• হুজুরের লক্ষ টাকার চুক্তি ও ছোট বাচ্চাদের সারাদিনের ভোগান্তি।

    গত কয়েকদিন আগে বাসের সিটে বসে ছিলাম।
    হঠাৎ ফুটফুটে একটা ১০/১২ বছরের বাচ্চা এসে আমার হাতে ওয়াজের একটি হ্যান্ডবিল ধরিয়ে দিলো। বাচ্চাটা আকুতি ভরা কণ্ঠে বললো। আংকেল ১০টা টেহা দিন মাহফিল হইবো। পোষ্টারের বড়বড় বক্তাদের নাম দেখে চোখ যেন আমার ঝলমল করছিলো। কারন তাদের সম্পর্কে কম বেশি আমার জানা আছে তারা কেমন বাজেটের বক্তা। (এর মধ্যে দেখলাম হাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর নামটাও)

    বাচ্চাটিকে জিজ্ঞাসা করলাম। তোমার আব্বা কী করেন? উত্তর দিলো, "আমার আব্বু মালয়শিয়াতে থাকেন।" বুঝলাম ছেলেটি ভদ্র পরিবারের। বললাম, তোমাকে এখানে কালেশনে কে পাঠিয়েছে? "বললো আমাদের মাদ্রাসা থেকে।" কত পেয়েছো সব মিলিয়ে? বললো, "সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭০ টাকা।"
    বাচ্চাটির হাতে ১০০ টাকা ধরিয়ে বললাম। যাও বাবা সোজা মাদ্রাসায় চলে যাও। অনেক কালেকশন করেছো। যাবার সময় বাচ্চা তিনটাকে চল্লিশটা টাকা দিয়ে বললাম, আইসক্রিম খেতে খেতে যাবে।

    লজ্জায় বাস ভর্তি মানুষের সামনে আমার মাথা নত হয়ে যাচ্ছিল।
    কথিত এসব মোহতামিম আর মাদ্রাসার কমিটিকে, কে বলেছে মাহফিল করতে? কে বলেছে ওয়াজের নামে এসব বাচ্চাদেরকে ভিক্ষাবৃত্তি শিখাতে?

    কন্ঠাবাজ, কন্ট্রাকবাজ, গলাবাজ, শিশুবক্তা, অযোগ্য, এলেমহীন, সুরেলা বক্তাদের দিয়ে মাহফিল জমিয়ে বক্তাদের হাতে লক্ষ টাকার খাম ধরিয়ে নিজেকে ইসলামের সৈনিক মনে করে!

    অনেক কিছু বলার ছিল, পড়তেও হয়তো আপনাদের বিরক্ত লাগবে তাই এইটুকই শেষ করলাম।
    বন্ধ হোক এসব ভিক্ষাবৃত্তি।
    বন্ধ হোক এসব অনৈতিকতা।

    ওয়াজ-মাহফিল ও মাদ্রাসা-মক্তব পরিচালনার জন্য ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ব্যস্ত সড়কের পাশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অর্থ সংগ্রহ কিংবা সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার হাঁটিয়ে অর্ধ পেটে কখনও বা খালি পেটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাউল সংগ্রহ করতে পাঠানো বন্ধ হোক।
    এই অপরাধের জন্য আয়োজকদের শিশুশ্রম বা শিশু নির্যাতন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
    আর, এই পুণ্য কাজের দায়িত্বটা যেনো আয়োজকেরাই পালন করে।
    হুজুরের লক্ষ টাকার চুক্তি ও ছোট বাচ্চাদের সারাদিনের ভোগান্তি। গত কয়েকদিন আগে বাসের সিটে বসে ছিলাম। হঠাৎ ফুটফুটে একটা ১০/১২ বছরের বাচ্চা এসে আমার হাতে ওয়াজের একটি হ্যান্ডবিল ধরিয়ে দিলো। বাচ্চাটা আকুতি ভরা কণ্ঠে বললো। আংকেল ১০টা টেহা দিন মাহফিল হইবো। পোষ্টারের বড়বড় বক্তাদের নাম দেখে চোখ যেন আমার ঝলমল করছিলো। কারন তাদের সম্পর্কে কম বেশি আমার জানা আছে তারা কেমন বাজেটের বক্তা। (এর মধ্যে দেখলাম হাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর নামটাও) বাচ্চাটিকে জিজ্ঞাসা করলাম। তোমার আব্বা কী করেন? উত্তর দিলো, "আমার আব্বু মালয়শিয়াতে থাকেন।" বুঝলাম ছেলেটি ভদ্র পরিবারের। বললাম, তোমাকে এখানে কালেশনে কে পাঠিয়েছে? "বললো আমাদের মাদ্রাসা থেকে।" কত পেয়েছো সব মিলিয়ে? বললো, "সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭০ টাকা।" বাচ্চাটির হাতে ১০০ টাকা ধরিয়ে বললাম। যাও বাবা সোজা মাদ্রাসায় চলে যাও। অনেক কালেকশন করেছো। যাবার সময় বাচ্চা তিনটাকে চল্লিশটা টাকা দিয়ে বললাম, আইসক্রিম খেতে খেতে যাবে। লজ্জায় বাস ভর্তি মানুষের সামনে আমার মাথা নত হয়ে যাচ্ছিল। কথিত এসব মোহতামিম আর মাদ্রাসার কমিটিকে, কে বলেছে মাহফিল করতে? কে বলেছে ওয়াজের নামে এসব বাচ্চাদেরকে ভিক্ষাবৃত্তি শিখাতে? কন্ঠাবাজ, কন্ট্রাকবাজ, গলাবাজ, শিশুবক্তা, অযোগ্য, এলেমহীন, সুরেলা বক্তাদের দিয়ে মাহফিল জমিয়ে বক্তাদের হাতে লক্ষ টাকার খাম ধরিয়ে নিজেকে ইসলামের সৈনিক মনে করে! অনেক কিছু বলার ছিল, পড়তেও হয়তো আপনাদের বিরক্ত লাগবে তাই এইটুকই শেষ করলাম। বন্ধ হোক এসব ভিক্ষাবৃত্তি। বন্ধ হোক এসব অনৈতিকতা। ওয়াজ-মাহফিল ও মাদ্রাসা-মক্তব পরিচালনার জন্য ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ব্যস্ত সড়কের পাশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অর্থ সংগ্রহ কিংবা সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার হাঁটিয়ে অর্ধ পেটে কখনও বা খালি পেটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাউল সংগ্রহ করতে পাঠানো বন্ধ হোক। এই অপরাধের জন্য আয়োজকদের শিশুশ্রম বা শিশু নির্যাতন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। আর, এই পুণ্য কাজের দায়িত্বটা যেনো আয়োজকেরাই পালন করে।
    Like
    9
    1 Comments 0 Shares 382 Views 0 Reviews
  • First handwriting by my own.... !!!!
    First handwriting by my own.... !!!!
    Like
    Love
    9
    1 Comments 0 Shares 405 Views 0 Reviews
  • Like
    3
    0 Comments 0 Shares 300 Views 0 Reviews
  • Like
    4
    0 Comments 0 Shares 305 Views 0 Reviews
  • ৯০ কেজি ওজনের বান্ধবী' শারমিনের ফেইক আইডির নাম দিছে "ভেসে যাওয়া মেঘ"।
    ঠাডা পরবো বুটকি!
    ৯০ কেজি ওজনের বান্ধবী' শারমিনের ফেইক আইডির নাম দিছে "ভেসে যাওয়া মেঘ"। 🤣 ঠাডা পরবো বুটকি! 🤭
    Like
    Haha
    17
    1 Comments 0 Shares 46 Views 0 Reviews
  • প্লেটে ভাত অর্ধেক রেখে যদি উঠে যাস, তো দেখিস আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন।
    প্লেটে ভাত অর্ধেক রেখে যদি উঠে যাস, তো দেখিস আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন। 🙂
    Like
    Yay
    61
    1 Comments 0 Shares 17 Views 0 Reviews
  • নিরামিষ রান্না মানেই বাজে রান্না এমন এক ধারনা ছিলো ছোটবেলায়, এমনকি কয়েকবছর আগে পর্যন্ত'ও। 'শনিবার বা মঙ্গলবার নিরামিষ' -এমন নিয়মে আমার প্রচন্ড আপত্তি! মাসে একদিন ইচ্ছে হলো, খেলাম, এইরকম হলে তবুও ঠিক আছে!

    তো ওইরকম দিনে ইস্পেশাল কিছু হতেই হবে। যেমন, শীতের সময় সবরকম সবজি দিয়ে ল্যাটকা খিঁচুড়ি একটু পাঁপড় বা আলুভাজা দিয়ে, মিষ্টি মিষ্টি পোলাও এর সাথে আলুর দম আর বেগুনী। ভাত হলে সাথে লাউ উচ্ছে দিয়ে মুগডাল আর আতপচাল বাটা মাখানো বড় বড় বেগুন ভাজা, হিং আদা মৌরি বাটা দিয়ে বিউলির ডাল আলু পোস্ত, ধোঁকার ডালনা, ছানার তরকারি, দুধ শুক্তো, সবজি ডাল আর ঝুরি ঝুরি আলুভাজা এইসব হতে হবে। মানে ছবির মতো সাজানো গোছানো। তো এইরকম আজ একটা দিন। ইচ্ছে হয়েছে দুপুরে নিরামিষ খাবো।

    পালংশাক পোস্তর জন্য:
    পালং শাক কুচিয়ে নুন মেখে ৫ মিনিট রাখলে নরম হয়ে জল বেরোবে, ছাঁকনি তে রেখে ঐ জল ঝরিয়ে নেবেন। তেল গরম করে বড়ি আর ছোট ছোট কিউব করে কাটা আলু ভেজে তুলে নেবেন। ঐ তেলে কালোজিরা কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে কুচোনো পালং শাক দিয়ে নেড়ে ঢেকে রান্না করবেন। জল শুকিয়ে এলে ভাজা আলু, নুন, পোস্ত আর কাঁচালঙ্কা বাটা, সামান্য চিনি মিশিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে ওপরে ভাজা বড়ি, আর একটু কাঁচা সরষের তেল ছড়িয়ে ঢেকে রাখুন পরিবেশনের আগে পর্যন্ত।

    মটরডালের বড়ার ডালনা:
    মটর ডাল ২ ঘন্টা ভিজিয়ে বেটে নিন। নুন, হলুদ, কাঁচালঙ্কা কুচি, কালোজিরা দিয়ে মেখে বড়া গুলো ভেজে তুলে নিন। ঐ তেলে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, সাদা জিরে ফোড়ন দিয়ে আলু নুন হলুদ দিয়ে ভাজুন। টমেটো কুচি, আদা বাটা, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে কষে তেল ছাড়লে গরম জল দিয়ে ফুটতে দিন। আলু সেদ্ধ হলে ভাজা ডালের বড়া দিয়ে ২-৩ মিনিট রেখে ঘি গরমমশলা বাটা মিশিয়ে নামিয়ে নিন।

    ***২ টো ভাজা ডালের বড়া রেখেছিলাম গরমভাতে ঘি কাঁচালঙ্কা দিয়ে খাওয়ার জন্য।
    নিরামিষ রান্না মানেই বাজে রান্না এমন এক ধারনা ছিলো ছোটবেলায়, এমনকি কয়েকবছর আগে পর্যন্ত'ও। 'শনিবার বা মঙ্গলবার নিরামিষ' -এমন নিয়মে আমার প্রচন্ড আপত্তি! মাসে একদিন ইচ্ছে হলো, খেলাম, এইরকম হলে তবুও ঠিক আছে! 🙈😂 তো ওইরকম দিনে ইস্পেশাল কিছু হতেই হবে। যেমন, শীতের সময় সবরকম সবজি দিয়ে ল্যাটকা খিঁচুড়ি একটু পাঁপড় বা আলুভাজা দিয়ে, মিষ্টি মিষ্টি পোলাও এর সাথে আলুর দম আর বেগুনী। ভাত হলে সাথে লাউ উচ্ছে দিয়ে মুগডাল আর আতপচাল বাটা মাখানো বড় বড় বেগুন ভাজা, হিং আদা মৌরি বাটা দিয়ে বিউলির ডাল আলু পোস্ত, ধোঁকার ডালনা, ছানার তরকারি, দুধ শুক্তো, সবজি ডাল আর ঝুরি ঝুরি আলুভাজা এইসব হতে হবে। মানে ছবির মতো সাজানো গোছানো। তো এইরকম আজ একটা দিন। ইচ্ছে হয়েছে দুপুরে নিরামিষ খাবো।😍 পালংশাক পোস্তর জন্য: পালং শাক কুচিয়ে নুন মেখে ৫ মিনিট রাখলে নরম হয়ে জল বেরোবে, ছাঁকনি তে রেখে ঐ জল ঝরিয়ে নেবেন। তেল গরম করে বড়ি আর ছোট ছোট কিউব করে কাটা আলু ভেজে তুলে নেবেন। ঐ তেলে কালোজিরা কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে কুচোনো পালং শাক দিয়ে নেড়ে ঢেকে রান্না করবেন। জল শুকিয়ে এলে ভাজা আলু, নুন, পোস্ত আর কাঁচালঙ্কা বাটা, সামান্য চিনি মিশিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে ওপরে ভাজা বড়ি, আর একটু কাঁচা সরষের তেল ছড়িয়ে ঢেকে রাখুন পরিবেশনের আগে পর্যন্ত। মটরডালের বড়ার ডালনা: মটর ডাল ২ ঘন্টা ভিজিয়ে বেটে নিন। নুন, হলুদ, কাঁচালঙ্কা কুচি, কালোজিরা দিয়ে মেখে বড়া গুলো ভেজে তুলে নিন। ঐ তেলে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, সাদা জিরে ফোড়ন দিয়ে আলু নুন হলুদ দিয়ে ভাজুন। টমেটো কুচি, আদা বাটা, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে কষে তেল ছাড়লে গরম জল দিয়ে ফুটতে দিন। আলু সেদ্ধ হলে ভাজা ডালের বড়া দিয়ে ২-৩ মিনিট রেখে ঘি গরমমশলা বাটা মিশিয়ে নামিয়ে নিন। ***২ টো ভাজা ডালের বড়া রেখেছিলাম গরমভাতে ঘি কাঁচালঙ্কা দিয়ে খাওয়ার জন্য।😋😍
    Like
    Love
    Yay
    61
    2 Comments 0 Shares 164 Views 0 Reviews
  • আজ বিকেলে হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে গেল।
    কে যেন বলছে, “I LOVE YOU”!!!!

    বের হয়ে দেখি লেবু ওয়ালা ডাক দিয়ে বলছে,
    ”এএএই ল্যাবওওওও”
    আজ বিকেলে হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে গেল। কে যেন বলছে, “I LOVE YOU”!!!! বের হয়ে দেখি লেবু ওয়ালা ডাক দিয়ে বলছে, ”এএএই ল্যাবওওওও” 🤣🤣
    Like
    Haha
    Angry
    9
    2 Comments 0 Shares 278 Views 0 Reviews
  • Like
    3
    0 Comments 0 Shares 315 Views 0 Reviews
  • Like
    3
    0 Comments 0 Shares 307 Views 0 Reviews