কাওরানবাজারে মাছের দোকানগুলোতে গিয়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। এই বাজারের সিস্টেম হলো এখানে মাছ কেনার পর একেবারে কাটিয়ে আনি আমরা। মাছ যেখানে কাটে এমন এক জায়গায় দেখি এসব বিক্রি হচ্ছে। এগুলো হলো বড় মাছ কাটার পর তার নাড়িভুঁড়ি, পাখনা, লেজ, কাঁটাসহ সব উচ্ছিষ্ট জিনিসপত্র। এসব স্রেফ ফেলে দেওয়ার জিনিস। মাস কয়েক আগেও এসব ফেলেই দিতো এরা। এইসব জিনিসেরও নাকি চাহিদা বেড়েছে এখন মানুষের ভেতর। তাই বড় মাছ কাটার পর, এভাবে জমিয়ে রেখে বিক্রি করে ওরা। দাম কেমন সেটা জিজ্ঞেস করতেই বললো মাছ বুঝে ১০০-১৫০-১৮০ টাকা কেজিতে নাকি বিক্রি হয় এই জিনিস! ভাবতে পারেন এই জিনিসেরও এত দাম!

জিজ্ঞেস করলাম—কারা কিনে? জবাব দিলো— কী ভাবছেন এসব শুধু গরীবরাই খায় নাকি? আপনাদের মত প্যান্টশার্ট পরা লোকজনও নেয় এসব এখন। এই বছরের শুরু থেকেই এসব কাঁটা-নাড়িভুড়ি কেনা শুরু করেছিলো মানুষ। ভেবেছিলাম এই রোজার মাসে হয়ত কমে গেছে। আজকে বাজারে গিয়ে দেখলাম আমার অনুমান ভুল।

মাংস তো বহু আগেই সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে, পোল্ট্রি মুরগি আর এভারেজ ক্যাটাগরির মাছই ছিলো মানুষ খাবারের তালিকায়। অতি সাধারণ সেই মাছও মানুষের পাত থেকে উঠে যাচ্ছে এখন। মাছের দামও এতোই বেড়েছে যে সাধারণ মানুষ এখন এসব কিনে খাইতে বাধ্য হচ্ছে।

জাস্ট চিন্তা করেন একবার। রোজার মাসে শান্তিমতো একবেলা মাছ-ভাত খেয়ে যে রোজা রাখবে, সেই উপায়ও নাই। রোজার মাসেও মানুষজনকে মাছের নাড়িভুড়ি, কাঁটা, উচ্ছিষ্ট কিনে খেতে হচ্ছে, এরচেয়ে অসহায়ত্বের কথা আর কী হতে পারে?

যেই মানুষগুলো উচ্চমূল্যের এই বাজারে একটা সাধারণ মাছ কিনতে পারছেনা, মাছের কাঁটা, নাড়িভুড়ি, উচ্ছিষ্ট কিনে বাড়ি নিয়ে গিয়ে পরিবারের সাথে মাছ খাওয়ার অভিনয় করতেছে এই রোজার মাসেও, তাদের কানের কাছে যখন আপনারা সারাক্ষণ ‘উন্নয়ন, উন্নয়ন' জপ্ করতে থাকেন, লজ্জা করে না তখন? এটাই কি তবে আপনাদের ওই সাধের স্মার্ট বাংলাদেশ?
কাওরানবাজারে মাছের দোকানগুলোতে গিয়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। এই বাজারের সিস্টেম হলো এখানে মাছ কেনার পর একেবারে কাটিয়ে আনি আমরা। মাছ যেখানে কাটে এমন এক জায়গায় দেখি এসব বিক্রি হচ্ছে। এগুলো হলো বড় মাছ কাটার পর তার নাড়িভুঁড়ি, পাখনা, লেজ, কাঁটাসহ সব উচ্ছিষ্ট জিনিসপত্র। এসব স্রেফ ফেলে দেওয়ার জিনিস। মাস কয়েক আগেও এসব ফেলেই দিতো এরা। এইসব জিনিসেরও নাকি চাহিদা বেড়েছে এখন মানুষের ভেতর। তাই বড় মাছ কাটার পর, এভাবে জমিয়ে রেখে বিক্রি করে ওরা। দাম কেমন সেটা জিজ্ঞেস করতেই বললো মাছ বুঝে ১০০-১৫০-১৮০ টাকা কেজিতে নাকি বিক্রি হয় এই জিনিস! ভাবতে পারেন এই জিনিসেরও এত দাম! জিজ্ঞেস করলাম—কারা কিনে? জবাব দিলো— কী ভাবছেন এসব শুধু গরীবরাই খায় নাকি? আপনাদের মত প্যান্টশার্ট পরা লোকজনও নেয় এসব এখন। এই বছরের শুরু থেকেই এসব কাঁটা-নাড়িভুড়ি কেনা শুরু করেছিলো মানুষ। ভেবেছিলাম এই রোজার মাসে হয়ত কমে গেছে। আজকে বাজারে গিয়ে দেখলাম আমার অনুমান ভুল। মাংস তো বহু আগেই সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে, পোল্ট্রি মুরগি আর এভারেজ ক্যাটাগরির মাছই ছিলো মানুষ খাবারের তালিকায়। অতি সাধারণ সেই মাছও মানুষের পাত থেকে উঠে যাচ্ছে এখন। মাছের দামও এতোই বেড়েছে যে সাধারণ মানুষ এখন এসব কিনে খাইতে বাধ্য হচ্ছে। জাস্ট চিন্তা করেন একবার। রোজার মাসে শান্তিমতো একবেলা মাছ-ভাত খেয়ে যে রোজা রাখবে, সেই উপায়ও নাই। রোজার মাসেও মানুষজনকে মাছের নাড়িভুড়ি, কাঁটা, উচ্ছিষ্ট কিনে খেতে হচ্ছে, এরচেয়ে অসহায়ত্বের কথা আর কী হতে পারে? যেই মানুষগুলো উচ্চমূল্যের এই বাজারে একটা সাধারণ মাছ কিনতে পারছেনা, মাছের কাঁটা, নাড়িভুড়ি, উচ্ছিষ্ট কিনে বাড়ি নিয়ে গিয়ে পরিবারের সাথে মাছ খাওয়ার অভিনয় করতেছে এই রোজার মাসেও, তাদের কানের কাছে যখন আপনারা সারাক্ষণ ‘উন্নয়ন, উন্নয়ন' জপ্ করতে থাকেন, লজ্জা করে না তখন? এটাই কি তবে আপনাদের ওই সাধের স্মার্ট বাংলাদেশ?
Like
Love
Yay
Sad
19
0 Comments 0 Shares 940 Views 0 Reviews