একটা জিনিস ভেবে আশ্চর্য হই।
২০-২৫ বছর পূর্বেও ঘরে ঘরে প্রায় প্রতিটি পরিবারে ছেলেমেয়ে ছিল ৫ জন ৭ জন ১০ জন করে। এরপর ছোটবেলায় দেখতাম নিন্ম মধ্যবিত্তরাও বাড়িতে ২/৩ জন কৃষি কাজ/ কাজের লোক রাখতেন কিংবা বাড়ির আশেপাশের সহায়সম্বলহীন, গরীবদের বাসার কিছু কাজের বিনিময়ে নিয়মিত খাওয়াতেন।

সবমিলিয়ে বাবা- মা, ভাই-বোন, কাজের লোক সহ ১০-১২-১৫ জনের জন্য নানী, দাদী, মায়েরা রান্না করতেন, তাও আবার অধিকাংশ ঢেঁকিতে ধান ভেঙে। তাদের মুখের দিকে তাকালে মনে হতো এতগুলো মানুষকে খাওয়ানোতেই যেন তাদের তৃপ্তি! কোনদিন বলেনি এটা ভারী কিছু। কিংবা ১২ জনের জন্য নিয়মিত রান্না আশ্চর্যের কিছু!

কিন্তু আজকে দেখুন!
আপনি আপনার একজন হারিয়ে ফেলা বন্ধুকে খুঁজে পেয়ে বাসায় যান রাত ৮ টায়! আর যদি বিছানায় ল্যাদ খাওয়া আপনার বউকে ডেকে বলেন "ওঠো তো! একজন গেস্ট এসেছে"।
আপনার বউ দাঁত কামড়িয়ে বলবে - কিহ! তুমি রাত্রে মেহমান নিয়ে আসছো? তুমি এসব ঝামেলা পাকাও কেন!
অথচ বাসায় অটো গ্যাসের চুলায় সামান্য চা-নাস্তা বানাতে লাগবে না ১০ মিনিট...

অথচ ওদিকে নানী? মা?
যদি আগুন নিভে যেত চুলায়, একটা নল ছিল মাটির চুলার পাশে, যেটায় ফু দিয়ে দিয়ে ফের আগুন জ্বালাতে হতো। কোনদিন ভারী মনে করেনি তিনি এতসব করে খাওয়ানোকে। আমি দেখিনি!

এদিকে আপনি আপনার প্রিয় বন্ধুকে বসিয়ে রেখেছেন তো রেখেছেন, আপনার স্ত্রী শোয়া থেকে উঠছে না, ফেসবুক স্ক্রলিং করছে কিংবা টিভিতে কিছু দেখছে। তখন আপনার ৭০ বছরের মা পাশের রুম থেকে শুনে ফেললো। এসে বললো- থাক ব্যাটা থাক। বউমাকে ডাকিস না, আমি বানিয়ে দিচ্ছি চা।

এখনও আপনার বুড়ি মা এটা বলে। আরো বলবে। মরার আগ পর্যন্ত বলবে।

আমি ভাবি আমাদের মত অতি আধুনিক নারীদের উপর এসবই কি ফেমিনিজমের প্রভাব? আপনাদের বলা ক্যান্সার সমতূল্য নারীবাদ কি নানী/মায়ের জেনারেশনের পরের নারীদের এভাবেই চলতে শিখিয়েছে? আমি ভেবে পাইনা!
একটা জিনিস ভেবে আশ্চর্য হই। ২০-২৫ বছর পূর্বেও ঘরে ঘরে প্রায় প্রতিটি পরিবারে ছেলেমেয়ে ছিল ৫ জন ৭ জন ১০ জন করে। এরপর ছোটবেলায় দেখতাম নিন্ম মধ্যবিত্তরাও বাড়িতে ২/৩ জন কৃষি কাজ/ কাজের লোক রাখতেন কিংবা বাড়ির আশেপাশের সহায়সম্বলহীন, গরীবদের বাসার কিছু কাজের বিনিময়ে নিয়মিত খাওয়াতেন। সবমিলিয়ে বাবা- মা, ভাই-বোন, কাজের লোক সহ ১০-১২-১৫ জনের জন্য নানী, দাদী, মায়েরা রান্না করতেন, তাও আবার অধিকাংশ ঢেঁকিতে ধান ভেঙে। তাদের মুখের দিকে তাকালে মনে হতো এতগুলো মানুষকে খাওয়ানোতেই যেন তাদের তৃপ্তি! কোনদিন বলেনি এটা ভারী কিছু। কিংবা ১২ জনের জন্য নিয়মিত রান্না আশ্চর্যের কিছু! কিন্তু আজকে দেখুন! আপনি আপনার একজন হারিয়ে ফেলা বন্ধুকে খুঁজে পেয়ে বাসায় যান রাত ৮ টায়! আর যদি বিছানায় ল্যাদ খাওয়া আপনার বউকে ডেকে বলেন "ওঠো তো! একজন গেস্ট এসেছে"। আপনার বউ দাঁত কামড়িয়ে বলবে - কিহ! তুমি রাত্রে মেহমান নিয়ে আসছো? তুমি এসব ঝামেলা পাকাও কেন! অথচ বাসায় অটো গ্যাসের চুলায় সামান্য চা-নাস্তা বানাতে লাগবে না ১০ মিনিট... অথচ ওদিকে নানী? মা? যদি আগুন নিভে যেত চুলায়, একটা নল ছিল মাটির চুলার পাশে, যেটায় ফু দিয়ে দিয়ে ফের আগুন জ্বালাতে হতো। কোনদিন ভারী মনে করেনি তিনি এতসব করে খাওয়ানোকে। আমি দেখিনি! এদিকে আপনি আপনার প্রিয় বন্ধুকে বসিয়ে রেখেছেন তো রেখেছেন, আপনার স্ত্রী শোয়া থেকে উঠছে না, ফেসবুক স্ক্রলিং করছে কিংবা টিভিতে কিছু দেখছে। তখন আপনার ৭০ বছরের মা পাশের রুম থেকে শুনে ফেললো। এসে বললো- থাক ব্যাটা থাক। বউমাকে ডাকিস না, আমি বানিয়ে দিচ্ছি চা। এখনও আপনার বুড়ি মা এটা বলে। আরো বলবে। মরার আগ পর্যন্ত বলবে। আমি ভাবি আমাদের মত অতি আধুনিক নারীদের উপর এসবই কি ফেমিনিজমের প্রভাব? আপনাদের বলা ক্যান্সার সমতূল্য নারীবাদ কি নানী/মায়ের জেনারেশনের পরের নারীদের এভাবেই চলতে শিখিয়েছে? আমি ভেবে পাইনা!
Like
Love
15
0 Comments 0 Shares 533 Views 0 Reviews