বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডারের মধ্যে পার্থক্য কী? কোনটি কোন কাজে ব্যবহার করা হয়?

★দেখতে যেমন এক রকম, নামও কাছাকাছি। কিন্তু তারপরেও পার্থক্য রয়েছে বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডারের মধ্যে। পেস্ট্রি, কেক, প্যান কেক ফুলে উঠতে সাহায্য করে এই দুই উপকরণ। পাশাপাশি নরম ও মজাদার স্বাদ এনে দেয়।

★বেকিং সোডা কী?
বেকিংয়ে ব্যবহৃত বেকিং সোডা মাত্র এক উপকরণে প্রস্তুত হয়। সোডিয়াম বাইকার্বোনেটের মিহি গুঁড়া হচ্ছে বেকিং সোডা। ঝটপট ফুলে ওঠার প্রয়োজন যেসব খাবারে, সেসব খাবারে প্রয়োজন হয় এর ব্যবহার। মাফিন, প্যানকেক বা কুইক ব্রেডে এটি ব্যবহার করা হয়। সোডিয়াম বাইকার্বোনেট এক ধরনের ক্ষারীয় যৌগ যা অ্যাসিডিক উপকরণের সংস্পর্শে এসে কার্যকারিতা দেখায়। বাটারমিল্ক, লেবুর রস, ব্রাউন সুগার বা কোকো পাউডার অ্যাসিডিক উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কেবল খাবার বেক করাতেই এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ না। প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসেবে অতুলনীয় বেকিং সোডা। পাশাপাশি দুর্গন্ধ দূর করা বা রোদে পোড়া ত্বকের যত্নেও বেকিং সোডা অনন্য।

★বেকিং পাউডার কী?
সোডিয়াম বাইকার্বোনেটের পাশাপাশি আরও দুটো উপকরণ রয়েছে বেকিং পাউডারে। এই দুই উপকরণ হচ্ছে ক্রিম অব টার্টার ও কর্নস্ট্রাচ। বেকিং সোডার কাজ শুরু করতে অ্যাসিডিক উপকরণের প্রয়োজন হলেও তেমন কিছু প্রয়োজন হয় না বেকিং পাউডারের ক্ষেত্রে। এটি ভেজা উপকরণের সঙ্গে মিশিয়ে নিলে দ্রুত কাজ শুরু করে দেয়। কেক ও বিস্কুট তৈরিতে বেকিং পাউডার ব্যবহৃত হয়।

★বেকিং পাউডারের বদলে কী বেকিং সোডা ব্যবহার করা যায়?

বেকিং পাউডারের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী হচ্ছে বেকিং সোডা। এক কাপ ময়দায় যদি ১ চা চামচ বেকিং পাউডারের প্রয়োজন হয়, তবে একই পরিমাণ ময়দায় মাত্র ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা মেশাতে হবে। বেকিং পাউডারের বদলে বেকিং সোডা মেশালে কিছু বিপত্তি ঘটে। যেমন দীর্ঘক্ষণ বেকিংয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বেক হয়ে যাওয়া ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া। যদি বেক করার সময় দেখেন বেকিং পাউডার শেষ, তবে বেকিং সোডার সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। ১ চা চামচ বেকিং সোডা তৈরির জন্য আধা চা চামচ ভিনেগারের সঙ্গে কোয়ার্টার চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।

★বেকিং সোডার বদলে কী বেকিং পাউডার ব্যবহার করা যায়?

এটা বরং তুলনামূলক সহজ। বেকিং সোডার বদলে বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে চাইলে আধা চা চামচ বেকিং সোডার বদলে ২ চা চামচ বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে।

★কোনও কোনও রেসিপিতে দুটোই ব্যবহার করা হয় কেন?

যদি বাটারমিল্ক প্যানকেক বানাতে চান, তবে বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার দুটোই ব্যবহার করতে হবে। কারণ বেকিং সোডা অ্যাসিড তথা বাটারমিল্কের সম্পূর্ণ ফ্লেভার টেনে নেবে কাজ করার জন্য। যদি স্বাদ ধরে রেখে ফুলে ওঠা প্যানকেক বানাতে চান, তবে প্রয়োজন হবে বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার দুটোরই। আবার বেক করা খাবারে বাদামি রঙ এনে দেয় বেকিং সোডা। ফলে প্যানকেকে শুধু বেকিং পাউডার ব্যবহার করলে রঙটা হবে বিবর্ণ। দুটো সঙ্গে ব্যবহার করলে পারফেক্ট লুক ও স্বাদ আসবে প্যানকেকে।

★কোনটা কতদিন পর্যন্ত ভালো থাকে?

বয়াম না খুললে ২ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে বেকিং সোডা। বয়াম খুলে ফেললে ৬ মাসের মধ্যেই ব্যবহার করে ফেলুন এটি। ১৮ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে বেকিং পাউডার, যদি বয়াম খোলা না হয় একবারও। ব্যবহার করতে শুরুর করলে ৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে এটি।

#Cooking
📌বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডারের মধ্যে পার্থক্য কী? কোনটি কোন কাজে ব্যবহার করা হয়? ★দেখতে যেমন এক রকম, নামও কাছাকাছি। কিন্তু তারপরেও পার্থক্য রয়েছে বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডারের মধ্যে। পেস্ট্রি, কেক, প্যান কেক ফুলে উঠতে সাহায্য করে এই দুই উপকরণ। পাশাপাশি নরম ও মজাদার স্বাদ এনে দেয়। ★বেকিং সোডা কী? বেকিংয়ে ব্যবহৃত বেকিং সোডা মাত্র এক উপকরণে প্রস্তুত হয়। সোডিয়াম বাইকার্বোনেটের মিহি গুঁড়া হচ্ছে বেকিং সোডা। ঝটপট ফুলে ওঠার প্রয়োজন যেসব খাবারে, সেসব খাবারে প্রয়োজন হয় এর ব্যবহার। মাফিন, প্যানকেক বা কুইক ব্রেডে এটি ব্যবহার করা হয়। সোডিয়াম বাইকার্বোনেট এক ধরনের ক্ষারীয় যৌগ যা অ্যাসিডিক উপকরণের সংস্পর্শে এসে কার্যকারিতা দেখায়। বাটারমিল্ক, লেবুর রস, ব্রাউন সুগার বা কোকো পাউডার অ্যাসিডিক উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কেবল খাবার বেক করাতেই এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ না। প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসেবে অতুলনীয় বেকিং সোডা। পাশাপাশি দুর্গন্ধ দূর করা বা রোদে পোড়া ত্বকের যত্নেও বেকিং সোডা অনন্য। ★বেকিং পাউডার কী? সোডিয়াম বাইকার্বোনেটের পাশাপাশি আরও দুটো উপকরণ রয়েছে বেকিং পাউডারে। এই দুই উপকরণ হচ্ছে ক্রিম অব টার্টার ও কর্নস্ট্রাচ। বেকিং সোডার কাজ শুরু করতে অ্যাসিডিক উপকরণের প্রয়োজন হলেও তেমন কিছু প্রয়োজন হয় না বেকিং পাউডারের ক্ষেত্রে। এটি ভেজা উপকরণের সঙ্গে মিশিয়ে নিলে দ্রুত কাজ শুরু করে দেয়। কেক ও বিস্কুট তৈরিতে বেকিং পাউডার ব্যবহৃত হয়। ★বেকিং পাউডারের বদলে কী বেকিং সোডা ব্যবহার করা যায়? বেকিং পাউডারের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী হচ্ছে বেকিং সোডা। এক কাপ ময়দায় যদি ১ চা চামচ বেকিং পাউডারের প্রয়োজন হয়, তবে একই পরিমাণ ময়দায় মাত্র ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা মেশাতে হবে। বেকিং পাউডারের বদলে বেকিং সোডা মেশালে কিছু বিপত্তি ঘটে। যেমন দীর্ঘক্ষণ বেকিংয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বেক হয়ে যাওয়া ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া। যদি বেক করার সময় দেখেন বেকিং পাউডার শেষ, তবে বেকিং সোডার সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। ১ চা চামচ বেকিং সোডা তৈরির জন্য আধা চা চামচ ভিনেগারের সঙ্গে কোয়ার্টার চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। ★বেকিং সোডার বদলে কী বেকিং পাউডার ব্যবহার করা যায়? এটা বরং তুলনামূলক সহজ। বেকিং সোডার বদলে বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে চাইলে আধা চা চামচ বেকিং সোডার বদলে ২ চা চামচ বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে। ★কোনও কোনও রেসিপিতে দুটোই ব্যবহার করা হয় কেন? যদি বাটারমিল্ক প্যানকেক বানাতে চান, তবে বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার দুটোই ব্যবহার করতে হবে। কারণ বেকিং সোডা অ্যাসিড তথা বাটারমিল্কের সম্পূর্ণ ফ্লেভার টেনে নেবে কাজ করার জন্য। যদি স্বাদ ধরে রেখে ফুলে ওঠা প্যানকেক বানাতে চান, তবে প্রয়োজন হবে বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার দুটোরই। আবার বেক করা খাবারে বাদামি রঙ এনে দেয় বেকিং সোডা। ফলে প্যানকেকে শুধু বেকিং পাউডার ব্যবহার করলে রঙটা হবে বিবর্ণ। দুটো সঙ্গে ব্যবহার করলে পারফেক্ট লুক ও স্বাদ আসবে প্যানকেকে। ★কোনটা কতদিন পর্যন্ত ভালো থাকে? বয়াম না খুললে ২ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে বেকিং সোডা। বয়াম খুলে ফেললে ৬ মাসের মধ্যেই ব্যবহার করে ফেলুন এটি। ১৮ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে বেকিং পাউডার, যদি বয়াম খোলা না হয় একবারও। ব্যবহার করতে শুরুর করলে ৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে এটি। #Cooking
Like
Yay
Love
33
0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 634 Views 0 Προεπισκόπηση