ছোটবেলায় আমাদের বাসার পাশে একটি সিনেমা হল ছিল। প্রতি শুক্রবার ওখানে বিশেষ শো হতো। নানা জায়গা থেকে মানুষজন সেদিন সিনেমা দেখতে আসতো। এলাকা মানুষের কোলাহলে পূর্ণ থাকতো। সেই শুক্রবারে আমাদের বাসাতেও একজন বিশেষ অতিথি আসতেন। ন্যাড়া মাথা, লাল লুঙ্গি এবং খালি গায়ের একটি লাল কাপড় জড়ানো। শুক্রবার
দুপুরে এই বয়স্ক লোকটার জন্যে বাসায় খাবারের বিশেষ
আয়োজন করা হতো। একে দেখে আমি ভয় পেলেও আমার
বড় ভাইয়ের বেশ পছন্দে মানুষ ছিলেন ভদ্রলোক।

ঘটনাটা হচ্ছে এমন, দাদু (লাল কাপড় গায়ে লোকটা)
ভাইয়াকে নিয়ে হলে সিনেমা দেখতে যেতেন। সিনেমার
বিরতি চলাকালে দাদু তার লাল চাদরের নিচ থেকে এক
হাড়ি মিষ্টি বের করে ভাইয়াকে খেতে দিতেন। ঘটনাটি
প্রতিবারই হতো। বাবা-কাকাদের কাছে শুনতাম তার বেশ
কয়েকটি পোষা জ্বীন রয়েছে যাদের মাধ্যমে তিনি এটি
করেন। তার জ্বীনরা নাকি বাজারের দোকান থেকে মিষ্টি
কিনে এনে তাকে দিতেন। এ থেকে মূলত আমার শৈশবে
জ্বীন এবং মিষ্টি মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। সময়ের
সাথে সাথে জ্বীন আর মিষ্টি নিয়ে অসংখ্যা ঘটনা শুনেছি।

বাংলার আনাচে কানাচে এ মিথকে ঘিরে রয়েছে অগণিত
গল্প। দাদি নানির মুখে শোনা এসকল গল্প যখন মৃতপ্রায়
অবস্থায় ঠিক তখনই বাংলার এসকল মিথকে রক্ষা করতে
হাজির হয়েছেন দ্যা গ্রেট সেভিয়ার নুহাশ হুমায়ুন। বাবা
হুমায়ুন কলমের কালিতে গল্প রচনা করে গেলেও পুত্র
হুমায়ুন বেছে নিয়েছেন এক ভিন্ন হাতিয়ার। সে হাতিয়ারের
নতুন সৃষ্টি ‘পেট কাটা ষ’। তবে বর্তমান আলোচনাটি এই
অ্যান্থোলজি সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব ‘মিষ্টি কিছু’ নিয়ে।
আমাদের দেশে যে মিষ্টির দোকান এবং জ্বীন কেন্দ্রিক মিথটি
রয়েছে যে, সন্ধ্যার পর ফাঁকা মিষ্টির দোকানে মিষ্টি কিনতে
জ্বীনদের আনাগোনা শুরু হয়। সেটিকে কেন্দ্র করে এক
দারুণ গল্প নিয়ে এসেছেন পরিচালক নুহাশ।

পুরো পর্বটিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে প্রধান চরিত্রে
অভিনয় করা আমাদের সকলের প্রিয় অভিনেতা চঞ্জল
চৌধুরি। আর নুহাশের কাজের সিনেচার বিষয় কালার
কম্বিনেশন, কম্পোজিশন, সাউন্ড ইফেক্ট মুগ্ধতা না ছড়িয়ে
পারেনা। তাই যারা ছোটবেলা থেকে সব গল্প শুনে বড়
হয়েছেন এবং যাদের দাদি-নানির কাছ থেকে এসব গল্প
শোনার ভাগ্য হয়ে উঠেনি সকলকেই সিরিজটি সাজেস্ট
করবো।

হ্যাপি ওয়াচিং
ছোটবেলায় আমাদের বাসার পাশে একটি সিনেমা হল ছিল। প্রতি শুক্রবার ওখানে বিশেষ শো হতো। নানা জায়গা থেকে মানুষজন সেদিন সিনেমা দেখতে আসতো। এলাকা মানুষের কোলাহলে পূর্ণ থাকতো। সেই শুক্রবারে আমাদের বাসাতেও একজন বিশেষ অতিথি আসতেন। ন্যাড়া মাথা, লাল লুঙ্গি এবং খালি গায়ের একটি লাল কাপড় জড়ানো। শুক্রবার দুপুরে এই বয়স্ক লোকটার জন্যে বাসায় খাবারের বিশেষ আয়োজন করা হতো। একে দেখে আমি ভয় পেলেও আমার বড় ভাইয়ের বেশ পছন্দে মানুষ ছিলেন ভদ্রলোক। ঘটনাটা হচ্ছে এমন, দাদু (লাল কাপড় গায়ে লোকটা) ভাইয়াকে নিয়ে হলে সিনেমা দেখতে যেতেন। সিনেমার বিরতি চলাকালে দাদু তার লাল চাদরের নিচ থেকে এক হাড়ি মিষ্টি বের করে ভাইয়াকে খেতে দিতেন। ঘটনাটি প্রতিবারই হতো। বাবা-কাকাদের কাছে শুনতাম তার বেশ কয়েকটি পোষা জ্বীন রয়েছে যাদের মাধ্যমে তিনি এটি করেন। তার জ্বীনরা নাকি বাজারের দোকান থেকে মিষ্টি কিনে এনে তাকে দিতেন। এ থেকে মূলত আমার শৈশবে জ্বীন এবং মিষ্টি মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। সময়ের সাথে সাথে জ্বীন আর মিষ্টি নিয়ে অসংখ্যা ঘটনা শুনেছি। বাংলার আনাচে কানাচে এ মিথকে ঘিরে রয়েছে অগণিত গল্প। দাদি নানির মুখে শোনা এসকল গল্প যখন মৃতপ্রায় অবস্থায় ঠিক তখনই বাংলার এসকল মিথকে রক্ষা করতে হাজির হয়েছেন দ্যা গ্রেট সেভিয়ার নুহাশ হুমায়ুন। বাবা হুমায়ুন কলমের কালিতে গল্প রচনা করে গেলেও পুত্র হুমায়ুন বেছে নিয়েছেন এক ভিন্ন হাতিয়ার। সে হাতিয়ারের নতুন সৃষ্টি ‘পেট কাটা ষ’। তবে বর্তমান আলোচনাটি এই অ্যান্থোলজি সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব ‘মিষ্টি কিছু’ নিয়ে। আমাদের দেশে যে মিষ্টির দোকান এবং জ্বীন কেন্দ্রিক মিথটি রয়েছে যে, সন্ধ্যার পর ফাঁকা মিষ্টির দোকানে মিষ্টি কিনতে জ্বীনদের আনাগোনা শুরু হয়। সেটিকে কেন্দ্র করে এক দারুণ গল্প নিয়ে এসেছেন পরিচালক নুহাশ। পুরো পর্বটিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা আমাদের সকলের প্রিয় অভিনেতা চঞ্জল চৌধুরি। আর নুহাশের কাজের সিনেচার বিষয় কালার কম্বিনেশন, কম্পোজিশন, সাউন্ড ইফেক্ট মুগ্ধতা না ছড়িয়ে পারেনা। তাই যারা ছোটবেলা থেকে সব গল্প শুনে বড় হয়েছেন এবং যাদের দাদি-নানির কাছ থেকে এসব গল্প শোনার ভাগ্য হয়ে উঠেনি সকলকেই সিরিজটি সাজেস্ট করবো। হ্যাপি ওয়াচিং
Like
33
1 Yorumlar 0 hisse senetleri 156 Views 0 önizleme