৪ বছরের রিতু মাংস খেতে পারেনা এমনিতে। ভাতের সাথে মাংসের টুকরো গেলেই বমি আসে। তাই মা তাকে মাংস খাওয়াতে কাবাব বানিয়ে দেয়। সেটা রিতু খুব মজা করে খায়, কোনোই আপত্তি করেনা।
এক আত্মীয়ের বাড়ি দাওয়াতে গিয়ে খাবার টেবিলে রিতুর প্লেটে মুরগীর টুকরো তুলে দিতে যেতেই রিতুর মা বললেন,
- আপা, ও তো মাংস খেতে পারে না। শুধু কাবাব টাই খাক।
- বল কি? কেন?
- আসলে ওর সমস্যা হয় খেতে মাংসের টুকরো। শুধু কাবাব হলেই খায়, নইলে না।
- এটা খুব খারাপ কিন্তু! মা হয়ে ওকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়াচ্ছ না। বড় হয়ে পস্তাবে কিন্তু। আমার ছেলেমেয়েরা এতো আহ্লাদ তো করেনা। যা দেই তাই খায়।
রিতুর মা লজ্জিত, কুন্ঠিত। রিতুও বোঝে কিছু একটা হয়েছে, সেটার কারণ সে। তাই সেও চুপ করে থাকে।
এই যে একটা বাচ্চার খাবার নিয়ে মাকে খোঁটা দিয়ে খুব শান্তি পেলেন ওই আত্মীয়া, তা কতটুকু মানবিক? একটা ছোট বাচ্চা, তার খাওয়া নিয়ে পছন্দ অপছন্দ থাকাটাও সহ্য হয় না মানুষের? যদি ধরেও নেই বাচ্চাটি বড় হয়ে কখনোই মুরগীর বা গরুর মাংস খেলো না, কাবাবই খেলো, তাতে কি সমস্যা? পস্তাতে হবে কেন? কেন মাকে খোঁটা শুনতে হবে যে খাওয়াতে শেখায় নি?
কই কোনো মা তো বাচ্চাকে চিপস, চকলেট, কোক, স্প্রাইট খেতে শেখায় না। তাহলে বাচ্চারা কিভাবে খেতে শেখে সেসব দেখা মাত্র? সেটাও মায়ের দোষ নিশ্চয়ই!
মানুষ বয়সের সাথে সাথে নিত্য নতুন জিনিস খেতে শুরু করে, আবার কিছু খাবার খাওয়া ছেড়েও দেয়। রুচি বদলায় ক্রমাগত। যে মেয়েটি শুটকির গন্ধে বমি করতো, সে এখন শুটকি দিয়ে আয়েশ করে গরম ভাত খায়। যে ছেলেটি সবজি দেখলে ভাত খাওয়াই বন্ধ করে দিতো, সে এখন বাটি ভরে সবজি খায় হাতে গড়া রুটি দিয়ে। যে মেয়েটি মাছ দেখলেই নাক সিঁটকাতো, মাছ না হলে এখন তার চলেই না।
তাই যে বাচ্চাটি আজ মাংস খাচ্ছেনা, কাবাব খাচ্ছে তাকে জোর করে মাংস খাওয়ানোর দরকার নেইতো। যে বাচ্চা মাছ খায়না, নাই বা খেলো। বাংগালী হয়ে জন্মেছে বলে মাছ খেতেই হবে এমন কোনো বন্ড সই করে তো সে জন্মায় নি।
আর সন্তানের সব বৈশিষ্ট্যের জন্য মা দোষী নয়। সন্তান কোনো রোবট নয় যে মা প্রোগ্রাম করে দেবে আর সেইমতো চলতে থাকবে। সে একজন আলাদা মানুষ। তারও পছন্দ অপছন্দ আছে।
সবকিছু মা শিখিয়ে দেয়না। সন্তানের সব কাজের জন্য, স্বভাবের জন্য মা দায়ী নয়। অপর এক মাকে খোঁটা দিয়ে নিজেরা আত্মতুষ্টিতে ভোগা - নিজেদের এই জঘন্য স্বভাব পাল্টানোর চেষ্টা করি।
৪ বছরের রিতু মাংস খেতে পারেনা এমনিতে। ভাতের সাথে মাংসের টুকরো গেলেই বমি আসে। তাই মা তাকে মাংস খাওয়াতে কাবাব বানিয়ে দেয়। সেটা রিতু খুব মজা করে খায়, কোনোই আপত্তি করেনা। এক আত্মীয়ের বাড়ি দাওয়াতে গিয়ে খাবার টেবিলে রিতুর প্লেটে মুরগীর টুকরো তুলে দিতে যেতেই রিতুর মা বললেন, - আপা, ও তো মাংস খেতে পারে না। শুধু কাবাব টাই খাক। - বল কি? কেন? - আসলে ওর সমস্যা হয় খেতে মাংসের টুকরো। শুধু কাবাব হলেই খায়, নইলে না। - এটা খুব খারাপ কিন্তু! মা হয়ে ওকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়াচ্ছ না। বড় হয়ে পস্তাবে কিন্তু। আমার ছেলেমেয়েরা এতো আহ্লাদ তো করেনা। যা দেই তাই খায়। রিতুর মা লজ্জিত, কুন্ঠিত। রিতুও বোঝে কিছু একটা হয়েছে, সেটার কারণ সে। তাই সেও চুপ করে থাকে। এই যে একটা বাচ্চার খাবার নিয়ে মাকে খোঁটা দিয়ে খুব শান্তি পেলেন ওই আত্মীয়া, তা কতটুকু মানবিক? একটা ছোট বাচ্চা, তার খাওয়া নিয়ে পছন্দ অপছন্দ থাকাটাও সহ্য হয় না মানুষের? যদি ধরেও নেই বাচ্চাটি বড় হয়ে কখনোই মুরগীর বা গরুর মাংস খেলো না, কাবাবই খেলো, তাতে কি সমস্যা? পস্তাতে হবে কেন? কেন মাকে খোঁটা শুনতে হবে যে খাওয়াতে শেখায় নি? কই কোনো মা তো বাচ্চাকে চিপস, চকলেট, কোক, স্প্রাইট খেতে শেখায় না। তাহলে বাচ্চারা কিভাবে খেতে শেখে সেসব দেখা মাত্র? সেটাও মায়ের দোষ নিশ্চয়ই! মানুষ বয়সের সাথে সাথে নিত্য নতুন জিনিস খেতে শুরু করে, আবার কিছু খাবার খাওয়া ছেড়েও দেয়। রুচি বদলায় ক্রমাগত। যে মেয়েটি শুটকির গন্ধে বমি করতো, সে এখন শুটকি দিয়ে আয়েশ করে গরম ভাত খায়। যে ছেলেটি সবজি দেখলে ভাত খাওয়াই বন্ধ করে দিতো, সে এখন বাটি ভরে সবজি খায় হাতে গড়া রুটি দিয়ে। যে মেয়েটি মাছ দেখলেই নাক সিঁটকাতো, মাছ না হলে এখন তার চলেই না। তাই যে বাচ্চাটি আজ মাংস খাচ্ছেনা, কাবাব খাচ্ছে তাকে জোর করে মাংস খাওয়ানোর দরকার নেইতো। যে বাচ্চা মাছ খায়না, নাই বা খেলো। বাংগালী হয়ে জন্মেছে বলে মাছ খেতেই হবে এমন কোনো বন্ড সই করে তো সে জন্মায় নি। আর সন্তানের সব বৈশিষ্ট্যের জন্য মা দোষী নয়। সন্তান কোনো রোবট নয় যে মা প্রোগ্রাম করে দেবে আর সেইমতো চলতে থাকবে। সে একজন আলাদা মানুষ। তারও পছন্দ অপছন্দ আছে। সবকিছু মা শিখিয়ে দেয়না। সন্তানের সব কাজের জন্য, স্বভাবের জন্য মা দায়ী নয়। অপর এক মাকে খোঁটা দিয়ে নিজেরা আত্মতুষ্টিতে ভোগা - নিজেদের এই জঘন্য স্বভাব পাল্টানোর চেষ্টা করি।
Like
12
0 Comments 0 Shares 338 Views 0 Reviews
Sponsored