• বিবাহিত জীবন এর অপ্রিয় সত্য।

    ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই কথাগুলো সত্যি।

    ১. বিবাহিত জীবন কখনও খুব মধুর। আবার কখনও হতাশার। কখনও মনে হবে আহ্ কি চমৎকার একটা জীবন পেয়েছি, কখনও মনে হবে ঘানি টানতে জীবন শেষ!! এই দুই ধরনের অনুভূতি ঘুরে ফিরে আসে। ভাববেন না যে বিয়ে করে ভুল করেছেন; দাম্পত্য সম্পর্ক উপভোগ করুন। কষ্টের সময়টা ঠান্ডা মাথায় হ্যান্ডেল করুন।

    ২. আপনি যদি পার্টনারকে প্যারা দেন, সেও আপনাকে প্যারা দিবে। বেশী প্যারায় মনে হবে আপনি ভুল মানুষকে বিয়ে করেছেন। আপনি যে তাকে প্যারা দিচ্ছেন সেটা ভুলে গিয়ে পার্টনারের প্যারা নিয়ে অস্থির হয়ে যাবেন। কখনও ভুল করে ভাবতে পারেন মানুষটা হয়ত gaslighting করছে। তাই ভুলতে ও ক্ষমা করতে শিখুন। সামনে এগিয়ে যান। জীবনে সুখের কিন্তু শেষ নেই!!

    ৩. আমরা মনে করি দাম্পত্য জীবনে ভালবাসা হতে হবে সমান সমান। ঠিক আছে। কিন্তু এটা 50/50 না। এটা হবে 100/100। দুই পক্ষ থেকে শতভাগ না হলে কেউই জিতবে না। আপনি যদি একাই 100 দিয়ে বসে থাকেন, আপনি হেরে যাবেন। ভালবাসার অর্ধেক বলে কিছু নেই; পুরাটাই নয়ত কিছুই না। দাম্পত্য জীবনে এই ভালবাসাটাই সমান সমান হয় না। অসমান ভালবাসায় আমরা ঘর বাঁধি, হেরে গিয়ে সাথে থাকি।

    ৪. ঝগড়ার পরে অন্তরঙ্গতাকে (intimacy) না বলার ঘটনাই বেশী ঘটে। কখনও কখনও ঝগড়ার পরে আরেকটা ঝগড়ার আয়োজন চলে। এভাবে দূরত্ব বাড়ে, অভিমানের জায়গা হয় প্রশ্বস্ত। কোন ভাবে ঝগড়া মিটিয়ে অন্তরঙ্গ হোন। দেখবেন ভালবাসার আরেক অধ্যায় শুরু হয়েছে। আপনি হয়ত নতুন করে আপনার পার্টনারের প্রেমে পড়বেন।

    ৫. বিয়ে করার সময় ভাবতেও পারবেন না যে, এই প্রিয় মানুষটির সাথে আপনার ঝগড়া হবে, মন কষাকষি হবে, বাঁধবে স্বার্থের সংঘাত। কিন্তু এটা ঘটবে। সুতরাং ঝগড়ার সময় fair ও logical থাকুন, যেন ঝগড়া মিটিয়ে আবার সম্পর্ক ঠিক করে নিতে পারেন।

    ৬. দুজন এক সাথে দীর্ঘদিন কাটানো বেশ আনন্দ দায়ক। কিন্তু এক সাথে থাকতে থাকতে কখনও কখনও সংসারটা জেলখানার মত মনে হয়। কিছু সময়ের জন্য একা থাকুন, কোথাও ঘুরে আসুন। পরিবারের বাইরে বন্ধুদের সাথে কিছু সময় কাটান। আবার ফিরে আসুন পরিবারের প্রিয় মানুষটার কাছে। দেখবেন সংসারটা আর জেলখানা মনে হচ্ছে না।
    .
    ৭. মাঝে মাঝে দেখবেন আপনার মনে হবে, আহা কত ভালবাসি মানুষটাকে!! আবার কখনও মনে হবে দূর, একদম ভাল্লাগে না ওকে। এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং কিভাবে ভালবেসে সাথে থেকে যেতে হয় তা শিখুন। সংসারে অনেক প্যারা থাকে, কিছু মেনে নিতেও হয়।
    .
    ৮. আপনার পার্টনার যতই আপনাকে ভালবাসুক, যতই টেক কেয়ার করুক বা হোক সুন্দরী/হ্যান্ডসাম, অন্য কাউকে আপনার ভাল লাগবে। নতুন কাউকে দেখে ভাল লাগার বিষয়টা এড়িয়ে চলাও কঠিন। দিবা স্বপ্ন দেখেন, ঠিক আছে। কিন্তু নতুন মানুষটার পিছে ছুটবেন না। আপনার পার্টনারের গুরুত্ব বুঝতে চেষ্টা করুন।
    .
    ৯. শারীরিক সম্পর্ক আপনার পার্টনারের সাথেই সবচেয়ে বেশী উপভোগ্য হয়। কিন্তু প্রত্যেকবার একই রকম সুখের অনুভূতি হবে না। সময় ও বয়সের সাথে সাথে অনুভূতিতে ভাটাও পড়তে পারে। নতুন কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক উপভোগ্য করে তোলার ভুল চিন্তা থেকে বের হোন। বরং পার্টনারের সাথে সম্পর্ক আনন্দময় করে রাখতে ক্রিয়েটিভ হয়ে নতুন কিছু যোগ করুন।
    .
    সবার জন্য শুভ কামনা। জীবনের বাঁকে বাঁকে চ্যালেঞ্জ। সংসার যখন করছেন এই চ্যালেঞ্জ গুলোকেও এক্সসেপ্ট করতে হবে। তবেই দাম্পত্য জীবন সুখের ও শান্তির হবে। সুন্দর ও সুখী পারিবারিক জীবন আমাদের সবার প্রাপ্য। এটা নিজেকেই তৈরী করে নিতে হয়। তবে এতে দুজনেরই সহযোগিতাপূর্ণ হতে হয়।
    বিবাহিত জীবন এর অপ্রিয় সত্য। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই কথাগুলো সত্যি। ১. বিবাহিত জীবন কখনও খুব মধুর। আবার কখনও হতাশার। কখনও মনে হবে আহ্ কি চমৎকার একটা জীবন পেয়েছি, কখনও মনে হবে ঘানি টানতে জীবন শেষ!! এই দুই ধরনের অনুভূতি ঘুরে ফিরে আসে। ভাববেন না যে বিয়ে করে ভুল করেছেন; দাম্পত্য সম্পর্ক উপভোগ করুন। কষ্টের সময়টা ঠান্ডা মাথায় হ্যান্ডেল করুন। ২. আপনি যদি পার্টনারকে প্যারা দেন, সেও আপনাকে প্যারা দিবে। বেশী প্যারায় মনে হবে আপনি ভুল মানুষকে বিয়ে করেছেন। আপনি যে তাকে প্যারা দিচ্ছেন সেটা ভুলে গিয়ে পার্টনারের প্যারা নিয়ে অস্থির হয়ে যাবেন। কখনও ভুল করে ভাবতে পারেন মানুষটা হয়ত gaslighting করছে। তাই ভুলতে ও ক্ষমা করতে শিখুন। সামনে এগিয়ে যান। জীবনে সুখের কিন্তু শেষ নেই!! ৩. আমরা মনে করি দাম্পত্য জীবনে ভালবাসা হতে হবে সমান সমান। ঠিক আছে। কিন্তু এটা 50/50 না। এটা হবে 100/100। দুই পক্ষ থেকে শতভাগ না হলে কেউই জিতবে না। আপনি যদি একাই 100 দিয়ে বসে থাকেন, আপনি হেরে যাবেন। ভালবাসার অর্ধেক বলে কিছু নেই; পুরাটাই নয়ত কিছুই না। দাম্পত্য জীবনে এই ভালবাসাটাই সমান সমান হয় না। অসমান ভালবাসায় আমরা ঘর বাঁধি, হেরে গিয়ে সাথে থাকি। ৪. ঝগড়ার পরে অন্তরঙ্গতাকে (intimacy) না বলার ঘটনাই বেশী ঘটে। কখনও কখনও ঝগড়ার পরে আরেকটা ঝগড়ার আয়োজন চলে। এভাবে দূরত্ব বাড়ে, অভিমানের জায়গা হয় প্রশ্বস্ত। কোন ভাবে ঝগড়া মিটিয়ে অন্তরঙ্গ হোন। দেখবেন ভালবাসার আরেক অধ্যায় শুরু হয়েছে। আপনি হয়ত নতুন করে আপনার পার্টনারের প্রেমে পড়বেন। ৫. বিয়ে করার সময় ভাবতেও পারবেন না যে, এই প্রিয় মানুষটির সাথে আপনার ঝগড়া হবে, মন কষাকষি হবে, বাঁধবে স্বার্থের সংঘাত। কিন্তু এটা ঘটবে। সুতরাং ঝগড়ার সময় fair ও logical থাকুন, যেন ঝগড়া মিটিয়ে আবার সম্পর্ক ঠিক করে নিতে পারেন। ৬. দুজন এক সাথে দীর্ঘদিন কাটানো বেশ আনন্দ দায়ক। কিন্তু এক সাথে থাকতে থাকতে কখনও কখনও সংসারটা জেলখানার মত মনে হয়। কিছু সময়ের জন্য একা থাকুন, কোথাও ঘুরে আসুন। পরিবারের বাইরে বন্ধুদের সাথে কিছু সময় কাটান। আবার ফিরে আসুন পরিবারের প্রিয় মানুষটার কাছে। দেখবেন সংসারটা আর জেলখানা মনে হচ্ছে না। . ৭. মাঝে মাঝে দেখবেন আপনার মনে হবে, আহা কত ভালবাসি মানুষটাকে!! আবার কখনও মনে হবে দূর, একদম ভাল্লাগে না ওকে। এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং কিভাবে ভালবেসে সাথে থেকে যেতে হয় তা শিখুন। সংসারে অনেক প্যারা থাকে, কিছু মেনে নিতেও হয়। . ৮. আপনার পার্টনার যতই আপনাকে ভালবাসুক, যতই টেক কেয়ার করুক বা হোক সুন্দরী/হ্যান্ডসাম, অন্য কাউকে আপনার ভাল লাগবে। নতুন কাউকে দেখে ভাল লাগার বিষয়টা এড়িয়ে চলাও কঠিন। দিবা স্বপ্ন দেখেন, ঠিক আছে। কিন্তু নতুন মানুষটার পিছে ছুটবেন না। আপনার পার্টনারের গুরুত্ব বুঝতে চেষ্টা করুন। . ৯. শারীরিক সম্পর্ক আপনার পার্টনারের সাথেই সবচেয়ে বেশী উপভোগ্য হয়। কিন্তু প্রত্যেকবার একই রকম সুখের অনুভূতি হবে না। সময় ও বয়সের সাথে সাথে অনুভূতিতে ভাটাও পড়তে পারে। নতুন কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক উপভোগ্য করে তোলার ভুল চিন্তা থেকে বের হোন। বরং পার্টনারের সাথে সম্পর্ক আনন্দময় করে রাখতে ক্রিয়েটিভ হয়ে নতুন কিছু যোগ করুন। . সবার জন্য শুভ কামনা। জীবনের বাঁকে বাঁকে চ্যালেঞ্জ। সংসার যখন করছেন এই চ্যালেঞ্জ গুলোকেও এক্সসেপ্ট করতে হবে। তবেই দাম্পত্য জীবন সুখের ও শান্তির হবে। সুন্দর ও সুখী পারিবারিক জীবন আমাদের সবার প্রাপ্য। এটা নিজেকেই তৈরী করে নিতে হয়। তবে এতে দুজনেরই সহযোগিতাপূর্ণ হতে হয়।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 12939 Views 0 previzualizare
  • দুধ খারাপ হলে দই হয়ে যায়। দই দুধের চেয়ে দামি। যদি সেটা আরো
    খারাপ হয়, তাহলে পনীর হয়ে যায়। পনীরের মূল্য দই এবং দুধের চেয়ে
    অনেক বেশি। আর আঙুরের রস টক হলে তা ওয়াইনে রূপান্তরিত হয়, যা আঙ্গুর রসের চেয়েও অনেক বেশী দামী।

    তুমি খারাপ না কারণ তুমি ভুল করেছ। ভুল হল সেই অভিজ্ঞতা যা প্রত্যেক ব্যক্তিকে আরো মূল্যবান করে তোলে। ক্রিস্টোফার কলম্বাস একটি নেভিগেশন ভুল করেছিলেন যা তাকে আমেরিকা আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছিল। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর ভুল তাকে পেনিসিলিন আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছে।

    টমাস আলভা এডিসন কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনি জীবনে ভুল করেছেন ? তিনি বলছিলেন 'অসংখ্যবার!' তা শুনে প্রশ্নকর্তা বলেছিলেন, 'তাহলে তো আপনার মাথায় বুদ্ধি কম?' উত্তরে এডিসন যে উত্তর করেছিলেন তা এমন, 'মাথায় বুদ্ধি কম ছিলো কিন্তু অসংখ্যবার ভুল করার কারণে তা বেড়ে অসংখ্য গুণ হয়ে গিয়েছে!'
    ব্যাপারটা এমন, প্রতিবার ভুলের পর এডিসন নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতেন । এভাবে সৃষ্ট সফল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে।

    কানাডিয়ান বিখ্যাত লেখক রবিন শর্মা বলেছিলেন, 'ভুল বলে কিছু নেই - সবই নতুন শিক্ষা।'

    বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'কেউ যদি বলে সে কখনো ভুল করেনি, তার মানে সে কখনো চেষ্টাই করেনি।'

    'How to change a life' বইটি একবার দ্বিতীয় সংস্করণে নামের ভুলে 'How to change a wife' হয়ে বের হয়েছিলো, তারপর তা বেস্ট সেলার!

    কথায় আছে, মাঝে মাঝে ভুল বলো নাহলে তুমি বুঝতে পারবে না লোকে তোমার কথা শুনছে কি না!
    মাঝে মাঝে ভুল লেখো তাহলে যে সোশ্যাল সাইটে তোমাকে জিন্দেগীতে কমেন্ট করবে না বলে পণ করেছে সে ও কমেন্ট
    করবে।

    বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, 'উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের
    একটি সমন্বিত পক্রিয়া।'

    বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, 'নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।'

    কলিন পাওয়েলের মতে, 'যোগ্য নেতা জন্ম নেয় না - তৈরী হয় চেষ্টা, ভুল এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।'

    অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ মাইকেল জর্ডান বলেছিলেন, 'আমি অসংখ্যবার ভুল করেছি এবং ফেইল করেছি বলে আমি আজ সফল।'

    হেনরি ফোর্ড বলেছিলেন, 'ভুল হলো একমাত্র সুযোগ যার মাধ্যমে নতুন করে শুরু করার আরো সুযোগ পাবেন।'

    এক প্রেমিকের ভাষ্য, 'ভুল মানুষের প্রেমে পড়া মানে আরেকটি শুদ্ধ
    মানুষের প্রেমে পড়ার অন্যতম সুযোগ।'

    কথায় আছে, সত্যিকার মানুষ কখনো নির্ভুল হতে পারে না!
    যদি সবকিছু নির্ভুল থাকে তাহলে তুমি কখনো কিছু শিখতে পারবে না!

    পেন্সিল মানসিকতা হওয়ার চেষ্টা করো, যাতে ভুল হলে পিছন দিয়ে ঘষে মুছে নতুন করে চেষ্টা করার সুযোগ থাকবে! কোনও কিছু মুছে না গেলে চিত্র হয় না! কলম মানসিকতার মানুষগুলো নিজেকে নির্ভুল ভাবে ! তাই কলম দিয়ে সুন্দর চিত্র হয় না!

    তাই আসুন আমরা ভুল কে ভুলে গিয়ে আবার নতুনভাবে চেষ্টা করে
    ফুলের মত জীবন গড়ি।

    আপনার ভুলগুলিকে আপনি নীচে নামাতে দেবেন না। এটি অনুশীলন নয় যা নিখুঁত করে তোলে। আমরা ভুল থেকে যা শিখি তা আমাদের নিখুঁত করে তোলে!

    #collected
    দুধ খারাপ হলে দই হয়ে যায়। দই দুধের চেয়ে দামি। যদি সেটা আরো খারাপ হয়, তাহলে পনীর হয়ে যায়। পনীরের মূল্য দই এবং দুধের চেয়ে অনেক বেশি। আর আঙুরের রস টক হলে তা ওয়াইনে রূপান্তরিত হয়, যা আঙ্গুর রসের চেয়েও অনেক বেশী দামী। তুমি খারাপ না কারণ তুমি ভুল করেছ। ভুল হল সেই অভিজ্ঞতা যা প্রত্যেক ব্যক্তিকে আরো মূল্যবান করে তোলে। ক্রিস্টোফার কলম্বাস একটি নেভিগেশন ভুল করেছিলেন যা তাকে আমেরিকা আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছিল। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর ভুল তাকে পেনিসিলিন আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছে। টমাস আলভা এডিসন কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনি জীবনে ভুল করেছেন ? তিনি বলছিলেন 'অসংখ্যবার!' তা শুনে প্রশ্নকর্তা বলেছিলেন, 'তাহলে তো আপনার মাথায় বুদ্ধি কম?' উত্তরে এডিসন যে উত্তর করেছিলেন তা এমন, 'মাথায় বুদ্ধি কম ছিলো কিন্তু অসংখ্যবার ভুল করার কারণে তা বেড়ে অসংখ্য গুণ হয়ে গিয়েছে!' ব্যাপারটা এমন, প্রতিবার ভুলের পর এডিসন নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতেন । এভাবে সৃষ্ট সফল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। কানাডিয়ান বিখ্যাত লেখক রবিন শর্মা বলেছিলেন, 'ভুল বলে কিছু নেই - সবই নতুন শিক্ষা।' বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'কেউ যদি বলে সে কখনো ভুল করেনি, তার মানে সে কখনো চেষ্টাই করেনি।' 'How to change a life' বইটি একবার দ্বিতীয় সংস্করণে নামের ভুলে 'How to change a wife' হয়ে বের হয়েছিলো, তারপর তা বেস্ট সেলার! কথায় আছে, মাঝে মাঝে ভুল বলো নাহলে তুমি বুঝতে পারবে না লোকে তোমার কথা শুনছে কি না! মাঝে মাঝে ভুল লেখো তাহলে যে সোশ্যাল সাইটে তোমাকে জিন্দেগীতে কমেন্ট করবে না বলে পণ করেছে সে ও কমেন্ট করবে। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, 'উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের একটি সমন্বিত পক্রিয়া।' বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, 'নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।' কলিন পাওয়েলের মতে, 'যোগ্য নেতা জন্ম নেয় না - তৈরী হয় চেষ্টা, ভুল এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।' অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ মাইকেল জর্ডান বলেছিলেন, 'আমি অসংখ্যবার ভুল করেছি এবং ফেইল করেছি বলে আমি আজ সফল।' হেনরি ফোর্ড বলেছিলেন, 'ভুল হলো একমাত্র সুযোগ যার মাধ্যমে নতুন করে শুরু করার আরো সুযোগ পাবেন।' এক প্রেমিকের ভাষ্য, 'ভুল মানুষের প্রেমে পড়া মানে আরেকটি শুদ্ধ মানুষের প্রেমে পড়ার অন্যতম সুযোগ।' কথায় আছে, সত্যিকার মানুষ কখনো নির্ভুল হতে পারে না! যদি সবকিছু নির্ভুল থাকে তাহলে তুমি কখনো কিছু শিখতে পারবে না! পেন্সিল মানসিকতা হওয়ার চেষ্টা করো, যাতে ভুল হলে পিছন দিয়ে ঘষে মুছে নতুন করে চেষ্টা করার সুযোগ থাকবে! কোনও কিছু মুছে না গেলে চিত্র হয় না! কলম মানসিকতার মানুষগুলো নিজেকে নির্ভুল ভাবে ! তাই কলম দিয়ে সুন্দর চিত্র হয় না! তাই আসুন আমরা ভুল কে ভুলে গিয়ে আবার নতুনভাবে চেষ্টা করে ফুলের মত জীবন গড়ি। আপনার ভুলগুলিকে আপনি নীচে নামাতে দেবেন না। এটি অনুশীলন নয় যা নিখুঁত করে তোলে। আমরা ভুল থেকে যা শিখি তা আমাদের নিখুঁত করে তোলে! #collected
    Like
    3
    0 Commentarii 0 Distribuiri 7148 Views 0 previzualizare
  • ঢাকা থেকে ইন্সপেক্টর এসেছে গ্রামের একটা স্কুল পরিদর্শনে। তিনি প্রথমে অষ্টম শ্রেণীর কক্ষে ঢুকলেন।

    এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করলেনঃ
    পরিদর্শকঃ আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি কে?
    ছাত্রীঃ শেখ হাসিনা।
    পরিদর্শকঃ আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি, প্রেসিডেন্ট কে?
    ছাত্রীঃ খালেদা জিয়া।
    পরিদর্শকঃ তুমি ক্লাস এইটে উঠেছো কিভাবে, আমি তোমার নাম কেটে দিব।
    ছাত্রীঃ আমারতো স্কুলের খাতায় নামই নেই, আপনি কাটবেন কেমনে ?
    পরিদর্শকঃ নাম নেই মানে?
    ছাত্রীঃ আমি স্কুলের মাঠে গরু নিয়া আইছিলাম, স্যারে কইলো তোরে দশ টাকা দিমু তুই ক্লাসে আইসা বইসা থাক।

    পরিদর্শকঃ ছিঃ মাষ্টার সাহেব আপনার লজ্জা করে না,শিক্ষা নিয়া ব্যবসা করতেছেন ? আমি আপনাকে বরখাস্ত করবো।
    ক্লাস শিক্ষকঃ আরে আপনি আমায় বরখাস্ত করতে পারবেন না, আমি মাস্টার না। সামনে যে মুদি দোকানটা দেখছেন ঐটা আমার। মাস্টার সাবে আমারে কইলো শহর থেকে এক বেটা আইবো আমি হাঁটে গেলাম তুই একটু ক্লাস ঘড়ে যাইয়া বইসা থাকবি।

    পরিদর্শকঃ (রেগে হেড স্যারের রুমে গিয়ে) আপনি হেড স্যার ?
    হেড স্যারঃ হ্যা,কোনো সমস্যা ?
    পরিদর্শকঃ কি করছেন আপনারা, এইসব নকল ছাত্র--শিক্ষক দিয়া স্কুল চালান?
    হেড স্যারঃ আমি না,আমার মামা এই স্কুলের হেড স্যার। উনি জমি কেনা-বেচার দালালি করেন। কাস্টমার নিয়া অন্য গ্রামে গেছেন।
    আমারে কইলো ইন্সপেক্টর আইলে এক হাজার টাকার এই বান্ডিল টা দিয়া দিছ।
    পরিদর্শকঃ এই যাত্রায় আপনারা বেঁচে গেলেন। আসলে আমিও ইন্সপেক্টর না, আমার দাদা ইন্সপেক্টর। উনি ঠিকাদারির কাজ ও করেন। টেন্ডারজমা দিতে সিটি কর্পোরেশনে গেছেন। আমাকে বললেন তুই আমার হয়ে পরিদর্শন করে আয়--------!!!

    আর হে ! এভাবেই চলে প্রিয় বাংলাদেশ...!
    ঢাকা থেকে ইন্সপেক্টর এসেছে গ্রামের একটা স্কুল পরিদর্শনে। তিনি প্রথমে অষ্টম শ্রেণীর কক্ষে ঢুকলেন। এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করলেনঃ পরিদর্শকঃ আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি কে? ছাত্রীঃ শেখ হাসিনা। পরিদর্শকঃ আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি, প্রেসিডেন্ট কে? ছাত্রীঃ খালেদা জিয়া। পরিদর্শকঃ তুমি ক্লাস এইটে উঠেছো কিভাবে, আমি তোমার নাম কেটে দিব। ছাত্রীঃ আমারতো স্কুলের খাতায় নামই নেই, আপনি কাটবেন কেমনে ? পরিদর্শকঃ নাম নেই মানে? ছাত্রীঃ আমি স্কুলের মাঠে গরু নিয়া আইছিলাম, স্যারে কইলো তোরে দশ টাকা দিমু তুই ক্লাসে আইসা বইসা থাক। পরিদর্শকঃ ছিঃ মাষ্টার সাহেব আপনার লজ্জা করে না,শিক্ষা নিয়া ব্যবসা করতেছেন ? আমি আপনাকে বরখাস্ত করবো। ক্লাস শিক্ষকঃ আরে আপনি আমায় বরখাস্ত করতে পারবেন না, আমি মাস্টার না। সামনে যে মুদি দোকানটা দেখছেন ঐটা আমার। মাস্টার সাবে আমারে কইলো শহর থেকে এক বেটা আইবো আমি হাঁটে গেলাম তুই একটু ক্লাস ঘড়ে যাইয়া বইসা থাকবি। পরিদর্শকঃ (রেগে হেড স্যারের রুমে গিয়ে) আপনি হেড স্যার ? হেড স্যারঃ হ্যা,কোনো সমস্যা ? পরিদর্শকঃ কি করছেন আপনারা, এইসব নকল ছাত্র--শিক্ষক দিয়া স্কুল চালান? হেড স্যারঃ আমি না,আমার মামা এই স্কুলের হেড স্যার। উনি জমি কেনা-বেচার দালালি করেন। কাস্টমার নিয়া অন্য গ্রামে গেছেন। আমারে কইলো ইন্সপেক্টর আইলে এক হাজার টাকার এই বান্ডিল টা দিয়া দিছ। পরিদর্শকঃ এই যাত্রায় আপনারা বেঁচে গেলেন। আসলে আমিও ইন্সপেক্টর না, আমার দাদা ইন্সপেক্টর। উনি ঠিকাদারির কাজ ও করেন। টেন্ডারজমা দিতে সিটি কর্পোরেশনে গেছেন। আমাকে বললেন তুই আমার হয়ে পরিদর্শন করে আয়--------!!! আর হে ! এভাবেই চলে প্রিয় বাংলাদেশ...!
    0 Commentarii 0 Distribuiri 7351 Views 0 previzualizare
  • রিক্সাওয়ালা ৩০টাকা ভাড়া চেয়েছে, আপনি বলছেন ২৫ টাকা।
    আপনি ৫টাকা সেভ করেছেন। (যদি আপনি উইন করেন)

    বাসে ১৫টাকা ভাড়া চেয়েছে, আপনি ২ বছর আগের রেফারেন্স টেনে ঝগড়া করছেন ১০টাকা। (যদি আপনি ঝগড়ার পর জিতে যান)

    এক বুড়া ভদ্রলোক শাক বিক্রি করছে ১২টাকা আটি, আপনি বললেন ১০টাকা। (এখানে আপনি উইন করলেন ২টাকা)

    গোস্ত কিনতে গেলেন, খুব দামাদামি করে ২০টাকা কমিয়েছেন, ৪০টাকার হাড় আর চরবি পেয়েছেন। এখানেও ধরেন জিতেছেনই, জয়টা হয়েছে ২০টাকার।

    এভাবে আপনার মহল্লার প্রতিটা মানুষ জানে আপনি ছ্যাচড়া। যাই দাম বলা হোক, আপনি একটা কম বলবেনই।

    দুই একদিন বাদে, মাছ মাংস, শাক সবজি, ডিম দুধওয়ালা সবাই আপনাকে ছোটলোক হিসেবেই জানবে। তখন তারা আগে যেখানে ১৫টাকা দাম চাইতো এখন চাইবে ২০ টাকা। আপনি স্বভাবসুলভ ভাবে ৫ টাকা কমিয়ে বলবেন, এতে করে তাদের প্রফিট থাকবে, এভাবেই সবাই আপনাকে ট্রিট করবে।

    এবার আরেকটা দিক বলি, রিসার্চ মতে, একজন মানুষ যদি ৭০-৭৫ বছর বাঁচেন, এবং ১০ বছর বয়স থেকে কেনাকাটা শুরু করেন, তাহলে ১০-৭৫ এই ৬৫ বছর যদি তিনি এভাবে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে দামাদামি করেন এবং সব কয়টায়ও যদি তিনিই উইন করেন, তাহলে সারাজীবনে তার মোট সেভিং হবে ম্যাক্সিমাম ২ লাখ টাকা। (উল্লেখ্য জীবনেও একজন মানুষ সব ক্ষেত্রে জিতবেন না। কাজেই টাকার পরিমাণটা বেশ কম হবে।)

    কিন্তু এই টাকাটা বাঁচাতে গিয়ে সারাটা জীবন তিনি গনমানুষের কাছে ছ্যাচড়া বা কিপটা টাইটেল প্রাপ্ত হবেন। কিন্তু এই ম্যাক্সিমাম দুই লাখ টাকা ৬৫ বছর কেনাকাটা করে এবং দামাদামি করে সেভ করার এই যে বাড়তি এফোরট, এটা তার অনেক ভালো কোয়ালিটি জীবনেও প্রকাশ পেতে দিবে না। কারণ, তার খাইছলত ততদিনে চেঞ্জ হয়ে যাবে। সে চাইলেই কাউকে ৫-১০টাকা বাড়িয়ে দেয়ার মানসিকতা করতে পারবেন না। আর দিতে না পারার এই অক্ষমতা এই জীবনে তার নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট করে দিবে।

    তাহলে কি নেগোশিয়েট করবো না?

    অবশ্যই করবেন। নেগোশিয়েট করার নিয়ম হচ্ছে, আপনি আপানর চেয়ে যে বড় তার সাথে নেগোশিয়েট করুন। বেতন পাচ্ছেন ৪০ হাজার, কিভাবে এটাকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়, সেটা ভাবুন। এর জন্যে কি কি স্কিল দরকার, সেগুলা কোথা থেকে, কবের ভিতর কিভাবে ডেভলপ করবেন, সেটা নিয়ে ভাবুন। এই ভাবনাটা ভাবলে আপনার মাসে ১০ হাজার টাকা ইনক্রিমেন্ট হবে। আর ছ্যাচরামি করলে মাসে বড়জোর ৩০০-৫০০টাকা বাচবে।

    এখন আপনি ১০ হাজার টাকা উপার্জনের দিকে বেশি ইফোরট দিবেন নাকি ৫০০টাকা বাঁচানোর দিকে বেশি ইফোরট দিবেন, সেই ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারাটা খুব জরুরী। আপনার সিদ্ধান্ত সঠিক হলে আপনাকে ম্যাচিউর বলা যায়।
    রিক্সাওয়ালা ৩০টাকা ভাড়া চেয়েছে, আপনি বলছেন ২৫ টাকা। আপনি ৫টাকা সেভ করেছেন। (যদি আপনি উইন করেন) বাসে ১৫টাকা ভাড়া চেয়েছে, আপনি ২ বছর আগের রেফারেন্স টেনে ঝগড়া করছেন ১০টাকা। (যদি আপনি ঝগড়ার পর জিতে যান) এক বুড়া ভদ্রলোক শাক বিক্রি করছে ১২টাকা আটি, আপনি বললেন ১০টাকা। (এখানে আপনি উইন করলেন ২টাকা) গোস্ত কিনতে গেলেন, খুব দামাদামি করে ২০টাকা কমিয়েছেন, ৪০টাকার হাড় আর চরবি পেয়েছেন। এখানেও ধরেন জিতেছেনই, জয়টা হয়েছে ২০টাকার। এভাবে আপনার মহল্লার প্রতিটা মানুষ জানে আপনি ছ্যাচড়া। যাই দাম বলা হোক, আপনি একটা কম বলবেনই। দুই একদিন বাদে, মাছ মাংস, শাক সবজি, ডিম দুধওয়ালা সবাই আপনাকে ছোটলোক হিসেবেই জানবে। তখন তারা আগে যেখানে ১৫টাকা দাম চাইতো এখন চাইবে ২০ টাকা। আপনি স্বভাবসুলভ ভাবে ৫ টাকা কমিয়ে বলবেন, এতে করে তাদের প্রফিট থাকবে, এভাবেই সবাই আপনাকে ট্রিট করবে। এবার আরেকটা দিক বলি, রিসার্চ মতে, একজন মানুষ যদি ৭০-৭৫ বছর বাঁচেন, এবং ১০ বছর বয়স থেকে কেনাকাটা শুরু করেন, তাহলে ১০-৭৫ এই ৬৫ বছর যদি তিনি এভাবে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে দামাদামি করেন এবং সব কয়টায়ও যদি তিনিই উইন করেন, তাহলে সারাজীবনে তার মোট সেভিং হবে ম্যাক্সিমাম ২ লাখ টাকা। (উল্লেখ্য জীবনেও একজন মানুষ সব ক্ষেত্রে জিতবেন না। কাজেই টাকার পরিমাণটা বেশ কম হবে।) কিন্তু এই টাকাটা বাঁচাতে গিয়ে সারাটা জীবন তিনি গনমানুষের কাছে ছ্যাচড়া বা কিপটা টাইটেল প্রাপ্ত হবেন। কিন্তু এই ম্যাক্সিমাম দুই লাখ টাকা ৬৫ বছর কেনাকাটা করে এবং দামাদামি করে সেভ করার এই যে বাড়তি এফোরট, এটা তার অনেক ভালো কোয়ালিটি জীবনেও প্রকাশ পেতে দিবে না। কারণ, তার খাইছলত ততদিনে চেঞ্জ হয়ে যাবে। সে চাইলেই কাউকে ৫-১০টাকা বাড়িয়ে দেয়ার মানসিকতা করতে পারবেন না। আর দিতে না পারার এই অক্ষমতা এই জীবনে তার নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট করে দিবে। তাহলে কি নেগোশিয়েট করবো না? অবশ্যই করবেন। নেগোশিয়েট করার নিয়ম হচ্ছে, আপনি আপানর চেয়ে যে বড় তার সাথে নেগোশিয়েট করুন। বেতন পাচ্ছেন ৪০ হাজার, কিভাবে এটাকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়, সেটা ভাবুন। এর জন্যে কি কি স্কিল দরকার, সেগুলা কোথা থেকে, কবের ভিতর কিভাবে ডেভলপ করবেন, সেটা নিয়ে ভাবুন। এই ভাবনাটা ভাবলে আপনার মাসে ১০ হাজার টাকা ইনক্রিমেন্ট হবে। আর ছ্যাচরামি করলে মাসে বড়জোর ৩০০-৫০০টাকা বাচবে। এখন আপনি ১০ হাজার টাকা উপার্জনের দিকে বেশি ইফোরট দিবেন নাকি ৫০০টাকা বাঁচানোর দিকে বেশি ইফোরট দিবেন, সেই ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারাটা খুব জরুরী। আপনার সিদ্ধান্ত সঠিক হলে আপনাকে ম্যাচিউর বলা যায়।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 1874 Views 0 previzualizare
  • চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান (টিকেট ছাড়া)

    যাদের প্রয়োজন তারা নোট রাখতে পারেন।
    চট্টগ্রাম শহরের ভিতর দর্শনীয় স্থান সমূহঃ(টিকেট ছাড়া)
    ১. পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
    ২. গোল্ডেন বীচ পতেঙ্গা
    ৩. কাঠগড় সি-বীচ
    ৪. ১৫ নং নেভাল এভেন্যু
    ৫. চট্টগ্রাম বোট ক্লাব (শুধুমাত্র রেস্টুরেন্ট এর জন্য)
    ৬. বিমান বন্দর
    ৭. ফইল্লাতলী সাগরের পাড় ও ম্যানগ্রোভ বন (রানী রাসমনি বীচ)
    ৮. চৌচালা-বীচ (সীভিউ পার্ক)
    ৯. শুকতারা রিসোর্ট
    ১০. পোর্টের টোল সড়ক
    ১১. রেলওয়ে জাদুঘর
    ১২. ঝাউতলা আবহাওয়া ওফিস ও ব্র্যাক এর পাহাড়
    ১৩. বাটালী পাহাড় (বিজয় স্তম্ভ)
    ১৪. জিলাপী পাহাড়
    ১৫. সিআরবি পাহাড়
    ১৬. ডি সি হিল
    ১৭. কর্ণফুলী নতুন ব্রীজ
    ১৮. ফিরিঙ্গিবাজার ব্রীজ ঘাট/ফিসারী ঘাট (নৌ-ভ্রমন পিয়াসুদের জন্য)
    ১৯. জাতীয় সংঘ পার্ক (পাচলাইশ)
    ২০. বিপ্লব উদ্যান (২নং গেইট)
    ২১. সানসেট পয়েন্ট ভাটিয়ারী ও ভাটিয়ারী লেক
    ২২. ঠান্ডাছড়ি পার্ক ও পিকনিক স্পট
    ২৩. ওয়ার সিমেট্রি
    ২৪. অভয় মিত্রঁ ঘাট (প্রকাশ নেভাল ২)
    ২৫. আগ্রাবাদ জাম্বুরী পার্ক


    চট্টগ্রাম শহরের ভিতর দর্শনীয় স্থান সমূহঃ(টিকেট/পারমিশন প্রয়োজন)
    ১. ফয়েজ লেক
    ২. চিড়িয়া খানা
    ৩. মিনি বাংলাদেশ
    ৪. আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক
    ৫. বাটারফ্লাই পার্ক
    ৬. ভাটিয়ারী গলফ ও কান্ট্রি ক্লাব (আর্মি পারমিশন প্রয়োজন)
    ৭. জাতিতাত্তিক জাদুঘর আগ্রাবাদ
    ৮. জিয়া সৃতি জাদুঘর, সার্কিট হাউস।
    ৯. ক্যাফে ২৪ ভাটিয়ারী
    ১০. ডিসি পার্ক

    শহরের কাছাকাছি একদিনের ভ্রমন এ যাওয়া সম্ভব এমন দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
    ১. কাপ্তাই
    ২. রাঙ্গামাটি
    ৩. বান্দরবন
    ৪. সীতাকুণ্ড
    ৫. মুহুরি প্রজেক্ট ফেনী
    ৬. মহামায়া রবার ডেম প্রকল্প মিরসরাই
    ৭. সহস্র ধারা ঝর্না ছোট দারোগাহাট, সীতাকুন্ড
    ৮. পারকি সমুদ্র সৈকত, আনোয়ারা
    ৯. বাশখালী বামের ছরা ইকোপার্ক
    ১০. চকোরিয়া ডুলাহাজরা সাফারী পার্ক
    চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান (টিকেট ছাড়া) যাদের প্রয়োজন তারা নোট রাখতে পারেন। চট্টগ্রাম শহরের ভিতর দর্শনীয় স্থান সমূহঃ(টিকেট ছাড়া) ১. পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ২. গোল্ডেন বীচ পতেঙ্গা ৩. কাঠগড় সি-বীচ ৪. ১৫ নং নেভাল এভেন্যু ৫. চট্টগ্রাম বোট ক্লাব (শুধুমাত্র রেস্টুরেন্ট এর জন্য) ৬. বিমান বন্দর ৭. ফইল্লাতলী সাগরের পাড় ও ম্যানগ্রোভ বন (রানী রাসমনি বীচ) ৮. চৌচালা-বীচ (সীভিউ পার্ক) ৯. শুকতারা রিসোর্ট ১০. পোর্টের টোল সড়ক ১১. রেলওয়ে জাদুঘর ১২. ঝাউতলা আবহাওয়া ওফিস ও ব্র্যাক এর পাহাড় ১৩. বাটালী পাহাড় (বিজয় স্তম্ভ) ১৪. জিলাপী পাহাড় ১৫. সিআরবি পাহাড় ১৬. ডি সি হিল ১৭. কর্ণফুলী নতুন ব্রীজ ১৮. ফিরিঙ্গিবাজার ব্রীজ ঘাট/ফিসারী ঘাট (নৌ-ভ্রমন পিয়াসুদের জন্য) ১৯. জাতীয় সংঘ পার্ক (পাচলাইশ) ২০. বিপ্লব উদ্যান (২নং গেইট) ২১. সানসেট পয়েন্ট ভাটিয়ারী ও ভাটিয়ারী লেক ২২. ঠান্ডাছড়ি পার্ক ও পিকনিক স্পট ২৩. ওয়ার সিমেট্রি ২৪. অভয় মিত্রঁ ঘাট (প্রকাশ নেভাল ২) ২৫. আগ্রাবাদ জাম্বুরী পার্ক চট্টগ্রাম শহরের ভিতর দর্শনীয় স্থান সমূহঃ(টিকেট/পারমিশন প্রয়োজন) ১. ফয়েজ লেক ২. চিড়িয়া খানা ৩. মিনি বাংলাদেশ ৪. আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক ৫. বাটারফ্লাই পার্ক ৬. ভাটিয়ারী গলফ ও কান্ট্রি ক্লাব (আর্মি পারমিশন প্রয়োজন) ৭. জাতিতাত্তিক জাদুঘর আগ্রাবাদ ৮. জিয়া সৃতি জাদুঘর, সার্কিট হাউস। ৯. ক্যাফে ২৪ ভাটিয়ারী ১০. ডিসি পার্ক শহরের কাছাকাছি একদিনের ভ্রমন এ যাওয়া সম্ভব এমন দর্শনীয় স্থান সমূহঃ ১. কাপ্তাই ২. রাঙ্গামাটি ৩. বান্দরবন ৪. সীতাকুণ্ড ৫. মুহুরি প্রজেক্ট ফেনী ৬. মহামায়া রবার ডেম প্রকল্প মিরসরাই ৭. সহস্র ধারা ঝর্না ছোট দারোগাহাট, সীতাকুন্ড ৮. পারকি সমুদ্র সৈকত, আনোয়ারা ৯. বাশখালী বামের ছরা ইকোপার্ক ১০. চকোরিয়া ডুলাহাজরা সাফারী পার্ক
    Like
    2
    0 Commentarii 0 Distribuiri 1142 Views 0 previzualizare
  • নটরডেম কলেজের এক ভাইকে দেখেছিলাম । পড়াশুনার ধরনটা বলি । কলেজ থেকে এসে সে ঘুমাতো । এরপর রাতের ডিনার করে পড়তে বসতো । ড্রয়ারে থাকতো ৩০/ ৩৫ বিভিন্ন ধরনের কলম । বিভিন্ন ব্রান্ডের অগনিত পেন্সিল । দিস্তা দিস্তা খাতা টেবিলের পাশে রাখা ছিল । কলেজ লেভেলের সবগুলা বই সুন্দর করে বাধাই করে নতুন মলাট করা । প্যাকেট ভর্তি দামী ইরেজার ।

    এই মানুষটা পড়ত আর লিখতো । লিখতো আর পড়তো । বিরক্ত লাগলে উঠে গোসল করে আবার পড়তে বসতো । এভাবে চলতো সারা রাত । খালি কলমগুলো পড়ে থাকতো টেবিলের পাশে । দিস্তা দিস্তা খাতা শেষ হয়ে টেবিলের নিচে জমতো ।
    এরকম ভয়ঙ্কর ধরনের পড়াশুনা করেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে সে বুয়েট ,ঢাবি , জাবি ,রাবি ,চবি থেকে শুরু করে কোথাও চান্স পায় নি । আমি আজও হিসাব মেলাতে পারি না কেন সে চান্স পায় নি । কি এমন বাকি ছিল যা সে করে নি ? আর কিভাবে পরিশ্রম করলে ভালো করা যেতো ?
    এখন সে কি করে জানেন ?

    সে কোন পড়াশুনাই করে না । একটা বেসরকারী ভার্সিটি থেকে নামমাত্র ডিগ্রি নিয়ে সে কোন রকমে আছে । আগের সেই তেজ নাই । নটরডেমিয়ান বলে আলাদা কোন ভাবও নাই ।

    আরেকটা ছেলে ।
    SSC তে এভারেজ রেজাল্ট ।
    ইন্টারে এ মাইনাস ।
    কোন রকমে ওয়েটিং থেকে ঢাবিতে চান্স পেয়েছে । এরপরেরটা ইতিহাস । ডিপার্টমেন্টে রেকর্ড রেজাল্ট । অনার্সে ফাস্ট । মাস্টার্সে ফাস্ট । বাইরের কোন নামী দামী ক্যাম্পাসে ডক্টরেট করা এখন তার জন্য কোন ইস্যু না ।

    চবিতে এপ্লাইড ফিজিক্সে এক ভাই ছিল ।
    কোন রকমে এসএসসি আর ইন্টারের বাধা পেরিয়ে এখানে এসে এপ্লাইডে ভর্তি হয়েছে । বাকিটা ইতিহাস । ডিপার্টমেন্টে রেজাল্ট 3.89 !!!
    ( নামটা ভুলে গেছি । কেউ চিনলে আমাকে বলে দিয়েন )

    আবার এরকমও আছে ।।
    ক্যাম্পাসে সুপার রেজাল্ট । চাকুরীর পরীক্ষায় কোন সফলতা নাই । তিন বছর ধরে বেকার । লোকে এখন সন্দেহ করে ভার্সিটির রেজাল্ট কি আসলেই ঠিক ?
    দুর্দান্ত মেধা নিয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে । অথচ মেডিকেলে এখন ফাস্ট ইয়ারই পাস করতে পারে না । আরেকজন কোন রকমে ভর্তি হয়েছিল মেডিকেলে । এক চান্সেই MBBS পাশ করে ফেলেছে ।

    এর নাম জীবন ।
    একবার গ্রাফটা থাকে উপরে । আবার কখনো থাকে তলানীতে । একেবারে তলানী থেকে উঠে আসতে পারে খুব কম মানুষই । কিন্তু যারা উঠে আসে তারা হচ্ছে একেকটা ডায়মন্ড । একেবারে সবার উপরের জায়গাটাই দখল করে । জীবন আপনাকে তলানিতে এই জন্যই ফেলে দেয় যেন আপনি উঠে এসে সেরা জায়গাটা ধরতে পারেন ।
    ধৈর্য রাখুন । সময় কখনো প্রতারনা করে না ।
    স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারাটাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ । সবাই এটা পারে না
    নটরডেম কলেজের এক ভাইকে দেখেছিলাম । পড়াশুনার ধরনটা বলি । কলেজ থেকে এসে সে ঘুমাতো । এরপর রাতের ডিনার করে পড়তে বসতো । ড্রয়ারে থাকতো ৩০/ ৩৫ বিভিন্ন ধরনের কলম । বিভিন্ন ব্রান্ডের অগনিত পেন্সিল । দিস্তা দিস্তা খাতা টেবিলের পাশে রাখা ছিল । কলেজ লেভেলের সবগুলা বই সুন্দর করে বাধাই করে নতুন মলাট করা । প্যাকেট ভর্তি দামী ইরেজার । এই মানুষটা পড়ত আর লিখতো । লিখতো আর পড়তো । বিরক্ত লাগলে উঠে গোসল করে আবার পড়তে বসতো । এভাবে চলতো সারা রাত । খালি কলমগুলো পড়ে থাকতো টেবিলের পাশে । দিস্তা দিস্তা খাতা শেষ হয়ে টেবিলের নিচে জমতো । এরকম ভয়ঙ্কর ধরনের পড়াশুনা করেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে সে বুয়েট ,ঢাবি , জাবি ,রাবি ,চবি থেকে শুরু করে কোথাও চান্স পায় নি । আমি আজও হিসাব মেলাতে পারি না কেন সে চান্স পায় নি । কি এমন বাকি ছিল যা সে করে নি ? আর কিভাবে পরিশ্রম করলে ভালো করা যেতো ? এখন সে কি করে জানেন ? সে কোন পড়াশুনাই করে না । একটা বেসরকারী ভার্সিটি থেকে নামমাত্র ডিগ্রি নিয়ে সে কোন রকমে আছে । আগের সেই তেজ নাই । নটরডেমিয়ান বলে আলাদা কোন ভাবও নাই । আরেকটা ছেলে । SSC তে এভারেজ রেজাল্ট । ইন্টারে এ মাইনাস । কোন রকমে ওয়েটিং থেকে ঢাবিতে চান্স পেয়েছে । এরপরেরটা ইতিহাস । ডিপার্টমেন্টে রেকর্ড রেজাল্ট । অনার্সে ফাস্ট । মাস্টার্সে ফাস্ট । বাইরের কোন নামী দামী ক্যাম্পাসে ডক্টরেট করা এখন তার জন্য কোন ইস্যু না । চবিতে এপ্লাইড ফিজিক্সে এক ভাই ছিল । কোন রকমে এসএসসি আর ইন্টারের বাধা পেরিয়ে এখানে এসে এপ্লাইডে ভর্তি হয়েছে । বাকিটা ইতিহাস । ডিপার্টমেন্টে রেজাল্ট 3.89 !!! ( নামটা ভুলে গেছি । কেউ চিনলে আমাকে বলে দিয়েন ) আবার এরকমও আছে ।। ক্যাম্পাসে সুপার রেজাল্ট । চাকুরীর পরীক্ষায় কোন সফলতা নাই । তিন বছর ধরে বেকার । লোকে এখন সন্দেহ করে ভার্সিটির রেজাল্ট কি আসলেই ঠিক ? দুর্দান্ত মেধা নিয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে । অথচ মেডিকেলে এখন ফাস্ট ইয়ারই পাস করতে পারে না । আরেকজন কোন রকমে ভর্তি হয়েছিল মেডিকেলে । এক চান্সেই MBBS পাশ করে ফেলেছে । এর নাম জীবন । একবার গ্রাফটা থাকে উপরে । আবার কখনো থাকে তলানীতে । একেবারে তলানী থেকে উঠে আসতে পারে খুব কম মানুষই । কিন্তু যারা উঠে আসে তারা হচ্ছে একেকটা ডায়মন্ড । একেবারে সবার উপরের জায়গাটাই দখল করে । জীবন আপনাকে তলানিতে এই জন্যই ফেলে দেয় যেন আপনি উঠে এসে সেরা জায়গাটা ধরতে পারেন । ধৈর্য রাখুন । সময় কখনো প্রতারনা করে না । 🙂 স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারাটাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ । সবাই এটা পারে না 🙂
    Like
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 1081 Views 0 previzualizare
  • একটা জিনিস ভেবে আশ্চর্য হই।
    ২০-২৫ বছর পূর্বেও ঘরে ঘরে প্রায় প্রতিটি পরিবারে ছেলেমেয়ে ছিল ৫ জন ৭ জন ১০ জন করে। এরপর ছোটবেলায় দেখতাম নিন্ম মধ্যবিত্তরাও বাড়িতে ২/৩ জন কৃষি কাজ/ কাজের লোক রাখতেন কিংবা বাড়ির আশেপাশের সহায়সম্বলহীন, গরীবদের বাসার কিছু কাজের বিনিময়ে নিয়মিত খাওয়াতেন।

    সবমিলিয়ে বাবা- মা, ভাই-বোন, কাজের লোক সহ ১০-১২-১৫ জনের জন্য নানী, দাদী, মায়েরা রান্না করতেন, তাও আবার অধিকাংশ ঢেঁকিতে ধান ভেঙে। তাদের মুখের দিকে তাকালে মনে হতো এতগুলো মানুষকে খাওয়ানোতেই যেন তাদের তৃপ্তি! কোনদিন বলেনি এটা ভারী কিছু। কিংবা ১২ জনের জন্য নিয়মিত রান্না আশ্চর্যের কিছু!

    কিন্তু আজকে দেখুন!
    আপনি আপনার একজন হারিয়ে ফেলা বন্ধুকে খুঁজে পেয়ে বাসায় যান রাত ৮ টায়! আর যদি বিছানায় ল্যাদ খাওয়া আপনার বউকে ডেকে বলেন "ওঠো তো! একজন গেস্ট এসেছে"।
    আপনার বউ দাঁত কামড়িয়ে বলবে - কিহ! তুমি রাত্রে মেহমান নিয়ে আসছো? তুমি এসব ঝামেলা পাকাও কেন!
    অথচ বাসায় অটো গ্যাসের চুলায় সামান্য চা-নাস্তা বানাতে লাগবে না ১০ মিনিট...

    অথচ ওদিকে নানী? মা?
    যদি আগুন নিভে যেত চুলায়, একটা নল ছিল মাটির চুলার পাশে, যেটায় ফু দিয়ে দিয়ে ফের আগুন জ্বালাতে হতো। কোনদিন ভারী মনে করেনি তিনি এতসব করে খাওয়ানোকে। আমি দেখিনি!

    এদিকে আপনি আপনার প্রিয় বন্ধুকে বসিয়ে রেখেছেন তো রেখেছেন, আপনার স্ত্রী শোয়া থেকে উঠছে না, ফেসবুক স্ক্রলিং করছে কিংবা টিভিতে কিছু দেখছে। তখন আপনার ৭০ বছরের মা পাশের রুম থেকে শুনে ফেললো। এসে বললো- থাক ব্যাটা থাক। বউমাকে ডাকিস না, আমি বানিয়ে দিচ্ছি চা।

    এখনও আপনার বুড়ি মা এটা বলে। আরো বলবে। মরার আগ পর্যন্ত বলবে।

    আমি ভাবি আমাদের মত অতি আধুনিক নারীদের উপর এসবই কি ফেমিনিজমের প্রভাব? আপনাদের বলা ক্যান্সার সমতূল্য নারীবাদ কি নানী/মায়ের জেনারেশনের পরের নারীদের এভাবেই চলতে শিখিয়েছে? আমি ভেবে পাইনা!
    একটা জিনিস ভেবে আশ্চর্য হই। ২০-২৫ বছর পূর্বেও ঘরে ঘরে প্রায় প্রতিটি পরিবারে ছেলেমেয়ে ছিল ৫ জন ৭ জন ১০ জন করে। এরপর ছোটবেলায় দেখতাম নিন্ম মধ্যবিত্তরাও বাড়িতে ২/৩ জন কৃষি কাজ/ কাজের লোক রাখতেন কিংবা বাড়ির আশেপাশের সহায়সম্বলহীন, গরীবদের বাসার কিছু কাজের বিনিময়ে নিয়মিত খাওয়াতেন। সবমিলিয়ে বাবা- মা, ভাই-বোন, কাজের লোক সহ ১০-১২-১৫ জনের জন্য নানী, দাদী, মায়েরা রান্না করতেন, তাও আবার অধিকাংশ ঢেঁকিতে ধান ভেঙে। তাদের মুখের দিকে তাকালে মনে হতো এতগুলো মানুষকে খাওয়ানোতেই যেন তাদের তৃপ্তি! কোনদিন বলেনি এটা ভারী কিছু। কিংবা ১২ জনের জন্য নিয়মিত রান্না আশ্চর্যের কিছু! কিন্তু আজকে দেখুন! আপনি আপনার একজন হারিয়ে ফেলা বন্ধুকে খুঁজে পেয়ে বাসায় যান রাত ৮ টায়! আর যদি বিছানায় ল্যাদ খাওয়া আপনার বউকে ডেকে বলেন "ওঠো তো! একজন গেস্ট এসেছে"। আপনার বউ দাঁত কামড়িয়ে বলবে - কিহ! তুমি রাত্রে মেহমান নিয়ে আসছো? তুমি এসব ঝামেলা পাকাও কেন! অথচ বাসায় অটো গ্যাসের চুলায় সামান্য চা-নাস্তা বানাতে লাগবে না ১০ মিনিট... অথচ ওদিকে নানী? মা? যদি আগুন নিভে যেত চুলায়, একটা নল ছিল মাটির চুলার পাশে, যেটায় ফু দিয়ে দিয়ে ফের আগুন জ্বালাতে হতো। কোনদিন ভারী মনে করেনি তিনি এতসব করে খাওয়ানোকে। আমি দেখিনি! এদিকে আপনি আপনার প্রিয় বন্ধুকে বসিয়ে রেখেছেন তো রেখেছেন, আপনার স্ত্রী শোয়া থেকে উঠছে না, ফেসবুক স্ক্রলিং করছে কিংবা টিভিতে কিছু দেখছে। তখন আপনার ৭০ বছরের মা পাশের রুম থেকে শুনে ফেললো। এসে বললো- থাক ব্যাটা থাক। বউমাকে ডাকিস না, আমি বানিয়ে দিচ্ছি চা। এখনও আপনার বুড়ি মা এটা বলে। আরো বলবে। মরার আগ পর্যন্ত বলবে। আমি ভাবি আমাদের মত অতি আধুনিক নারীদের উপর এসবই কি ফেমিনিজমের প্রভাব? আপনাদের বলা ক্যান্সার সমতূল্য নারীবাদ কি নানী/মায়ের জেনারেশনের পরের নারীদের এভাবেই চলতে শিখিয়েছে? আমি ভেবে পাইনা!
    Like
    Love
    15
    0 Commentarii 0 Distribuiri 543 Views 0 previzualizare
  • একত্রে বসে খাওয়ার কিছু আদব লেহাজ:

    ১. যে পাত্র থেকে সবাই খাবার নিচ্ছে ( খিচুড়ি বা মুড়ি মাখা), তার উপর ঝুঁকে খাবার নেওয়া যাবে না, মুখ থাকবে মুখের জায়গায় - হাতে খাবার নিয়ে হাতটাকে মুখের কাছে নিতে হবে।

    ২. হাতে থেকে যাওয়া অতিরিক্ত খাবার যা একেবারে মুখে ঢুকানো যায়নি তা ঝাড়া মেরে প্লেটে ফেলে দেওয়া যাবে না, হাতে ধরে রাখতে হবে তারপর মুখের খাবার শেষ হলে বাকিটুকু মুখে দিতে হবে।

    ৩. হাতে নেওয়া সমস্ত খাবার মুখে দিয়েছেন, এখন হাত কোথায় রাখবেন? অনেকে মুখে খাবার খাচ্ছেন আর খালি হাতটা সম্মিলিত খাবারের পাত্রে রেখে দিচ্ছেন, এটা করা যাবে না। হাত নিজের কাছে রাখতে হবে।

    ৪. কিছুক্ষণ পরপর সকলের অনুমতি না নিয়ে নিজের ইচ্ছেতেই "ভালো করে মিশানো" র অজুহাতে খাবার উলট পালট করা যাবে না।

    ৫. সকলের অনুমতি না নিয়ে নিজের পছন্দমতো এডিশনাল ফুড ( মুড়ি মাখার ক্ষেত্রে বুন্দিয়া বা পুদিনা পাতা, খিচুড়ির ক্ষেত্রে লাউয়ের ঝোল) ফট করে পাত্রে ঢেলে দেওয়া যাবে না।

    ৬. আপনি যেদিক দিয়ে খাচ্ছেন সেদিকে যা আছে তাই খাবেন, আরেকজনের দিক থেকে বারবার পিয়াজুর পার্ট বা মাংসের টুকরো নিবেন না।

    ৭. সবাই যে আইটেম খাচ্ছে সেটাই খেতে হবে। সবাই যখন করলা ভাজি খাচ্ছে তখন আপনি "করলা ভাজি খাই না" বলে তড়িঘড়ি করে রোস্টের বড় পিচটা নিয়ে নিবেন - এটা ঠিক হবে না। অপেক্ষা করুন - করলা ভাজি দিয়ে সবার খাওয়া শেষ হোক।

    ৮. হোস্ট বা সাহিদার একজনকে খাবার সার্ভ করছে, তাকে সিরিয়ালি তা করতে দিন। মাঝখান থেকে সিরিয়াল ব্রেক করে আপনার দিকে ডাকবেন না তাকে।

    ৯. নিজের খাবারের দিকে তাকিয়ে থাকুন, অন্যদের পাতের দিকে ঘনঘন তাকাবেন না।

    ১০. যে হাতে খাবার খাচ্ছেন - ঐ হাতে চামচ, প্লেট, গ্লাস ইত্যাদি ধরবেন না।

    ১১. খাওয়ার সময় ঢেঁকুর পারবেন না, কোঁৎ কোঁৎ শব্দ করবেন না।

    ১২. হুট করে নিজের পাতের খাবার আরেকজনের পাতে দিয়ে দিবেন না। আপনি সিদ্ধ ডিম না খেয়ে একটা মাংসের পিচ বেশি খাবেন বা জিলিপি না খেয়ে আলুর চপ খাবেন বাড়তি তাই বলে জিলিপি বা সেদ্ধ ডিম পাশেরজনের পাতে দিয়ে দিবেন না - আপনার মতো সেইম চিন্তা তারও থাকতে পারে।

    ১৩. যতটুকু খেতে পারবেন ততটুকুই পাতে নিবেন। খাবারের দখল নেওয়ার অপচেষ্টা চালাবেন না। মুখে অল্প করে খাবার নিবেন, খাবার মুখে ঢোকানোর পর দুই গাল যাতে দৃষ্টিকটু ভাবে ফুলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

    ১৪. খাবারের শেষে দই বা ডাল আছে কিনা জিজ্ঞেস করবেন না ; সেটা নাই ধরে খাওয়া চালাতে থাকবেন।

    ১৫. হোস্ট আপনার সামনে টিস্যু রাখবে কিন্তু তাই বলে সেটা অযথা অপচয় করবেন না। পর্যাপ্ত পানি দিয়ে হাত ধুয়ে তারপর রুমাল বা টিস্যু দিয়ে ভেজা হাতটা মুছবেন।

    ১৬. নির্দিষ্ট কোন খাবার বেশি ভালো লেগেছে এটা বলবেন না, হোস্ট সবগুলো আইটেমই যথেষ্ট মমতা সহকারে রান্না করেছেন আপনাদের জন্য - এটা মাথায় রাখবেন।

    ১৭. খাবার মুখে নিয়ে চপ চপ করবেন না, খাইতে খাইতে নাকে পেডা আসলে সেটা আস্তে করে মুছে নিবেন - উখ্খু উখ্খু শব্দ করে সেটাকে পেটে ঢুকানোর চেষ্টা করবেন না। মুখে কাকড় বা কাটা পড়লে মুখের খাবারটুকু বের করে সকলের সামনে ফেলে দিবেন না, সকলের আড়ালে কোথাও ফেলুন।

    ১৮. কোন একটা আইটেম নেওয়ার জন্য যদি আপনি প্রথমে উদ্যোগ নেন তাহলে চেষ্টা করবেন আশেপাশে দুএকজনকে আগে দিয়ে পরে নিজে নিতে। নিজে বড়ো পিসটা নিয়ে পাশেরজনের দিকে বাটি ঠেলে দিবেন না। নেওয়ার সময় চামচ দিয়ে সবগুলো পিস ঘাটাঘাটি করবেন না, চোখের আন্দাজে আগে সিলেক্ট করে তারপর সেটা চামচে তুলবেন।

    ১৯. দূরে থাকা কোন খাবার নেওয়ার জন্য বাটি নিজের দিকে দেওয়ার জন্য আরেকজনকে বলবেন না, সেটা উনার জন্য পরিশ্রমের। আপনার প্লেট বাটির কাছে এগিয়ে নিয়ে তারপর প্লেটে নিজে নেন বা কাউকে দিতে বলেন।

    ২০. নিজে ডিমের কুসুম না খেয়ে রেখে দিয়ে পাশেরজনকে কুসুমের পুষ্টিগুণ বুঝাতে যাবেন না।

    ২১. সালাদের বাটি থেকে বেছে বেছে শুধু টমেটো নিবেন না। টমেটো, শসা, মূলা আনুপাতিক হারে নিবেন।

    ২২. শুধুমাত্র আপনাকে একা কাঁচামরিচ বা লবন এনে দেওয়ার জন্য কাউকে অনুরোধ করবেন না।

    ২৩. হোস্ট পোলাওয়ের বাটি আনার সাথে সাথেই জিজ্ঞেস করে বসবেন না - সাদা ভাত আছে কিনা?

    ২৪. মজলিশে যিনি সবচেয়ে আস্তে খান তার সাথে তাল মিলিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন, এতে করে সবাই সমানভাবে খাওয়ার অংশ পাবে।

    ২৫. এক টেবিলে অনেক জন খেতে বসছেন তাহলে যিনি সবার বড় তিনি শুরু করার পর খাওয়া শুরু করুন।হাপুস ঘুপুস করেই খেতে শুরু থেকে বিরত থাকুন।

    ২৬. খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত/অযথা পেচাল পারবেন না,আপনার ফোনে কল এলে কেটে দিন নয়তো মুখ নিচু করে রিসিভ করে বলুন আপনি পরে ব্যাক করছেন।খাবার খেতে খেতে কথা বলবেন না।

    ২৭. খাওয়ার পর যদি প্লেটেই হাত ধোয় সবাই,তাহলে আপনি হাত ধুয়ে সে হাত ওখানেই ঝাড়বেন না।

    ২৮. এক টেবিলে অনেকের সাথেই খেতে বসছেন।আপনার বর/নিকট পরিচিত কাউকে এটা নাও ওটা নাও এমন করবেন না।টেবিলে যার কাছা কাছি বাটি আপনি তাকে বলার সময় মার্জিত ভাষায় তাকে বলুন।'এই ছেলে এটা এদিকে দে তো' এমনটা কোনো ছোট ছেলে বা সাধারণ কেউ হলেও তাকে এভাবে বলবেন না।

    ২৯. আপনি যথেষ্ট সুন্দরী,তাই বলে ভাব দেখানোর জন্য খেতে বসবেন না।খাবার পরিবেশনকারীর সামান্য ত্রুটি হলে বলবেন না 'ছিহ্| কী একটা অবস্থা!'

    ৩০. আপনি যাকে নিয়ে খেতে বসছেন তাকে বেশি করে খাওয়ানোর জন্য বাটির খাবার বেশি বেশি করে তাকে দেবার অভ্যাস ত্যাগ করুন প্লাস আপনার পরে অন্য আরও অনেকেরই বাটি থেকে তরকারির প্রয়োজন হবে বিষয়টা মাথায় সেট করে নিন।

    ৩১. সকলের সাথে একসাথে খাওয়া শেষ করুন।

    ৩২. গলা পর্যন্ত খেয়ে হোস্টের মুখে " কিছুই তো খাইলেন না " শোনার জন্য " বেশি খায়ালছি " বলে ঢং করবেন না। আপনি যে বেশি খায়ালছেন এটা সবাই এতোক্ষণে ভালোই বুঝে গেছে!

    আজ এ পর্যন্তই ।

    এর বাইরে আরো পয়েন্ট থাকলে কমেন্টে যোগ করুন।

    থিউরি বুঝতে সমস্যা হলে - বাসায় দাওয়াত দিন, হাতে কলমে শিখুন।
    একত্রে বসে খাওয়ার কিছু আদব লেহাজ: ১. যে পাত্র থেকে সবাই খাবার নিচ্ছে ( খিচুড়ি বা মুড়ি মাখা), তার উপর ঝুঁকে খাবার নেওয়া যাবে না, মুখ থাকবে মুখের জায়গায় - হাতে খাবার নিয়ে হাতটাকে মুখের কাছে নিতে হবে। ২. হাতে থেকে যাওয়া অতিরিক্ত খাবার যা একেবারে মুখে ঢুকানো যায়নি তা ঝাড়া মেরে প্লেটে ফেলে দেওয়া যাবে না, হাতে ধরে রাখতে হবে তারপর মুখের খাবার শেষ হলে বাকিটুকু মুখে দিতে হবে। ৩. হাতে নেওয়া সমস্ত খাবার মুখে দিয়েছেন, এখন হাত কোথায় রাখবেন? অনেকে মুখে খাবার খাচ্ছেন আর খালি হাতটা সম্মিলিত খাবারের পাত্রে রেখে দিচ্ছেন, এটা করা যাবে না। হাত নিজের কাছে রাখতে হবে। ৪. কিছুক্ষণ পরপর সকলের অনুমতি না নিয়ে নিজের ইচ্ছেতেই "ভালো করে মিশানো" র অজুহাতে খাবার উলট পালট করা যাবে না। ৫. সকলের অনুমতি না নিয়ে নিজের পছন্দমতো এডিশনাল ফুড ( মুড়ি মাখার ক্ষেত্রে বুন্দিয়া বা পুদিনা পাতা, খিচুড়ির ক্ষেত্রে লাউয়ের ঝোল) ফট করে পাত্রে ঢেলে দেওয়া যাবে না। ৬. আপনি যেদিক দিয়ে খাচ্ছেন সেদিকে যা আছে তাই খাবেন, আরেকজনের দিক থেকে বারবার পিয়াজুর পার্ট বা মাংসের টুকরো নিবেন না। ৭. সবাই যে আইটেম খাচ্ছে সেটাই খেতে হবে। সবাই যখন করলা ভাজি খাচ্ছে তখন আপনি "করলা ভাজি খাই না" বলে তড়িঘড়ি করে রোস্টের বড় পিচটা নিয়ে নিবেন - এটা ঠিক হবে না। অপেক্ষা করুন - করলা ভাজি দিয়ে সবার খাওয়া শেষ হোক। ৮. হোস্ট বা সাহিদার একজনকে খাবার সার্ভ করছে, তাকে সিরিয়ালি তা করতে দিন। মাঝখান থেকে সিরিয়াল ব্রেক করে আপনার দিকে ডাকবেন না তাকে। ৯. নিজের খাবারের দিকে তাকিয়ে থাকুন, অন্যদের পাতের দিকে ঘনঘন তাকাবেন না। ১০. যে হাতে খাবার খাচ্ছেন - ঐ হাতে চামচ, প্লেট, গ্লাস ইত্যাদি ধরবেন না। ১১. খাওয়ার সময় ঢেঁকুর পারবেন না, কোঁৎ কোঁৎ শব্দ করবেন না। ১২. হুট করে নিজের পাতের খাবার আরেকজনের পাতে দিয়ে দিবেন না। আপনি সিদ্ধ ডিম না খেয়ে একটা মাংসের পিচ বেশি খাবেন বা জিলিপি না খেয়ে আলুর চপ খাবেন বাড়তি তাই বলে জিলিপি বা সেদ্ধ ডিম পাশেরজনের পাতে দিয়ে দিবেন না - আপনার মতো সেইম চিন্তা তারও থাকতে পারে। ১৩. যতটুকু খেতে পারবেন ততটুকুই পাতে নিবেন। খাবারের দখল নেওয়ার অপচেষ্টা চালাবেন না। মুখে অল্প করে খাবার নিবেন, খাবার মুখে ঢোকানোর পর দুই গাল যাতে দৃষ্টিকটু ভাবে ফুলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ১৪. খাবারের শেষে দই বা ডাল আছে কিনা জিজ্ঞেস করবেন না ; সেটা নাই ধরে খাওয়া চালাতে থাকবেন। ১৫. হোস্ট আপনার সামনে টিস্যু রাখবে কিন্তু তাই বলে সেটা অযথা অপচয় করবেন না। পর্যাপ্ত পানি দিয়ে হাত ধুয়ে তারপর রুমাল বা টিস্যু দিয়ে ভেজা হাতটা মুছবেন। ১৬. নির্দিষ্ট কোন খাবার বেশি ভালো লেগেছে এটা বলবেন না, হোস্ট সবগুলো আইটেমই যথেষ্ট মমতা সহকারে রান্না করেছেন আপনাদের জন্য - এটা মাথায় রাখবেন। ১৭. খাবার মুখে নিয়ে চপ চপ করবেন না, খাইতে খাইতে নাকে পেডা আসলে সেটা আস্তে করে মুছে নিবেন - উখ্খু উখ্খু শব্দ করে সেটাকে পেটে ঢুকানোর চেষ্টা করবেন না। মুখে কাকড় বা কাটা পড়লে মুখের খাবারটুকু বের করে সকলের সামনে ফেলে দিবেন না, সকলের আড়ালে কোথাও ফেলুন। ১৮. কোন একটা আইটেম নেওয়ার জন্য যদি আপনি প্রথমে উদ্যোগ নেন তাহলে চেষ্টা করবেন আশেপাশে দুএকজনকে আগে দিয়ে পরে নিজে নিতে। নিজে বড়ো পিসটা নিয়ে পাশেরজনের দিকে বাটি ঠেলে দিবেন না। নেওয়ার সময় চামচ দিয়ে সবগুলো পিস ঘাটাঘাটি করবেন না, চোখের আন্দাজে আগে সিলেক্ট করে তারপর সেটা চামচে তুলবেন। ১৯. দূরে থাকা কোন খাবার নেওয়ার জন্য বাটি নিজের দিকে দেওয়ার জন্য আরেকজনকে বলবেন না, সেটা উনার জন্য পরিশ্রমের। আপনার প্লেট বাটির কাছে এগিয়ে নিয়ে তারপর প্লেটে নিজে নেন বা কাউকে দিতে বলেন। ২০. নিজে ডিমের কুসুম না খেয়ে রেখে দিয়ে পাশেরজনকে কুসুমের পুষ্টিগুণ বুঝাতে যাবেন না। ২১. সালাদের বাটি থেকে বেছে বেছে শুধু টমেটো নিবেন না। টমেটো, শসা, মূলা আনুপাতিক হারে নিবেন। ২২. শুধুমাত্র আপনাকে একা কাঁচামরিচ বা লবন এনে দেওয়ার জন্য কাউকে অনুরোধ করবেন না। ২৩. হোস্ট পোলাওয়ের বাটি আনার সাথে সাথেই জিজ্ঞেস করে বসবেন না - সাদা ভাত আছে কিনা? ২৪. মজলিশে যিনি সবচেয়ে আস্তে খান তার সাথে তাল মিলিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন, এতে করে সবাই সমানভাবে খাওয়ার অংশ পাবে। ২৫. এক টেবিলে অনেক জন খেতে বসছেন তাহলে যিনি সবার বড় তিনি শুরু করার পর খাওয়া শুরু করুন।হাপুস ঘুপুস করেই খেতে শুরু থেকে বিরত থাকুন। ২৬. খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত/অযথা পেচাল পারবেন না,আপনার ফোনে কল এলে কেটে দিন নয়তো মুখ নিচু করে রিসিভ করে বলুন আপনি পরে ব্যাক করছেন।খাবার খেতে খেতে কথা বলবেন না। ২৭. খাওয়ার পর যদি প্লেটেই হাত ধোয় সবাই,তাহলে আপনি হাত ধুয়ে সে হাত ওখানেই ঝাড়বেন না। ২৮. এক টেবিলে অনেকের সাথেই খেতে বসছেন।আপনার বর/নিকট পরিচিত কাউকে এটা নাও ওটা নাও এমন করবেন না।টেবিলে যার কাছা কাছি বাটি আপনি তাকে বলার সময় মার্জিত ভাষায় তাকে বলুন।'এই ছেলে এটা এদিকে দে তো' এমনটা কোনো ছোট ছেলে বা সাধারণ কেউ হলেও তাকে এভাবে বলবেন না। ২৯. আপনি যথেষ্ট সুন্দরী,তাই বলে ভাব দেখানোর জন্য খেতে বসবেন না।খাবার পরিবেশনকারীর সামান্য ত্রুটি হলে বলবেন না 'ছিহ্| কী একটা অবস্থা!' ৩০. আপনি যাকে নিয়ে খেতে বসছেন তাকে বেশি করে খাওয়ানোর জন্য বাটির খাবার বেশি বেশি করে তাকে দেবার অভ্যাস ত্যাগ করুন প্লাস আপনার পরে অন্য আরও অনেকেরই বাটি থেকে তরকারির প্রয়োজন হবে বিষয়টা মাথায় সেট করে নিন। ৩১. সকলের সাথে একসাথে খাওয়া শেষ করুন। ৩২. গলা পর্যন্ত খেয়ে হোস্টের মুখে " কিছুই তো খাইলেন না " শোনার জন্য " বেশি খায়ালছি " বলে ঢং করবেন না। আপনি যে বেশি খায়ালছেন এটা সবাই এতোক্ষণে ভালোই বুঝে গেছে! আজ এ পর্যন্তই । এর বাইরে আরো পয়েন্ট থাকলে কমেন্টে যোগ করুন। থিউরি বুঝতে সমস্যা হলে - বাসায় দাওয়াত দিন, হাতে কলমে শিখুন।
    Like
    17
    0 Commentarii 0 Distribuiri 482 Views 0 previzualizare
  • ১.ভাবী! আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয় মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি!
    .
    ২. ম্যাডাম, একটা কথা বলবো? অনেকদিন থেকে ভাবছি! কিন্তু বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না। আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!
    .
    ৩. মন খারাপ কেন ভাবী? ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!
    .
    ৪. একটা কথা বলি আপু! কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলেও যেমন বিরক্তি লাগে না, আপনার কথাবার্তার স্টাইলও এরকম। টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!
    .
    ৫. আপনি যা ইচ্ছা মনে করতে পারেন, আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না, বলে দিচ্ছি। হুঁ! দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেওয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? না, আর না!
    .
    ৬. একটা কথা বলবো? নীল শাড়ীতে আপনাকে দারুণ মানিয়েছে! না না, তেল দিচ্ছি না, সত্যি বলছি! সত্যি অনেকটা কোয়েল মল্লিকের মতো লাগে আপনাকে!
    .
    ৭. জন্মদিনে এবার কি কি করলেন আপনারা?
    আপনার ভাই অফিসের কাজে ব্যস্ত!!!!
    কি যে বলেন! আমি এরকম একটা বউ পেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম! হাসবেন না, সিরিয়াসলি!

    -----------------------------------------------

    বিঃ দ্রঃ - অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কিছু কিছু মানুষ আছে, নিজের অফিসের কলিগ,পাশের বাসার ভাবী, কিংবা বন্ধুর বউ,পরিচিত আপু ম্যাডামদের সাথে এভাবেই কথা বলে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো "জাস্ট প্রশংসাবাক্য"। এর গভীরে যে কত বড় লাম্পট্য, আর অসৎ কামনা লুকিয়ে আছে, খেয়াল না করলে বুঝার উপায় নেই। যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁদে ফেলবার জন্যেই করে! এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা!
    .
    খুব স্মার্ট সুদর্শন পুরুষ দেখলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহিলারাও এরকম ফ্লার্ট করে। সে সংখ্যাটাও কম না!! যে মহিলা জীবনে কোনোদিন স্বামীর বিকল্প স্বপ্নেও কল্পনাও করেন নি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তুু স্বামীকে অনেক ভালোবাসেন। পর পুরুষের মুখে নিজের এত্ত সুন্দর প্রশংসা শুনে, "আমি হলে পায়ের কাছে পড়ে থাকতাম" কথাটা শুনে সেই মহিলাও ভাবেন, এই স্বামী আমাকে বঞ্চিত করছে, নিশ্চয়ই আমি আরও ভালো কিছু আশা করি!
    .
    যে মহিলা একটা সুখের সংসারে আছেন, বাচ্চা নিয়ে স্বামী স্ত্রী ব্যাস্ততার মাঝে কোনো কিছুর অভাবই বোধ করেন না, সে মহিলাও যখন বাইরের কারো কাছে নিজের কপালের তিলের এত্ত প্রশংসা শুনেন তখন তার মনে হতে পারে, "ওর সাথে এত্তদিন সংসার করলাম, ও তো একটা দিনের জন্যেও এভাবে আমার সৌন্দর্যের প্রশংসা করলো না!" নিজের বয়সের ব্যাপারে বাইরের পুরুষের প্রশংসা শুনে মহিলা, বারবার আয়নার সামনে নিজের চেহারা দেখেন। ভাবতে থাকেন, হ্যাঁ, আমি তো সুন্দরই। আর ওই পুরুষটাই আমার এ সৌন্দর্যের মূল্যায়ন করলো!
    .
    হ্যা, এভাবেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ যা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম সম্পর্ক বা পরকীয়া বা ঘর ভাংগার মত ক্ষতির কাজ। তথা কথিত একটা "ইনোসেন্ট প্রশংসা"ই ধ্বংস করে দিতে পারে একটা মানুষকে, একটা পরিবারকে! যদি জীবনে সুখী হতে চান, কারো হালকা প্রশংসায় গলে যাবেন না। বরং এদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই।

    তাই এই মানুষ রুপী কুকুর হইতে সাবধান।
    ১.ভাবী! আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয় মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি! . ২. ম্যাডাম, একটা কথা বলবো? অনেকদিন থেকে ভাবছি! কিন্তু বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না। আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে! . ৩. মন খারাপ কেন ভাবী? ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না! . ৪. একটা কথা বলি আপু! কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলেও যেমন বিরক্তি লাগে না, আপনার কথাবার্তার স্টাইলও এরকম। টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না! . ৫. আপনি যা ইচ্ছা মনে করতে পারেন, আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না, বলে দিচ্ছি। হুঁ! দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেওয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? না, আর না! . ৬. একটা কথা বলবো? নীল শাড়ীতে আপনাকে দারুণ মানিয়েছে! না না, তেল দিচ্ছি না, সত্যি বলছি! সত্যি অনেকটা কোয়েল মল্লিকের মতো লাগে আপনাকে! . ৭. জন্মদিনে এবার কি কি করলেন আপনারা? আপনার ভাই অফিসের কাজে ব্যস্ত!!!! কি যে বলেন! আমি এরকম একটা বউ পেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম! হাসবেন না, সিরিয়াসলি! ----------------------------------------------- বিঃ দ্রঃ - অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কিছু কিছু মানুষ আছে, নিজের অফিসের কলিগ,পাশের বাসার ভাবী, কিংবা বন্ধুর বউ,পরিচিত আপু ম্যাডামদের সাথে এভাবেই কথা বলে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো "জাস্ট প্রশংসাবাক্য"। এর গভীরে যে কত বড় লাম্পট্য, আর অসৎ কামনা লুকিয়ে আছে, খেয়াল না করলে বুঝার উপায় নেই। যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁদে ফেলবার জন্যেই করে! এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা! . খুব স্মার্ট সুদর্শন পুরুষ দেখলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহিলারাও এরকম ফ্লার্ট করে। সে সংখ্যাটাও কম না!! যে মহিলা জীবনে কোনোদিন স্বামীর বিকল্প স্বপ্নেও কল্পনাও করেন নি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তুু স্বামীকে অনেক ভালোবাসেন। পর পুরুষের মুখে নিজের এত্ত সুন্দর প্রশংসা শুনে, "আমি হলে পায়ের কাছে পড়ে থাকতাম" কথাটা শুনে সেই মহিলাও ভাবেন, এই স্বামী আমাকে বঞ্চিত করছে, নিশ্চয়ই আমি আরও ভালো কিছু আশা করি! . যে মহিলা একটা সুখের সংসারে আছেন, বাচ্চা নিয়ে স্বামী স্ত্রী ব্যাস্ততার মাঝে কোনো কিছুর অভাবই বোধ করেন না, সে মহিলাও যখন বাইরের কারো কাছে নিজের কপালের তিলের এত্ত প্রশংসা শুনেন তখন তার মনে হতে পারে, "ওর সাথে এত্তদিন সংসার করলাম, ও তো একটা দিনের জন্যেও এভাবে আমার সৌন্দর্যের প্রশংসা করলো না!" নিজের বয়সের ব্যাপারে বাইরের পুরুষের প্রশংসা শুনে মহিলা, বারবার আয়নার সামনে নিজের চেহারা দেখেন। ভাবতে থাকেন, হ্যাঁ, আমি তো সুন্দরই। আর ওই পুরুষটাই আমার এ সৌন্দর্যের মূল্যায়ন করলো! . হ্যা, এভাবেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ যা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম সম্পর্ক বা পরকীয়া বা ঘর ভাংগার মত ক্ষতির কাজ। তথা কথিত একটা "ইনোসেন্ট প্রশংসা"ই ধ্বংস করে দিতে পারে একটা মানুষকে, একটা পরিবারকে! যদি জীবনে সুখী হতে চান, কারো হালকা প্রশংসায় গলে যাবেন না। বরং এদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই। তাই এই মানুষ রুপী কুকুর হইতে সাবধান। 💗💗💗
    Like
    Angry
    41
    0 Commentarii 0 Distribuiri 721 Views 0 previzualizare
  • হয়তো বাসার কেউ জানবেও না কোনোদিন কতটা খারাপ লেগে উঠলে এভাবে নিস্তেজ রাস্তায় বসে পড়ে একজন পুরুষ। এই পুরুষই কারো বাবা বা আদরের সন্তান, কারো ভাই বা কারো অবহেলিত স্বামী। যাকে পরিবারের সবার দায় নিতে হয়, মন রাখতে হয়। শ্যাম-কূল দু'টো রাখতে গিয়ে কখনযে ধুসর রঙে নিপতিত হয়ে যেতে হয় নিজেও জানে না।
    ভাল থাক পুরুষ নামের বটবৃক্ষরা।
    হয়তো বাসার কেউ জানবেও না কোনোদিন কতটা খারাপ লেগে উঠলে এভাবে নিস্তেজ রাস্তায় বসে পড়ে একজন পুরুষ। এই পুরুষই কারো বাবা বা আদরের সন্তান, কারো ভাই বা কারো অবহেলিত স্বামী। যাকে পরিবারের সবার দায় নিতে হয়, মন রাখতে হয়। শ্যাম-কূল দু'টো রাখতে গিয়ে কখনযে ধুসর রঙে নিপতিত হয়ে যেতে হয় নিজেও জানে না। ভাল থাক পুরুষ নামের বটবৃক্ষরা।
    Like
    Love
    Sad
    9
    0 Commentarii 0 Distribuiri 403 Views 0 previzualizare
Sponsorizeaza Paginile
Sponsor
fresh