অতি ক্ষুদ্র পিপঁড়া যে একটা দেয়ালের ফাটলে বাস করে । যার ব্যাস বড়জোড় 0.৫০ সেন্টিমিটারের বেশি না। মাটিতে পড়ে থাকা এককণা পাউরুটি ঘরে নিয়ে আসাই যার সারা জীবনের কাজ। যে কাজটি তার জন্য অদ্বিতীয় এবং কখনো পরিবর্তন হয় না। এই ফাটলটাই হলো তার পৃথিবী। আর তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো শুধু এক কণা রুটির টুকরা । তারপর আর কিছুই নেই। এ জন্য তাকে দোষ দেয়াও ঠিক না । কারণ এটাই তার অনুভূতির সর্বোচ্চ সীমা।
কিন্তু মানুষ অনুধাবণ করে পিপঁড়ার এই ফাটলটি কেবলমাত্র দেয়ালের একটা চিঁড়। আর দেয়ালটি একটি কক্ষের মাঝে। কক্ষটি একটি অ্যাপার্টমেন্টে। এই অ্যাপার্টমেন্টটির মতো আরো অনেক অ্যাপার্টমেন্ট থাকে একটা ভবনে। যে ভবনটি একটি এলাকায়। এলাকাটি শহরের ছোট একটা এলাকা। শহরটি কোন এক দেশে। দেশটি একটা বড় মহাদেশের ছোট অংশ। এরকম আরো সাতটি মহাদেশ রয়েছে একটা গ্রহে। পৃথিবী নামক এই গ্রহটি সূর্য নামক এক বিশাল নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরে। এরকম নক্ষত্র রয়েছে অগণিত। যা হলো একটা গ্যালাক্সি। আর এরকম কমপক্ষে একশো হাজার মিলিয়ন গ্যালাক্সি মহাশূন্যে অপার বিস্ময় নিয়ে ভেসে চলেছে। কত বিপুল বিশাল এই বিশ্ব।
এর সব কিছু মানুষ জানে। তবুও কত মানুষ অতি ক্ষুদ্র পিপঁড়ের মতো নিজেকে একটি ছোট ফাটলে বন্দি করে রাখে । পিপঁড়া যেমন তার অনুভূতির সীমিত ঘরে একা চলাচল করে। মানুষও ঠিক তেমনি তার সংকীর্ণ চিন্তায় বন্দি হয়ে থাকে। আল্লাহ যে জ্ঞান, কল্পনা, উদ্ভাবন, হাতিয়ার, কৌশল এবং বুদ্ধি মানুষকে দিয়েছেন এবং যে রহস্যময় মহাবিশ্বের সন্ধান মানুষ পেয়েছে। তবুও অধিকাংশ মানুষ একটা ধূসর শামুক, কচ্ছপ বা পিপঁড়ার মতো একটা ছোট ফাটলে আবদ্ধ হয়ে থাকে তার ঘৃণা, ক্ষোভ, লোভ এবং আত্মকেন্দ্রিকতার কারণে।
আমরা দেখি কিছু মানুষ প্রতিশোধ আর ঘৃণার অন্ধকার দুনিয়ায় আটকে আছে। তারা প্রতিদিন কেবল প্রতিশোধের ভাবনায় ডুবে থাকে এবং তাদের অস্তিত্ব শুধু শত্রুকে আক্রমণ করার পথ খোঁজে। পিপঁড়ার জীবনে যেমন শুধুই এক কণা রুটি। তাদের জীবনেও তেমনি শুধু ঘৃণা, লোভ আর প্রতিহিংসা।
কিন্তু পৃথিবীতো বিশাল এবং অসীম। রাশি রাশি বৃক্ষে প্রতিদিন কত নতুন পত্রপল্লবে শোভিত হয়, কত ফুল প্রস্ফুটিত হয়, কত পাহাড় বেয়ে স্রোতস্বিনী ঝরণা নামে, কত প্রজাপতি তার সুন্দর ডানায় নিজেকে বিকশিত করে, কত বাতাসে সুরের মূর্ছনা জাগে, কত নবাগত শুিশু প্রতিদিন পৃথিবীতে জন্ম নেয়। মানুষের ভালোবাসার বিশ্বতো অবিরাম এবং অবাক করার মতো । তাহলে কেন মানুষ নিজেকে ফাটলগুলির মধ্যে বন্দি করে রাখবে? কেন কেবলমাত্র ক্ষোভ আর লালসায় এমন এক অলৌকিক সুন্দর জীবন ফুরিয়ে যাবে? কেন নিজের সংকীর্ণ চিন্তা থেকে বেরিয়ে বৃহত্তর জাতি, মানবতা বা প্রকৃতি ও সৃষ্টির দিকে সে এগিয়ে যা
বে না?
মানুষ কি দেখেনা- পৃথিবীতে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে পিপঁড়া পিপঁড়াই রয়ে গেছে, জিরাপ জিরাপই রয়ে গেছে, বাঘ বাঘই রয়ে গেছে। কিন্তু মানুষ তার বিকাশ ঘটিয়েছে। প্রতিদিন মানুষের বিকাশ ঘটে, ঘটছে , ঘটবে। কিন্তু যারা সভ্যতায় সামনের দিকে এগোয়- মানুষকি তাদের সহযাত্রী না হয়ে শুধু হিংসা আর ঘৃণায় বন্দি হয়ে পিপঁড়ার মতো ছোট ফাটলেই আটকে থাকবে।
মানুষ কি বুঝতে পারেনা- পৃথিবীর সব ঘৃণা মিলে কোনো ফুলের প্রস্ফুটন বন্ধ করে রাখতে পারেনা। মানুষ বড়জোড় কোনো প্রবাহমান নদীতে বাঁধ দিতে পারে, কিন্তু সে আকাশের মেঘকে আটকাতে পারেনা। সংকীর্ণ পৃথিবী থেকে যদি মানুষ একবার বের হয়ে যেতে পারে সে প্রতিদিন আকাশের মেঘ হতে পারে, ভালোবাসার ফল্গুধারায় স্রোতস্বীনি নদী হতে পারে, কারো ভরসার শ্যামল ছায়া হতে পারে, সে প্রতিদিন ফুল হয়ে ফুটতে পারে।
কিন্তু বড় দূর্ভাগ্য দেশ, ভূখণ্ড স্বাধীন হওয়ার পরও কত মানুষ তার চিন্তাকে পরাধীন করে রাখে। লোভ, ঘৃণা আর হিংসার কারণে কত মানুষ পিপঁড়ার মতো এক সংকীর্ণ ফাটলে তার অপার সম্ভাবনাময় একটা জীবন শেষ করে দেয়
অতি ক্ষুদ্র পিপঁড়া যে একটা দেয়ালের ফাটলে বাস করে । যার ব্যাস বড়জোড় 0.৫০ সেন্টিমিটারের বেশি না। মাটিতে পড়ে থাকা এককণা পাউরুটি ঘরে নিয়ে আসাই যার সারা জীবনের কাজ। যে কাজটি তার জন্য অদ্বিতীয় এবং কখনো পরিবর্তন হয় না। এই ফাটলটাই হলো তার পৃথিবী। আর তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো শুধু এক কণা রুটির টুকরা । তারপর আর কিছুই নেই। এ জন্য তাকে দোষ দেয়াও ঠিক না । কারণ এটাই তার অনুভূতির সর্বোচ্চ সীমা। কিন্তু মানুষ অনুধাবণ করে পিপঁড়ার এই ফাটলটি কেবলমাত্র দেয়ালের একটা চিঁড়। আর দেয়ালটি একটি কক্ষের মাঝে। কক্ষটি একটি অ্যাপার্টমেন্টে। এই অ্যাপার্টমেন্টটির মতো আরো অনেক অ্যাপার্টমেন্ট থাকে একটা ভবনে। যে ভবনটি একটি এলাকায়। এলাকাটি শহরের ছোট একটা এলাকা। শহরটি কোন এক দেশে। দেশটি একটা বড় মহাদেশের ছোট অংশ। এরকম আরো সাতটি মহাদেশ রয়েছে একটা গ্রহে। পৃথিবী নামক এই গ্রহটি সূর্য নামক এক বিশাল নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরে। এরকম নক্ষত্র রয়েছে অগণিত। যা হলো একটা গ্যালাক্সি। আর এরকম কমপক্ষে একশো হাজার মিলিয়ন গ্যালাক্সি মহাশূন্যে অপার বিস্ময় নিয়ে ভেসে চলেছে। কত বিপুল বিশাল এই বিশ্ব। এর সব কিছু মানুষ জানে। তবুও কত মানুষ অতি ক্ষুদ্র পিপঁড়ের মতো নিজেকে একটি ছোট ফাটলে বন্দি করে রাখে । পিপঁড়া যেমন তার অনুভূতির সীমিত ঘরে একা চলাচল করে। মানুষও ঠিক তেমনি তার সংকীর্ণ চিন্তায় বন্দি হয়ে থাকে। আল্লাহ যে জ্ঞান, কল্পনা, উদ্ভাবন, হাতিয়ার, কৌশল এবং বুদ্ধি মানুষকে দিয়েছেন এবং যে রহস্যময় মহাবিশ্বের সন্ধান মানুষ পেয়েছে। তবুও অধিকাংশ মানুষ একটা ধূসর শামুক, কচ্ছপ বা পিপঁড়ার মতো একটা ছোট ফাটলে আবদ্ধ হয়ে থাকে তার ঘৃণা, ক্ষোভ, লোভ এবং আত্মকেন্দ্রিকতার কারণে। আমরা দেখি কিছু মানুষ প্রতিশোধ আর ঘৃণার অন্ধকার দুনিয়ায় আটকে আছে। তারা প্রতিদিন কেবল প্রতিশোধের ভাবনায় ডুবে থাকে এবং তাদের অস্তিত্ব শুধু শত্রুকে আক্রমণ করার পথ খোঁজে। পিপঁড়ার জীবনে যেমন শুধুই এক কণা রুটি। তাদের জীবনেও তেমনি শুধু ঘৃণা, লোভ আর প্রতিহিংসা। কিন্তু পৃথিবীতো বিশাল এবং অসীম। রাশি রাশি বৃক্ষে প্রতিদিন কত নতুন পত্রপল্লবে শোভিত হয়, কত ফুল প্রস্ফুটিত হয়, কত পাহাড় বেয়ে স্রোতস্বিনী ঝরণা নামে, কত প্রজাপতি তার সুন্দর ডানায় নিজেকে বিকশিত করে, কত বাতাসে সুরের মূর্ছনা জাগে, কত নবাগত শুিশু প্রতিদিন পৃথিবীতে জন্ম নেয়। মানুষের ভালোবাসার বিশ্বতো অবিরাম এবং অবাক করার মতো । তাহলে কেন মানুষ নিজেকে ফাটলগুলির মধ্যে বন্দি করে রাখবে? কেন কেবলমাত্র ক্ষোভ আর লালসায় এমন এক অলৌকিক সুন্দর জীবন ফুরিয়ে যাবে? কেন নিজের সংকীর্ণ চিন্তা থেকে বেরিয়ে বৃহত্তর জাতি, মানবতা বা প্রকৃতি ও সৃষ্টির দিকে সে এগিয়ে যা বে না? মানুষ কি দেখেনা- পৃথিবীতে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে পিপঁড়া পিপঁড়াই রয়ে গেছে, জিরাপ জিরাপই রয়ে গেছে, বাঘ বাঘই রয়ে গেছে। কিন্তু মানুষ তার বিকাশ ঘটিয়েছে। প্রতিদিন মানুষের বিকাশ ঘটে, ঘটছে , ঘটবে। কিন্তু যারা সভ্যতায় সামনের দিকে এগোয়- মানুষকি তাদের সহযাত্রী না হয়ে শুধু হিংসা আর ঘৃণায় বন্দি হয়ে পিপঁড়ার মতো ছোট ফাটলেই আটকে থাকবে। মানুষ কি বুঝতে পারেনা- পৃথিবীর সব ঘৃণা মিলে কোনো ফুলের প্রস্ফুটন বন্ধ করে রাখতে পারেনা। মানুষ বড়জোড় কোনো প্রবাহমান নদীতে বাঁধ দিতে পারে, কিন্তু সে আকাশের মেঘকে আটকাতে পারেনা। সংকীর্ণ পৃথিবী থেকে যদি মানুষ একবার বের হয়ে যেতে পারে সে প্রতিদিন আকাশের মেঘ হতে পারে, ভালোবাসার ফল্গুধারায় স্রোতস্বীনি নদী হতে পারে, কারো ভরসার শ্যামল ছায়া হতে পারে, সে প্রতিদিন ফুল হয়ে ফুটতে পারে। কিন্তু বড় দূর্ভাগ্য দেশ, ভূখণ্ড স্বাধীন হওয়ার পরও কত মানুষ তার চিন্তাকে পরাধীন করে রাখে। লোভ, ঘৃণা আর হিংসার কারণে কত মানুষ পিপঁড়ার মতো এক সংকীর্ণ ফাটলে তার অপার সম্ভাবনাময় একটা জীবন শেষ করে দেয় 🥲
Like
1
0 Reacties 0 aandelen 3K Views 0 voorbeeld
Sponsor