বেশিরভাগ নারীর জীবনেই পিরিয়ডের ব্যথা হওয়াটা কমন ঘটনা। এটি মাসিক চক্রের একটি স্বাভাবিক অংশ। বেশিরভাগ নারীরাই পিরিয়ডের সময়ে এই ব্যথার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। পিরিয়ডের ব্যথার ধরন সবার এক রকম হয় না। এ ব্যথা কারও হালকা আবার কারও অনেক তীব্র হয়। মূলত পিরিয়ডের সময় গর্ভের পেশীতে সংকোচনের কারণে ব্যথা হয় যা হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। সাধারণত প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় পিরিয়ডের ব্যথা। এই ব্যথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত থাকে। এ ব্যথা ভেতরের কোন অসুখের কারনেও হতে পারে অথবা অসুখ ছাড়াও হতে পারে।

ভারতীয় সেলিব্রেটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকার তার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পিরিয়ডের ব্যথা নিয়ে বলেছেন, যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় তাদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রতি মাসে এই ব্যথার মধ্য দিয়ে যান। এই ব্যথা কমানোর জন্য কিছু টিপস মেনে চলা যেতে পারে।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া কিছু টিপস-

    • প্রতিদিনের খাবারে একটি করে লেবু খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
    • সপ্তাহে অন্তত দুইদিন খাবারের তালিকায় মাটির নিচের সবজি রাখুন। যেমন ওলকচু, মিষ্টি আলু, মেটে আলু, ইত্যাদি।
    • পিরিয়ডের এক সপ্তাহ আগে প্রতিদিন সকালে জাফরান ও কিশমিশ ভেজানো পানি পান করুন।
    • নিয়মিত ঘুমানোর আগে একটি ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেয়ে নিন।
    • পিরিয়ডের সময় আয়রন সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।
    • নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

পিরিয়ডের সময় সাধারণত তলপেট এবং পেলভিক এরিয়ায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। এ ব্যথা ডিসমেনোরিয়া নামেও পরিচিত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিরিয়ডের ব্যথা কোমর, নিতম্ব, উরু ও পায়েও হতে পারে। সাতদিনের ভেতরে অনেকেরই তিনদিনের মতো ব্যথা থাকে। তবে প্রথম দুইদিন পিরিয়ডের ব্যথা বেশি হতে পারে। এ সময়টাতে অনেকেরই পা ফুলে যাওয়ায় সাধারণ চলাফেরাও সম্ভব হয় না। পিরিয়ডের এই সময়টাতে সব ধরনের কাজ করাই কষ্টকর হয়ে যায়।

এরকম ব্যথা হলে তাৎক্ষণিক ব্যথার জায়গায় হট ওয়াটার ব্যাগ থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। তারসঙ্গে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবারও খেতে হবে। পিরিয়ডের সময় শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায় তাই আয়রনযুক্ত খাবারও খেতে পারেন। পাশাপাশি এ সময় নিজেকে ফিট রাখাও জরুরি।

এ ছাড়াও যদি পিরিয়ডের ব্যথা বাড়তেই থাকে তবে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।