Gesponsert
২০০৫ সালের কথা। অস্ট্রিয়ার ওয়াচবার্গ'এর একটি প্রাচীন আরকিওলজিকাল সাইটে খনন কার্য চালাচ্ছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ মারিয়া টেসলার- নিকোলা এবং তাঁর দল। সেখানেই মাটির প্রায় কুড়ি ফুট গভীরে খুঁজে পাওয়া গেল এক আশ্চর্য কবর। সেই কবরে বিশাল আকারের হাতির কঙ্কালের মধ্যে সুরক্ষিত অবস্থায় মাটির নিচে শুইয়ে রাখা ছিল দুটি নরকংঙ্কাল। প্রথম দর্শনেই মারিয়ার মনে হয়েছিল নরকংঙ্কাল দুটি সাবালক মানুষের নয়, শিশুর। যদিও তখনই তা প্রমাণ করা বেশ মুশকিল ছিল। সুদীর্ঘ কাল ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে সেগুলো প্রায় ফসিলের পর্যায়ে পৌঁছে গেছিলো।
মারিয়া এবং তাঁর দল বহু প্রচেষ্টার পর সেই নরকংঙ্কাল দুটি মাটির ওপরে তুলে আনতে সক্ষম হন। বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যে স্পেসিমেন পাঠানো হয় ইউরোপের বিখ্যাত ল্যাবগুলোতে।
কিছু দিনের মধ্যেই ডি. ইন. এ. এনালিসিস রিপোর্ট মারিয়ার সন্দেহ সত্যি প্রমাণ করে। নরকংঙ্কাল দুটি আসলেই দুটি শিশুর। আরও জানা যায় ওরা ছিল আইডেন্টিকাল টুইনস।
এও জানা যায় যে প্রথম জনের মৃত্যু হয় জন্মের পরই। তখন তাকে মৃত হাতির পাঁজরের মধ্যে রেখে সুরক্ষিত ভাবে মাটির নিচে কবর দেওয়া হয়। দ্বিতীয় জন জন্মের পরও কয়েক সপ্তাহ বেঁচে ছিল। তার মৃত্যুর পর নতুন করে সেই কবর উন্মুক্ত করা হয় এবং তাকেও একই সঙ্গে একই ভাবে কবর দেওয়া হয়।
এর পর আসে সেই রিপোর্ট যা মারিয়া স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। রেডিও কার্বন ডেটিং'এর সেই রিপোর্ট থেকে জানা যায় শিশু দুটিকে আজ থেকে প্রায় পয়ত্রিশ হাজার বছর আগে কবর দেওয়া হয়েছিল। বলা ভালো কোনো এক অজানা ধর্মীয় প্রথা মেনে তাদের এই উপায়ে মাটির নিচে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
মারিয়া টেসলা- নিকোলা'র আবিষ্কার করা দুই মানব শিশুর রহস্যময় কংঙ্কালই আজ অবধি খুঁজে পাওয়া পৃথিবীর প্রাচীনতম আইডেন্টিকাল টুইনস। তাদের নিয়ে গবেষণা অব্যাহত। প্রত্নতাত্ত্বিকদের বিশ্বাস আনথ্রোপলজির আরও অনেক জটিল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে সেই গবেষণা থেকে
২০০৫ সালের কথা। অস্ট্রিয়ার ওয়াচবার্গ'এর একটি প্রাচীন আরকিওলজিকাল সাইটে খনন কার্য চালাচ্ছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ মারিয়া টেসলার- নিকোলা এবং তাঁর দল। সেখানেই মাটির প্রায় কুড়ি ফুট গভীরে খুঁজে পাওয়া গেল এক আশ্চর্য কবর। সেই কবরে বিশাল আকারের হাতির কঙ্কালের মধ্যে সুরক্ষিত অবস্থায় মাটির নিচে শুইয়ে রাখা ছিল দুটি নরকংঙ্কাল। প্রথম দর্শনেই মারিয়ার মনে হয়েছিল নরকংঙ্কাল দুটি সাবালক মানুষের নয়, শিশুর। যদিও তখনই তা প্রমাণ করা বেশ মুশকিল ছিল। সুদীর্ঘ কাল ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে সেগুলো প্রায় ফসিলের পর্যায়ে পৌঁছে গেছিলো। মারিয়া এবং তাঁর দল বহু প্রচেষ্টার পর সেই নরকংঙ্কাল দুটি মাটির ওপরে তুলে আনতে সক্ষম হন। বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যে স্পেসিমেন পাঠানো হয় ইউরোপের বিখ্যাত ল্যাবগুলোতে। কিছু দিনের মধ্যেই ডি. ইন. এ. এনালিসিস রিপোর্ট মারিয়ার সন্দেহ সত্যি প্রমাণ করে। নরকংঙ্কাল দুটি আসলেই দুটি শিশুর। আরও জানা যায় ওরা ছিল আইডেন্টিকাল টুইনস। এও জানা যায় যে প্রথম জনের মৃত্যু হয় জন্মের পরই। তখন তাকে মৃত হাতির পাঁজরের মধ্যে রেখে সুরক্ষিত ভাবে মাটির নিচে কবর দেওয়া হয়। দ্বিতীয় জন জন্মের পরও কয়েক সপ্তাহ বেঁচে ছিল। তার মৃত্যুর পর নতুন করে সেই কবর উন্মুক্ত করা হয় এবং তাকেও একই সঙ্গে একই ভাবে কবর দেওয়া হয়। এর পর আসে সেই রিপোর্ট যা মারিয়া স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। রেডিও কার্বন ডেটিং'এর সেই রিপোর্ট থেকে জানা যায় শিশু দুটিকে আজ থেকে প্রায় পয়ত্রিশ হাজার বছর আগে কবর দেওয়া হয়েছিল। বলা ভালো কোনো এক অজানা ধর্মীয় প্রথা মেনে তাদের এই উপায়ে মাটির নিচে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। মারিয়া টেসলা- নিকোলা'র আবিষ্কার করা দুই মানব শিশুর রহস্যময় কংঙ্কালই আজ অবধি খুঁজে পাওয়া পৃথিবীর প্রাচীনতম আইডেন্টিকাল টুইনস। তাদের নিয়ে গবেষণা অব্যাহত। প্রত্নতাত্ত্বিকদের বিশ্বাস আনথ্রোপলজির আরও অনেক জটিল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে সেই গবেষণা থেকে
Like
Yay
21
0 Kommentare 0 Anteile 1KB Ansichten 0 Vorschau
Gesponsert