সোশ্যালমিডিয়া প্লাটফর্ম এমন ভয়াবহ একটি নির্জন স্থান, যেখানে হাজার হাজার ছেলে-মেয়েদের ঈমান প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে!
 
রেফারেন্সঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ- “সাবধান! কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে নির্জনে মিলিত হলে সেখানে অবশ্যই তৃতীয়জন হিসাবে শয়তান অবস্থান করে (এবং পাপাচারে প্ররোচনা দেয়)।” [সহীহ্ : তিরমিযী ২১৬৫]
এখানে নির্জনে নারী-পুরুষ কে একত্রিত হলে স্পষ্ট শয়তানের কথা বলা হয়েছে।
 
এখন ধরুন, আপনি বা আমি যদি কারো সাথে মোবাইলে কথা বলি, সেটাও নির্জনে একত্রিত হওয়া নয় কি?
কারণ, আমরা মোবাইলে কথা বলার সময় নির্জনেই কথা বলি।
নির্জনে চ্যাটিং/SMS আদান-প্রদান করি। তখন দু'জনের মধ্যে কোনোরুপ বাঁধা থাকে না।
.
চ্যাটিং করে কথা বললে তা থেকে ফিতনা হয় এবং অশ্লীলতার প্রথম ধাপ।
এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক বলেন: ❝তোমরা অশ্লীলতার ধারে কাছেও যেও না❞
[সূরা আল ইসরা ১৭:৩২]
অশ্লীলতা তো দূরের কথা, এক্ষেত্রে বিনা প্রয়োজনে শালীন ভাবে কথাবার্তা বলারও বৈধতা নেই, নন-মাহরাম নারী-পুরুষের মধ্যে। না প্রেম হিসেবে, না বন্ধুত্ব আর না দোস্ত-দোস্ত বলে ডাকা। কোনোটার ই বৈধতা নেই স্পষ্ট হারাম।
.
একটা কথা বলি-
বিপরীত লিঙ্গের যে মানুষটির সাথে আপনি ইনবক্সে টেক্সট বিনিময় করছেন, যে কিনা আপনার মাহরাম নয়, সে কখনোই একজন ভালো, দ্বীনদার মানুষ নয়। চরিত্রবান, গাইরতওয়ালা ব্যক্তি হতেই পারে না! আর আপনিও না (সরি)।
.
একজন দ্বীনদার পুরুষ বা নারী কখনোই নন-মাহরাম মেয়ে কিংবা ছেলের সাথে অপ্রয়োজনীয় আলা'পচারীতায় মগ্ন হবে নাহ্ আল্লাহকে ভয় করুন!
এই জায়গায় এসেই এরা একসময় ছ্যাঁচড়া বনে যায় এইসব পাপ এদের কাছে কিছুই না, নিজের ধ্বংস ডেকে আনে!
চ্যাটিং এ মূলত কথা হয়, ভাইয়া বা আপু কেমন আছো? কি করো? খাবার খেয়েছো? ফ্যামেলির সবাই কেমন আছে?
প্রাসঙ্গিক আলোচনাঃ- ছেলেরা ছেলেদের ইনবক্সে দ্বীনের দাওয়াতি কথা বলতে পারবে বা দ্বীনের দাওয়াত দিতে পারবে ও মেয়েরা মেয়েদের ইনবক্সে দ্বীনি দাওয়াতি কথা বলতে পারবে বা দ্বীনের দাওয়াত দিতে পারবে।
তবে হ্যাঁ যদি একান্ত বিশেষ প্রয়োজন হয় (কোনো উপায় নেই বা মাধ্যমে নেই), (বিশেষ কোন প্রয়োজনে) যদি ফিতনা হওয়ার সম্ভাবনা নূন্যতম না থাকে। তাহলে কথা বলা জায়েয যতটুক প্রয়োজন ততটুক। পরপুরুষের সাথে কথা বলার সময় আকর্ষণীয় ভঙ্গীতে কথা না বলে, যথাসম্ভব জরুরী কথা সংক্ষেপে তাড়াতাড়ি শেষ করা।
وَیَتَجَنَّبُہَا الۡاَشۡقَی-
❝আর যে হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে।❞
[সূরা আলা-১২]
.
❝ছেড়ে দাও ওদেরকে, ওরা খেতে থাক আর ভোগ করতে থাক, আর (মিথ্যে) আশা ওদেরকে উদাসীনতায় ডুবিয়ে রাখুক, শীঘ্রই ওরা (ওদের আমলের পরিণতি) জানতে পারবে।❞
[সুরা আল-হিজর- ১৫:৩]
❝(বলা হবে) ‘আজ চিৎকার করো না, আমার কাছ থেকে তোমরা সাহায্য পাবে না।❞
[সুরা আল-মুমিনুন- ৬৫]
.
আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক বোঝার তৌফিক দান করুন!