বিয়ের পরপরই বউ অনেকটা জোর করেই একটা প্লাস্টিকের ব্যাংক কিনিয়েছিল। বলেছিল প্রতিদিন অল্প হলেও যেন কিছু টাকা এই ব্যাংকে জমাই। আমি পাত্তা দেইনি খুব একটা। ভাবতাম এই ব্যাংকে আর কয় টাকাই বা জমবে। শুধু শুধু বাড়তি প্যারা। তবে বউয়ের সামনে এসব প্রকাশ করিনি। বউ কাছে থাকা অবস্থায় কিছু কিছু রাখতাম। এরপর বউ বাপের বাড়ি গিয়ে রইলো কয়েক মাস। তখন পুরোপুরিই টাকা জমানো বন্ধ ছিল। কিভাবে যেন বউ এই খবর জানতে পেরে একদিন ফোনে বকাঝকা করলো। তারপর থেকে যেদিন বাংলাবাজার যেতাম সেদিন বাসায় ফিরে কমপক্ষে দুইশত টাকা করে ব্যাংকে ফেলতাম। বউয়ের ঝাড়ি খাওয়ার পর থেকে বাংলাবাজার থেকে ফিরে কখনো টাকা রাখতে মিস হতো না। এরপর কিছুদিন ঝড়ঝাপটা গেল পরিবারের উপর দিয়ে। তাই এই সময়টুকুতে টাকা রাখা অফ ছিল। তারপর আবার রাখা শুরু করলাম। আজকে ব্যাংকের টাকা ফেলার ফাঁকটাতে চোখ লাগিয়ে দেখি ব্যাংক ভরে গেছে পুরোটাই। তাই আর দেরি না করে বাবা মা বউ সবাইকে একত্র করে ব্যাংক ভাঙলাম (আসলে কাটলাম আরকি)। ভেবেছিলাম হাজার দশেক হবে হয়তো। কিন্তু টাকা গুনে আমি পুরো অবাক। এতটুকু একটা ব্যাংকে ৩০ হাজারের উপরে যে জমতে পারে তা নিজ হাতে টাকা না গুনলে বিশ্বাসই করতাম না।
❝ ছোট ছোট বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল। ❞
এই কথাটার মর্ম আজ ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারছি। যাদের বড় ধরণের সেভিংস করার সামর্থ্য এখনো হয়নি তারা চাইলে ছোট একটা মাটির বা প্লাস্টিকের ব্যাংক কিনে দিনশেষে পকেটে থেকে যাওয়া খুচরা টাকাগুলোর একটা অংশ জমাতে পারেন।ব্যাংক ভরে গেলে টাকাগুলো গুনে আপনি নিজেই অবাক হবেন। এই জমানো টাকাগুলোই হয়তো বিপদে কাজে লাগবে আপনার।
বিয়ের পরপরই বউ অনেকটা জোর করেই একটা প্লাস্টিকের ব্যাংক কিনিয়েছিল। বলেছিল প্রতিদিন অল্প হলেও যেন কিছু টাকা এই ব্যাংকে জমাই। আমি পাত্তা দেইনি খুব একটা। ভাবতাম এই ব্যাংকে আর কয় টাকাই বা জমবে। শুধু শুধু বাড়তি প্যারা। তবে বউয়ের সামনে এসব প্রকাশ করিনি। বউ কাছে থাকা অবস্থায় কিছু কিছু রাখতাম। এরপর বউ বাপের বাড়ি গিয়ে রইলো কয়েক মাস। তখন পুরোপুরিই টাকা জমানো বন্ধ ছিল। কিভাবে যেন বউ এই খবর জানতে পেরে একদিন ফোনে বকাঝকা করলো। তারপর থেকে যেদিন বাংলাবাজার যেতাম সেদিন বাসায় ফিরে কমপক্ষে দুইশত টাকা করে ব্যাংকে ফেলতাম। বউয়ের ঝাড়ি খাওয়ার পর থেকে বাংলাবাজার থেকে ফিরে কখনো টাকা রাখতে মিস হতো না। এরপর কিছুদিন ঝড়ঝাপটা গেল পরিবারের উপর দিয়ে। তাই এই সময়টুকুতে টাকা রাখা অফ ছিল। তারপর আবার রাখা শুরু করলাম। আজকে ব্যাংকের টাকা ফেলার ফাঁকটাতে চোখ লাগিয়ে দেখি ব্যাংক ভরে গেছে পুরোটাই। তাই আর দেরি না করে বাবা মা বউ সবাইকে একত্র করে ব্যাংক ভাঙলাম (আসলে কাটলাম আরকি)। ভেবেছিলাম হাজার দশেক হবে হয়তো। কিন্তু টাকা গুনে আমি পুরো অবাক। এতটুকু একটা ব্যাংকে ৩০ হাজারের উপরে যে জমতে পারে তা নিজ হাতে টাকা না গুনলে বিশ্বাসই করতাম না। ❝ ছোট ছোট বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল। ❞ এই কথাটার মর্ম আজ ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারছি। যাদের বড় ধরণের সেভিংস করার সামর্থ্য এখনো হয়নি তারা চাইলে ছোট একটা মাটির বা প্লাস্টিকের ব্যাংক কিনে দিনশেষে পকেটে থেকে যাওয়া খুচরা টাকাগুলোর একটা অংশ জমাতে পারেন।ব্যাংক ভরে গেলে টাকাগুলো গুনে আপনি নিজেই অবাক হবেন। এই জমানো টাকাগুলোই হয়তো বিপদে কাজে লাগবে আপনার।
Like
9
0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 216 Views 0 Προεπισκόπηση