পাখিরা বাসা বানায় কেন

বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে—সবাইকে নিয়ে মানুষের পরিবার। তবে পাখিদের এমন পরিবার নেই। কিছু পাখি দলবেঁধে বাস করে বটে, কিন্তু মানুষের মতো পাখিদের স্থায়ী ঘর-বাড়ি দরকার হয় না। তাহলে পাখিরা ঘুমায় কোথায়? গাছের ডালে, ঝোপে-ঝাড়ে। কিন্তু ঝড়বৃষ্টিতে পাখিরা কীভাবে বাঁচে? কোথায় আশ্রয় নেয়? গাছের বড় পাতার নিচে, ঘন ঝোপের আড়ালে কিংবা মানুষের ঘরবাড়ির কার্নিশের নিচে। অবশ্য বড় ঝড়ে পাখিদের খুব কষ্ট। তাই ঝড়ের পরে প্রায়ই পাখি মরে পড়ে থাকতে দেখা যায় পথে-ঘাটে। বাসায় থাকলে আর মরতে হতো না।
পাখির বাসার যে আকার, তাতে কি ঝড় বৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়া যায়? আসলে, ঝড়ে খুব সহজেই পাখির বাসা উড়ে যেতে পারে। সে জন্য কি পাখিরা বাসা বানায় না? বানায়। তবে নিজেদের জন্য নয়। যখন ওদের ডিম পাড়ার দরকার হয়, তখন পাখিদের বাসা বানাতে হয়। গাছের ডালে কিংবা পাতায় তো আর ডিম পড়া যায় না। ডিম গড়িয়ে পড়ে যেতে পারে। তাই বাটির মতো কিছু একটা দরকার হয়। এ জন্য পাখিরা বাসা বানায়। তারপর ডিম ফুটে ছানা বেরোয়। কিন্তু সেই ছোট্ট ছানারা তো আর উড়তে পারে না। তাই ওদের আরাম-আয়েশের জন্য দরকার হয় বাসা। ছানাদের শীত-গরম আর ঝড়-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতেও বাসার দরকার হয়।
পাখির আকার যেমন, বাসার আকারও তেমন হয়। যেমন টুনটুনি ছোট পাখি, এর বাসা তাই খুব ছোট। অন্যদিকে শামুকখোল, ঈগল কিংবা মদনটাক পাখি আকারে বিশাল হওয়ায় এদের বাসাও অনেক বড়।
- Art
- Causes
- Crafts
- Dance
- Drinks
- Film
- Fitness
- Food
- Games
- Gardening
- Health
- Home
- Literature
- Music
- Networking
- Other
- Party
- Religion
- Shopping
- Sports
- Theater
- Wellness