শুরুটা হয়েছিল ব্যর্থতা দিয়ে। কেবল একটি নয়, ক্যারিয়ারের শুরুতে একের পর এক ফ্লপ হয়েছে তাঁর ছবি। বাবা ছিলেন হিন্দি ছবির মহাতারকা। এখনকার সময় হলে নিশ্চিতভাবেই তাঁকে নিয়ে স্বজনপ্রীতির বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠত। তবে বেশি দিন টিকত না অবশ্যই। কারণ, শুরুর ব্যর্থতার পর তিনি যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, তেমনটা খুব কম অভিনেতার ক্ষেত্রেই দেখা যায়। ২০১১ সালে ৭৯ বছর বয়সে প্রয়াত সেই অভিনেতার জন্মদিন আজ। ছবিতে ছবিতে দেখে নেওয়া যাক তাঁকে নিয়ে অজানা তথ্য—

১৯৩১ সালের ২১ অক্টোবর তাঁর জন্ম। আসল নাম শমশের। পরে অবশ্য পরিচিত হয়েছেন অন্য নামে।
ভারতের এলভিস প্রিসলি বলা হতো তাঁকে। ১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত তিনিই ছিলেন হিন্দি সিনেমার একমাত্র ‘ড্যান্সিং হিরো’। বলা হয়, কোনো কোরিওগ্রাফারের সাহায্য ছাড়াই পারফর্ম করতেন তিনি। মিউজিক্যাল ছবিতে ও গানে তাঁর পারফরম্যান্স থেকেই ‘ভারতের এলভিস প্রিসলি’ উপাধি পেয়েছিলেন তিনি।
তাঁর বাবা ছিলেন হিন্দি সিনেমার মহাতারকা। বাবার থিয়েটারে জুনিয়র শিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। বেতন ৫০ রুপি।
তিনি ছিলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। প্রযুক্তিতে ঝোঁক ছিল প্রচণ্ড। ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন তিনি।
বোম্বেতে জন্ম হলেও বাবার কাজের সুবাদে শৈশবের বড় অংশ কেটেছে কলকাতায়।
১৯৫৩ সালে ‘জীবন জ্যোতি’ দিয়ে হিন্দি সিনেমায় অভিষেক। ডাহা ফ্লপ হয় ছবিটি। পরের চার বছর আরও বেশ কয়েকটি ছবি করলেও কোনোটা দিয়েই নজর কাড়তে পারেননি।
১৯৬০-এর দশকের প্রথমভাবে ‘জংলি’, ‘রাজকুমার’, ‘দিল তেরা দিওয়ানা’, ‘চায়না টাউন’, ‘কাশ্মীর কি কলি’, ‘বাফ মাস্টার’, ‘জানওয়ার’, ‘তিসরি মঞ্জিল’ দিয়ে সাফল্যের দেখা পান।
মূলত রোমান্টিক কমেডি, মিউজিক্যাল থ্রিলার করে খ্যাতি পান এই অভিনেতা।
১৯৬৮ সালে ‘ব্রহ্মচারী’র জন্য প্রথম ফিল্মফেয়ার পান।
তিনি হিন্দি ছবির সর্বকালের সেরা তারকাদের একজন—শাম্মী কাপুর, পৃথ্বীরাজ কাপুরের সন্তান।