• আমেরিকার ভূরাজনীতি ও একটি অভ্যুত্থান

    আমাদের প্রথমেই মনে রাখতে হবে আমেরিকা কখনো দেশ গঠনে বন্ধুপ্রতীম নয়।তারা সাধারনণত কথিত উঠতি অর্থনীতির দেশকে ফেলে দেয়ার জন্য কাজ করে থাকে।দর্জিগিরি আর ক্রীতদাস বিক্রির টাকার উপর নির্ভর করে যেটুকু এগিয়েছিলো বাংলাদেশ,তা টেকসই কিছু নয়।আর জাতিগঠনের মৌলিক দিকে না এগিয়ে রাস্তা আর ব্রিজের যে উন্নয়ন তা মানবিক মানুষ গঠনে ব্যর্থ হয়ে কোনদিকে গিয়েছে,দেখাই যাচ্ছে।তো, আসা যাক মূল আলোচনায়।যেসব দেশকে আমেরিকা ফেলে দেয়, সেসব শাসকদের অন্যায় থাকে না,তা নয়। দীর্ঘদিন শাসন চালিয়ে তারা শোষক হয়ে ওঠে।শোষণ, অত্যাচার,দুর্নীতি ক্রমবর্ধমান আকারে বেড়ে মানুষকে আক্রান্ত করে ফেলে।কিন্তু এসব মূলত আমেরিকার ক্ষোভের কারণ নয়।যতোক্ষণ পর্যন্ত তারা আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করতে পারে,ততোক্ষণ তারা সকল অন্যায় দেখেও দেখে না।ঠিক যখন তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়,তখন তারা যেভাবেই হোক সেই সরকারকে ফেলে দেয়। ইরাক, লিবিয়া,আফগানিস্তান এমন ঘটনার শিকার। নতুন যুক্ত হলো বাংলাদেশ।

    আমেরিকার বহুদিনের পরিকল্পনা বাংলাদেশ- মিয়ানমার-সেভেন সিস্টার ওয়ার জোন তৈরি করা। উদ্দেশ্য চীনের নজরদারী বৃদ্ধি করা।এদিকে চীন সফরে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে ১৬০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুত প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছেন।বাংলাদেশের কর্ণফুলী ট্যানেলও করে দিয়েছে চীনারাই।চীনাদের পরিকল্পিত ভারত ঘেরাওয়ের কাজ তারা এগিয়ে নিচ্ছিলো।ত্রিমুখী শক্তির মাঝখানে বাংলাদেশ যেন গরীব ঘরের এক সুন্দরী, ধর্ষিত হওয়া ছিলো তার সময়ের ব্যাপার।চীনের পরিকল্পনা আর এগোতে দিলে ভারতের বিপদ। আমেরিকা চায় না চীনের শক্তি বৃদ্ধি পাক।আবার ভারত চীন দুদেশই চায় বাংলাদেশ তার একক প্রেমিকা থাকুক।এমন অবস্থায় নীতি বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে যায়।উদগ্র উন্নতির আকাঙ্ক্ষা মাঝে মাঝে বিপদে ফেলে।বেশি আশা লোভের নৌকায় নিয়ে যায় মানুষকে।

    চীনারা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উত্তরে তাদের ভূমিতে কাশগড় থেকে পাকিস্তানের দক্ষিণে গ্যদার সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে।তারপর ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রেলপথের প্রজেক্ট নিয়েছে।এদিকে শ্রীলঙ্কার হাম্বারটোটা বন্দর চীনাদের নিয়ন্ত্রণে। চতুর্ভুজাকারে ভারতকে ঘিরে ঘরার জন্য প্রয়োজন ছিলো কক্সবাজারে একটি স্থাপনা।কক্সবাজার থেকে মিয়ানমারের উপর দিয়ে উত্তর মিয়ানমার--অরুণাচল হয়ে দক্ষিণ তিব্বত হয়ে কাশগড় পর্যন্ত রোড ইনফ্রাসট্রাকচার বানিয়ে এসব জায়গায় সামরিক স্থাপনা বসিয়ে ভারতকে ঘিরে ধরা চীনের উদ্দেশ্য। আমেরিকার হস্তক্ষেপ থেকে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে ভারত এবার বন্ধুত্ব থেকে তার হাত গুটিয়ে নিলো।দুই নৌকায় পা দেয়ার ফলাফল হলো ভয়াবহ।অনেক উন্নতির আকাঙ্ক্ষা ভরাডুবির দিকে ধাবিত করলো।

    অভ্যুত্থানের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ পাঠ করলেই জানা যায় আমেরিকা কীভাবে পরিকল্পনার দিকে এগোয়। শীর্ষস্থানীয় কোনো পত্রিকার মাধ্যমে কিছু মানুষকে তারা নায়ক বানিয়ে তোলে।তাদের গায়ে আন্তর্জাতিক পদকের ভূষণ লাগানো হয়।এদিকে বাজার অনিয়ন্ত্রণ করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে সাধারণ জনগণকে বিষিয়ে তোলা হয়। এমন অবস্থায়ও সরকার টিকে থাকতে পারে,যদি দারুণ সৎ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করে। উদাহরণ হিসেবে ফিদেল কাস্ট্রোর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।তাঁর মিতো সৎ থেকে কঠোর কঠিনভাবে রাষ্ট্র চালাতে বাংলাদেশের সরকার পারেনি। বরং স্বজনপ্রীতি,দুর্নীতি,অর্থপাচার,ক্ষমতার অপব্যবহার মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে।শক্তিশালী বহিঃশত্রু থেকে আপনি তখনই বাঁচতে পারবেন,যখন আপনার ঘর ঠিক থাকবে।

    অভ্যুত্থানের পূর্বে জনগণের ক্ষুব্ধতার সাথে সামরিক বাহিনীকেও ক্ষুব্ধ করার নানামুখী কার্যকলাপ গ্রহণ করা হয়। পরিকল্পিত অনিয়ম ঘটিয়ে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়।বলতে পারেন, সবকিছু আমেরিকার পরিকল্পনা,তবে শেখ হাসিনার দোষ নাই? দোষ আছে।সেটার একদিক হলো ফিদেল এর মতো হতে না পারা।অশিল্প লোভের দোকান।তবে এমন ঘটনা ২০০৬ সালেই হতে পারতো। আমেরিকার ১৮ বছর দেরি হলো,এই যা!

    অভ্যুত্থান বা কোনো দেশের সরকারকে ফেলে দিতে আমেরিকা দীর্ঘ গবেষণা চালায়।সেই চেশের মানুষ, সমাজ ও মানুষের আবেগের চুকচেরা বিশ্লেষণ করে। পতিত বামদের আবেগ আর ধর্মের অন্ধতা এখানে প্রয়োগ করা হয়।বাজার পপরিস্থিতি আর আইনশৃঙ্খলা এমন অবস্থায় আসে যে শাসককে হত্যা করলেও জনগণ ক্ষোভের পরিবর্তে উল্লাস করবে।এ এক সাজানো চিত্রনাট্য ;যার উপর দিয়ে হেঁটে যাবে তার জন্মভূমির মানুষেরা।হেঁটে যাবে আধাবুদ্ধিজীবী।

    অভ্যুত্থানের পর কী হয়
    হুমায়ূন আহমেদ তাঁর দেয়াল উপন্যাসে লিখেছেন, মেজর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের পর সে বছর প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাধারনণত ইলিশ মাছের দাম কমলে অন্য মাছের দামও কমে যায়। আরবীয় দেশগুলোর সাহায্য আসতে থাকে।জনগণ খুব খুশি হলো। ভাবলো, দেশের উপর একটা রহমত এসেছে। অপরদিকে ক্যান্টনমেন্ট এর ভেতরে শত শত হত্যার হাহাকারে বাতাস ভারি হয়ে উঠলো।এবারও এমন কিছু হতে পারে। ভর্তুকি দিয়ে দ্রব্যমূল্য কিছুটা কমানো হতে পারে। সাধারণ মানুষ থেকে ফেসবুক বুদ্ধিজীবীরা সরকারের প্রশংসা করবে।মিডিয়াগুলোতে প্রচুর সুনাম করা হবে। আসল বীভৎসতা প্রকাশ পাবে অনেক পরে। চলবে আর্মির অভিযান। অপছন্দের লোকদের বাড়ি থেকে টাকা ও অস্ত্র বের হবে।মানুষ জয়ধ্বনি দেবে। আর্মির প্রশংসা করবে।কেউ ভাববেও না,একদল মানুষ যারা ইতিহাস,দর্শন,সাহিত্য,রাজনীতির কিছুই না জেনে শুধু অস্ত্রের জোরে ১৮ কোটি মানুষের উপরে মাতবরি করছে।

    আমেরিকার পরবর্তী কাজ
    এই সরকার সহজে ক্ষমতা ছাড়বে না।রাষ্ট্র সংস্কারের নামে তারা দীর্ঘদিন দেশ শাসন করবে।ততোদিনে দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের প্রসার ঘটবে,বা ঘটানো হবে।তখন শান্তির জন্য বাংলাদেশে আসবে জাতিসংঘ বা আমেরিকা।সেন্টমার্টিন তাদের হাতে দেবে তাদের পুতুল সরকার।অথবা এটা অন্যভাবেও ঘটতে পারে।তারা খোলস পরিবর্তন করে আরী সূক্ষ্ম চাল দিতে পারে। আরো আধুনিক কায়দায় তাদের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটাতে পারে।

    ভারতের লাভক্ষতি
    সাদ্দাম এবং গাদ্দাফি ততোক্ষণ ভালো ছিলো, যতোক্ষণ আমেরিকার স্বার্থরক্ষা হচ্ছিলো।দুজন তখনই শত্রু হলেন যখন তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হলো।সাদ্দাম ডলার বাদ দইয়ে অন্য মুদ্রার কথা বললেন।গাদ্দাফি তার গচ্ছিত অঢেল স্বর্ণ বিক্রি করে আফ্রিকায় ব্যাংকের কথা বললেন।তাঁরা তখনই মৃত্যুর মুখে পড়লেন।শেখ হাসিনাকে দিয়ে ভারতের স্বার্থরক্ষা হচ্ছিলো।চীনের সাথে সম্পর্ক ভারতকে ক্ষেপিয়ে তুললো।কিন্তু চীনের পরিবর্তে ভারতের নতুন শত্রু হবে আমেরিকা।সেভেন সিস্টারে অশান্তি বৃদ্ধি পাবে।পররাষ্ট্রনীতি চলে দুভাবে-- এক:নতজানু হয়ে সম্পর্ক রক্ষা,দুই: চাপে রেখে সম্পর্ক আদায় করা।প্রতিবেশি বেশি অনড় হলে দ্বিতীয়টি সহজে পারা যায় না।পারতে গিয়ে বিএনপি বিপদে পড়েছিলো।দশট্রাক অস্ত্র ভারতে প্রবেশ করাতে গিয়ে তারা ভারতের স্থায়ী শত্রুতে পরিণত হয়।এই সরকার প্রথমত আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করবে।কারণ তারাই দীর্ঘদিন এদের প্রমোট করেছে।তাতে ভারতের আগে ক্ষতি হবে চীনের।ভারত ক্ষতি টের পাবে কিছুটা পরে।

    উপসংহার
    একটি ঐতিহাসিক গল্প দিয়ে লেখাটি শেষ করি--
    নবাব সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসন ছেড়ে পালানোর পর মীর জাফর আলী খান সিংহাসনে আরোহণ করবেন। হাতল ধরে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।দীর্ঘ অপেক্ষার পর ক্লাইভ আসলেন।তার হাত ধরে মীর সাহেব সিংহাসনে বসতে বসতে বললেন,"আমি অতোটা অকৃতজ্ঞ নই।" ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট ছিলো সেই হাতল ধরে দাঁড়িয়ে থাকার সময়।উপনিবেশবাদের চেহারা পাল্টেছে।অস্ত্রের চেয়ে মাথার ব্যবহার এখানে বেশি হচ্ছে। যুদ্ধ সাজের পরিবর্তে পরে আসছে স্যুট টাই।হাতে অস্ত্রের বদলে ল্যাপটপ।

    বি: দ্র:
    দুটি ধারালো আক্কেলদাঁত ওঠার পর জিহবাটাকে নিয়ে বিপদে পড়েছি।এখন দাঁত উঠিয়ে ফেলবো,নাকি জিহ্বা কেটে ফেলবো,বুঝতে পারছি না।
    আমেরিকার ভূরাজনীতি ও একটি অভ্যুত্থান ⬇️ আমাদের প্রথমেই মনে রাখতে হবে আমেরিকা কখনো দেশ গঠনে বন্ধুপ্রতীম নয়।তারা সাধারনণত কথিত উঠতি অর্থনীতির দেশকে ফেলে দেয়ার জন্য কাজ করে থাকে।দর্জিগিরি আর ক্রীতদাস বিক্রির টাকার উপর নির্ভর করে যেটুকু এগিয়েছিলো বাংলাদেশ,তা টেকসই কিছু নয়।আর জাতিগঠনের মৌলিক দিকে না এগিয়ে রাস্তা আর ব্রিজের যে উন্নয়ন তা মানবিক মানুষ গঠনে ব্যর্থ হয়ে কোনদিকে গিয়েছে,দেখাই যাচ্ছে।তো, আসা যাক মূল আলোচনায়।যেসব দেশকে আমেরিকা ফেলে দেয়, সেসব শাসকদের অন্যায় থাকে না,তা নয়। দীর্ঘদিন শাসন চালিয়ে তারা শোষক হয়ে ওঠে।শোষণ, অত্যাচার,দুর্নীতি ক্রমবর্ধমান আকারে বেড়ে মানুষকে আক্রান্ত করে ফেলে।কিন্তু এসব মূলত আমেরিকার ক্ষোভের কারণ নয়।যতোক্ষণ পর্যন্ত তারা আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করতে পারে,ততোক্ষণ তারা সকল অন্যায় দেখেও দেখে না।ঠিক যখন তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়,তখন তারা যেভাবেই হোক সেই সরকারকে ফেলে দেয়। ইরাক, লিবিয়া,আফগানিস্তান এমন ঘটনার শিকার। নতুন যুক্ত হলো বাংলাদেশ। আমেরিকার বহুদিনের পরিকল্পনা বাংলাদেশ- মিয়ানমার-সেভেন সিস্টার ওয়ার জোন তৈরি করা। উদ্দেশ্য চীনের নজরদারী বৃদ্ধি করা।এদিকে চীন সফরে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে ১৬০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুত প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছেন।বাংলাদেশের কর্ণফুলী ট্যানেলও করে দিয়েছে চীনারাই।চীনাদের পরিকল্পিত ভারত ঘেরাওয়ের কাজ তারা এগিয়ে নিচ্ছিলো।ত্রিমুখী শক্তির মাঝখানে বাংলাদেশ যেন গরীব ঘরের এক সুন্দরী, ধর্ষিত হওয়া ছিলো তার সময়ের ব্যাপার।চীনের পরিকল্পনা আর এগোতে দিলে ভারতের বিপদ। আমেরিকা চায় না চীনের শক্তি বৃদ্ধি পাক।আবার ভারত চীন দুদেশই চায় বাংলাদেশ তার একক প্রেমিকা থাকুক।এমন অবস্থায় নীতি বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে যায়।উদগ্র উন্নতির আকাঙ্ক্ষা মাঝে মাঝে বিপদে ফেলে।বেশি আশা লোভের নৌকায় নিয়ে যায় মানুষকে। চীনারা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উত্তরে তাদের ভূমিতে কাশগড় থেকে পাকিস্তানের দক্ষিণে গ্যদার সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে।তারপর ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রেলপথের প্রজেক্ট নিয়েছে।এদিকে শ্রীলঙ্কার হাম্বারটোটা বন্দর চীনাদের নিয়ন্ত্রণে। চতুর্ভুজাকারে ভারতকে ঘিরে ঘরার জন্য প্রয়োজন ছিলো কক্সবাজারে একটি স্থাপনা।কক্সবাজার থেকে মিয়ানমারের উপর দিয়ে উত্তর মিয়ানমার--অরুণাচল হয়ে দক্ষিণ তিব্বত হয়ে কাশগড় পর্যন্ত রোড ইনফ্রাসট্রাকচার বানিয়ে এসব জায়গায় সামরিক স্থাপনা বসিয়ে ভারতকে ঘিরে ধরা চীনের উদ্দেশ্য। আমেরিকার হস্তক্ষেপ থেকে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে ভারত এবার বন্ধুত্ব থেকে তার হাত গুটিয়ে নিলো।দুই নৌকায় পা দেয়ার ফলাফল হলো ভয়াবহ।অনেক উন্নতির আকাঙ্ক্ষা ভরাডুবির দিকে ধাবিত করলো। অভ্যুত্থানের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ পাঠ করলেই জানা যায় আমেরিকা কীভাবে পরিকল্পনার দিকে এগোয়। শীর্ষস্থানীয় কোনো পত্রিকার মাধ্যমে কিছু মানুষকে তারা নায়ক বানিয়ে তোলে।তাদের গায়ে আন্তর্জাতিক পদকের ভূষণ লাগানো হয়।এদিকে বাজার অনিয়ন্ত্রণ করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে সাধারণ জনগণকে বিষিয়ে তোলা হয়। এমন অবস্থায়ও সরকার টিকে থাকতে পারে,যদি দারুণ সৎ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করে। উদাহরণ হিসেবে ফিদেল কাস্ট্রোর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।তাঁর মিতো সৎ থেকে কঠোর কঠিনভাবে রাষ্ট্র চালাতে বাংলাদেশের সরকার পারেনি। বরং স্বজনপ্রীতি,দুর্নীতি,অর্থপাচার,ক্ষমতার অপব্যবহার মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে।শক্তিশালী বহিঃশত্রু থেকে আপনি তখনই বাঁচতে পারবেন,যখন আপনার ঘর ঠিক থাকবে। অভ্যুত্থানের পূর্বে জনগণের ক্ষুব্ধতার সাথে সামরিক বাহিনীকেও ক্ষুব্ধ করার নানামুখী কার্যকলাপ গ্রহণ করা হয়। পরিকল্পিত অনিয়ম ঘটিয়ে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়।বলতে পারেন, সবকিছু আমেরিকার পরিকল্পনা,তবে শেখ হাসিনার দোষ নাই? দোষ আছে।সেটার একদিক হলো ফিদেল এর মতো হতে না পারা।অশিল্প লোভের দোকান।তবে এমন ঘটনা ২০০৬ সালেই হতে পারতো। আমেরিকার ১৮ বছর দেরি হলো,এই যা! অভ্যুত্থান বা কোনো দেশের সরকারকে ফেলে দিতে আমেরিকা দীর্ঘ গবেষণা চালায়।সেই চেশের মানুষ, সমাজ ও মানুষের আবেগের চুকচেরা বিশ্লেষণ করে। পতিত বামদের আবেগ আর ধর্মের অন্ধতা এখানে প্রয়োগ করা হয়।বাজার পপরিস্থিতি আর আইনশৃঙ্খলা এমন অবস্থায় আসে যে শাসককে হত্যা করলেও জনগণ ক্ষোভের পরিবর্তে উল্লাস করবে।এ এক সাজানো চিত্রনাট্য ;যার উপর দিয়ে হেঁটে যাবে তার জন্মভূমির মানুষেরা।হেঁটে যাবে আধাবুদ্ধিজীবী। অভ্যুত্থানের পর কী হয়⬇️ হুমায়ূন আহমেদ তাঁর দেয়াল উপন্যাসে লিখেছেন, মেজর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের পর সে বছর প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাধারনণত ইলিশ মাছের দাম কমলে অন্য মাছের দামও কমে যায়। আরবীয় দেশগুলোর সাহায্য আসতে থাকে।জনগণ খুব খুশি হলো। ভাবলো, দেশের উপর একটা রহমত এসেছে। অপরদিকে ক্যান্টনমেন্ট এর ভেতরে শত শত হত্যার হাহাকারে বাতাস ভারি হয়ে উঠলো।এবারও এমন কিছু হতে পারে। ভর্তুকি দিয়ে দ্রব্যমূল্য কিছুটা কমানো হতে পারে। সাধারণ মানুষ থেকে ফেসবুক বুদ্ধিজীবীরা সরকারের প্রশংসা করবে।মিডিয়াগুলোতে প্রচুর সুনাম করা হবে। আসল বীভৎসতা প্রকাশ পাবে অনেক পরে। চলবে আর্মির অভিযান। অপছন্দের লোকদের বাড়ি থেকে টাকা ও অস্ত্র বের হবে।মানুষ জয়ধ্বনি দেবে। আর্মির প্রশংসা করবে।কেউ ভাববেও না,একদল মানুষ যারা ইতিহাস,দর্শন,সাহিত্য,রাজনীতির কিছুই না জেনে শুধু অস্ত্রের জোরে ১৮ কোটি মানুষের উপরে মাতবরি করছে। আমেরিকার পরবর্তী কাজ⬇️ এই সরকার সহজে ক্ষমতা ছাড়বে না।রাষ্ট্র সংস্কারের নামে তারা দীর্ঘদিন দেশ শাসন করবে।ততোদিনে দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের প্রসার ঘটবে,বা ঘটানো হবে।তখন শান্তির জন্য বাংলাদেশে আসবে জাতিসংঘ বা আমেরিকা।সেন্টমার্টিন তাদের হাতে দেবে তাদের পুতুল সরকার।অথবা এটা অন্যভাবেও ঘটতে পারে।তারা খোলস পরিবর্তন করে আরী সূক্ষ্ম চাল দিতে পারে। আরো আধুনিক কায়দায় তাদের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটাতে পারে। ভারতের লাভক্ষতি ⬇️ সাদ্দাম এবং গাদ্দাফি ততোক্ষণ ভালো ছিলো, যতোক্ষণ আমেরিকার স্বার্থরক্ষা হচ্ছিলো।দুজন তখনই শত্রু হলেন যখন তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হলো।সাদ্দাম ডলার বাদ দইয়ে অন্য মুদ্রার কথা বললেন।গাদ্দাফি তার গচ্ছিত অঢেল স্বর্ণ বিক্রি করে আফ্রিকায় ব্যাংকের কথা বললেন।তাঁরা তখনই মৃত্যুর মুখে পড়লেন।শেখ হাসিনাকে দিয়ে ভারতের স্বার্থরক্ষা হচ্ছিলো।চীনের সাথে সম্পর্ক ভারতকে ক্ষেপিয়ে তুললো।কিন্তু চীনের পরিবর্তে ভারতের নতুন শত্রু হবে আমেরিকা।সেভেন সিস্টারে অশান্তি বৃদ্ধি পাবে।পররাষ্ট্রনীতি চলে দুভাবে-- এক:নতজানু হয়ে সম্পর্ক রক্ষা,দুই: চাপে রেখে সম্পর্ক আদায় করা।প্রতিবেশি বেশি অনড় হলে দ্বিতীয়টি সহজে পারা যায় না।পারতে গিয়ে বিএনপি বিপদে পড়েছিলো।দশট্রাক অস্ত্র ভারতে প্রবেশ করাতে গিয়ে তারা ভারতের স্থায়ী শত্রুতে পরিণত হয়।এই সরকার প্রথমত আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করবে।কারণ তারাই দীর্ঘদিন এদের প্রমোট করেছে।তাতে ভারতের আগে ক্ষতি হবে চীনের।ভারত ক্ষতি টের পাবে কিছুটা পরে। উপসংহার⬇️ একটি ঐতিহাসিক গল্প দিয়ে লেখাটি শেষ করি-- নবাব সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসন ছেড়ে পালানোর পর মীর জাফর আলী খান সিংহাসনে আরোহণ করবেন। হাতল ধরে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।দীর্ঘ অপেক্ষার পর ক্লাইভ আসলেন।তার হাত ধরে মীর সাহেব সিংহাসনে বসতে বসতে বললেন,"আমি অতোটা অকৃতজ্ঞ নই।" ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট ছিলো সেই হাতল ধরে দাঁড়িয়ে থাকার সময়।উপনিবেশবাদের চেহারা পাল্টেছে।অস্ত্রের চেয়ে মাথার ব্যবহার এখানে বেশি হচ্ছে। যুদ্ধ সাজের পরিবর্তে পরে আসছে স্যুট টাই।হাতে অস্ত্রের বদলে ল্যাপটপ। বি: দ্র:⬇️ দুটি ধারালো আক্কেলদাঁত ওঠার পর জিহবাটাকে নিয়ে বিপদে পড়েছি।এখন দাঁত উঠিয়ে ফেলবো,নাকি জিহ্বা কেটে ফেলবো,বুঝতে পারছি না।
    Sad
    1
    0 Kommentare 0 Anteile 7267 Ansichten 0 Vorschau
  • " যৌতুকের লিস্ট দেখি প্রথমে? "
    " জি? "
    " এত বড় অফিসার মানুষ! বিয়ে করছেন, যৌতুক নিবেন না? "
    " তা তো নেবই। "
    " তারই লিস্ট চাচ্ছি, দেখি। "
    " লিস্ট তো করিনি! "
    " মুখস্ত করেছেন নিশ্চয়? "
    " জি। "
    " তাহলে বলে ফেলুন আপনার কী কী চাই। "
    " তোমাকে। "
    " ব্যস? "
    " না, আরও আছে। "
    " বলুন। "
    " তোমার বিশাল মন থেকে এক থলি বিশ্বাস চাই। "
    " আর? "
    " এক মুঠ ভরসা। "
    " আর? "
    " এক চিমটি আস্থা। "
    " আর? "
    " এক আনা বিশুদ্ধ ভালোবাসা। "
    " আর? "
    " আপাতত এইটুকুই। "
    " ঠিক তো? "
    " জি। "

    একটু নীরব থেকে মেয়েটি বলল,

    " দুঃখিত। "
    " কেন? "
    " বিয়েটা হচ্ছে না তাই। "
    " কারণ? "
    " একদিনের মধ্যে আপনার চাওয়াগুলো পূরণ করা যাবে না। "
    " আমি সময় বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। "
    " বিয়ের তারিখ পিছাতে চাচ্ছেন? "
    " একদমই না। "
    " তাহলে? "
    " এখনকার দুরত্বটা বিয়ের পরও বজায় রাখতে চাচ্ছি। "
    " ভেবে বলছেন? "
    " জি। "
    " যদি দূরত্ব না কমে?"
    "কমবে। "
    " দেনাপাওনা না মিটে? "
    " মিটবে। "
    " নিজের উপর এত বিশ্বাস? "
    " জি। "
    " বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে না? "
    " না, ঠিকঠাক। "
    " আমার আত্মবিশ্বাস খুব কম। ঝুঁকি নেওয়া কি ঠিক হবে? "
    " জামানত লাগবে? "
    " কী দিতে চাচ্ছেন? "
    " আমার ছোট্ট মন। "

    আবারও নীরবতা। ছেলেটি বলল,
    " কিছু না বলে চলে যাচ্ছেন যে? "
    " আমি বলতে আসিনি। "
    " তাহলে? "
    " দেখতে এসেছিলাম। "
    " কী দেখলেন? "

    মেয়েটি জবাবে মৃদু হেসে চলে গেল।

    কয়েক মাস পর,
    " দূরত্ব কমল তাহলে। "
    " হুম "
    " দেনাপাওনাও মিটল। "
    " হুম। "
    " কিন্তু..."
    " কী? "
    " সেদিন কী দেখতে এসেছিলে সেটা জানা হলো না। "
    " জানতেই হবে? "
    " মন শান্ত হবে। "
    " শুনুন তবে। "
    " বলো। "
    " আমাকে রিকশা থেকে নামতে দেখেই আপনি ছুটে এসেছিলেন। "
    " তোমাকে সামনাসামনি দেখার জন্য ব্যাকুল ছিলাম খুব। "
    " আমাকে পথ দেখিয়ে রেষ্টুরেন্টের ভেতর নিয়ে গেলেন। অথচ ঐ স্থানটা আমার বাড়ির পাশে। আমার পরিচিত, আপনার অপরিচিত। "
    " হতে পারে, কিন্তু ঐ সময়টুকু আমার দায়িত্বে ছিলে। সুরক্ষা করা আমার কর্তব্য। "
    " চেয়ার টেনে আমার বসার সুবিধা করে দিয়েও আপনি ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন যতক্ষণ না আমি বসলাম। "
    " যদি ভাব অসম্মান করেছি! "
    " কথোপকথনের মধ্যে আমি কফির গ্লাসটা ধরতে গেলে আপনি টিস্যু প্যাঁচিয়ে দিলেন দ্রুত। "
    " হাতে গরম লাগে যদি! "
    " বিল পরিশোধ করার সময় টিপস দেওয়ার পরও অতিরিক্ত বিশ টাকা দিয়েছিলেন। "
    " ওরা পানির দাম নোট করতে ভুলে গিয়েছিল। "
    " না, আমি নোট করতে মানা করেছিলাম। "
    " কেন? "
    " সততা দেখার জন্য। "
    " তাই? "
    " জি, আপনার মধুর কথায় পটিনি। আমার প্রতি ব্যাকুলতা, কর্তব্যপরায়ণতা, সম্মান, যত্নবান আর সততা দেখেই পটেছি। যেগুলো আপনি মনের অজান্তেই করেছেন। অভিনয় ছিল না একটুও।
    " নিশ্চিত? "
    " পুরোপুরি, নাহলে কি দেনাপাওনা মিটিয়ে কাছে আসি? "

    মেয়েটি হাসে। ছেলেটি মুগ্ধ হয়ে ভাবে, ' আমি সেদিন পটাতে নয় এই মায়াবী মুখটার স্নিগ্ধতা মাপতে গিয়েছিলাম। ঠিক কতটা গভীরে ডুবলে কোমল হৃদয়টা স্পর্শ করা যায় তা অনুধাবন করতে গিয়েলাম। ঠিকঠাক হিসেব করতে পেরেছিলাম বলেই আজ আমি সফল। দুটো মন একে অপরের জীবন। '

    সমাপ্তি
    " যৌতুকের লিস্ট দেখি প্রথমে? " " জি? " " এত বড় অফিসার মানুষ! বিয়ে করছেন, যৌতুক নিবেন না? " " তা তো নেবই। " " তারই লিস্ট চাচ্ছি, দেখি। " " লিস্ট তো করিনি! " " মুখস্ত করেছেন নিশ্চয়? " " জি। " " তাহলে বলে ফেলুন আপনার কী কী চাই। " " তোমাকে। " " ব্যস? " " না, আরও আছে। " " বলুন। " " তোমার বিশাল মন থেকে এক থলি বিশ্বাস চাই। " " আর? " " এক মুঠ ভরসা। " " আর? " " এক চিমটি আস্থা। " " আর? " " এক আনা বিশুদ্ধ ভালোবাসা। " " আর? " " আপাতত এইটুকুই। " " ঠিক তো? " " জি। " একটু নীরব থেকে মেয়েটি বলল, " দুঃখিত। " " কেন? " " বিয়েটা হচ্ছে না তাই। " " কারণ? " " একদিনের মধ্যে আপনার চাওয়াগুলো পূরণ করা যাবে না। " " আমি সময় বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। " " বিয়ের তারিখ পিছাতে চাচ্ছেন? " " একদমই না। " " তাহলে? " " এখনকার দুরত্বটা বিয়ের পরও বজায় রাখতে চাচ্ছি। " " ভেবে বলছেন? " " জি। " " যদি দূরত্ব না কমে?" "কমবে। " " দেনাপাওনা না মিটে? " " মিটবে। " " নিজের উপর এত বিশ্বাস? " " জি। " " বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে না? " " না, ঠিকঠাক। " " আমার আত্মবিশ্বাস খুব কম। ঝুঁকি নেওয়া কি ঠিক হবে? " " জামানত লাগবে? " " কী দিতে চাচ্ছেন? " " আমার ছোট্ট মন। " আবারও নীরবতা। ছেলেটি বলল, " কিছু না বলে চলে যাচ্ছেন যে? " " আমি বলতে আসিনি। " " তাহলে? " " দেখতে এসেছিলাম। " " কী দেখলেন? " মেয়েটি জবাবে মৃদু হেসে চলে গেল। কয়েক মাস পর, " দূরত্ব কমল তাহলে। " " হুম " " দেনাপাওনাও মিটল। " " হুম। " " কিন্তু..." " কী? " " সেদিন কী দেখতে এসেছিলে সেটা জানা হলো না। " " জানতেই হবে? " " মন শান্ত হবে। " " শুনুন তবে। " " বলো। " " আমাকে রিকশা থেকে নামতে দেখেই আপনি ছুটে এসেছিলেন। " " তোমাকে সামনাসামনি দেখার জন্য ব্যাকুল ছিলাম খুব। " " আমাকে পথ দেখিয়ে রেষ্টুরেন্টের ভেতর নিয়ে গেলেন। অথচ ঐ স্থানটা আমার বাড়ির পাশে। আমার পরিচিত, আপনার অপরিচিত। " " হতে পারে, কিন্তু ঐ সময়টুকু আমার দায়িত্বে ছিলে। সুরক্ষা করা আমার কর্তব্য। " " চেয়ার টেনে আমার বসার সুবিধা করে দিয়েও আপনি ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন যতক্ষণ না আমি বসলাম। " " যদি ভাব অসম্মান করেছি! " " কথোপকথনের মধ্যে আমি কফির গ্লাসটা ধরতে গেলে আপনি টিস্যু প্যাঁচিয়ে দিলেন দ্রুত। " " হাতে গরম লাগে যদি! " " বিল পরিশোধ করার সময় টিপস দেওয়ার পরও অতিরিক্ত বিশ টাকা দিয়েছিলেন। " " ওরা পানির দাম নোট করতে ভুলে গিয়েছিল। " " না, আমি নোট করতে মানা করেছিলাম। " " কেন? " " সততা দেখার জন্য। " " তাই? " " জি, আপনার মধুর কথায় পটিনি। আমার প্রতি ব্যাকুলতা, কর্তব্যপরায়ণতা, সম্মান, যত্নবান আর সততা দেখেই পটেছি। যেগুলো আপনি মনের অজান্তেই করেছেন। অভিনয় ছিল না একটুও। " নিশ্চিত? " " পুরোপুরি, নাহলে কি দেনাপাওনা মিটিয়ে কাছে আসি? " মেয়েটি হাসে। ছেলেটি মুগ্ধ হয়ে ভাবে, ' আমি সেদিন পটাতে নয় এই মায়াবী মুখটার স্নিগ্ধতা মাপতে গিয়েছিলাম। ঠিক কতটা গভীরে ডুবলে কোমল হৃদয়টা স্পর্শ করা যায় তা অনুধাবন করতে গিয়েলাম। ঠিকঠাক হিসেব করতে পেরেছিলাম বলেই আজ আমি সফল। দুটো মন একে অপরের জীবন। ' সমাপ্তি
    Like
    6
    0 Kommentare 0 Anteile 507 Ansichten 0 Vorschau
  • এলএল.বি. ক্লাসে প্রফেসর ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বললেনঃ-

    --"যদি কাউকে কমলালেবু দিতে হয়, কী বলবে?"

    এক ছাত্র জবাব দিলোঃ -- "এই নিন, কমলালেবু।"

    প্রফেসর বললেনঃ-- "না, হলো না; উকিলের মতো করে
    বলো।"

    তখন সেই ছাত্র বললোঃ-- "আমি বেচারামের পুত্র কেনারাম,
    গ্রাম চন্ডিপুর, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া নিবাসী, পূর্ণ সজ্ঞানে,
    কারো কাছে ভয় অথবা চাপে না পড়িয়া, মারধর না খাইয়া,
    এই যে ফল, যাহা কমলালেবু নামে পরিচিত আর যেটার
    ওপর আমার সম্পূর্ণ অধিকার রহিয়াছে, তাহার খোসা, রস,
    মজ্জা এবং বীজ সহিত আপনাকে প্রদান করিতেছি এবং
    ইহার সহিত আপনাকে সম্পূর্ণ ও নিঃশর্তে অধিকার দিতেছি
    যে, আপনি ইহাকে কাটিতে, ছিঁড়িতে, ফ্রিজে রাখিতে বা
    খাবার জন্যে পূর্ণ ভাবে স্বতন্ত্র রাখিতে পারিবেন।

    আপনার এই অধিকারও থাকিবে যে, আপনি যে কোন অন্য
    ব্যাক্তিকে এই ফল, ইহার খোসা, রস, মজ্জা ও বীজের সহিত
    বা অন্যথা তাহাকে দিতে, খাওয়াইতে, বিক্রয় করিতে,
    ডাস্টবিনে ফেলিয়া দিতে পারিবেন।

    আমি ঘোষণা করিতেছি যে, আজকের পূর্বে এই কমলালেবু
    সংক্রান্ত কোন প্রকার বাদ-বিবাদ, ঝগড়া-ঝঞ্ঝাটের সমস্ত
    দায়িত্ব আমার এবং আজকের পর হইতে এই কমলালেবুর
    সহিত আমার আর কোন প্রকার সম্পর্ক থাকিবে না কিংবা
    আমি বা আমার মৃত‍্যুর পর আমার ভবিষ‍্যৎ উত্তরাধিকরী বা
    আমার কোনো আত্মীয়-স্বজন এই কমলালেবু বা এর
    কোনো অংশের উপর কোনোপ্রকার দাবী করব না।
    অধিকন্তু এই কমলালেবুর বীজ হতে কোনো গাছ জন্মালে
    সেই গাছ বা তার কোনো পাতা, ডালপালা, শিকড়, ফুল ও
    ফলের উপর আমার বা আমার কোনো উত্তরাধিকারীর
    কোনোরুপ দাবি থাকবে না। তাছাড়া......"

    অতঃপর, বাকিটুকু না শুনেই প্রফেসর মূর্ছা গেলেন .....
    লেখক: অজানা। ঈষৎ সম্পাদিত, কিছুটা বর্ধিত ও
    অনেকটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রকাশিত
    এলএল.বি. ক্লাসে প্রফেসর ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বললেনঃ- --"যদি কাউকে কমলালেবু দিতে হয়, কী বলবে?" এক ছাত্র জবাব দিলোঃ -- "এই নিন, কমলালেবু।" প্রফেসর বললেনঃ-- "না, হলো না; উকিলের মতো করে বলো।" তখন সেই ছাত্র বললোঃ-- "আমি বেচারামের পুত্র কেনারাম, গ্রাম চন্ডিপুর, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া নিবাসী, পূর্ণ সজ্ঞানে, কারো কাছে ভয় অথবা চাপে না পড়িয়া, মারধর না খাইয়া, এই যে ফল, যাহা কমলালেবু নামে পরিচিত আর যেটার ওপর আমার সম্পূর্ণ অধিকার রহিয়াছে, তাহার খোসা, রস, মজ্জা এবং বীজ সহিত আপনাকে প্রদান করিতেছি এবং ইহার সহিত আপনাকে সম্পূর্ণ ও নিঃশর্তে অধিকার দিতেছি যে, আপনি ইহাকে কাটিতে, ছিঁড়িতে, ফ্রিজে রাখিতে বা খাবার জন্যে পূর্ণ ভাবে স্বতন্ত্র রাখিতে পারিবেন। আপনার এই অধিকারও থাকিবে যে, আপনি যে কোন অন্য ব্যাক্তিকে এই ফল, ইহার খোসা, রস, মজ্জা ও বীজের সহিত বা অন্যথা তাহাকে দিতে, খাওয়াইতে, বিক্রয় করিতে, ডাস্টবিনে ফেলিয়া দিতে পারিবেন। আমি ঘোষণা করিতেছি যে, আজকের পূর্বে এই কমলালেবু সংক্রান্ত কোন প্রকার বাদ-বিবাদ, ঝগড়া-ঝঞ্ঝাটের সমস্ত দায়িত্ব আমার এবং আজকের পর হইতে এই কমলালেবুর সহিত আমার আর কোন প্রকার সম্পর্ক থাকিবে না কিংবা আমি বা আমার মৃত‍্যুর পর আমার ভবিষ‍্যৎ উত্তরাধিকরী বা আমার কোনো আত্মীয়-স্বজন এই কমলালেবু বা এর কোনো অংশের উপর কোনোপ্রকার দাবী করব না। অধিকন্তু এই কমলালেবুর বীজ হতে কোনো গাছ জন্মালে সেই গাছ বা তার কোনো পাতা, ডালপালা, শিকড়, ফুল ও ফলের উপর আমার বা আমার কোনো উত্তরাধিকারীর কোনোরুপ দাবি থাকবে না। তাছাড়া......" অতঃপর, বাকিটুকু না শুনেই প্রফেসর মূর্ছা গেলেন ..... লেখক: অজানা। ঈষৎ সম্পাদিত, কিছুটা বর্ধিত ও অনেকটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রকাশিত 😄।
    Like
    Love
    Haha
    15
    0 Kommentare 0 Anteile 154 Ansichten 0 Vorschau
  • # হাইব্রিড উচ্চ ফলনশীল খাটোজাতের নারিকেল
    ৩-৪ বছরেই ফলন
    সঠিক পরিচর্যা করে সঠিক সময়ে ফলন
    দামঃ ৮০০ টাকা
    Hotline:
    01608184120
    #বিদেশি_আমের_নতুন_জাত
    ১/কেনসিংটন প্রাইড ১০০০টাকা
    ২/পাকিস্তানি চোষা ৮০০
    ৩/বিএন ৭ ১০০০
    ৪/ভেরিগেড আম ৬০০
    ৫/ওস্টিন ম্যাংগো আমেরিকা ৮০০
    ৬/পুষা ছুরাইয়া ১০০০
    ৭/পুষা উর্নিমা ১০০০
    ৮/কেষার আম ৯০০
    ৯/দেশারি আম ৯০০
    ১০/ইন্দো পালমার ৯৫০
    ১১/বারি ১৩ ১০০০
    ১২/নাম ডকমাই শ্রিময়াং ১০০০
    ১৩/ইলামতী ৯৫০
    #বিদেশি_আমের_রানিং_জাত
    ১) চিয়াংমাই আম: ৬০০/=
    ২) আলফেনসো : ৬০০/=
    ৩) বুনাই কিং : ৬০০/=
    ৪) জাপানের মিয়াজাকি/সূর্য ডিম: ৬০০/=
    ৫) আমেরিকান পালমার : ৬০০/=
    ৬) কিউজাই: ৪০০/=
    ৭) বানানা ম্যাংগো: ৪০০/=
    ৮) ব্ল্যাক স্টোন: ৬০০/=
    ৯) বারি-4 : ৩০০/=
    ১০) গৌরমতি: ২৫০/=
    ১১) ডকমাই: ৬০০/=
    ১২) কাটিমন-১২-মাস: ৩৫০/=
    ১৩) আপেল ম্যাংগো: ৬০০/=
    ১৪) থ্রি টেস্ট: ৬০০/=
    ১৫) কিংচাকাপাত: ৬০০/=
    ১৬) চোষা: ৪০০/=
    ১৭) হানিডিউ: ৬০০/=
    ১৮)তাইওয়ান রেড ঃ৬০০/=
    ১৯)রেড আইভরি ঃ৬০০/=
    ২০)ব্ল্যাকস্টোন নতুন ৬০০/=
    #দেশি_আম_গাছ
    ১৮) বারি-11: ৩০০/=
    ১৯) হাঁড়ি ভাঙ্গা: ২৫০/=
    ২০) হিমসাগর/ক্ষিরসাপাত: ২৫০/=
    ২১) ফজলি: ২৫০/=
    ২২) আম রুপালি: ২৫০/=
    ২৩) ল্যাংড়া: ২৫০/=
    ২৪) গোপালভোগ: ২৫০/=
    ২৫) আশ্বিনা: ২৫০/=
    ২৬) লক্ষণভোগ: ২৫০/=
    ২৭) চন্দ্রমল্লিকা: ২৫০/=
    #পার্সিমন
    ২৮) পার্সিমন কলম: ১৩০০/=
    ২৯) পার্সিমন কলম লাল: ১৫৫০/=
    ৩০) পার্সিমন কলম পিংক: ১৫৫০/=
    #কাঁঠাল
    ৩১) হাজারী: ১৫০/=
    ৩২) বারো মাসি: ৬০০/=
    ৩৩) দেশি: ১০০/=
    ১৯৬)লাল কাঠালঃ৬০০/=
    ১৯৭)পিংক কাঠালঃ৬০০/=
    #নাসপাতি
    ৩৪) নাসপাতি কলম: ৬০০/=
    #আনার
    ৩৫) পাকিস্তানি আনার: ৩০০/=
    ৩৬) ভাগোয়া আনার: ৫০০/=
    ৩৭) বেদেনা: ৩০০/=
    ৩৮) ডালিম: ৩০০/=
    #আপেল
    ৩৯) হারিমন-৯৯: ১৩০০/=
    ৪০) সামার: ১৩০০/=
    ৪১) সবুজ: ১৩০০/=
    ৪২) কাশ্মীরী: ১৩০০/=
    ৪৩) আন্না: ১৩০০/=
    ৪৪) গোল্ডেন ডোরসেট: ১৩০০/=
    ৪৫) অস্ট্রেলিয়ান সামার: ১৩০০/=
    #আঙ্গুর
    ৪৬) সাদা আঙ্গুর: ৬০০/=
    ৪৭) মিষ্টি লাল আঙ্গুর: ৬০০/=
    ৪৮) মিষ্টি কালো আঙ্গুর: ৬০০/=
    ৪৯) দেশি আঙ্গুর: ১৫০/=
    #কমল
    ৫০) দার্জিলিং কমলা: ৪০০/=
    ৫১) রামরঙ্গন কমলা: ৩০০/=
    ৫২) ছাতক কমলা: ৩০০/=
    ৫৩) চায়না কমলা: ৩০০/=
    ৫৪) নাগপুরি কমলা: ৩০০/=
    #মাল্টা
    ৫৫) ভেরিগেড মাল্টা: ৫০০/=
    ৫৬) বারোমাসি মাল্টা: ৫৫০/=
    ৫৭) বারি-১ বড়: ৩০০/=
    ১৯৭)হলুদ মাল্টা ৫০০/=
    ১৯৮)হাইদ্রাবাদী মাল্টা ৫০০/=
    #পেয়ারা
    ৫৮) মাধুরী: ৩৫০/=
    ৫৯) স্টবেরি হলুদ: ৫৫০/=
    ৬০) স্টবেরি লাল: ৫৫০/=
    ৬১) গোল্ডেন-৮ : ১০০/=
    ৬২) সুপার-১০ : ১০০/=
    ৬৩) থাই-৩ : ১০০/=
    ৬৪) ভেরিগেট: ৪৫০/=
    #ছবেদা
    ৬৫) থাই ছবেদা কলম: ৩০০/=
    ৬৬) থাই ছবেদা বীজ: ৩০০/=
    ৬৭) দেশি ছবেদা: ২৫০/=
    #ড্রাগন
    ৬৮) লাল ড্রাগন: ১০০/=
    ৬৯) সাদা ড্রাগন: ১০০/=
    ৭০) গোলাপি ড্রাগন: ১০০/=
    ৭১) হলুদ ড্রাগন: ৫০০/=
    #লিচু
    ৭২) চায়না-3 : ৩০০/=
    ৭৩) বোম্বাই লিচু: ৩০০/=
    ৭৪) বেদেনা লিচু: ৩০০/=
    ৭৫) মোজাফফর: ৩০০/=
    #নারিকেল
    ৭৬) ভিয়েতনাম: ১০০০/=
    ৭৭) ক্যারেলা: ৬০০/=
    ৭৮) বঙ্গপ্রধায়: ৫০০/=
    ৭৯) মালয়েশিয়ান: ৫০০/=
    ৮০) দেশী: ৩০০/=
    #সৌদির_খেজুর
    ৮১) সৌদি খেজুর: ৬০০/=
    ৮২) আজোয়া খেজুর: ৬৫০/=
    ৮৩) মরিয়ম: ৬৫০/=
    )দেশী খেজুর গাছ: ১০০/=
    #লেবু
    ৮৪) কাগজি: ১০০/=
    ৮৫) সিডলেস: ১০০/=
    ৮৬) চায়না: ১০০/=
    ৮৭) সুইট লেমন: ৩০০/=
    ৮৮) জারা: ৪০০/=
    #জাম্বুরা
    ৮৯) লাল জাম্বুরা: ৬০০/=
    ৯০) থাই জাম্বুরা: ৪০০/=
    ৯১) দেশী: ১০০/=
    #শরিফা
    ৯২) থাই শরিফা: ৪৫০/=
    ৯৩) লাল শরিফা: ৫৫০/=
    ৯৪) সূদানি আতা ফল: ৪৫০/=
    মিশরীয় শরিফা ৫০০
    #আমলকি
    ৯৫) লাল আমলকি: ৩০০/=
    ৯৬) দেশি : ১০০/=
    #জাম
    ৯৭) বারো মাসি সাদা জাম: ৮০০/=
    ৯৮) থাই জাম: ৫০০/=
    ৯৯) পটল জাম:৪৫০
    ১০০) দেশী: ১০০/=
    #ডুমুর
    ১০১) মিশরিয়ান ডুমুর: ৬০০/=
    ১০২) ইন্ডিয়ান ডুমুর: ৫০০/=
    #তেঁতুল
    ১০৩) থাই মিষ্টি তেঁতুল: ৩০০/=
    ১০৪) লাল মিষ্টি তেঁতুল: ৩০০/=
    ১০৫) টক তেঁতুল: ২০০/=
    #করমচ
    ১০৬) থাই মিষ্টি কলম: ৩০০/=
    ১০৭) দেশি করমচা: ১৫০/=
    ১০৮) করমচা মিষ্টি: ২৫০/=
    ১০৯) করমচা দেশি টক: ১০০/=
    #জলপাই
    ১১০) মিষ্টি জলপাই: ৩০০/=
    ১১১) দেশি জলপাই: ১০০/=
    #লটকন
    ১১২) লটকন কলম: ৩০০/=
    #জামরুল
    ১১৩) লাল জামরুল: ৩০০/=
    ১১৪) সাদা জামরুল: ৩০০/=
    #কামরাঙ্গা
    ১১৫) মিষ্টি বড়: ৩০০/=
    ১১৬) মিষ্টি মাঝারী: ৩০০/=
    ১১৭) দেশি টক: ২০০/=
    #আমড়
    ১১৮) বারোমাসি: ৩০০/=
    ১১৯) হাইব্রিড মিষ্টি: ৩০০/=
    ১২০) দেশি টক: ১০০/=
    #গাব
    ১২১) বিলাতি গাব: ৩০০/=
    ১২২) দেশি গাব: ২০০/=
    #বেল
    ১২৩) থাই বড় বেল: ৩০০/=
    ১২৪) দেশি বেল: ১০০/=
    #জয়তুন
    ১২৫) জয়তুন কলম: ১২০০/=
    ১২৬) জয়তুন কলম ছোট : ৮৫০/=
    #বাদাম
    ১২৭) কাজুবাদাম কলম: ৬৫০/=
    ১২৮) কাজুবাদাম বীজ: ৪৫০/=
    ১২৯) পেস্পা বাদাম: ৫০০/=
    ১৩০) কাঠবাদাম: ৩০০/=
    #পিনাট_বার
    ১৩১) পিনাট বার: ৮৫০/=
    #লঙ্গান
    ১৩২) থাই লঙ্গান কলম: ১৭০০/=
    ১৩৩) থাই লঙ্গান বীজ: ৮৫০/=
    #লখাট_ফল
    ১৩৪) লখাট ফল কলম: ১০০০/=
    ১৩৫) লখাট ফল বীজ:৭০০/=
    #মাঙ্গস্টিং_ফল
    ১৩৬) মাঙ্গস্টিং ফল কলম: ১৫০০/=
    ১৩৭) মাঙ্গস্টিং ফল বীজ: ১০০০/=
    #করোসল_ফল
    ১৩৮) করোসল ফল কলম: ১২০০/=
    ১৩৯) করোসল ফল বীজ: ৭০০/=
    #এগফ্রট
    ১৪০) এগফ্রট কলম: ১০০০/=
    ১৪১) এগফ্রট বীজ: ৬০০/=
    #মিরাকেল_বেরি
    ১৪২) মিরাকেল বেরি কলম: ১২৫০/=
    #কফি
    ১৪৩) কফি: ১০০০
    #কোকাম
    ১৪৪) কেকাম: ১০০০
    #লুকলুকি
    ১৪৫) লুকলুকি: ১০০০/=
    #চেরি
    ১৪৬) বার্বাডোস চেরি: ৯৫০/=
    ১৪৭) সিরেলিয়ান চেরি: ১৩৫০/=
    ২০০)মেনিলা চেরী ১৫০০/=
    #এপ্রিকট
    ১৪৮) এপ্রিকট কলম: ১৩০০/=
    ১৪৯) এপ্রিকট বীজ: ১০০০=
    #ফুলাচান
    ১৫০) ফুলাচান কলম: ১০০০/=
    ১৫১) ফুলাচান বীজ: ৮৫০/=
    #রাম্বুটান
    ১৫২) রাম্বুটান কলম: ১৩০০/=
    ১৫৩) রাম্বুটান বীজ: ৮৫০/=
    #ডুরিয়ান_ফল
    ১৫৪) ডুরিয়ান ফল কলম: ২০০০/=
    ১৫৫) ডুরিয়ান ফল বীজ: ১৩৫০/=
    #এভোকেডো
    ১৫৬) এভোকেডো কলম: ১৩০০/=
    ১৫৭) এভোকেডো বীজ: ৭৫০/=
    #পিচ ফল
    ১৫৮) পিচ ফল কলম: ১২০০/=
    ১৫৯) পিচ ফল বীজ: ৮৫০/=
    #মালবেরি
    ১৬০) মালবেরি: ৩৫০/=
    ১৬১) লং মালবেরি: ৫৫০/=
    #সাম্পেল
    ১৬২) সান্তোল: ১২০০/=
    #বাকব_বেরি
    ১৬৩) ব্ল্যাক বেরি কলম: ৭৫০/=
    #ব্রেড_ফুড
    ১৬৪) ব্রেড ফুড কলম: ৯৫০/=
    ১৬৫) ব্রেড ফুড বীজ: ৬৫০/=
    #কল
    ১৬৬) লাল কলা: ৫৫০/=
    ১৬৭) সাগর কলা: ৭৫/=
    ১৬৮) রঙ্গিন সাগর কলা: ১৫০/=
    ১৬৯) আনাজি কলা: ১৫০/=
    ১৭০) অনুপম কলা: ১৫০/=
    ১৭১) জ্বীন কলা: ১৫০/=
    ১৭২) চাপা কলা: ১৫০/=
    #গোলাপজাম
    ১৭৩) গোলাপজাম: ৪৫০/=
    #কতবেল
    ১৭৪) হাইব্রিড কতবেল:৩০০/=
    ১৭৫) বারেমাসি কতবেল: ৩০০/=
    ১৭৬) দেশি কতবেল: ১০০/=
    #কুল
    ১৭৭) নারিকেলি: ১০০/=
    ১৭৮) বলসুন্দরি: ১০০/=
    ১৭৯) কাশ্মীরি: ১০০/=
    ১৮০) আপেল: ১০০/=
    ১৮১) সিডলেস:১০৫০/=
    ১৮২) দেশি টক: ১০০/=
    #বিলম্বি
    ১৮৩) বিলম্বি: ৩০০/=
    #সাতকড়া
    ১৮৪) সাতকড়াঃ ৪৫০/=
    #মসল
    ১৮৫) এলাচ: ৩০০/=
    ১৮৬) জায়ফল: ৮৫০/=
    ১৮৭) গোল মরিচ: ৫০০/=
    ১৮৮) লবঙ্গ: ৭৫৫০/=
    ১৮৯) তেজপাতা: ৩০০/=
    ১৯০) দারুচিনি: ৩০০/=
    ১৯১) চুই ঝাল: ৩০০/=
    ১৯২) অল স্পাইসঃ ৭৫০/=
    ১৯৩) আলুবোখারা কলম: ৫৫০/=
    ১৯৪) আলুবোখারা বীজ: ৫৫০/=
    #চালতা
    ১৯৫) চালতা: ৩০০/=
    Hotline:
    09613822861
    ৳৳৳পেমেন্ট সিস্টেম
    ★বিকাশ মার্চেন্ট 01820812861
    ★বিকাশ পার্সোনাল 01738673368/01734828132
    ★ব্যাংক এশিয়াঃ 1083481022487/1083481022486
    ★ডাচ বাংলা ব্যাংক ঃ1351050079875
    রাজ এক্সপ্রেস- RajExpress
    # হাইব্রিড উচ্চ ফলনশীল খাটোজাতের নারিকেল ▶️৩-৪ বছরেই ফলন ▶️সঠিক পরিচর্যা করে সঠিক সময়ে ফলন দামঃ ৮০০ টাকা Hotline: 01608184120 #বিদেশি_আমের_নতুন_জাত ১/কেনসিংটন প্রাইড ১০০০টাকা ২/পাকিস্তানি চোষা ৮০০ ৩/বিএন ৭ ১০০০ ৪/ভেরিগেড আম ৬০০ ৫/ওস্টিন ম্যাংগো আমেরিকা ৮০০ ৬/পুষা ছুরাইয়া ১০০০ ৭/পুষা উর্নিমা ১০০০ ৮/কেষার আম ৯০০ ৯/দেশারি আম ৯০০ ১০/ইন্দো পালমার ৯৫০ ১১/বারি ১৩ ১০০০ ১২/নাম ডকমাই শ্রিময়াং ১০০০ ১৩/ইলামতী ৯৫০ #বিদেশি_আমের_রানিং_জাত ১) চিয়াংমাই আম: ৬০০/= ২) আলফেনসো : ৬০০/= ৩) বুনাই কিং : ৬০০/= ৪) জাপানের মিয়াজাকি/সূর্য ডিম: ৬০০/= ৫) আমেরিকান পালমার : ৬০০/= ৬) কিউজাই: ৪০০/= ৭) বানানা ম্যাংগো: ৪০০/= ৮) ব্ল্যাক স্টোন: ৬০০/= ৯) বারি-4 : ৩০০/= ১০) গৌরমতি: ২৫০/= ১১) ডকমাই: ৬০০/= ১২) কাটিমন-১২-মাস: ৩৫০/= ১৩) আপেল ম্যাংগো: ৬০০/= ১৪) থ্রি টেস্ট: ৬০০/= ১৫) কিংচাকাপাত: ৬০০/= ১৬) চোষা: ৪০০/= ১৭) হানিডিউ: ৬০০/= ১৮)তাইওয়ান রেড ঃ৬০০/= ১৯)রেড আইভরি ঃ৬০০/= ২০)ব্ল্যাকস্টোন নতুন ৬০০/= #দেশি_আম_গাছ ১৮) বারি-11: ৩০০/= ১৯) হাঁড়ি ভাঙ্গা: ২৫০/= ২০) হিমসাগর/ক্ষিরসাপাত: ২৫০/= ২১) ফজলি: ২৫০/= ২২) আম রুপালি: ২৫০/= ২৩) ল্যাংড়া: ২৫০/= ২৪) গোপালভোগ: ২৫০/= ২৫) আশ্বিনা: ২৫০/= ২৬) লক্ষণভোগ: ২৫০/= ২৭) চন্দ্রমল্লিকা: ২৫০/= #পার্সিমন ২৮) পার্সিমন কলম: ১৩০০/= ২৯) পার্সিমন কলম লাল: ১৫৫০/= ৩০) পার্সিমন কলম পিংক: ১৫৫০/= #কাঁঠাল ৩১) হাজারী: ১৫০/= ৩২) বারো মাসি: ৬০০/= ৩৩) দেশি: ১০০/= ১৯৬)লাল কাঠালঃ৬০০/= ১৯৭)পিংক কাঠালঃ৬০০/= #নাসপাতি ৩৪) নাসপাতি কলম: ৬০০/= #আনার ৩৫) পাকিস্তানি আনার: ৩০০/= ৩৬) ভাগোয়া আনার: ৫০০/= ৩৭) বেদেনা: ৩০০/= ৩৮) ডালিম: ৩০০/= #আপেল ৩৯) হারিমন-৯৯: ১৩০০/= ৪০) সামার: ১৩০০/= ৪১) সবুজ: ১৩০০/= ৪২) কাশ্মীরী: ১৩০০/= ৪৩) আন্না: ১৩০০/= ৪৪) গোল্ডেন ডোরসেট: ১৩০০/= ৪৫) অস্ট্রেলিয়ান সামার: ১৩০০/= #আঙ্গুর ৪৬) সাদা আঙ্গুর: ৬০০/= ৪৭) মিষ্টি লাল আঙ্গুর: ৬০০/= ৪৮) মিষ্টি কালো আঙ্গুর: ৬০০/= ৪৯) দেশি আঙ্গুর: ১৫০/= #কমলা ৫০) দার্জিলিং কমলা: ৪০০/= ৫১) রামরঙ্গন কমলা: ৩০০/= ৫২) ছাতক কমলা: ৩০০/= ৫৩) চায়না কমলা: ৩০০/= ৫৪) নাগপুরি কমলা: ৩০০/= #মাল্টা ৫৫) ভেরিগেড মাল্টা: ৫০০/= ৫৬) বারোমাসি মাল্টা: ৫৫০/= ৫৭) বারি-১ বড়: ৩০০/= ১৯৭)হলুদ মাল্টা ৫০০/= ১৯৮)হাইদ্রাবাদী মাল্টা ৫০০/= #পেয়ারা ৫৮) মাধুরী: ৩৫০/= ৫৯) স্টবেরি হলুদ: ৫৫০/= ৬০) স্টবেরি লাল: ৫৫০/= ৬১) গোল্ডেন-৮ : ১০০/= ৬২) সুপার-১০ : ১০০/= ৬৩) থাই-৩ : ১০০/= ৬৪) ভেরিগেট: ৪৫০/= #ছবেদা ৬৫) থাই ছবেদা কলম: ৩০০/= ৬৬) থাই ছবেদা বীজ: ৩০০/= ৬৭) দেশি ছবেদা: ২৫০/= #ড্রাগন ৬৮) লাল ড্রাগন: ১০০/= ৬৯) সাদা ড্রাগন: ১০০/= ৭০) গোলাপি ড্রাগন: ১০০/= ৭১) হলুদ ড্রাগন: ৫০০/= #লিচু ৭২) চায়না-3 : ৩০০/= ৭৩) বোম্বাই লিচু: ৩০০/= ৭৪) বেদেনা লিচু: ৩০০/= ৭৫) মোজাফফর: ৩০০/= #নারিকেল ৭৬) ভিয়েতনাম: ১০০০/= ৭৭) ক্যারেলা: ৬০০/= ৭৮) বঙ্গপ্রধায়: ৫০০/= ৭৯) মালয়েশিয়ান: ৫০০/= ৮০) দেশী: ৩০০/= #সৌদির_খেজুর ৮১) সৌদি খেজুর: ৬০০/= ৮২) আজোয়া খেজুর: ৬৫০/= ৮৩) মরিয়ম: ৬৫০/= )দেশী খেজুর গাছ: ১০০/= #লেবু ৮৪) কাগজি: ১০০/= ৮৫) সিডলেস: ১০০/= ৮৬) চায়না: ১০০/= ৮৭) সুইট লেমন: ৩০০/= ৮৮) জারা: ৪০০/= #জাম্বুরা ৮৯) লাল জাম্বুরা: ৬০০/= ৯০) থাই জাম্বুরা: ৪০০/= ৯১) দেশী: ১০০/= #শরিফা ৯২) থাই শরিফা: ৪৫০/= ৯৩) লাল শরিফা: ৫৫০/= ৯৪) সূদানি আতা ফল: ৪৫০/= মিশরীয় শরিফা ৫০০ #আমলকি ৯৫) লাল আমলকি: ৩০০/= ৯৬) দেশি : ১০০/= #জাম ৯৭) বারো মাসি সাদা জাম: ৮০০/= ৯৮) থাই জাম: ৫০০/= ৯৯) পটল জাম:৪৫০ ১০০) দেশী: ১০০/= #ডুমুর ১০১) মিশরিয়ান ডুমুর: ৬০০/= ১০২) ইন্ডিয়ান ডুমুর: ৫০০/= #তেঁতুল ১০৩) থাই মিষ্টি তেঁতুল: ৩০০/= ১০৪) লাল মিষ্টি তেঁতুল: ৩০০/= ১০৫) টক তেঁতুল: ২০০/= #করমচা ১০৬) থাই মিষ্টি কলম: ৩০০/= ১০৭) দেশি করমচা: ১৫০/= ১০৮) করমচা মিষ্টি: ২৫০/= ১০৯) করমচা দেশি টক: ১০০/= #জলপাই ১১০) মিষ্টি জলপাই: ৩০০/= ১১১) দেশি জলপাই: ১০০/= #লটকন ১১২) লটকন কলম: ৩০০/= #জামরুল ১১৩) লাল জামরুল: ৩০০/= ১১৪) সাদা জামরুল: ৩০০/= #কামরাঙ্গা ১১৫) মিষ্টি বড়: ৩০০/= ১১৬) মিষ্টি মাঝারী: ৩০০/= ১১৭) দেশি টক: ২০০/= #আমড়া ১১৮) বারোমাসি: ৩০০/= ১১৯) হাইব্রিড মিষ্টি: ৩০০/= ১২০) দেশি টক: ১০০/= #গাব ১২১) বিলাতি গাব: ৩০০/= ১২২) দেশি গাব: ২০০/= #বেল ১২৩) থাই বড় বেল: ৩০০/= ১২৪) দেশি বেল: ১০০/= #জয়তুন ১২৫) জয়তুন কলম: ১২০০/= ১২৬) জয়তুন কলম ছোট : ৮৫০/= #বাদাম ১২৭) কাজুবাদাম কলম: ৬৫০/= ১২৮) কাজুবাদাম বীজ: ৪৫০/= ১২৯) পেস্পা বাদাম: ৫০০/= ১৩০) কাঠবাদাম: ৩০০/= #পিনাট_বার ১৩১) পিনাট বার: ৮৫০/= #লঙ্গান ১৩২) থাই লঙ্গান কলম: ১৭০০/= ১৩৩) থাই লঙ্গান বীজ: ৮৫০/= #লখাট_ফল ১৩৪) লখাট ফল কলম: ১০০০/= ১৩৫) লখাট ফল বীজ:৭০০/= #মাঙ্গস্টিং_ফল ১৩৬) মাঙ্গস্টিং ফল কলম: ১৫০০/= ১৩৭) মাঙ্গস্টিং ফল বীজ: ১০০০/= #করোসল_ফল ১৩৮) করোসল ফল কলম: ১২০০/= ১৩৯) করোসল ফল বীজ: ৭০০/= #এগফ্রট ১৪০) এগফ্রট কলম: ১০০০/= ১৪১) এগফ্রট বীজ: ৬০০/= #মিরাকেল_বেরি ১৪২) মিরাকেল বেরি কলম: ১২৫০/= #কফি ১৪৩) কফি: ১০০০ #কোকাম ১৪৪) কেকাম: ১০০০ #লুকলুকি ১৪৫) লুকলুকি: ১০০০/= #চেরি ১৪৬) বার্বাডোস চেরি: ৯৫০/= ১৪৭) সিরেলিয়ান চেরি: ১৩৫০/= ২০০)মেনিলা চেরী ১৫০০/= #এপ্রিকট ১৪৮) এপ্রিকট কলম: ১৩০০/= ১৪৯) এপ্রিকট বীজ: ১০০০= #ফুলাচান ১৫০) ফুলাচান কলম: ১০০০/= ১৫১) ফুলাচান বীজ: ৮৫০/= #রাম্বুটান ১৫২) রাম্বুটান কলম: ১৩০০/= ১৫৩) রাম্বুটান বীজ: ৮৫০/= #ডুরিয়ান_ফল ১৫৪) ডুরিয়ান ফল কলম: ২০০০/= ১৫৫) ডুরিয়ান ফল বীজ: ১৩৫০/= #এভোকেডো ১৫৬) এভোকেডো কলম: ১৩০০/= ১৫৭) এভোকেডো বীজ: ৭৫০/= #পিচ ফল ১৫৮) পিচ ফল কলম: ১২০০/= ১৫৯) পিচ ফল বীজ: ৮৫০/= #মালবেরি ১৬০) মালবেরি: ৩৫০/= ১৬১) লং মালবেরি: ৫৫০/= #সাম্পেল ১৬২) সান্তোল: ১২০০/= #বাকব_বেরি ১৬৩) ব্ল্যাক বেরি কলম: ৭৫০/= #ব্রেড_ফুড ১৬৪) ব্রেড ফুড কলম: ৯৫০/= ১৬৫) ব্রেড ফুড বীজ: ৬৫০/= #কলা ১৬৬) লাল কলা: ৫৫০/= ১৬৭) সাগর কলা: ৭৫/= ১৬৮) রঙ্গিন সাগর কলা: ১৫০/= ১৬৯) আনাজি কলা: ১৫০/= ১৭০) অনুপম কলা: ১৫০/= ১৭১) জ্বীন কলা: ১৫০/= ১৭২) চাপা কলা: ১৫০/= #গোলাপজাম ১৭৩) গোলাপজাম: ৪৫০/= #কতবেল ১৭৪) হাইব্রিড কতবেল:৩০০/= ১৭৫) বারেমাসি কতবেল: ৩০০/= ১৭৬) দেশি কতবেল: ১০০/= #কুল ১৭৭) নারিকেলি: ১০০/= ১৭৮) বলসুন্দরি: ১০০/= ১৭৯) কাশ্মীরি: ১০০/= ১৮০) আপেল: ১০০/= ১৮১) সিডলেস:১০৫০/= ১৮২) দেশি টক: ১০০/= #বিলম্বি ১৮৩) বিলম্বি: ৩০০/= #সাতকড়া ১৮৪) সাতকড়াঃ ৪৫০/= #মসলা ১৮৫) এলাচ: ৩০০/= ১৮৬) জায়ফল: ৮৫০/= ১৮৭) গোল মরিচ: ৫০০/= ১৮৮) লবঙ্গ: ৭৫৫০/= ১৮৯) তেজপাতা: ৩০০/= ১৯০) দারুচিনি: ৩০০/= ১৯১) চুই ঝাল: ৩০০/= ১৯২) অল স্পাইসঃ ৭৫০/= ১৯৩) আলুবোখারা কলম: ৫৫০/= ১৯৪) আলুবোখারা বীজ: ৫৫০/= #চালতা ১৯৫) চালতা: ৩০০/= Hotline: 09613822861 ৳৳৳পেমেন্ট সিস্টেম ★বিকাশ মার্চেন্ট 01820812861 ★বিকাশ পার্সোনাল 01738673368/01734828132 ★ব্যাংক এশিয়াঃ 1083481022487/1083481022486 ★ডাচ বাংলা ব্যাংক ঃ1351050079875 রাজ এক্সপ্রেস- RajExpress
    Like
    10
    0 Kommentare 0 Anteile 1656 Ansichten 0 Vorschau
Gesponsert
fresh