১৪টি ইলিশ মাছ নিয়ে কলকাতায় এসেছি
Posted 2022-10-22 05:37:54
0
4K
কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। এরই মধ্যে টালিউডে প্রায় দেড় ডজন ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া তেলেগু, হিন্দি ছবিতেও অভিষেক হয়েছে এই টলিকন্যার। বাংলাদেশের দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। একটি ‘অপারেশন সুন্দরবন,’ অন্যটি ‘অন্তরাত্মা’। ২৩ সেপ্টেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘অপারেশন সুন্দরবন’। ছবিতে তাঁর নায়ক রোশান। মুক্তির আগে ছবির প্রচারণায় অংশ নিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা এসেছিলেন। প্রচার শেষে ২১ সেপ্টেম্বর কলকাতা চলে গেছেন। এসব নিয়ে কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
# ঢাকায় এসে টিমের সঙ্গে বেশ কয়েক দিন ধরে প্রচারণা চালালেন। মুক্তির পর ছবিটির কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
=> ভালো সাড়া পাচ্ছি। বলতে পারেন প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি ভালো। ছবির টিমের কাছ থেকে সব সময় ছবির খোঁজখবর পাচ্ছি। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াতে দারুণ ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি ছবিটির। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখছি, দর্শকেরা আমার নিজের অভিনয়েরও প্রশংসা করছেন। মুক্তির আগে এমনটিই প্রত্যাশা করেছিলাম। কারণ, আমি ছবির প্রিমিয়ার শো দেখেছি। দুই বাংলায় এমন অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা আমি আগে দেখিনি।
# বাংলাদেশে এসে ছবির প্রচারণার অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
=> প্রচারে গিয়ে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিশ্বাস করেন, থ্রিল লেগেছে নিজের কাছে। বাংলাদেশে এসে এর আগে দুটি ছবিতে শুটিং করেছি। কিন্তু ঢাকাতে যাওয়া হয়নি। এবারই সরাসরি প্রথম ঢাকাতে গিয়েছিলাম। চার দিন ধরে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচার চালিয়েছি। এত সব ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়, এমনিতে হয়তো যাওয়ার সুযোগ হতো না। কিন্তু সিনেমার কারণে সেটি হয়েছে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে তারুণ্যের যে উৎসব দেখছি, মুগ্ধ আমি। ট্রেলার দেখানোর সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে চিৎকার করছিলেন, তাঁদের এনার্জি দেখে আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম।
# এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে ঘুরে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সিনেমা নিয়ে কথা বলার বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
=> স্টুডেন্টের এনার্জি একটা আলাদা ব্যাপার। বাংলা সিনেমা যদি ইয়াংরা দেখেন, প্রমোট করেন, সিনেমা নিয়ে হইচই করেন, তাহলে সিনেমা অনেক দূর পৌঁছে যায়। তরুণদের মুখে বাংলা সিনেমার আলাপ-আলোচনা হলে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখার গল্প বাবা-কাকাদের মুখে ছোটবেলায় শুনেছি। কীভাবে তাঁরা সিনেমা দেখতেন, টিকিট কাউন্টারের সামনে টিকিট কাটা নিয়ে মারামারি হতো, ব্ল্যাকে টিকিট কাটত। এসব কাজ কিন্তু তরুণেরাই করতেন। এঁরা একটা ক্রেজ। তাঁদের মুখেই সিনেমার কথা ছড়ালে সিনেমার কপাল খুলে যায়।
# শুটিংয়ের পর প্রচারে এসেছিলেন। বাংলাদেশের তারকাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
=> অনেক দিন থেকে একসঙ্গে শুটিং করেছি। সবাই একসঙ্গে সিনেমার প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। রিয়াজ, সিয়াম, রোশান, ফারিয়া, মনোজরা সবাই পেশাদার ও হাম্বল। সুন্দর সুন্দর করে কথা বলেন তাঁরা। অনেক সহযোগিতাপূর্ণ মানুষ সবাই। শুটিংয়ের সময়ও আমরা এভাবে সবাই একসঙ্গে থেকে কাজ করেছি। কয়েক দিনের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। ফিরে আসার পর সবাইকে মিস করছি।
# ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবিতে কাজ করে কেমন লেগেছে?
=> খুবই ভালো। মজা করে কাজ করেছি। গভীর সমুদ্রে, সুন্দরবনের গভীরে শুটিং করেছি। শুটিং চলাকালে অনেক দিন আমরা নেটওয়ার্কের বাইরে ছিলাম। একটা নির্দিষ্ট সময়ে আমরা পরিবারের লোকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেতাম। তা-ও নেট পেতে কষ্ট হতো। একটা অন্য রকম অনুভূতি ছিল শুটিংয়ের সময়। শুটিং করতে গিয়ে সুন্দরবনের নানা রূপ দেখার সুযোগ পেয়েছি। এই ছবিতে কাজ না করলে সুন্দরবনকে চেনা, জানা হতো না।
# ‘অপারেশন সুন্দরবন’ দিয়ে ঢাকার ছবিতে অভিষেক হলো। কেমন লাগছে?
=> অনেক ভালো লাগছে। কারণ, এখানকার দর্শকের কাছে নিজেকে প্রকাশ করতে পেরেছি। আমাদের দুই বাংলার ভাষা তো একই। আমাদের কলকাতার অনেক শিল্পীই ঢাকার ছবিতে অভিনয় করেছেন। এবার আমি সেই দলে যুক্ত হলাম। এটি আমার জন্য সম্মানের। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে বাংলাদেশেও আমার শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। এই ছবি মুক্তির মধ্য দিয়ে তাঁদের আরও কাছে যেতে পেরেছি। শাকিব খানের বিপরীতে আমার বাংলাদেশের আরেকটি ছবি ‘অন্তরাত্মা’ হয়তো চলতি বছরেই মুক্তি পাবে।
# শাকিব খান, নাকি রোশান?—কার সঙ্গে কাজ করে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন?
=> দুজনই খুব কমফোর্টেবল। দুজন আলাদা মানুষ। দুজনের সঙ্গে কাজ করে আলাদা আলাদা অভিজ্ঞতা হয়েছে। দুজনই শক্তিমান অভিনেতা । দুজনের সঙ্গেই কাজের সময় মজা করে কাজ করেছি। অন্য দেশ থেকে এসে কাজ করছি, শুটিংয়ে সেই বিষয়টি দুজনের কেউই আমাকে ফিল করতে দেননি। সহশিল্পী হিসেবে দুজনই দারুণ।
আপনি হিন্দি, তেলেগু ও কলকাতার বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন, করছেন।
# বাংলাদেশের কাজে ভিন্নতা পেয়েছেন কি?
=> শুটিং, অভিনেতাদের অভিনয়—সব জায়গায় তো একই। তবে শুটিং পরিকল্পনা বা শুটিংয়ে অর্গানাইজের ক্ষেত্রে কিছুটা আমাদের থেকে আলাদা মনে হয়েছে। তবে এখানে অনেক নতুন প্রযোজক, নতুন পরিচালক ভালো ভালো কাজ করছেন, করার চেষ্টা করছেন। ‘হাওয়া ও ‘পরাণ’ সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’—এর ক্রেজ কলকাতায় বসেই টের পেয়েছি।
# আপনার বাংলাদেশের পছন্দের খাবার কী?
=> বাংলাদেশের সব খাবারই খেতে ভালো লাগে। প্রথম দিন গিয়েই ইলিশ খেয়েছি। এখানকার ইলিশ-বিরিয়ানি, ইলিশ-পোলাও খুব পছন্দ আমার।
# বলেছিলেন বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় ইলিশ নিয়ে যাবেন, নিয়েছেন?
=> হ্যাঁ, নিয়েছি। তিন জায়গা থেকে আমাকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন ইলিশ মাছ। ১৪টি ইলিশ মাছ নিয়ে কলকাতায় এসেছি।
Sponsored
Search
Categories
- Art
- Causes
- Crafts
- Dance
- Drinks
- Film
- Fitness
- Food
- Games
- Gardening
- Health
- Home
- Literature
- Music
- Networking
- Other
- Party
- Religion
- Shopping
- Sports
- Theater
- Wellness
Read More
NOFS x Trapstar: A Game-Changing Collaboration in Streetwear
In the ever-evolving world of streetwear, collaborations between powerhouse brands have become...
最適なソリューション: バッテリー交換後のノートパソコンの速度低下
「バッテリー交換後のノートパソコンの速度低下」は、多くのユーザーを悩ませる厄介な問題です。あなたがその 1 人である場合は、MiniTool...
Top 5 Reasons to Use a Research Paper Writing Service in College
In college, managing coursework, exams, and other commitments can feel overwhelming, especially...
What is a shell?
At its base, a shell is simply a macro processor that executes commands. The term macroprocessor...
Что именно получит девушка, если захочет выбрать наше агентство?
На текущий момент, именно наше эскорт-агентство лучшим является! Рассмотрим почему модели...