মাথার ব্যবহার এখানে বেশি হচ্ছে। যুদ্ধ সাজের পরিবর্তে পরে আসছে স্যুট টাই।হাতে অস্ত্রের বদলে ল্যাপটপ।

    বি: দ্র:
    দুটি ধারালো আক্কেলদাঁত ওঠার পর জিহবাটাকে নিয়ে বিপদে পড়েছি।এখন দাঁত উঠিয়ে ফেলবো,নাকি জিহ্বা কেটে ফেলবো,বুঝতে পারছি না।
    আমেরিকার ভূরাজনীতি ও একটি অভ্যুত্থান ⬇️ আমাদের প্রথমেই মনে রাখতে হবে আমেরিকা কখনো দেশ গঠনে বন্ধুপ্রতীম নয়।তারা সাধারনণত কথিত উঠতি অর্থনীতির দেশকে ফেলে দেয়ার জন্য কাজ করে থাকে।দর্জিগিরি আর ক্রীতদাস বিক্রির টাকার উপর নির্ভর করে যেটুকু এগিয়েছিলো বাংলাদেশ,তা টেকসই কিছু নয়।আর জাতিগঠনের মৌলিক দিকে না এগিয়ে রাস্তা আর ব্রিজের যে উন্নয়ন তা মানবিক মানুষ গঠনে ব্যর্থ হয়ে কোনদিকে গিয়েছে,দেখাই যাচ্ছে।তো, আসা যাক মূল আলোচনায়।যেসব দেশকে আমেরিকা ফেলে দেয়, সেসব শাসকদের অন্যায় থাকে না,তা নয়। দীর্ঘদিন শাসন চালিয়ে তারা শোষক হয়ে ওঠে।শোষণ, অত্যাচার,দুর্নীতি ক্রমবর্ধমান আকারে বেড়ে মানুষকে আক্রান্ত করে ফেলে।কিন্তু এসব মূলত আমেরিকার ক্ষোভের কারণ নয়।যতোক্ষণ পর্যন্ত তারা আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করতে পারে,ততোক্ষণ তারা সকল অন্যায় দেখেও দেখে না।ঠিক যখন তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়,তখন তারা যেভাবেই হোক সেই সরকারকে ফেলে দেয়। ইরাক, লিবিয়া,আফগানিস্তান এমন ঘটনার শিকার। নতুন যুক্ত হলো বাংলাদেশ। আমেরিকার বহুদিনের পরিকল্পনা বাংলাদেশ- মিয়ানমার-সেভেন সিস্টার ওয়ার জোন তৈরি করা। উদ্দেশ্য চীনের নজরদারী বৃদ্ধি করা।এদিকে চীন সফরে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে ১৬০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুত প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছেন।বাংলাদেশের কর্ণফুলী ট্যানেলও করে দিয়েছে চীনারাই।চীনাদের পরিকল্পিত ভারত ঘেরাওয়ের কাজ তারা এগিয়ে নিচ্ছিলো।ত্রিমুখী শক্তির মাঝখানে বাংলাদেশ যেন গরীব ঘরের এক সুন্দরী, ধর্ষিত হওয়া ছিলো তার সময়ের ব্যাপার।চীনের পরিকল্পনা আর এগোতে দিলে ভারতের বিপদ। আমেরিকা চায় না চীনের শক্তি বৃদ্ধি পাক।আবার ভারত চীন দুদেশই চায় বাংলাদেশ তার একক প্রেমিকা থাকুক।এমন অবস্থায় নীতি বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে যায়।উদগ্র উন্নতির আকাঙ্ক্ষা মাঝে মাঝে বিপদে ফেলে।বেশি আশা লোভের নৌকায় নিয়ে যায় মানুষকে। চীনারা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উত্তরে তাদের ভূমিতে কাশগড় থেকে পাকিস্তানের দক্ষিণে গ্যদার সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে।তারপর ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রেলপথের প্রজেক্ট নিয়েছে।এদিকে শ্রীলঙ্কার হাম্বারটোটা বন্দর চীনাদের নিয়ন্ত্রণে। চতুর্ভুজাকারে ভারতকে ঘিরে ঘরার জন্য প্রয়োজন ছিলো কক্সবাজারে একটি স্থাপনা।কক্সবাজার থেকে মিয়ানমারের উপর দিয়ে উত্তর মিয়ানমার--অরুণাচল হয়ে দক্ষিণ তিব্বত হয়ে কাশগড় পর্যন্ত রোড ইনফ্রাসট্রাকচার বানিয়ে এসব জায়গায় সামরিক স্থাপনা বসিয়ে ভারতকে ঘিরে ধরা চীনের উদ্দেশ্য। আমেরিকার হস্তক্ষেপ থেকে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে ভারত এবার বন্ধুত্ব থেকে তার হাত গুটিয়ে নিলো।দুই নৌকায় পা দেয়ার ফলাফল হলো ভয়াবহ।অনেক উন্নতির আকাঙ্ক্ষা ভরাডুবির দিকে ধাবিত করলো। অভ্যুত্থানের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ পাঠ করলেই জানা যায় আমেরিকা কীভাবে পরিকল্পনার দিকে এগোয়। শীর্ষস্থানীয় কোনো পত্রিকার মাধ্যমে কিছু মানুষকে তারা নায়ক বানিয়ে তোলে।তাদের গায়ে আন্তর্জাতিক পদকের ভূষণ লাগানো হয়।এদিকে বাজার অনিয়ন্ত্রণ করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে সাধারণ জনগণকে বিষিয়ে তোলা হয়। এমন অবস্থায়ও সরকার টিকে থাকতে পারে,যদি দারুণ সৎ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করে। উদাহরণ হিসেবে ফিদেল কাস্ট্রোর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।তাঁর মিতো সৎ থেকে কঠোর কঠিনভাবে রাষ্ট্র চালাতে বাংলাদেশের সরকার পারেনি। বরং স্বজনপ্রীতি,দুর্নীতি,অর্থপাচার,ক্ষমতার অপব্যবহার মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে।শক্তিশালী বহিঃশত্রু থেকে আপনি তখনই বাঁচতে পারবেন,যখন আপনার ঘর ঠিক থাকবে। অভ্যুত্থানের পূর্বে জনগণের ক্ষুব্ধতার সাথে সামরিক বাহিনীকেও ক্ষুব্ধ করার নানামুখী কার্যকলাপ গ্রহণ করা হয়। পরিকল্পিত অনিয়ম ঘটিয়ে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়।বলতে পারেন, সবকিছু আমেরিকার পরিকল্পনা,তবে শেখ হাসিনার দোষ নাই? দোষ আছে।সেটার একদিক হলো ফিদেল এর মতো হতে না পারা।অশিল্প লোভের দোকান।তবে এমন ঘটনা ২০০৬ সালেই হতে পারতো। আমেরিকার ১৮ বছর দেরি হলো,এই যা! অভ্যুত্থান বা কোনো দেশের সরকারকে ফেলে দিতে আমেরিকা দীর্ঘ গবেষণা চালায়।সেই চেশের মানুষ, সমাজ ও মানুষের আবেগের চুকচেরা বিশ্লেষণ করে। পতিত বামদের আবেগ আর ধর্মের অন্ধতা এখানে প্রয়োগ করা হয়।বাজার পপরিস্থিতি আর আইনশৃঙ্খলা এমন অবস্থায় আসে যে শাসককে হত্যা করলেও জনগণ ক্ষোভের পরিবর্তে উল্লাস করবে।এ এক সাজানো চিত্রনাট্য ;যার উপর দিয়ে হেঁটে যাবে তার জন্মভূমির মানুষেরা।হেঁটে যাবে আধাবুদ্ধিজীবী। অভ্যুত্থানের পর কী হয়⬇️ হুমায়ূন আহমেদ তাঁর দেয়াল উপন্যাসে লিখেছেন, মেজর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের পর সে বছর প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাধারনণত ইলিশ মাছের দাম কমলে অন্য মাছের দামও কমে যায়। আরবীয় দেশগুলোর সাহায্য আসতে থাকে।জনগণ খুব খুশি হলো। ভাবলো, দেশের উপর একটা রহমত এসেছে। অপরদিকে ক্যান্টনমেন্ট এর ভেতরে শত শত হত্যার হাহাকারে বাতাস ভারি হয়ে উঠলো।এবারও এমন কিছু হতে পারে। ভর্তুকি দিয়ে দ্রব্যমূল্য কিছুটা কমানো হতে পারে। সাধারণ মানুষ থেকে ফেসবুক বুদ্ধিজীবীরা সরকারের প্রশংসা করবে।মিডিয়াগুলোতে প্রচুর সুনাম করা হবে। আসল বীভৎসতা প্রকাশ পাবে অনেক পরে। চলবে আর্মির অভিযান। অপছন্দের লোকদের বাড়ি থেকে টাকা ও অস্ত্র বের হবে।মানুষ জয়ধ্বনি দেবে। আর্মির প্রশংসা করবে।কেউ ভাববেও না,একদল মানুষ যারা ইতিহাস,দর্শন,সাহিত্য,রাজনীতির কিছুই না জেনে শুধু অস্ত্রের জোরে ১৮ কোটি মানুষের উপরে মাতবরি করছে। আমেরিকার পরবর্তী কাজ⬇️ এই সরকার সহজে ক্ষমতা ছাড়বে না।রাষ্ট্র সংস্কারের নামে তারা দীর্ঘদিন দেশ শাসন করবে।ততোদিনে দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের প্রসার ঘটবে,বা ঘটানো হবে।তখন শান্তির জন্য বাংলাদেশে আসবে জাতিসংঘ বা আমেরিকা।সেন্টমার্টিন তাদের হাতে দেবে তাদের পুতুল সরকার।অথবা এটা অন্যভাবেও ঘটতে পারে।তারা খোলস পরিবর্তন করে আরী সূক্ষ্ম চাল দিতে পারে। আরো আধুনিক কায়দায় তাদের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটাতে পারে। ভারতের লাভক্ষতি ⬇️ সাদ্দাম এবং গাদ্দাফি ততোক্ষণ ভালো ছিলো, যতোক্ষণ আমেরিকার স্বার্থরক্ষা হচ্ছিলো।দুজন তখনই শত্রু হলেন যখন তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হলো।সাদ্দাম ডলার বাদ দইয়ে অন্য মুদ্রার কথা বললেন।গাদ্দাফি তার গচ্ছিত অঢেল স্বর্ণ বিক্রি করে আফ্রিকায় ব্যাংকের কথা বললেন।তাঁরা তখনই মৃত্যুর মুখে পড়লেন।শেখ হাসিনাকে দিয়ে ভারতের স্বার্থরক্ষা হচ্ছিলো।চীনের সাথে সম্পর্ক ভারতকে ক্ষেপিয়ে তুললো।কিন্তু চীনের পরিবর্তে ভারতের নতুন শত্রু হবে আমেরিকা।সেভেন সিস্টারে অশান্তি বৃদ্ধি পাবে।পররাষ্ট্রনীতি চলে দুভাবে-- এক:নতজানু হয়ে সম্পর্ক রক্ষা,দুই: চাপে রেখে সম্পর্ক আদায় করা।প্রতিবেশি বেশি অনড় হলে দ্বিতীয়টি সহজে পারা যায় না।পারতে গিয়ে বিএনপি বিপদে পড়েছিলো।দশট্রাক অস্ত্র ভারতে প্রবেশ করাতে গিয়ে তারা ভারতের স্থায়ী শত্রুতে পরিণত হয়।এই সরকার প্রথমত আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করবে।কারণ তারাই দীর্ঘদিন এদের প্রমোট করেছে।তাতে ভারতের আগে ক্ষতি হবে চীনের।ভারত ক্ষতি টের পাবে কিছুটা পরে। উপসংহার⬇️ একটি ঐতিহাসিক গল্প দিয়ে লেখাটি শেষ করি-- নবাব সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসন ছেড়ে পালানোর পর মীর জাফর আলী খান সিংহাসনে আরোহণ করবেন। হাতল ধরে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।দীর্ঘ অপেক্ষার পর ক্লাইভ আসলেন।তার হাত ধরে মীর সাহেব সিংহাসনে বসতে বসতে বললেন,"আমি অতোটা অকৃতজ্ঞ নই।" ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট ছিলো সেই হাতল ধরে দাঁড়িয়ে থাকার সময়।উপনিবেশবাদের চেহারা পাল্টেছে।অস্ত্রের চেয়ে মাথার ব্যবহার এখানে বেশি হচ্ছে। যুদ্ধ সাজের পরিবর্তে পরে আসছে স্যুট টাই।হাতে অস্ত্রের বদলে ল্যাপটপ। বি: দ্র:⬇️ দুটি ধারালো আক্কেলদাঁত ওঠার পর জিহবাটাকে নিয়ে বিপদে পড়েছি।এখন দাঁত উঠিয়ে ফেলবো,নাকি জিহ্বা কেটে ফেলবো,বুঝতে পারছি না।
    Sad
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 7374 مشاهدة 0 معاينة
  • দুধ খারাপ হলে দই হয়ে যায়। দই দুধের চেয়ে দামি। যদি সেটা আরো
    খারাপ হয়, তাহলে পনীর হয়ে যায়। পনীরের মূল্য দই এবং দুধের চেয়ে
    অনেক বেশি। আর আঙুরের রস টক হলে তা ওয়াইনে রূপান্তরিত হয়, যা আঙ্গুর রসের চেয়েও অনেক বেশী দামী।

    তুমি খারাপ না কারণ তুমি ভুল করেছ। ভুল হল সেই অভিজ্ঞতা যা প্রত্যেক ব্যক্তিকে আরো মূল্যবান করে তোলে। ক্রিস্টোফার কলম্বাস একটি নেভিগেশন ভুল করেছিলেন যা তাকে আমেরিকা আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছিল। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর ভুল তাকে পেনিসিলিন আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছে।

    টমাস আলভা এডিসন কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনি জীবনে ভুল করেছেন ? তিনি বলছিলেন 'অসংখ্যবার!' তা শুনে প্রশ্নকর্তা বলেছিলেন, 'তাহলে তো আপনার মাথায় বুদ্ধি কম?' উত্তরে এডিসন যে উত্তর করেছিলেন তা এমন, 'মাথায় বুদ্ধি কম ছিলো কিন্তু অসংখ্যবার ভুল করার কারণে তা বেড়ে অসংখ্য গুণ হয়ে গিয়েছে!'
    ব্যাপারটা এমন, প্রতিবার ভুলের পর এডিসন নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতেন । এভাবে সৃষ্ট সফল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে।

    কানাডিয়ান বিখ্যাত লেখক রবিন শর্মা বলেছিলেন, 'ভুল বলে কিছু নেই - সবই নতুন শিক্ষা।'

    বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'কেউ যদি বলে সে কখনো ভুল করেনি, তার মানে সে কখনো চেষ্টাই করেনি।'

    'How to change a life' বইটি একবার দ্বিতীয় সংস্করণে নামের ভুলে 'How to change a wife' হয়ে বের হয়েছিলো, তারপর তা বেস্ট সেলার!

    কথায় আছে, মাঝে মাঝে ভুল বলো নাহলে তুমি বুঝতে পারবে না লোকে তোমার কথা শুনছে কি না!
    মাঝে মাঝে ভুল লেখো তাহলে যে সোশ্যাল সাইটে তোমাকে জিন্দেগীতে কমেন্ট করবে না বলে পণ করেছে সে ও কমেন্ট
    করবে।

    বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, 'উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের
    একটি সমন্বিত পক্রিয়া।'

    বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, 'নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।'

    কলিন পাওয়েলের মতে, 'যোগ্য নেতা জন্ম নেয় না - তৈরী হয় চেষ্টা, ভুল এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।'

    অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ মাইকেল জর্ডান বলেছিলেন, 'আমি অসংখ্যবার ভুল করেছি এবং ফেইল করেছি বলে আমি আজ সফল।'

    হেনরি ফোর্ড বলেছিলেন, 'ভুল হলো একমাত্র সুযোগ যার মাধ্যমে নতুন করে শুরু করার আরো সুযোগ পাবেন।'

    এক প্রেমিকের ভাষ্য, 'ভুল মানুষের প্রেমে পড়া মানে আরেকটি শুদ্ধ
    মানুষের প্রেমে পড়ার অন্যতম সুযোগ।'

    কথায় আছে, সত্যিকার মানুষ কখনো নির্ভুল হতে পারে না!
    যদি সবকিছু নির্ভুল থাকে তাহলে তুমি কখনো কিছু শিখতে পারবে না!

    পেন্সিল মানসিকতা হওয়ার চেষ্টা করো, যাতে ভুল হলে পিছন দিয়ে ঘষে মুছে নতুন করে চেষ্টা করার সুযোগ থাকবে! কোনও কিছু মুছে না গেলে চিত্র হয় না! কলম মানসিকতার মানুষগুলো নিজেকে নির্ভুল ভাবে ! তাই কলম দিয়ে সুন্দর চিত্র হয় না!

    তাই আসুন আমরা ভুল কে ভুলে গিয়ে আবার নতুনভাবে চেষ্টা করে
    ফুলের মত জীবন গড়ি।

    আপনার ভুলগুলিকে আপনি নীচে নামাতে দেবেন না। এটি অনুশীলন নয় যা নিখুঁত করে তোলে। আমরা ভুল থেকে যা শিখি তা আমাদের নিখুঁত করে তোলে!

    #collected
    দুধ খারাপ হলে দই হয়ে যায়। দই দুধের চেয়ে দামি। যদি সেটা আরো খারাপ হয়, তাহলে পনীর হয়ে যায়। পনীরের মূল্য দই এবং দুধের চেয়ে অনেক বেশি। আর আঙুরের রস টক হলে তা ওয়াইনে রূপান্তরিত হয়, যা আঙ্গুর রসের চেয়েও অনেক বেশী দামী। তুমি খারাপ না কারণ তুমি ভুল করেছ। ভুল হল সেই অভিজ্ঞতা যা প্রত্যেক ব্যক্তিকে আরো মূল্যবান করে তোলে। ক্রিস্টোফার কলম্বাস একটি নেভিগেশন ভুল করেছিলেন যা তাকে আমেরিকা আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছিল। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর ভুল তাকে পেনিসিলিন আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছে। টমাস আলভা এডিসন কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনি জীবনে ভুল করেছেন ? তিনি বলছিলেন 'অসংখ্যবার!' তা শুনে প্রশ্নকর্তা বলেছিলেন, 'তাহলে তো আপনার মাথায় বুদ্ধি কম?' উত্তরে এডিসন যে উত্তর করেছিলেন তা এমন, 'মাথায় বুদ্ধি কম ছিলো কিন্তু অসংখ্যবার ভুল করার কারণে তা বেড়ে অসংখ্য গুণ হয়ে গিয়েছে!' ব্যাপারটা এমন, প্রতিবার ভুলের পর এডিসন নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতেন । এভাবে সৃষ্ট সফল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। কানাডিয়ান বিখ্যাত লেখক রবিন শর্মা বলেছিলেন, 'ভুল বলে কিছু নেই - সবই নতুন শিক্ষা।' বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'কেউ যদি বলে সে কখনো ভুল করেনি, তার মানে সে কখনো চেষ্টাই করেনি।' 'How to change a life' বইটি একবার দ্বিতীয় সংস্করণে নামের ভুলে 'How to change a wife' হয়ে বের হয়েছিলো, তারপর তা বেস্ট সেলার! কথায় আছে, মাঝে মাঝে ভুল বলো নাহলে তুমি বুঝতে পারবে না লোকে তোমার কথা শুনছে কি না! মাঝে মাঝে ভুল লেখো তাহলে যে সোশ্যাল সাইটে তোমাকে জিন্দেগীতে কমেন্ট করবে না বলে পণ করেছে সে ও কমেন্ট করবে। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, 'উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের একটি সমন্বিত পক্রিয়া।' বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, 'নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।' কলিন পাওয়েলের মতে, 'যোগ্য নেতা জন্ম নেয় না - তৈরী হয় চেষ্টা, ভুল এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।' অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ মাইকেল জর্ডান বলেছিলেন, 'আমি অসংখ্যবার ভুল করেছি এবং ফেইল করেছি বলে আমি আজ সফল।' হেনরি ফোর্ড বলেছিলেন, 'ভুল হলো একমাত্র সুযোগ যার মাধ্যমে নতুন করে শুরু করার আরো সুযোগ পাবেন।' এক প্রেমিকের ভাষ্য, 'ভুল মানুষের প্রেমে পড়া মানে আরেকটি শুদ্ধ মানুষের প্রেমে পড়ার অন্যতম সুযোগ।' কথায় আছে, সত্যিকার মানুষ কখনো নির্ভুল হতে পারে না! যদি সবকিছু নির্ভুল থাকে তাহলে তুমি কখনো কিছু শিখতে পারবে না! পেন্সিল মানসিকতা হওয়ার চেষ্টা করো, যাতে ভুল হলে পিছন দিয়ে ঘষে মুছে নতুন করে চেষ্টা করার সুযোগ থাকবে! কোনও কিছু মুছে না গেলে চিত্র হয় না! কলম মানসিকতার মানুষগুলো নিজেকে নির্ভুল ভাবে ! তাই কলম দিয়ে সুন্দর চিত্র হয় না! তাই আসুন আমরা ভুল কে ভুলে গিয়ে আবার নতুনভাবে চেষ্টা করে ফুলের মত জীবন গড়ি। আপনার ভুলগুলিকে আপনি নীচে নামাতে দেবেন না। এটি অনুশীলন নয় যা নিখুঁত করে তোলে। আমরা ভুল থেকে যা শিখি তা আমাদের নিখুঁত করে তোলে! #collected
    Like
    3
    0 التعليقات 0 المشاركات 7079 مشاهدة 0 معاينة
  • ঢাকা থেকে ইন্সপেক্টর এসেছে গ্রামের একটা স্কুল পরিদর্শনে। তিনি প্রথমে অষ্টম শ্রেণীর কক্ষে ঢুকলেন।

    এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করলেনঃ
    পরিদর্শকঃ আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি কে?
    ছাত্রীঃ শেখ হাসিনা।
    পরিদর্শকঃ আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি, প্রেসিডেন্ট কে?
    ছাত্রীঃ খালেদা জিয়া।
    পরিদর্শকঃ তুমি ক্লাস এইটে উঠেছো কিভাবে, আমি তোমার নাম কেটে দিব।
    ছাত্রীঃ আমারতো স্কুলের খাতায় নামই নেই, আপনি কাটবেন কেমনে ?
    পরিদর্শকঃ নাম নেই মানে?
    ছাত্রীঃ আমি স্কুলের মাঠে গরু নিয়া আইছিলাম, স্যারে কইলো তোরে দশ টাকা দিমু তুই ক্লাসে আইসা বইসা থাক।

    পরিদর্শকঃ ছিঃ মাষ্টার সাহেব আপনার লজ্জা করে না,শিক্ষা নিয়া ব্যবসা করতেছেন ? আমি আপনাকে বরখাস্ত করবো।
    ক্লাস শিক্ষকঃ আরে আপনি আমায় বরখাস্ত করতে পারবেন না, আমি মাস্টার না। সামনে যে মুদি দোকানটা দেখছেন ঐটা আমার। মাস্টার সাবে আমারে কইলো শহর থেকে এক বেটা আইবো আমি হাঁটে গেলাম তুই একটু ক্লাস ঘড়ে যাইয়া বইসা থাকবি।

    পরিদর্শকঃ (রেগে হেড স্যারের রুমে গিয়ে) আপনি হেড স্যার ?
    হেড স্যারঃ হ্যা,কোনো সমস্যা ?
    পরিদর্শকঃ কি করছেন আপনারা, এইসব নকল ছাত্র--শিক্ষক দিয়া স্কুল চালান?
    হেড স্যারঃ আমি না,আমার মামা এই স্কুলের হেড স্যার। উনি জমি কেনা-বেচার দালালি করেন। কাস্টমার নিয়া অন্য গ্রামে গেছেন।
    আমারে কইলো ইন্সপেক্টর আইলে এক হাজার টাকার এই বান্ডিল টা দিয়া দিছ।
    পরিদর্শকঃ এই যাত্রায় আপনারা বেঁচে গেলেন। আসলে আমিও ইন্সপেক্টর না, আমার দাদা ইন্সপেক্টর। উনি ঠিকাদারির কাজ ও করেন। টেন্ডারজমা দিতে সিটি কর্পোরেশনে গেছেন। আমাকে বললেন তুই আমার হয়ে পরিদর্শন করে আয়--------!!!

    আর হে ! এভাবেই চলে প্রিয় বাংলাদেশ...!
    ঢাকা থেকে ইন্সপেক্টর এসেছে গ্রামের একটা স্কুল পরিদর্শনে। তিনি প্রথমে অষ্টম শ্রেণীর কক্ষে ঢুকলেন। এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করলেনঃ পরিদর্শকঃ আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি কে? ছাত্রীঃ শেখ হাসিনা। পরিদর্শকঃ আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি, প্রেসিডেন্ট কে? ছাত্রীঃ খালেদা জিয়া। পরিদর্শকঃ তুমি ক্লাস এইটে উঠেছো কিভাবে, আমি তোমার নাম কেটে দিব। ছাত্রীঃ আমারতো স্কুলের খাতায় নামই নেই, আপনি কাটবেন কেমনে ? পরিদর্শকঃ নাম নেই মানে? ছাত্রীঃ আমি স্কুলের মাঠে গরু নিয়া আইছিলাম, স্যারে কইলো তোরে দশ টাকা দিমু তুই ক্লাসে আইসা বইসা থাক। পরিদর্শকঃ ছিঃ মাষ্টার সাহেব আপনার লজ্জা করে না,শিক্ষা নিয়া ব্যবসা করতেছেন ? আমি আপনাকে বরখাস্ত করবো। ক্লাস শিক্ষকঃ আরে আপনি আমায় বরখাস্ত করতে পারবেন না, আমি মাস্টার না। সামনে যে মুদি দোকানটা দেখছেন ঐটা আমার। মাস্টার সাবে আমারে কইলো শহর থেকে এক বেটা আইবো আমি হাঁটে গেলাম তুই একটু ক্লাস ঘড়ে যাইয়া বইসা থাকবি। পরিদর্শকঃ (রেগে হেড স্যারের রুমে গিয়ে) আপনি হেড স্যার ? হেড স্যারঃ হ্যা,কোনো সমস্যা ? পরিদর্শকঃ কি করছেন আপনারা, এইসব নকল ছাত্র--শিক্ষক দিয়া স্কুল চালান? হেড স্যারঃ আমি না,আমার মামা এই স্কুলের হেড স্যার। উনি জমি কেনা-বেচার দালালি করেন। কাস্টমার নিয়া অন্য গ্রামে গেছেন। আমারে কইলো ইন্সপেক্টর আইলে এক হাজার টাকার এই বান্ডিল টা দিয়া দিছ। পরিদর্শকঃ এই যাত্রায় আপনারা বেঁচে গেলেন। আসলে আমিও ইন্সপেক্টর না, আমার দাদা ইন্সপেক্টর। উনি ঠিকাদারির কাজ ও করেন। টেন্ডারজমা দিতে সিটি কর্পোরেশনে গেছেন। আমাকে বললেন তুই আমার হয়ে পরিদর্শন করে আয়--------!!! আর হে ! এভাবেই চলে প্রিয় বাংলাদেশ...!
    0 التعليقات 0 المشاركات 7311 مشاهدة 0 معاينة
  • "নামায কেনো পড়তেই হবে?"
    "ওযুর জন্য পানি নেই, তায়াম্মুম করেন, তায়াম্মুমের ব্যবস্থা নেই, তায়াম্মুম ছাড়াই নামায পড়ুন।
    কিবলামুখী হয়ে নামায পড়তে হয়, কিবলামুখী বুঝতে পারছেন না, যেকোনো দিক হয়েই নামায পড়ুন।
    দাঁড়িয়ে নামায পড়তে পারছেন না? বসে পড়েন। বসে না পড়তে পারলে শুয়ে পড়েন।
    পরিষ্কার কাপড় পড়ে নামায পড়তে হয়। পরিষ্কার কাপড় না থাকলে প্রসাব, পায়খানা লাগা কাপড় পড়েই নামায পড়েন, কোনো কাপড় না থাকলে উলংগ হয়ে নামায পড়েন।
    ট্রেনের প্রচন্ড ভিরে ঝুলে আছেন, আযান দিচ্ছে সেই অবস্থাতেই নামায পড়ুন ।
    নামায কি জিনিস, কি করে বুঝাই, এক আশ্চর্য ইবাদত যে ইবাদত কোনো অসুবিধা মানেনা।
    আপনি অসুস্থ টাকা দিলেন সেই টাকায় হজ্জ করলো অন্যজন। আপনার সাওয়াব হবে।
    আপনি অসুস্থ, ফকির কে খাওয়ালেন আপনি রোযার সাওয়াব পাবেন....
    হজ্জের বিকল্প আছে, রোযার বিকল্প আছে। নামায এমন এক ইবাদত যার কোনো বিকল্প নেই।
    নামায কি জিনিস কি করে বুঝাই?????"
    আমার ভাই বোনেরা," নামায পড়ুন"
    আপনার জীবনে যাই আসুক, "নামায পড়ুন।"
    আপনার জীবনে যতোই খারাপ কাজ করেন না কেন, পরিমাণে যতই বেশি হোক না কেন, "নামায পড়ুন"।
    কোন ছাড় নেই।
    বোন বলছেন, "আপনি হিজাব পরেন না",
    আমি আপনাকে বলছি "নামায পড়ুন"
    বোন বলছেন, আমার কাপড় নামাযের উপযোগী নয়।আমি আপনাকে বলছি,"নামায পড়ুন"
    ভাই বলছেন, "আমি মদ পান করি"
    নামায পড়ুন
    "আমি ড্রাগ বিক্রি করি"
    নামায পড়ুন
    "আমি ড্রাগ সেবন করি"
    "নামায পড়ুন"
    "আমার একটি মেয়ে বন্ধু আছে এবং আমি তার সাথে রাত্রি যাপন করি। "
    "নামায পড়ুন"।
    আপনার জীবনে যাই আসুক না কেনো নামায পড়ুন
    "ভাই আমি কিভাবে পাপ কাজ করার পাশাপাশি নামায পড়বো? এটি নামাযের প্রতি অসম্মান জনক ও আমার ভন্ডতা প্রকাশ পায়"
    আমি বলছিনা এজন্যই আমরা নামায পড়ি কারণ আমরা ভালো না, আমি পাপী, আমরা ভুল করছি।
    আপনি তবুও নামায পড়ুন।
    আল্লাহ বলেছেন, "নামায অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।"
    "নামায পড়ুন"
    কিছু মানুষ বলে আমাকে ভালোপথে আসতে দাও। ইন শা আল্লাহ আমি নামায পড়া শুরু করে দিবো।
    বন্ধুরা নামায ব্যতীত আপনি ভালো পথে আসতে পারবেন না। এজন্যই আমরা নামায পড়ি যাতে ভালোপথে আসতে পারি।
    আপনার জীবনে যাই আসুক না কেন, আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, নামাজ পড়ুন।
    ----------------------------
    *** নামাজ : কোনো বিকল্প নেই..!!

    ভাল লাগলে... পেইজটিতে Follow দিয়ে সাথে থাকুন।
    "নামায কেনো পড়তেই হবে?" "ওযুর জন্য পানি নেই, তায়াম্মুম করেন, তায়াম্মুমের ব্যবস্থা নেই, তায়াম্মুম ছাড়াই নামায পড়ুন। কিবলামুখী হয়ে নামায পড়তে হয়, কিবলামুখী বুঝতে পারছেন না, যেকোনো দিক হয়েই নামায পড়ুন। দাঁড়িয়ে নামায পড়তে পারছেন না? বসে পড়েন। বসে না পড়তে পারলে শুয়ে পড়েন। পরিষ্কার কাপড় পড়ে নামায পড়তে হয়। পরিষ্কার কাপড় না থাকলে প্রসাব, পায়খানা লাগা কাপড় পড়েই নামায পড়েন, কোনো কাপড় না থাকলে উলংগ হয়ে নামায পড়েন। ট্রেনের প্রচন্ড ভিরে ঝুলে আছেন, আযান দিচ্ছে সেই অবস্থাতেই নামায পড়ুন । নামায কি জিনিস, কি করে বুঝাই, এক আশ্চর্য ইবাদত যে ইবাদত কোনো অসুবিধা মানেনা। আপনি অসুস্থ টাকা দিলেন সেই টাকায় হজ্জ করলো অন্যজন। আপনার সাওয়াব হবে। আপনি অসুস্থ, ফকির কে খাওয়ালেন আপনি রোযার সাওয়াব পাবেন.... হজ্জের বিকল্প আছে, রোযার বিকল্প আছে। নামায এমন এক ইবাদত যার কোনো বিকল্প নেই। নামায কি জিনিস কি করে বুঝাই?????" আমার ভাই বোনেরা," নামায পড়ুন" আপনার জীবনে যাই আসুক, "নামায পড়ুন।" আপনার জীবনে যতোই খারাপ কাজ করেন না কেন, পরিমাণে যতই বেশি হোক না কেন, "নামায পড়ুন"। কোন ছাড় নেই। বোন বলছেন, "আপনি হিজাব পরেন না", আমি আপনাকে বলছি "নামায পড়ুন" বোন বলছেন, আমার কাপড় নামাযের উপযোগী নয়।আমি আপনাকে বলছি,"নামায পড়ুন" ভাই বলছেন, "আমি মদ পান করি" নামায পড়ুন "আমি ড্রাগ বিক্রি করি" নামায পড়ুন "আমি ড্রাগ সেবন করি" "নামায পড়ুন" "আমার একটি মেয়ে বন্ধু আছে এবং আমি তার সাথে রাত্রি যাপন করি। " "নামায পড়ুন"। আপনার জীবনে যাই আসুক না কেনো নামায পড়ুন "ভাই আমি কিভাবে পাপ কাজ করার পাশাপাশি নামায পড়বো? এটি নামাযের প্রতি অসম্মান জনক ও আমার ভন্ডতা প্রকাশ পায়" আমি বলছিনা এজন্যই আমরা নামায পড়ি কারণ আমরা ভালো না, আমি পাপী, আমরা ভুল করছি। আপনি তবুও নামায পড়ুন। আল্লাহ বলেছেন, "নামায অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।" "নামায পড়ুন" কিছু মানুষ বলে আমাকে ভালোপথে আসতে দাও। ইন শা আল্লাহ আমি নামায পড়া শুরু করে দিবো। বন্ধুরা নামায ব্যতীত আপনি ভালো পথে আসতে পারবেন না। এজন্যই আমরা নামায পড়ি যাতে ভালোপথে আসতে পারি। আপনার জীবনে যাই আসুক না কেন, আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, নামাজ পড়ুন। ---------------------------- *** নামাজ : কোনো বিকল্প নেই..!! ভাল লাগলে... পেইজটিতে Follow দিয়ে সাথে থাকুন।
    Like
    3
    0 التعليقات 0 المشاركات 1803 مشاهدة 0 معاينة
  • প্রশ্ন: স্বামী কাকে বলে? স্বামী কত প্রকার ও কি কি?

    উত্তর:-দেশে প্রচলিত আইনানুযায়ি বৈবাহিক সম্পর্কে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সঙ্গে দাম্পত্যের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া প্রাপ্তবয়স্ক পুরষটিকে স্বামী বলে। একজন স্বামী তার স্ত্রী'র থাকা-খাওয়া, ভরণ-পোষণ, জৈবিক চাহিদা, মানবিক অধিকার, সামাজিক মর্যাদা, প্রচলিত আইনের বিধি নিষেধ, ঐতিহ্য-সংস্কৃতি, সমসাময়িক ও যুগোপযোগী দায়-দায়িত্ব পালনকারী হলো স্বামী।

    ভালো স্বামী' আর খারাপ স্বামী' হিসাবে দুই ভাবে প্রচলিত থাকলেও বারো প্রকার স্বামী বর্তমান সমাজে বিরাজ করে। যথা:

    ১. ব্যাচেলর স্বামী (Bachelor Husband):
    এরা কেতাদুরস্ত, মুখে সর্বদা মিষ্টি হাসি থাকে। নিজেকে ব্যাচেলর বলতে ভালোবাসে। বয়স যতই হোক না কেন, কেউ ব্যাচেলর বললে খুশী হয়। স্ত্রীর চেয়ে বন্ধুদের সাথে বেশি আড্ডা দেয়। দাম্পত্য জীবন নিয়ে মোটেও সিরিয়াস নন। এদের অনেক বান্ধবীও থাকে।

    ২. তপ্ত স্বামী (Heated Husband):
    এরা সবসময় সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করে, গরম পানির মতো টগবগ করে, সব সময় রাগান্বিত, হিংস্র মেজাজ, আধিপত্যশীল ও খুব বিপজ্জনক। মধ্যরাত ছাড়া বউয়ের প্রয়োজন অনুভব করে না। গতি প্রকৃতি সাইক্লোনের মতো অনিশ্চিত।

    ৩. ক্রীতদাস স্বামী (Slave Husband): শ্বশুর বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা, শ্বশুরের টাকায় লেখাপড়া, ছাত্রীর সাথে প্রেম কিংবা “বিবাহের বিনিময়ে চাকুরী” কর্মসূচিসহ কিছু অজ্ঞাত দূর্বলতার কারণে এদের স্বাধীনতার অপমৃত্যু ঘটে। এরপর আর কোন ভাবেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে না।

    ৪. সাধারণ স্বামী (Ordinary Husband):
    এরা খুবই গতানুগতিক, আর দশটা স্বামীর মতোই সাধারণ নিরবে সব সয়ে যায়। এরা জেনেই গেছে পুরুষ হয়ে জন্মেছি এটুকু জ্বালা সহ্য করতেই হবে। তাই প্রতিবাদের ঝুঁকি নেয় না।

    ৫. চামড়ামোটা স্বামী (Fat Skinned Husband): নানান কথার বাণে বিদ্ধ হয়ে এদের চামড়া গণ্ডারের ন্যায় পুরু হয়ে যায়। “তোমার ভাগ্য ভালো যে আমার মতো ... পেয়েছো আর কেউ হলে সেই কবেই ফেলে চলে যেতো” জাতীয় বাক্যবাণ এদের চামড়া ভেদ করতে পারে না।

    ৬. নিপীড়িত স্বামী (Oppressed Husband):
    এরা নিজ বাড়ির চাইতে জেলখানা কিংবা নির্জন বনাঞ্চলকে শান্তির জায়গা মনে করে। সয়ে সয়ে উপরওয়ালার কাছে বিচার চাওয়ারও সাহস করে না। তবে পত্রিকায় কারও বউ মরার সংবাদ খুব মন দিয়ে পড়ে, তারপর কি যেনো ভেবে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আগের মতো চুপচাপ বসে থাকে।

    ৭. তেজপাতা স্বামী (Dry Husband):
    এরা খুব মুডি, কৃপণ, আত্মকেন্দ্রিক। স্ত্রীর ভালোলাগা, ইচ্ছা ও আগ্রহ মোটেও বিবেচনা করে না, রসবোধ নেই। বউ নিয়ে বেড়ানো রেস্টুরেন্টে যাওয়া, শখ করে বউয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করা এদের কাছে খুব কঠিন একটা কাজ। এরা রিলেশনকে আনন্দদায়ক করতে জানে না।

    ৮. দাবাড়ু স্বামী (Grand Master Husband):
    এরা স্ত্রীকে সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, স্ত্রীকে শুধুমাত্র তখনই ভালোবাসে যখন তার কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন হয়। এরা খুব চালাক, স্ত্রীর দুর্বলতাগুলি খুব ভালোভাবে জানে, স্বার্থ উদ্ধারে তা ভালোভাবে কাজে লাগাতে জানে।

    ৯. পরজীবী স্বামী (Parasite Husband):
    এরা অলস, শুধুমাত্র অর্থের জন্য স্ত্রীকে ভালোবাসে। বউয়ের রোজগারের টাকায় চলে, ফুটানি করে, কেউ কেউ বিভিন্ন নেশার পেছনে বউয়ের টাকা খরচ করে। সংসারের কাজে স্ত্রী'কে মোটেও সাহায্য করে না। এদের একটি প্রজাতি “ঘর জামাই বা গৃহপালিত স্বামী” নামেও পরিচিত।

    ১০. অপরিপক্ব স্বামী (Immatured Husband): এরা দায়িত্ব কাণ্ডজ্ঞানহীন ও শিশুসুলভ। তারা মা বোন বা আত্মীয়দের জিজ্ঞাসা না করে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু ভুল কিছু ঘটে গেলে দ্রুত বউয়ের কাছে ছুটে যায়।

    ১১. অতিথি স্বামী (Guest Husband):
    এরা সব সময় বাড়িতে থাকে না, মাঝে মাঝে ভিজিটর এর মতো আসে। যে ক'দিন ঘরে থাকে বউকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। পরিবারের বাজার ঘাট বা দরকারি জিনিসপত্র কিনে দিয়ে বউ অশ্রুজল উপেক্ষা করে বিদেয় নেয়।যেমন: চাকরিজীবী, প্রবাসী স্বামী।

    ১২. যত্নশীল স্বামী (Caring Husband):
    এরা যত্নশীল, প্রেমময়; সকল মানসিক চাহিদা পুরণ করে, পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেয়। অত্যন্ত দায়িত্বশীল, স্ত্রীকে অংশীদার বিবেচনা করে, সকল কাজে সাহায্যকারী হিসাবে পাশে থাকে। তবে এরা খুব Limited Edition ও বিলুপ্তপ্রায় বিপন্ন প্রজাতির।

    আপনি কোন প্রকারের স্বামী বা আপনারটা কোন প্রকারের স্বামী দয়া করে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
    প্রশ্ন: স্বামী কাকে বলে? স্বামী কত প্রকার ও কি কি? উত্তর:-দেশে প্রচলিত আইনানুযায়ি বৈবাহিক সম্পর্কে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সঙ্গে দাম্পত্যের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া প্রাপ্তবয়স্ক পুরষটিকে স্বামী বলে। একজন স্বামী তার স্ত্রী'র থাকা-খাওয়া, ভরণ-পোষণ, জৈবিক চাহিদা, মানবিক অধিকার, সামাজিক মর্যাদা, প্রচলিত আইনের বিধি নিষেধ, ঐতিহ্য-সংস্কৃতি, সমসাময়িক ও যুগোপযোগী দায়-দায়িত্ব পালনকারী হলো স্বামী। ভালো স্বামী' আর খারাপ স্বামী' হিসাবে দুই ভাবে প্রচলিত থাকলেও বারো প্রকার স্বামী বর্তমান সমাজে বিরাজ করে। যথা: ১. ব্যাচেলর স্বামী (Bachelor Husband): এরা কেতাদুরস্ত, মুখে সর্বদা মিষ্টি হাসি থাকে। নিজেকে ব্যাচেলর বলতে ভালোবাসে। বয়স যতই হোক না কেন, কেউ ব্যাচেলর বললে খুশী হয়। স্ত্রীর চেয়ে বন্ধুদের সাথে বেশি আড্ডা দেয়। দাম্পত্য জীবন নিয়ে মোটেও সিরিয়াস নন। এদের অনেক বান্ধবীও থাকে। ২. তপ্ত স্বামী (Heated Husband): এরা সবসময় সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করে, গরম পানির মতো টগবগ করে, সব সময় রাগান্বিত, হিংস্র মেজাজ, আধিপত্যশীল ও খুব বিপজ্জনক। মধ্যরাত ছাড়া বউয়ের প্রয়োজন অনুভব করে না। গতি প্রকৃতি সাইক্লোনের মতো অনিশ্চিত। ৩. ক্রীতদাস স্বামী (Slave Husband): শ্বশুর বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা, শ্বশুরের টাকায় লেখাপড়া, ছাত্রীর সাথে প্রেম কিংবা “বিবাহের বিনিময়ে চাকুরী” কর্মসূচিসহ কিছু অজ্ঞাত দূর্বলতার কারণে এদের স্বাধীনতার অপমৃত্যু ঘটে। এরপর আর কোন ভাবেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে না। ৪. সাধারণ স্বামী (Ordinary Husband): এরা খুবই গতানুগতিক, আর দশটা স্বামীর মতোই সাধারণ নিরবে সব সয়ে যায়। এরা জেনেই গেছে পুরুষ হয়ে জন্মেছি এটুকু জ্বালা সহ্য করতেই হবে। তাই প্রতিবাদের ঝুঁকি নেয় না। ৫. চামড়ামোটা স্বামী (Fat Skinned Husband): নানান কথার বাণে বিদ্ধ হয়ে এদের চামড়া গণ্ডারের ন্যায় পুরু হয়ে যায়। “তোমার ভাগ্য ভালো যে আমার মতো ... পেয়েছো আর কেউ হলে সেই কবেই ফেলে চলে যেতো” জাতীয় বাক্যবাণ এদের চামড়া ভেদ করতে পারে না। ৬. নিপীড়িত স্বামী (Oppressed Husband): এরা নিজ বাড়ির চাইতে জেলখানা কিংবা নির্জন বনাঞ্চলকে শান্তির জায়গা মনে করে। সয়ে সয়ে উপরওয়ালার কাছে বিচার চাওয়ারও সাহস করে না। তবে পত্রিকায় কারও বউ মরার সংবাদ খুব মন দিয়ে পড়ে, তারপর কি যেনো ভেবে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আগের মতো চুপচাপ বসে থাকে। ৭. তেজপাতা স্বামী (Dry Husband): এরা খুব মুডি, কৃপণ, আত্মকেন্দ্রিক। স্ত্রীর ভালোলাগা, ইচ্ছা ও আগ্রহ মোটেও বিবেচনা করে না, রসবোধ নেই। বউ নিয়ে বেড়ানো রেস্টুরেন্টে যাওয়া, শখ করে বউয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করা এদের কাছে খুব কঠিন একটা কাজ। এরা রিলেশনকে আনন্দদায়ক করতে জানে না। ৮. দাবাড়ু স্বামী (Grand Master Husband): এরা স্ত্রীকে সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, স্ত্রীকে শুধুমাত্র তখনই ভালোবাসে যখন তার কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন হয়। এরা খুব চালাক, স্ত্রীর দুর্বলতাগুলি খুব ভালোভাবে জানে, স্বার্থ উদ্ধারে তা ভালোভাবে কাজে লাগাতে জানে। ৯. পরজীবী স্বামী (Parasite Husband): এরা অলস, শুধুমাত্র অর্থের জন্য স্ত্রীকে ভালোবাসে। বউয়ের রোজগারের টাকায় চলে, ফুটানি করে, কেউ কেউ বিভিন্ন নেশার পেছনে বউয়ের টাকা খরচ করে। সংসারের কাজে স্ত্রী'কে মোটেও সাহায্য করে না। এদের একটি প্রজাতি “ঘর জামাই বা গৃহপালিত স্বামী” নামেও পরিচিত। ১০. অপরিপক্ব স্বামী (Immatured Husband): এরা দায়িত্ব কাণ্ডজ্ঞানহীন ও শিশুসুলভ। তারা মা বোন বা আত্মীয়দের জিজ্ঞাসা না করে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু ভুল কিছু ঘটে গেলে দ্রুত বউয়ের কাছে ছুটে যায়। ১১. অতিথি স্বামী (Guest Husband): এরা সব সময় বাড়িতে থাকে না, মাঝে মাঝে ভিজিটর এর মতো আসে। যে ক'দিন ঘরে থাকে বউকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। পরিবারের বাজার ঘাট বা দরকারি জিনিসপত্র কিনে দিয়ে বউ অশ্রুজল উপেক্ষা করে বিদেয় নেয়।যেমন: চাকরিজীবী, প্রবাসী স্বামী। ১২. যত্নশীল স্বামী (Caring Husband): এরা যত্নশীল, প্রেমময়; সকল মানসিক চাহিদা পুরণ করে, পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেয়। অত্যন্ত দায়িত্বশীল, স্ত্রীকে অংশীদার বিবেচনা করে, সকল কাজে সাহায্যকারী হিসাবে পাশে থাকে। তবে এরা খুব Limited Edition ও বিলুপ্তপ্রায় বিপন্ন প্রজাতির। আপনি কোন প্রকারের স্বামী বা আপনারটা কোন প্রকারের স্বামী দয়া করে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
    Like
    3
    0 التعليقات 0 المشاركات 2075 مشاهدة 0 معاينة
  • সারাদিন পরিশ্রম শেষে একজন
    স্বামী বাসায় ঢুকে কী প্রত্যাশা করে?
    =====================

    একজন পুরুষ সারাদিন বাইরে কাজ করে আসে। সে হয় চাকরি করে অথবা ব্যবসা। রাস্তায়, অফিসে, মানুষের সাথে লেনদেনে কতো ঝামেলা পার করে সে যখন বাসায় প্রবেশ করে, তখন আশা করে যে- "বাসায় গিয়ে একটু 'শান্তি' পাবো।"

    সারাদিন সে বসের ঝাড়ি খেয়েছে বা পাওয়ানাদারের কাছ থেকে কটু কথা শুনেছে। অন্তত আর না হোক রিক্সাওয়ালার সাথে দর কষাকষি নিয়ে তার মেজাজ খারাপ হয়েছে। এমন অবস্থায় সে চায় বাসায় গিয়ে একটু মেজাজ ঠান্ডা হোক।

    নারীরা সারাদিন ঘরে অনেক পরিশ্রম করে। ঘরের কাজ যতোই করা হোক না কেনো, কখনো শেষ হয় না; হবেও না।

    আপনার স্বামী যখন ঘরে ঢুকবে, প্রথম অন্তত ১ ঘণ্টা সময় তাকে দিন। শুধুমাত্র তাকে। পানি বা শরবত এগিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে তোয়ালে এগিয়ে দেয়া, নাস্তা খেতে চাইলে সেটার ব্যবস্থা করা, রুমের ফ্যান চালু না থাকলে ফ্যান চালু করা ইত্যাদি। অর্থাৎ, প্রথম ১ ঘণ্টা সময় নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করুন, যেন সে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে যেতে পারে। ঐ সময় ভুলেও স্বামীর মেজাজ খারাপ হয়, এমন কথা বলবেন না। যেমন:

    আজ প্লেট ভেঙ্গে গেছে, টাকা দিও
    আমাদের বাসা ভাড়া, কারেন্ট বিল কি দেয়া হইছে?
    সারাদিন কী করো? একটা বারও ফোন দিলা না?
    বাসার বাজার তো শেষ হয়ে গেছে। আজকে বাজার করবা?

    স্বামী বাসায় আসার পর অনেক স্ত্রী তোড়জোড় করে কাজ শুরু করেন। ছোটো সন্তানকে একটু পরে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো গেলেও স্ত্রী সেই মুহূর্তেই এটাকে প্রায়োরিটি দেন; স্বামীর কিছু লাগবে কিনা সেদিকে ভ্রুক্ষেপই করেন না।

    একজন স্বামীর কাছে যদি মনে হয় বাইরে থাকা আর ঘরে থাকা সমান বা ঘরের চেয়ে বাইরে থাকলেই মেজাজ ভালো থাকে; তাহলে স্ত্রী হিসেবে এটা আপনার ব্যর্থতা। টক্সিক হাজবেন্ড ছাড়া একজন সুস্থ-স্বাভাবিক হাজবেন্ডের সাথে যদি আপনি আয়োজন করে সুখী হতে চান, আপনি অনেকটাই সুখী হতে পারবেন।

    স্বামী ঘরে ঢুকার পর প্রথম ১ ঘণ্টা যদি নিজেকে তার জন্য ব্যস্ত রাখেন, তর্ক-ঝগড়া করার উপলক্ষ্য আসা সত্ত্বেও যদি চুপ করে থাকেন, তাহলে আপনি কিছুই হারাবেন না। বরং এই এক ঘণ্টার এফোর্টের ফলে সারারাতের জন্য আপনি আপনার স্বামীকে পাবেন, আবদার করার এমনকি ঝগড়া করার জন্যও রাতের কয়েক ঘণ্টা পাবেন। ঐ যে আপনি আপনার স্বামীকে খুব ভালোভাবে প্রায়োরিটি দিলেন, সে যদি আসলেই ভালো স্বামী হয় বা চেষ্টা করে, তাহলে অন্তত আপনার সাথে ঐদিন ভালো ব্যবহার করবেই করবে।

    খাওয়া শেষে বলতে পারে- "থাক, আজকে আমিই তোমাকে চা বানিয়ে খাওয়াই।" দেখুন, একজন পুরুষের কাছে টাকা থাকলে বিল-ভাড়া সে পেন্ডিং রাখে না। এসব তাগাদা আপনি রাতে খাওয়া শেষেও দিতে পারেন। স্বামী সারাদিন কেনো ফোন দিতে পারেনি এটার পেছনেও স্ট্রং কারণ থাকতে পারে। সেই নিজ থেকে বলবে সারাদিন কীভাবে কাটিয়েছে।

    স্বামী ঘরে ঢুকার পর তাকে ওয়েলকাম করার জন্য আপনি কতোটা আন্তরিক, নিজের ইগো ১ ঘণ্টার জন্য হলেও বিসর্জন দিতে প্রস্তুত কি-না সেটার ওপর নির্ভর করবে ঘরে-ফেরা স্বামীর সাথে আপনার দিনের বাকি অংশ অর্থাৎ জীবনের বাকি অংশ কীভাবে কাটবে। ''নিড''।
    সারাদিন পরিশ্রম শেষে একজন স্বামী বাসায় ঢুকে কী প্রত্যাশা করে? ===================== একজন পুরুষ সারাদিন বাইরে কাজ করে আসে। সে হয় চাকরি করে অথবা ব্যবসা। রাস্তায়, অফিসে, মানুষের সাথে লেনদেনে কতো ঝামেলা পার করে সে যখন বাসায় প্রবেশ করে, তখন আশা করে যে- "বাসায় গিয়ে একটু 'শান্তি' পাবো।" সারাদিন সে বসের ঝাড়ি খেয়েছে বা পাওয়ানাদারের কাছ থেকে কটু কথা শুনেছে। অন্তত আর না হোক রিক্সাওয়ালার সাথে দর কষাকষি নিয়ে তার মেজাজ খারাপ হয়েছে। এমন অবস্থায় সে চায় বাসায় গিয়ে একটু মেজাজ ঠান্ডা হোক। নারীরা সারাদিন ঘরে অনেক পরিশ্রম করে। ঘরের কাজ যতোই করা হোক না কেনো, কখনো শেষ হয় না; হবেও না। আপনার স্বামী যখন ঘরে ঢুকবে, প্রথম অন্তত ১ ঘণ্টা সময় তাকে দিন। শুধুমাত্র তাকে। পানি বা শরবত এগিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে তোয়ালে এগিয়ে দেয়া, নাস্তা খেতে চাইলে সেটার ব্যবস্থা করা, রুমের ফ্যান চালু না থাকলে ফ্যান চালু করা ইত্যাদি। অর্থাৎ, প্রথম ১ ঘণ্টা সময় নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করুন, যেন সে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে যেতে পারে। ঐ সময় ভুলেও স্বামীর মেজাজ খারাপ হয়, এমন কথা বলবেন না। যেমন: ❌ আজ প্লেট ভেঙ্গে গেছে, টাকা দিও ❌ আমাদের বাসা ভাড়া, কারেন্ট বিল কি দেয়া হইছে? ❌ সারাদিন কী করো? একটা বারও ফোন দিলা না? ❌ বাসার বাজার তো শেষ হয়ে গেছে। আজকে বাজার করবা? স্বামী বাসায় আসার পর অনেক স্ত্রী তোড়জোড় করে কাজ শুরু করেন। ছোটো সন্তানকে একটু পরে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো গেলেও স্ত্রী সেই মুহূর্তেই এটাকে প্রায়োরিটি দেন; স্বামীর কিছু লাগবে কিনা সেদিকে ভ্রুক্ষেপই করেন না। একজন স্বামীর কাছে যদি মনে হয় বাইরে থাকা আর ঘরে থাকা সমান বা ঘরের চেয়ে বাইরে থাকলেই মেজাজ ভালো থাকে; তাহলে স্ত্রী হিসেবে এটা আপনার ব্যর্থতা। টক্সিক হাজবেন্ড ছাড়া একজন সুস্থ-স্বাভাবিক হাজবেন্ডের সাথে যদি আপনি আয়োজন করে সুখী হতে চান, আপনি অনেকটাই সুখী হতে পারবেন। স্বামী ঘরে ঢুকার পর প্রথম ১ ঘণ্টা যদি নিজেকে তার জন্য ব্যস্ত রাখেন, তর্ক-ঝগড়া করার উপলক্ষ্য আসা সত্ত্বেও যদি চুপ করে থাকেন, তাহলে আপনি কিছুই হারাবেন না। বরং এই এক ঘণ্টার এফোর্টের ফলে সারারাতের জন্য আপনি আপনার স্বামীকে পাবেন, আবদার করার এমনকি ঝগড়া করার জন্যও রাতের কয়েক ঘণ্টা পাবেন। ঐ যে আপনি আপনার স্বামীকে খুব ভালোভাবে প্রায়োরিটি দিলেন, সে যদি আসলেই ভালো স্বামী হয় বা চেষ্টা করে, তাহলে অন্তত আপনার সাথে ঐদিন ভালো ব্যবহার করবেই করবে। খাওয়া শেষে বলতে পারে- "থাক, আজকে আমিই তোমাকে চা বানিয়ে খাওয়াই।" দেখুন, একজন পুরুষের কাছে টাকা থাকলে বিল-ভাড়া সে পেন্ডিং রাখে না। এসব তাগাদা আপনি রাতে খাওয়া শেষেও দিতে পারেন। স্বামী সারাদিন কেনো ফোন দিতে পারেনি এটার পেছনেও স্ট্রং কারণ থাকতে পারে। সেই নিজ থেকে বলবে সারাদিন কীভাবে কাটিয়েছে। স্বামী ঘরে ঢুকার পর তাকে ওয়েলকাম করার জন্য আপনি কতোটা আন্তরিক, নিজের ইগো ১ ঘণ্টার জন্য হলেও বিসর্জন দিতে প্রস্তুত কি-না সেটার ওপর নির্ভর করবে ঘরে-ফেরা স্বামীর সাথে আপনার দিনের বাকি অংশ অর্থাৎ জীবনের বাকি অংশ কীভাবে কাটবে। ''নিড''।
    Like
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 1761 مشاهدة 0 معاينة
  • এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক খবরের কাগজে একদিন একটি বিজ্ঞাপন দিলেনঃ আমার বর্তমান বয়স ৮৯ বছর । মৃত্যুর সময় আগত । আমার 5 কোটি টাকা আছে । আমার কোন উত্তরাধিকারী নেই । এই টাকাটি আমি চার প্রকার লোকের মধ্যে সমভাবে বন্টন করে দিতে চাই ।
    ১ । সৎ ও নির্লোভ ২৫%
    ২ । সৎ ও লোভী ২৫%
    ৩ । অসৎ ও নির্লোভ ২৫%
    ৪ । অসৎ ও লোভী ২৫%
    প্রমাণসহ আগ্রহী ব্যক্তিদের সুভাষ প্রাথমিক বিদ্যাপীঠের মাঠে উপস্থিত হতে বলা হচ্ছে । ১ নং ব্যক্তিরা ডান হাত তুলে ২নং ব্যক্তিরা ডান পা তুলে ৩নং ব্যক্তিরা বাঁ হাত তুলে ও ৪ নং ব্যক্তিরা বাঁ পা তুলে উপস্থিত হবেন ১০ই জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকায় ।
    ১০ই জুলাই সুভাষ বিদ্যালয়ের মাঠে কয়েক হাজার লোক উপস্থিত হতে দেখা গেল । তবে সকলেরই ডান হাত তোলা ।
    বৃদ্ধ ভদ্রলোকটি সব দেখেশুনে বললেন, এত নির্লোভ মানুষ একসাথে দেখার সৌভাগ্য সকলের হয়না । আমার চোখে আনন্দাশ্রু প্লাবিত হচ্ছে । তবে কিনা কথাটা হল - নির্লোভ মানুষ টাকা নিতে আসবে কেন? আমি লোভীদেরই টাকাটা দেব স্থির করেছি । যারা ঐ জাতীয় তাঁদের দুই হাত তুলতে অনুরোধ করছি ।
    দেখা গেল সিংহ ভাগ লোক চটজলদি দুই হাত তুলে ফেলল ।
    বৃদ্ধ ভদ্রলোক হেসে বললেন, দুহাত তোলা চোখ পাল্টি করা মিথ্যুকরা বাড়ি যান । আর যে গুটিকয় ব্যক্তি চক্ষুলজ্জার খাতিরে দুহাত তুলতে পারেননি তাঁদের জানাই, অপরের টাকায় লোভ ভাল নয় । আর সত্যি কথা বলতে কি আমার 5 কোটি তো দূরস্থান দশহাজার টাকাও নেই। আপনারা যদি একশো টাকা করে আমায় ডোনেট করেন তাহলে বর্তে যাই ।
    পত্রপাঠ জায়গাটা শুনশান হয়ে গেল । কিন্তু একটা ছেলে এগিয়ে এল একশো টাকার নোট হাতে ।
    বৃদ্ধ বললেন, সে কি! তুমি আবার কোন দলের হে?
    ছেলেটি বলল, 'দাদু যেখানে ভীড় সেটাই আমার কর্মস্থল । আমি পকেটমার । আপনি আমার কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন তাই বখশিস দিচ্ছি।।
    এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক খবরের কাগজে একদিন একটি বিজ্ঞাপন দিলেনঃ আমার বর্তমান বয়স ৮৯ বছর । মৃত্যুর সময় আগত । আমার 5 কোটি টাকা আছে । আমার কোন উত্তরাধিকারী নেই । এই টাকাটি আমি চার প্রকার লোকের মধ্যে সমভাবে বন্টন করে দিতে চাই । ১ । সৎ ও নির্লোভ ২৫% ২ । সৎ ও লোভী ২৫% ৩ । অসৎ ও নির্লোভ ২৫% ৪ । অসৎ ও লোভী ২৫% প্রমাণসহ আগ্রহী ব্যক্তিদের সুভাষ প্রাথমিক বিদ্যাপীঠের মাঠে উপস্থিত হতে বলা হচ্ছে । ১ নং ব্যক্তিরা ডান হাত তুলে ২নং ব্যক্তিরা ডান পা তুলে ৩নং ব্যক্তিরা বাঁ হাত তুলে ও ৪ নং ব্যক্তিরা বাঁ পা তুলে উপস্থিত হবেন ১০ই জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকায় । ১০ই জুলাই সুভাষ বিদ্যালয়ের মাঠে কয়েক হাজার লোক উপস্থিত হতে দেখা গেল । তবে সকলেরই ডান হাত তোলা । বৃদ্ধ ভদ্রলোকটি সব দেখেশুনে বললেন, এত নির্লোভ মানুষ একসাথে দেখার সৌভাগ্য সকলের হয়না । আমার চোখে আনন্দাশ্রু প্লাবিত হচ্ছে । তবে কিনা কথাটা হল - নির্লোভ মানুষ টাকা নিতে আসবে কেন? আমি লোভীদেরই টাকাটা দেব স্থির করেছি । যারা ঐ জাতীয় তাঁদের দুই হাত তুলতে অনুরোধ করছি । দেখা গেল সিংহ ভাগ লোক চটজলদি দুই হাত তুলে ফেলল । বৃদ্ধ ভদ্রলোক হেসে বললেন, দুহাত তোলা চোখ পাল্টি করা মিথ্যুকরা বাড়ি যান । আর যে গুটিকয় ব্যক্তি চক্ষুলজ্জার খাতিরে দুহাত তুলতে পারেননি তাঁদের জানাই, অপরের টাকায় লোভ ভাল নয় । আর সত্যি কথা বলতে কি আমার 5 কোটি তো দূরস্থান দশহাজার টাকাও নেই। আপনারা যদি একশো টাকা করে আমায় ডোনেট করেন তাহলে বর্তে যাই । পত্রপাঠ জায়গাটা শুনশান হয়ে গেল । কিন্তু একটা ছেলে এগিয়ে এল একশো টাকার নোট হাতে । বৃদ্ধ বললেন, সে কি! তুমি আবার কোন দলের হে? ছেলেটি বলল, 'দাদু যেখানে ভীড় সেটাই আমার কর্মস্থল । আমি পকেটমার । আপনি আমার কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন তাই বখশিস দিচ্ছি।।
    Like
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 1696 مشاهدة 0 معاينة
  • গায়রত কী?
    সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না।
    এটাই গায়রত।
    একজন গায়রতহীন পুরুষ বড়ই ভয়ংকর।
    এখনকার সময়ের পুরুষদের গায়রত থাকবে তো দূর, তারা তাদের স্ত্রীর বেপর্দা ছবি ফেসবুকে আপলোড দেয়!!
    আল্লাহুম্মাগফিরলী..!

    ঘটনা ১
    একদিন এক ব্যাক্তি আলি ইবনু আবি তালিব (রা) কে জিজ্ঞাসা করলেন তার স্ত্রী কেমন আছে?
    তিনি উত্তর দিলেন:
    " যদি তোমার রক্ত হালাল হতো,তাহলে আমি তরবারি দিয়ে তোমার মাথা কেটে ফেলতাম।"
    [ ইবনে কাসীর,আল- বিদায়া ওয়ান- নিহায়া]

    ঘটনা ২
    মক্কার এক মুশরিক তার উটকে জবেহ
    করে দিচ্ছিলো। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো আপনি উট টি জবেহ কেন করলেন?
    আপনার টাকার প্রয়োজন হলেত বিক্রি করে দিতে পারতেন।
    তখন লোকটি বললো,
    এই উটের উপর আমার মহিলারা বসতো, বিক্রি করে দিলে এই উটের উপর অন্যপুরুষ বসবে এটা আমার সহ্য হবে না,
    তাই এই উটই আমি রাখবো না।
    একজন মুশরিক হওয়া সত্বেও তার কত গায়রত!!!
    আর আমাদের ভাই- বোনদের কি দশা??
    আস্তাগফিরুল্লাহ্

    গায়রতহীন পুরুষরা সবাই দাইয়ুজ। রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তারা জান্নাত তো পাবেই না, জান্নাতের গন্ধও পাবে না।

    وَ مَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا مَتَاعُ الۡغُرُوۡرِ ﴿۲۰﴾
    আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোকার সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়।
    (সুরা হাদীদ-২০)

    এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে!
    সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে?
    (সূরা ফাজর,আয়াত-২০)
    স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বন্ধুদের সাথে হাসি তামাসা আড্ডায় ব্যস্ত থাকে!!
    বউয়ের চুল দেখা যাবে তাতে কষ্ট পাবে তো দূর, বিয়ের সময় বন্ধুকে নিজের বউকে দেখিয়ে পরে আবার শোনে, মেয়েটা কেমন রে!!
    বন্ধুদের চোখের খোরাক বানিয়ে তারপর সে বিয়ে করে!
    আর এটাই নাকি এখনকার ভদ্র সমাজের ট্রেন্ড!

    আল্লাহুম্মাগফিরলী
    আর এখনকার পুরুষদের গায়রত থাকবে তো দূরের কথা,,,
    অনেকে গায়রত কি সেটাও জানেনা
    হায় আফসোস!

    এই উম্মাহর কোনো নারী গায়রতহীন পুরুষকে আপন করে নিছে এমন নজির নাই।
    হায় আফসোস!
    এই উম্মার পুরুষরা আজ জানেই না
    গায়রত কী?
    মহিলারা আজ বোঝে না গায়রতের মর্ম।
    বরং তারা গায়রতহীন চাকচিক্যময় নিবেদিত পুরুষদেরই খুঁজে ফেরে হর হামেশা
    গায়রতহীন পুরুষরা সবাই দাইয়ুজ রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তারা জান্নাত তো পাবেই না, জান্নাতের গন্ধও পাবে না।
    ইয়া রব বুঝার তৌফিক দান করুন সকল মুসলিম ভাই বোনকে।
    গায়রত কী? সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত। একজন গায়রতহীন পুরুষ বড়ই ভয়ংকর। এখনকার সময়ের পুরুষদের গায়রত থাকবে তো দূর, তারা তাদের স্ত্রীর বেপর্দা ছবি ফেসবুকে আপলোড দেয়!! আল্লাহুম্মাগফিরলী..! ঘটনা ১ একদিন এক ব্যাক্তি আলি ইবনু আবি তালিব (রা) কে জিজ্ঞাসা করলেন তার স্ত্রী কেমন আছে? তিনি উত্তর দিলেন: " যদি তোমার রক্ত হালাল হতো,তাহলে আমি তরবারি দিয়ে তোমার মাথা কেটে ফেলতাম।" [ ইবনে কাসীর,আল- বিদায়া ওয়ান- নিহায়া] ঘটনা ২ মক্কার এক মুশরিক তার উটকে জবেহ করে দিচ্ছিলো। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো আপনি উট টি জবেহ কেন করলেন? আপনার টাকার প্রয়োজন হলেত বিক্রি করে দিতে পারতেন। তখন লোকটি বললো, এই উটের উপর আমার মহিলারা বসতো, বিক্রি করে দিলে এই উটের উপর অন্যপুরুষ বসবে এটা আমার সহ্য হবে না, তাই এই উটই আমি রাখবো না। একজন মুশরিক হওয়া সত্বেও তার কত গায়রত!!! আর আমাদের ভাই- বোনদের কি দশা?? আস্তাগফিরুল্লাহ্ গায়রতহীন পুরুষরা সবাই দাইয়ুজ। রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তারা জান্নাত তো পাবেই না, জান্নাতের গন্ধও পাবে না। وَ مَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا مَتَاعُ الۡغُرُوۡرِ ﴿۲۰﴾ আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোকার সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়। (সুরা হাদীদ-২০) এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে! সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে? (সূরা ফাজর,আয়াত-২০) স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বন্ধুদের সাথে হাসি তামাসা আড্ডায় ব্যস্ত থাকে!! বউয়ের চুল দেখা যাবে তাতে কষ্ট পাবে তো দূর, বিয়ের সময় বন্ধুকে নিজের বউকে দেখিয়ে পরে আবার শোনে, মেয়েটা কেমন রে!! বন্ধুদের চোখের খোরাক বানিয়ে তারপর সে বিয়ে করে! আর এটাই নাকি এখনকার ভদ্র সমাজের ট্রেন্ড! আল্লাহুম্মাগফিরলী আর এখনকার পুরুষদের গায়রত থাকবে তো দূরের কথা,,, অনেকে গায়রত কি সেটাও জানেনা হায় আফসোস! এই উম্মাহর কোনো নারী গায়রতহীন পুরুষকে আপন করে নিছে এমন নজির নাই। হায় আফসোস! এই উম্মার পুরুষরা আজ জানেই না গায়রত কী? মহিলারা আজ বোঝে না গায়রতের মর্ম। বরং তারা গায়রতহীন চাকচিক্যময় নিবেদিত পুরুষদেরই খুঁজে ফেরে হর হামেশা গায়রতহীন পুরুষরা সবাই দাইয়ুজ রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তারা জান্নাত তো পাবেই না, জান্নাতের গন্ধও পাবে না। ইয়া রব বুঝার তৌফিক দান করুন সকল মুসলিম ভাই বোনকে।
    Like
    2
    0 التعليقات 0 المشاركات 1865 مشاهدة 0 معاينة
  • শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন
    জমি ক্রয়ের পূর্বে ও পরে যা করণীয়।
    জমি ক্রয় কালে ক্রেতাদেরকে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা তুলে ধরা হলোঃ

    ১। জরিপের মাধ্যমে প্রণীত রেকর্ড অর্থাৎ খতিয়ান ও নকশা যাচাই করতে হবে।
    ২। জমির তফসিল অর্থাৎ জমির মৌজা, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর উক্ত দাগে জমির মোট পরিমাণ জানতে হবে।
    ৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিএস, এসএ, আরএস, বিএস পর্চা দেখতে হবে।
    ৪। বিক্রেতা ক্রয়সূত্রে ভূমির মালিক হয়ে থাকলে তার ক্রয় দলিল বা ভায়া দলিল রেকর্ডের সঙ্গে মিল করে বিক্রেতার মালিকানা নিশ্চিত হতে হবে।
    ৫। বিক্রেতা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হলে সর্বশেষ জরিপের খতিয়ান বিক্রেতা বা তিনি যার মাধ্যমে প্রাপ্ত তার নামে অস্তিত্ব (যোগসূত্র) মিলিয়ে দেখতে হবে।
    ৬। জরিপ চলমান এলাকায় বিক্রেতার কাছে রক্ষিত মাঠ পর্চা যাচাই করে দেখতে হবে।
    ৭। বিক্রেতার কাছ থেকে সংগৃহীত দলিল সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিস/জেলা রেজিস্ট্রার রেকর্ড রুম হতে যাচাই করে দেখতে হবে।
    ৮। খতিয়ান/পর্চা/মৌজা ম্যাপ ইত্যাদি কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিস/উপজেলা ভূমি অফিস/জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুম হতে যাচাই করে দেখতে হবে।
    ৯। হাল সন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধ আছে কি না দেখতে হবে।
    ১০। প্রস্তাবিত সম্পত্তির দখল বিক্রেতার আছে কি না। সম্পত্তিতে বিক্রেতার দখল না থাকলে সে জমি ক্রয় করা উচিত হবে না।
    ১১। ওয়ারিশি জমি কিনতে চাইলে, ঐ সম্পত্তিতে মোট কতজন ওয়ারিশ আছে তা খোজ নিয়ে দেখুন। আপনি যে ওয়ারিশের নিকট থেকে কিনবেন, তার ততটুকু বিক্রয়ের অধিকার আছে কিনা যাচাই করুন।
    ১২। সম্পত্তিটি খাস কিংবা সরকারী কিনা যাচাই করুন। সরকারী বা খাস সম্পত্তি বিধিবহির্ভূত ভাবে ক্রয়-বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
    ১৩। অন্য কোন পক্ষের সাথে বিক্রয় চুক্তি বা বায়না পত্র রেজিস্ট্রি করা আছে কি না তা যাচাই করুন।
    ১৪। ব্যাংক বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ কি না তা যাচাই করুন।
    ১৫। জমি বিক্রয়ের জন্য অ্যাটর্নি নিয়োগ করা আছে কিনা তা যাচাই করুন। অ্যাটর্নি নিয়োগ করা থাকলে অ্যাটর্নি ছাড়া মূল মালিকের সম্পাদন গ্রহণযোগ্য নয়।
    ১৬। জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলছে কিনা যাচাই করুন। মামলাভুক্ত জমি কেনা উচিত নয়।

    জমি ক্রয়ের পরে ক্রেতা বা মালিকের করণীয়ঃ

    ১। জমি রেজিস্ট্রি করার পর ক্রয়কৃত জমির দখল, সীমানা নির্ধারণ এবং জমি ব্যবহার তথা চাষাবাদ বা বাড়ীঘর নির্মাণ করা।
    ২। রেজিস্ট্রি অফিস হতে মূল দলিল গ্রহন করা। মূল দলিল প্রাপ্তিতে বিলম্ব হলে দলিলের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করা।
    ৩। মিউটেশন/নামজারী করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অফিসে দলিলের সত্যায়িত কপিসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে মিউটেশন/নামজারী করানোর ব্যবস্থা করা।
    ৪। নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করা হলে জমি নিলাম হয়ে যেতে পারে।
    ৫। ভালোভাবে জমির সীমানা চিহ্নিত করে না রাখলে অন্যেরা অনধিকার প্রবেশ করার সুযোগ পাবে।
    ভূমি সম্পর্কিত যে কোন পরামর্শ নিতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ
    #landmeasure #land #dolil #jomidari #realestate #জমি_মাপা #virals #ভূমি #landscape
    শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন ✅ 🔰জমি ক্রয়ের পূর্বে ও পরে যা করণীয়। জমি ক্রয় কালে ক্রেতাদেরকে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা তুলে ধরা হলোঃ👇👇 ১। জরিপের মাধ্যমে প্রণীত রেকর্ড অর্থাৎ খতিয়ান ও নকশা যাচাই করতে হবে। ২। জমির তফসিল অর্থাৎ জমির মৌজা, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর উক্ত দাগে জমির মোট পরিমাণ জানতে হবে। ৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিএস, এসএ, আরএস, বিএস পর্চা দেখতে হবে। ৪। বিক্রেতা ক্রয়সূত্রে ভূমির মালিক হয়ে থাকলে তার ক্রয় দলিল বা ভায়া দলিল রেকর্ডের সঙ্গে মিল করে বিক্রেতার মালিকানা নিশ্চিত হতে হবে। ৫। বিক্রেতা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হলে সর্বশেষ জরিপের খতিয়ান বিক্রেতা বা তিনি যার মাধ্যমে প্রাপ্ত তার নামে অস্তিত্ব (যোগসূত্র) মিলিয়ে দেখতে হবে। ৬। জরিপ চলমান এলাকায় বিক্রেতার কাছে রক্ষিত মাঠ পর্চা যাচাই করে দেখতে হবে। ৭। বিক্রেতার কাছ থেকে সংগৃহীত দলিল সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিস/জেলা রেজিস্ট্রার রেকর্ড রুম হতে যাচাই করে দেখতে হবে। ৮। খতিয়ান/পর্চা/মৌজা ম্যাপ ইত্যাদি কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিস/উপজেলা ভূমি অফিস/জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুম হতে যাচাই করে দেখতে হবে। ৯। হাল সন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধ আছে কি না দেখতে হবে। ১০। প্রস্তাবিত সম্পত্তির দখল বিক্রেতার আছে কি না। সম্পত্তিতে বিক্রেতার দখল না থাকলে সে জমি ক্রয় করা উচিত হবে না। ১১। ওয়ারিশি জমি কিনতে চাইলে, ঐ সম্পত্তিতে মোট কতজন ওয়ারিশ আছে তা খোজ নিয়ে দেখুন। আপনি যে ওয়ারিশের নিকট থেকে কিনবেন, তার ততটুকু বিক্রয়ের অধিকার আছে কিনা যাচাই করুন। ১২। সম্পত্তিটি খাস কিংবা সরকারী কিনা যাচাই করুন। সরকারী বা খাস সম্পত্তি বিধিবহির্ভূত ভাবে ক্রয়-বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ১৩। অন্য কোন পক্ষের সাথে বিক্রয় চুক্তি বা বায়না পত্র রেজিস্ট্রি করা আছে কি না তা যাচাই করুন। ১৪। ব্যাংক বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ কি না তা যাচাই করুন। ১৫। জমি বিক্রয়ের জন্য অ্যাটর্নি নিয়োগ করা আছে কিনা তা যাচাই করুন। অ্যাটর্নি নিয়োগ করা থাকলে অ্যাটর্নি ছাড়া মূল মালিকের সম্পাদন গ্রহণযোগ্য নয়। ১৬। জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলছে কিনা যাচাই করুন। মামলাভুক্ত জমি কেনা উচিত নয়। ✅জমি ক্রয়ের পরে ক্রেতা বা মালিকের করণীয়ঃ ১। জমি রেজিস্ট্রি করার পর ক্রয়কৃত জমির দখল, সীমানা নির্ধারণ এবং জমি ব্যবহার তথা চাষাবাদ বা বাড়ীঘর নির্মাণ করা। ২। রেজিস্ট্রি অফিস হতে মূল দলিল গ্রহন করা। মূল দলিল প্রাপ্তিতে বিলম্ব হলে দলিলের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করা। ৩। মিউটেশন/নামজারী করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অফিসে দলিলের সত্যায়িত কপিসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে মিউটেশন/নামজারী করানোর ব্যবস্থা করা। ৪। নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করা হলে জমি নিলাম হয়ে যেতে পারে। ৫। ভালোভাবে জমির সীমানা চিহ্নিত করে না রাখলে অন্যেরা অনধিকার প্রবেশ করার সুযোগ পাবে। ভূমি সম্পর্কিত যে কোন পরামর্শ নিতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ ✅ #landmeasure #land #dolil #jomidari #realestate #জমি_মাপা #virals #ভূমি #landscape
    Like
    3
    0 التعليقات 1 المشاركات 3045 مشاهدة 0 معاينة
  • উজবেকিস্তানে এসে এই ছবিটি আমার হেঁটে বিশ্ব ভ্রমণের অন্যতম একটা শিক্ষা, এই ছবিটি ভালো করে দেখলে দেখবেন যে বেশ কয়েকটা পাখি দোকান থেকে খাবার খাচ্ছে।
    আমি তাসখন্দ শহর থেকে বের হয়ে এবার হাইওয়ে ধরে হাঁটছি তাজিকিস্তানের দিকে, পথে একটি ছোট বাজারে এই খাদ্য শস্যের দোকানটি গম, ভূট্টা, ডাল ইত্যাদি রাখা আছে এইভাবেই, পাখি গুলো এসে নিজের মত করে খেয়ে যাচ্ছে মানুষ সামনে থাকলেও ভয় পায়না নিজের মত করে খেয়ে যাচ্ছে কেউ কিছু বলছেনা আমি এই ঘটনা কতক্ষণ দেখলাম তারপর দোকানে গিয়ে দোকানদারকে (গুগুল ট্রান্সলেট) জিজ্ঞেস করলাম যে পাখি সব খেয়ে ফেলছে তো এগুলাকে কিছু বলছেন না যে?
    উনি উত্তরে যা বললো সত্যি অসাধারণ লাগলো, উনার কথাটা এমন ছিলো যে,
    "যার যার রিজিক সে খাচ্ছে তাতে আমি বাধা দেয়ার কে, আমার কাছে আল্লাহ এদের রিজিকের ব্যাবস্থা করেছেন সে তার রিজিক খাচ্ছে। এদের খাওয়ার ফলে আমার শস্য কখনো কম হয়নি"।
    সবার চিন্তা যদি সত্যি এমন হতো?
    আমরা কত করে বলি যে আমি তাকে খাওয়াচ্ছি সে আমারটা খাচ্ছে অথচ আল্লাহ বলেই দিয়েছেন সবার রিজিক দিয়েই আমি পাঠিয়েছি তবুও আমাদের কত অহংকার।
    এই ব্যাপার গুলো আমরা বুঝতে পারলেই হয়তো পৃথিবী আরোও সুন্দর হয়ে যেত।

    #collected
    উজবেকিস্তানে এসে এই ছবিটি আমার হেঁটে বিশ্ব ভ্রমণের অন্যতম একটা শিক্ষা, এই ছবিটি ভালো করে দেখলে দেখবেন যে বেশ কয়েকটা পাখি দোকান থেকে খাবার খাচ্ছে। আমি তাসখন্দ শহর থেকে বের হয়ে এবার হাইওয়ে ধরে হাঁটছি তাজিকিস্তানের দিকে, পথে একটি ছোট বাজারে এই খাদ্য শস্যের দোকানটি গম, ভূট্টা, ডাল ইত্যাদি রাখা আছে এইভাবেই, পাখি গুলো এসে নিজের মত করে খেয়ে যাচ্ছে মানুষ সামনে থাকলেও ভয় পায়না নিজের মত করে খেয়ে যাচ্ছে কেউ কিছু বলছেনা আমি এই ঘটনা কতক্ষণ দেখলাম তারপর দোকানে গিয়ে দোকানদারকে (গুগুল ট্রান্সলেট) জিজ্ঞেস করলাম যে পাখি সব খেয়ে ফেলছে তো এগুলাকে কিছু বলছেন না যে? উনি উত্তরে যা বললো সত্যি অসাধারণ লাগলো, উনার কথাটা এমন ছিলো যে, "যার যার রিজিক সে খাচ্ছে তাতে আমি বাধা দেয়ার কে, আমার কাছে আল্লাহ এদের রিজিকের ব্যাবস্থা করেছেন সে তার রিজিক খাচ্ছে। এদের খাওয়ার ফলে আমার শস্য কখনো কম হয়নি"। সবার চিন্তা যদি সত্যি এমন হতো? আমরা কত করে বলি যে আমি তাকে খাওয়াচ্ছি সে আমারটা খাচ্ছে অথচ আল্লাহ বলেই দিয়েছেন সবার রিজিক দিয়েই আমি পাঠিয়েছি তবুও আমাদের কত অহংকার। এই ব্যাপার গুলো আমরা বুঝতে পারলেই হয়তো পৃথিবী আরোও সুন্দর হয়ে যেত। #collected
    Like
    4
    0 التعليقات 0 المشاركات 2150 مشاهدة 0 معاينة
الصفحات المعززة
إعلان مُمول
fresh