Gesponsert
সারাদিন পরিশ্রম শেষে একজন
স্বামী বাসায় ঢুকে কী প্রত্যাশা করে?
=====================

একজন পুরুষ সারাদিন বাইরে কাজ করে আসে। সে হয় চাকরি করে অথবা ব্যবসা। রাস্তায়, অফিসে, মানুষের সাথে লেনদেনে কতো ঝামেলা পার করে সে যখন বাসায় প্রবেশ করে, তখন আশা করে যে- "বাসায় গিয়ে একটু 'শান্তি' পাবো।"

সারাদিন সে বসের ঝাড়ি খেয়েছে বা পাওয়ানাদারের কাছ থেকে কটু কথা শুনেছে। অন্তত আর না হোক রিক্সাওয়ালার সাথে দর কষাকষি নিয়ে তার মেজাজ খারাপ হয়েছে। এমন অবস্থায় সে চায় বাসায় গিয়ে একটু মেজাজ ঠান্ডা হোক।

নারীরা সারাদিন ঘরে অনেক পরিশ্রম করে। ঘরের কাজ যতোই করা হোক না কেনো, কখনো শেষ হয় না; হবেও না।

আপনার স্বামী যখন ঘরে ঢুকবে, প্রথম অন্তত ১ ঘণ্টা সময় তাকে দিন। শুধুমাত্র তাকে। পানি বা শরবত এগিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে তোয়ালে এগিয়ে দেয়া, নাস্তা খেতে চাইলে সেটার ব্যবস্থা করা, রুমের ফ্যান চালু না থাকলে ফ্যান চালু করা ইত্যাদি। অর্থাৎ, প্রথম ১ ঘণ্টা সময় নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করুন, যেন সে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে যেতে পারে। ঐ সময় ভুলেও স্বামীর মেজাজ খারাপ হয়, এমন কথা বলবেন না। যেমন:

আজ প্লেট ভেঙ্গে গেছে, টাকা দিও
আমাদের বাসা ভাড়া, কারেন্ট বিল কি দেয়া হইছে?
সারাদিন কী করো? একটা বারও ফোন দিলা না?
বাসার বাজার তো শেষ হয়ে গেছে। আজকে বাজার করবা?

স্বামী বাসায় আসার পর অনেক স্ত্রী তোড়জোড় করে কাজ শুরু করেন। ছোটো সন্তানকে একটু পরে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো গেলেও স্ত্রী সেই মুহূর্তেই এটাকে প্রায়োরিটি দেন; স্বামীর কিছু লাগবে কিনা সেদিকে ভ্রুক্ষেপই করেন না।

একজন স্বামীর কাছে যদি মনে হয় বাইরে থাকা আর ঘরে থাকা সমান বা ঘরের চেয়ে বাইরে থাকলেই মেজাজ ভালো থাকে; তাহলে স্ত্রী হিসেবে এটা আপনার ব্যর্থতা। টক্সিক হাজবেন্ড ছাড়া একজন সুস্থ-স্বাভাবিক হাজবেন্ডের সাথে যদি আপনি আয়োজন করে সুখী হতে চান, আপনি অনেকটাই সুখী হতে পারবেন।

স্বামী ঘরে ঢুকার পর প্রথম ১ ঘণ্টা যদি নিজেকে তার জন্য ব্যস্ত রাখেন, তর্ক-ঝগড়া করার উপলক্ষ্য আসা সত্ত্বেও যদি চুপ করে থাকেন, তাহলে আপনি কিছুই হারাবেন না। বরং এই এক ঘণ্টার এফোর্টের ফলে সারারাতের জন্য আপনি আপনার স্বামীকে পাবেন, আবদার করার এমনকি ঝগড়া করার জন্যও রাতের কয়েক ঘণ্টা পাবেন। ঐ যে আপনি আপনার স্বামীকে খুব ভালোভাবে প্রায়োরিটি দিলেন, সে যদি আসলেই ভালো স্বামী হয় বা চেষ্টা করে, তাহলে অন্তত আপনার সাথে ঐদিন ভালো ব্যবহার করবেই করবে।

খাওয়া শেষে বলতে পারে- "থাক, আজকে আমিই তোমাকে চা বানিয়ে খাওয়াই।" দেখুন, একজন পুরুষের কাছে টাকা থাকলে বিল-ভাড়া সে পেন্ডিং রাখে না। এসব তাগাদা আপনি রাতে খাওয়া শেষেও দিতে পারেন। স্বামী সারাদিন কেনো ফোন দিতে পারেনি এটার পেছনেও স্ট্রং কারণ থাকতে পারে। সেই নিজ থেকে বলবে সারাদিন কীভাবে কাটিয়েছে।

স্বামী ঘরে ঢুকার পর তাকে ওয়েলকাম করার জন্য আপনি কতোটা আন্তরিক, নিজের ইগো ১ ঘণ্টার জন্য হলেও বিসর্জন দিতে প্রস্তুত কি-না সেটার ওপর নির্ভর করবে ঘরে-ফেরা স্বামীর সাথে আপনার দিনের বাকি অংশ অর্থাৎ জীবনের বাকি অংশ কীভাবে কাটবে। ''নিড''।
সারাদিন পরিশ্রম শেষে একজন স্বামী বাসায় ঢুকে কী প্রত্যাশা করে? ===================== একজন পুরুষ সারাদিন বাইরে কাজ করে আসে। সে হয় চাকরি করে অথবা ব্যবসা। রাস্তায়, অফিসে, মানুষের সাথে লেনদেনে কতো ঝামেলা পার করে সে যখন বাসায় প্রবেশ করে, তখন আশা করে যে- "বাসায় গিয়ে একটু 'শান্তি' পাবো।" সারাদিন সে বসের ঝাড়ি খেয়েছে বা পাওয়ানাদারের কাছ থেকে কটু কথা শুনেছে। অন্তত আর না হোক রিক্সাওয়ালার সাথে দর কষাকষি নিয়ে তার মেজাজ খারাপ হয়েছে। এমন অবস্থায় সে চায় বাসায় গিয়ে একটু মেজাজ ঠান্ডা হোক। নারীরা সারাদিন ঘরে অনেক পরিশ্রম করে। ঘরের কাজ যতোই করা হোক না কেনো, কখনো শেষ হয় না; হবেও না। আপনার স্বামী যখন ঘরে ঢুকবে, প্রথম অন্তত ১ ঘণ্টা সময় তাকে দিন। শুধুমাত্র তাকে। পানি বা শরবত এগিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে তোয়ালে এগিয়ে দেয়া, নাস্তা খেতে চাইলে সেটার ব্যবস্থা করা, রুমের ফ্যান চালু না থাকলে ফ্যান চালু করা ইত্যাদি। অর্থাৎ, প্রথম ১ ঘণ্টা সময় নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করুন, যেন সে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে যেতে পারে। ঐ সময় ভুলেও স্বামীর মেজাজ খারাপ হয়, এমন কথা বলবেন না। যেমন: ❌ আজ প্লেট ভেঙ্গে গেছে, টাকা দিও ❌ আমাদের বাসা ভাড়া, কারেন্ট বিল কি দেয়া হইছে? ❌ সারাদিন কী করো? একটা বারও ফোন দিলা না? ❌ বাসার বাজার তো শেষ হয়ে গেছে। আজকে বাজার করবা? স্বামী বাসায় আসার পর অনেক স্ত্রী তোড়জোড় করে কাজ শুরু করেন। ছোটো সন্তানকে একটু পরে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো গেলেও স্ত্রী সেই মুহূর্তেই এটাকে প্রায়োরিটি দেন; স্বামীর কিছু লাগবে কিনা সেদিকে ভ্রুক্ষেপই করেন না। একজন স্বামীর কাছে যদি মনে হয় বাইরে থাকা আর ঘরে থাকা সমান বা ঘরের চেয়ে বাইরে থাকলেই মেজাজ ভালো থাকে; তাহলে স্ত্রী হিসেবে এটা আপনার ব্যর্থতা। টক্সিক হাজবেন্ড ছাড়া একজন সুস্থ-স্বাভাবিক হাজবেন্ডের সাথে যদি আপনি আয়োজন করে সুখী হতে চান, আপনি অনেকটাই সুখী হতে পারবেন। স্বামী ঘরে ঢুকার পর প্রথম ১ ঘণ্টা যদি নিজেকে তার জন্য ব্যস্ত রাখেন, তর্ক-ঝগড়া করার উপলক্ষ্য আসা সত্ত্বেও যদি চুপ করে থাকেন, তাহলে আপনি কিছুই হারাবেন না। বরং এই এক ঘণ্টার এফোর্টের ফলে সারারাতের জন্য আপনি আপনার স্বামীকে পাবেন, আবদার করার এমনকি ঝগড়া করার জন্যও রাতের কয়েক ঘণ্টা পাবেন। ঐ যে আপনি আপনার স্বামীকে খুব ভালোভাবে প্রায়োরিটি দিলেন, সে যদি আসলেই ভালো স্বামী হয় বা চেষ্টা করে, তাহলে অন্তত আপনার সাথে ঐদিন ভালো ব্যবহার করবেই করবে। খাওয়া শেষে বলতে পারে- "থাক, আজকে আমিই তোমাকে চা বানিয়ে খাওয়াই।" দেখুন, একজন পুরুষের কাছে টাকা থাকলে বিল-ভাড়া সে পেন্ডিং রাখে না। এসব তাগাদা আপনি রাতে খাওয়া শেষেও দিতে পারেন। স্বামী সারাদিন কেনো ফোন দিতে পারেনি এটার পেছনেও স্ট্রং কারণ থাকতে পারে। সেই নিজ থেকে বলবে সারাদিন কীভাবে কাটিয়েছে। স্বামী ঘরে ঢুকার পর তাকে ওয়েলকাম করার জন্য আপনি কতোটা আন্তরিক, নিজের ইগো ১ ঘণ্টার জন্য হলেও বিসর্জন দিতে প্রস্তুত কি-না সেটার ওপর নির্ভর করবে ঘরে-ফেরা স্বামীর সাথে আপনার দিনের বাকি অংশ অর্থাৎ জীবনের বাকি অংশ কীভাবে কাটবে। ''নিড''।
Like
1
0 Kommentare 0 Anteile 2KB Ansichten 0 Vorschau
Gesponsert