ঋণের প্রথম কিস্তি ডিসেম্বরেই দিতে পারে আইএমএফ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে আগামী ডিসেম্বরেই ঋণ পাওয়ার আশা করছে সরকার। বর্তমানে আইএমএফ এর একটি প্রতিনিধি দল ১৫ দিনের বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার এনিয়ে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রথম বৈঠক শুরু করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী। বৈদেশিক মুদ্রার (ডলার) এ সংকটময় সময়ে এ ঋণ পেতে কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না।

মোট তিন কিস্তিতে এ ঋণ দিবে। বর্তমানে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের ঋণ দেওয়ার শর্তাদি নিয়ে আলোচনা করছে। তবে সব কিছু নির্ভর করবে সংস্থাটির সফররত প্রতিনিধি দলের ওপর।

এদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইএমএফের শর্ত মেনে নিলে ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া সহজ হবে। ঋণ পেলেও তা ছাড় হতে হতে আগামী বছরের শুরু হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সফররত প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদন আইএমএফ বোর্ডে জমা দেওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত নিবে।

আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ সবশেষে ২০১২ সালে ঋণ নিয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। ওই সময় ঋণ নেওয়ার আগে কর নীতিতে কিছু সংস্কার এবং ভ্যাট চালু করা হয়। সেই সময় তারা মুদ্রার বিনিময় ও সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সময়ে ঋণ পাওয়াটা জরুরি। তাই আইএমএফের সব শর্ত মেনে নিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আইএমএফ এর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) সরবরাহ করা সাত বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে দেখাচ্ছে। তাছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনে আমানত রিজার্ভে দেখানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে রিজার্ভে যে অর্থ দেখানো হচ্ছে, সে রিজার্ভ থেকে ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে।

এতেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ এখন ৩৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করলে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।
#rtv
ঋণের প্রথম কিস্তি ডিসেম্বরেই দিতে পারে আইএমএফ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে আগামী ডিসেম্বরেই ঋণ পাওয়ার আশা করছে সরকার। বর্তমানে আইএমএফ এর একটি প্রতিনিধি দল ১৫ দিনের বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার এনিয়ে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রথম বৈঠক শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী। বৈদেশিক মুদ্রার (ডলার) এ সংকটময় সময়ে এ ঋণ পেতে কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না। মোট তিন কিস্তিতে এ ঋণ দিবে। বর্তমানে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের ঋণ দেওয়ার শর্তাদি নিয়ে আলোচনা করছে। তবে সব কিছু নির্ভর করবে সংস্থাটির সফররত প্রতিনিধি দলের ওপর। এদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইএমএফের শর্ত মেনে নিলে ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া সহজ হবে। ঋণ পেলেও তা ছাড় হতে হতে আগামী বছরের শুরু হয়ে যাবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সফররত প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদন আইএমএফ বোর্ডে জমা দেওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত নিবে। আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ সবশেষে ২০১২ সালে ঋণ নিয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। ওই সময় ঋণ নেওয়ার আগে কর নীতিতে কিছু সংস্কার এবং ভ্যাট চালু করা হয়। সেই সময় তারা মুদ্রার বিনিময় ও সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সময়ে ঋণ পাওয়াটা জরুরি। তাই আইএমএফের সব শর্ত মেনে নিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইএমএফ এর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) সরবরাহ করা সাত বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে দেখাচ্ছে। তাছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনে আমানত রিজার্ভে দেখানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে রিজার্ভে যে অর্থ দেখানো হচ্ছে, সে রিজার্ভ থেকে ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। এতেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ এখন ৩৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করলে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে। #rtv
Like
11
0 Комментарии 0 Поделились 794 Просмотры 0 предпросмотр