Недавние обновления
  • শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন
    জমি ক্রয়ের পূর্বে ও পরে যা করণীয়।
    জমি ক্রয় কালে ক্রেতাদেরকে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা তুলে ধরা হলোঃ

    ১। জরিপের মাধ্যমে প্রণীত রেকর্ড অর্থাৎ খতিয়ান ও নকশা যাচাই করতে হবে।
    ২। জমির তফসিল অর্থাৎ জমির মৌজা, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর উক্ত দাগে জমির মোট পরিমাণ জানতে হবে।
    ৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিএস, এসএ, আরএস, বিএস পর্চা দেখতে হবে।
    ৪। বিক্রেতা ক্রয়সূত্রে ভূমির মালিক হয়ে থাকলে তার ক্রয় দলিল বা ভায়া দলিল রেকর্ডের সঙ্গে মিল করে বিক্রেতার মালিকানা নিশ্চিত হতে হবে।
    ৫। বিক্রেতা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হলে সর্বশেষ জরিপের খতিয়ান বিক্রেতা বা তিনি যার মাধ্যমে প্রাপ্ত তার নামে অস্তিত্ব (যোগসূত্র) মিলিয়ে দেখতে হবে।
    ৬। জরিপ চলমান এলাকায় বিক্রেতার কাছে রক্ষিত মাঠ পর্চা যাচাই করে দেখতে হবে।
    ৭। বিক্রেতার কাছ থেকে সংগৃহীত দলিল সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিস/জেলা রেজিস্ট্রার রেকর্ড রুম হতে যাচাই করে দেখতে হবে।
    ৮। খতিয়ান/পর্চা/মৌজা ম্যাপ ইত্যাদি কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিস/উপজেলা ভূমি অফিস/জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুম হতে যাচাই করে দেখতে হবে।
    ৯। হাল সন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধ আছে কি না দেখতে হবে।
    ১০। প্রস্তাবিত সম্পত্তির দখল বিক্রেতার আছে কি না। সম্পত্তিতে বিক্রেতার দখল না থাকলে সে জমি ক্রয় করা উচিত হবে না।
    ১১। ওয়ারিশি জমি কিনতে চাইলে, ঐ সম্পত্তিতে মোট কতজন ওয়ারিশ আছে তা খোজ নিয়ে দেখুন। আপনি যে ওয়ারিশের নিকট থেকে কিনবেন, তার ততটুকু বিক্রয়ের অধিকার আছে কিনা যাচাই করুন।
    ১২। সম্পত্তিটি খাস কিংবা সরকারী কিনা যাচাই করুন। সরকারী বা খাস সম্পত্তি বিধিবহির্ভূত ভাবে ক্রয়-বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
    ১৩। অন্য কোন পক্ষের সাথে বিক্রয় চুক্তি বা বায়না পত্র রেজিস্ট্রি করা আছে কি না তা যাচাই করুন।
    ১৪। ব্যাংক বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ কি না তা যাচাই করুন।
    ১৫। জমি বিক্রয়ের জন্য অ্যাটর্নি নিয়োগ করা আছে কিনা তা যাচাই করুন। অ্যাটর্নি নিয়োগ করা থাকলে অ্যাটর্নি ছাড়া মূল মালিকের সম্পাদন গ্রহণযোগ্য নয়।
    ১৬। জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলছে কিনা যাচাই করুন। মামলাভুক্ত জমি কেনা উচিত নয়।

    জমি ক্রয়ের পরে ক্রেতা বা মালিকের করণীয়ঃ

    ১। জমি রেজিস্ট্রি করার পর ক্রয়কৃত জমির দখল, সীমানা নির্ধারণ এবং জমি ব্যবহার তথা চাষাবাদ বা বাড়ীঘর নির্মাণ করা।
    ২। রেজিস্ট্রি অফিস হতে মূল দলিল গ্রহন করা। মূল দলিল প্রাপ্তিতে বিলম্ব হলে দলিলের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করা।
    ৩। মিউটেশন/নামজারী করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অফিসে দলিলের সত্যায়িত কপিসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে মিউটেশন/নামজারী করানোর ব্যবস্থা করা।
    ৪। নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করা হলে জমি নিলাম হয়ে যেতে পারে।
    ৫। ভালোভাবে জমির সীমানা চিহ্নিত করে না রাখলে অন্যেরা অনধিকার প্রবেশ করার সুযোগ পাবে।
    ভূমি সম্পর্কিত যে কোন পরামর্শ নিতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ
    #landmeasure #land #dolil #jomidari #realestate #জমি_মাপা #virals #ভূমি #landscape
    0 Комментарии 0 Поделились 1Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • পৃথিবী সমস্ত শান্তি বোধ হয় এখানেই ©
    পৃথিবী সমস্ত শান্তি বোধ হয় এখানেই ©
    0 Комментарии 0 Поделились 6Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • একজন বাংলাদেশি পরিদর্শক কোরিয়া পরিদর্শনে এসে এদের দেশের প্রযুক্তি, দেশ পরিচালনা ও গোছানো সিস্টেম দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে কোরিয়ান কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করলো:
    আপনারা এতো স্মার্ট ও সুন্দর দেশ কিভাবে গড়লেন?
    কোরিয়ান কর্মকর্তা উত্তর দিলেন: আসলে আপনারা আমাদের থেকে বেশি স্মার্ট, এজন্য।
    বাংলাদেশি পরিদর্শক: আমরা বেশি স্মার্ট হলে তোমাদের দেশ ও সিস্টেম আমাদের দেশের থেকে স্মার্ট কিভাবে?
    কোরিয়ান কর্মকর্তা: আমাদের দেশে ১০ জনে ১ জন স্মার্ট আর ৯ জনই অযোগ্য, কম বুদ্ধিসম্পন্ন । কিন্তু আপনাদের দেশে ১০ জনে ৯ জনই স্মার্ট আর ১ জন হয় অযোগ্য, কম বুদ্ধিসম্পন্ন।
    তফাৎ শুধু এতটুক– আপনারা ১ জন অযোগ্যকে লিডার বানিয়ে ৯ জন স্মার্ট মানুষকে তার আন্ডারে কাজ করতে বলেন। আর আমরা ১ জন স্মার্ট মানুষকে লিডার বানিয়ে ৯ জন অযোগ্য, কম বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে তার আন্ডারে কাজ করতে দিই।
    একজন বাংলাদেশি পরিদর্শক কোরিয়া পরিদর্শনে এসে এদের দেশের প্রযুক্তি, দেশ পরিচালনা ও গোছানো সিস্টেম দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে কোরিয়ান কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করলো: আপনারা এতো স্মার্ট ও সুন্দর দেশ কিভাবে গড়লেন? কোরিয়ান কর্মকর্তা উত্তর দিলেন: আসলে আপনারা আমাদের থেকে বেশি স্মার্ট, এজন্য। বাংলাদেশি পরিদর্শক: আমরা বেশি স্মার্ট হলে তোমাদের দেশ ও সিস্টেম আমাদের দেশের থেকে স্মার্ট কিভাবে? কোরিয়ান কর্মকর্তা: আমাদের দেশে ১০ জনে ১ জন স্মার্ট আর ৯ জনই অযোগ্য, কম বুদ্ধিসম্পন্ন । কিন্তু আপনাদের দেশে ১০ জনে ৯ জনই স্মার্ট আর ১ জন হয় অযোগ্য, কম বুদ্ধিসম্পন্ন। তফাৎ শুধু এতটুক– আপনারা ১ জন অযোগ্যকে লিডার বানিয়ে ৯ জন স্মার্ট মানুষকে তার আন্ডারে কাজ করতে বলেন। আর আমরা ১ জন স্মার্ট মানুষকে লিডার বানিয়ে ৯ জন অযোগ্য, কম বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে তার আন্ডারে কাজ করতে দিই।
    Like
    3
    0 Комментарии 0 Поделились 1Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • গতকাল দুপুরে আমি বেশ অবাক হয়ে মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনের পাশের তালগাছটা দেখছিলাম। এমন উঁচু একটা তালগাছ হতে ৩৫-৪০ বছর লেগে যায় সেকারণেই প্রবাদ আছে যে তালগাছ পুঁতে তার কপালে সে গাছের ফল জুটেনা। আমার অবাক হবার কারণ হলো গত ৪০ বছরে এ রাস্তাটার উপর দিয়ে কি আজাবটাই না গেছে! রাস্তা ইট সোলিং থেকে পাকা হয়েছে, চওড়া হয়েছে, চার লেন হয়েছে, সব গাছ কাটা গেছে, ওয়াসা-তিতাসের লাইন গেছে, বিল্ডিং উঠেছে, মেট্রোরেল হয়ে ফুটপাত সমেত পাকা হয়ে গেছে কিন্তু এতকিছুর মাঝেও কেমনে যেন তালগাছটা একাই টিকে গেছে! সেলাম তালগাছ মশাই! What a survivor!
    গতকাল দুপুরে আমি বেশ অবাক হয়ে মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনের পাশের তালগাছটা দেখছিলাম। এমন উঁচু একটা তালগাছ হতে ৩৫-৪০ বছর লেগে যায় সেকারণেই প্রবাদ আছে যে তালগাছ পুঁতে তার কপালে সে গাছের ফল জুটেনা। আমার অবাক হবার কারণ হলো গত ৪০ বছরে এ রাস্তাটার উপর দিয়ে কি আজাবটাই না গেছে! রাস্তা ইট সোলিং থেকে পাকা হয়েছে, চওড়া হয়েছে, চার লেন হয়েছে, সব গাছ কাটা গেছে, ওয়াসা-তিতাসের লাইন গেছে, বিল্ডিং উঠেছে, মেট্রোরেল হয়ে ফুটপাত সমেত পাকা হয়ে গেছে কিন্তু এতকিছুর মাঝেও কেমনে যেন তালগাছটা একাই টিকে গেছে! সেলাম তালগাছ মশাই! What a survivor!
    Like
    4
    0 Комментарии 0 Поделились 682 Просмотры 0 предпросмотр
  • *লষ্ট প্যারাডাইস*.......
    আমরাই শেষ জেনারেশন যাঁরা স্বর্গ দেখেছি।
    কোনোও জেনারেশনই আর তা দেখতে পাবে না।

    আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা গরুর গাড়ি থেকে সুপার সনিক কনকর্ড জেট দেখেছি। পোস্টকার্ড, খাম, ইনল্যান্ড লেটার থেকে শুরু করে আজকের হোয়াটস্যাপ চ্যাটিং, ফেসবুক, ই-মেইল পর্যন্তও করছি। অসম্ভব মনে হওয়া অনেক জিনিসই সম্ভব হতে দেখেছি।

    আমরা সেই জেনারেশন, যারা টেলিগ্রাম এসেছে শুনলেই ঘরগুষ্টির মুখ শুকিয়ে যেতে দেখেছি…

    আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা মাটিতে বসে ভাত খেয়েছি আর প্লেটে ঢেলে চা খেয়েছি সুরুৎ শব্দে।

    আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে লুকোচুরি, বাঘবন্দি, ডাঙ্গুলি, দাড়িয়াবাধা, গোল্লাছুট, মার্বেল খেলেছি, বলার আঠায় বাঁশপাতা কাগজের ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে উড়িয়েছি, নাড়া ক্ষেতে ফুটবল বানিয়ে খেলেছি।

    আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা হ্যারিকেন আর কূপির আলোতে পড়াশুনা করেছি, বেত থেকে পাখার ডাঁটির চাপকানি খেয়েছি আর চাদরে হাফ বডি ঢুকিয়ে উপুড় হয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে পড়েছি দস্যু বনহুর, কুয়াশা, মাসুদ রানা, স্বপন কুমারের সিরিজ।

    আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা ফ্যান, এসি, হিটার, ফ্রীজ, গ্যাস, মাইক্রোওভেনের অস্থাবর সুখ ছাড়াই কাটিয়েছি ছোটবেলা।

    আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা ঈগল পেন থেকে বমি করা সুলেখা কালি হাতে মেখে মাথায় মুছে ‘বাবরের যুদ্ধবৃত্তান্ত’ লিখেছি, বড়দের পকেটে বড় নিবের উইংসাঙ দেখেছি আর নতুন বই-খাতার একটা আলাদা গন্ধ আর আনন্দ উপভোগ করেছি।

    আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা বিনা টিফিনে স্কুলে গেছি, ইস্কুলে টিচারের হাতে মার খেয়ে, বাড়ি এসে নালিশ করাতে সেকেন্ড-রাউন্ড বেদম ফ্রি-ষ্টাইল ওয়ান-ওয়ে ফাইট সহ্য করেছি, দোষ তো আমার নাহলে টিচার মারবেন কেন?

    আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা বড়দের সন্মান করেছি এবং এখনো করে যাচ্ছি।

    আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা জোৎস্না রাতে ছাদে ট্রানজিস্টরে বিবিসি’র খবর, অনুরোধের আসর আর বিবিধ ভারতীর শেষ সাক্ষী।

    আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা টেলিভিশনে খেলা দেখার জন্য ছাদে উঠে এ্যন্টেনা এডজাস্ট করে স্যিগনাল ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের ছিল তিন লাঠির এন্টেনা, আর ছিল টিভি স্ক্রিনে পার্মানেন্ট ঝিলমিলানি, তাতে কোনও প্রব্লেমই হোত না, ওটা জীবনের অঙ্গ ধরাই ছিল। গন্ডগোল পাকাতো ঐ লোডশেডিং।

    আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা আত্মীয় স্বজন বাড়িতে আসার জন্য অপেক্ষা করেছি। ইচ্ছে করে বৃষ্টি ভিজে ইস্কুল থেকে বাড়ি ঢুকেছি।

    আমরা সেই শেষ জেনারেশন যাঁরা সূর্য ডোবার আগেই বাড়ি ঢুকেছি।

    আমরা সেই শেষ জেনারেশন যারা পূজো বা ঈদের সময় শুধু একটা নুতন জামার জন্য অপারগ বাবার দিকে চেয়ে থেকেছি।

    আমরা সেই শেষ প্রজন্ম যারা রাস্তাঘাটে স্কুলের স্যারকে দেখামাত্র রাস্তাতেই নির্দ্বিধায় পায়ে হাত ছুঁয়ে সালাম করেছি।

    আমরাই লাষ্ট জেনারেশন এখনও বন্ধু খুঁজি।
    জীবনের চলার স্রোতে হারিয়েছি জীবনের স্বর্গ।

    লস্ট প্যারাডাইস।
    এখন পৃথিবী রিটার্ন ব্যাক করবে ধীরে ধীরে সেই পিছনের দিনে ফিরে যাবে। আধুনিকতা বলতে আর কিছু সামনের দিকে আসবে না। পৃথিবীর নানা রকম অবক্ষয় হতেই থাকবে। সর্বশেষ আমরাই লাস্ট জেনারেশন যারা দেশদ্রোহী দেলু রাজাকারদের দেখেছি এবং তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতেও দেখেছি।
    *লষ্ট প্যারাডাইস*....... আমরাই শেষ জেনারেশন যাঁরা স্বর্গ দেখেছি। কোনোও জেনারেশনই আর তা দেখতে পাবে না। আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা গরুর গাড়ি থেকে সুপার সনিক কনকর্ড জেট দেখেছি। পোস্টকার্ড, খাম, ইনল্যান্ড লেটার থেকে শুরু করে আজকের হোয়াটস্যাপ চ্যাটিং, ফেসবুক, ই-মেইল পর্যন্তও করছি। অসম্ভব মনে হওয়া অনেক জিনিসই সম্ভব হতে দেখেছি। আমরা সেই জেনারেশন, যারা টেলিগ্রাম এসেছে শুনলেই ঘরগুষ্টির মুখ শুকিয়ে যেতে দেখেছি… আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা মাটিতে বসে ভাত খেয়েছি আর প্লেটে ঢেলে চা খেয়েছি সুরুৎ শব্দে। আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে লুকোচুরি, বাঘবন্দি, ডাঙ্গুলি, দাড়িয়াবাধা, গোল্লাছুট, মার্বেল খেলেছি, বলার আঠায় বাঁশপাতা কাগজের ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে উড়িয়েছি, নাড়া ক্ষেতে ফুটবল বানিয়ে খেলেছি। আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা হ্যারিকেন আর কূপির আলোতে পড়াশুনা করেছি, বেত থেকে পাখার ডাঁটির চাপকানি খেয়েছি আর চাদরে হাফ বডি ঢুকিয়ে উপুড় হয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে পড়েছি দস্যু বনহুর, কুয়াশা, মাসুদ রানা, স্বপন কুমারের সিরিজ। আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা ফ্যান, এসি, হিটার, ফ্রীজ, গ্যাস, মাইক্রোওভেনের অস্থাবর সুখ ছাড়াই কাটিয়েছি ছোটবেলা। আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা ঈগল পেন থেকে বমি করা সুলেখা কালি হাতে মেখে মাথায় মুছে ‘বাবরের যুদ্ধবৃত্তান্ত’ লিখেছি, বড়দের পকেটে বড় নিবের উইংসাঙ দেখেছি আর নতুন বই-খাতার একটা আলাদা গন্ধ আর আনন্দ উপভোগ করেছি। আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা বিনা টিফিনে স্কুলে গেছি, ইস্কুলে টিচারের হাতে মার খেয়ে, বাড়ি এসে নালিশ করাতে সেকেন্ড-রাউন্ড বেদম ফ্রি-ষ্টাইল ওয়ান-ওয়ে ফাইট সহ্য করেছি, দোষ তো আমার নাহলে টিচার মারবেন কেন? আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা বড়দের সন্মান করেছি এবং এখনো করে যাচ্ছি। আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা জোৎস্না রাতে ছাদে ট্রানজিস্টরে বিবিসি’র খবর, অনুরোধের আসর আর বিবিধ ভারতীর শেষ সাক্ষী। আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা টেলিভিশনে খেলা দেখার জন্য ছাদে উঠে এ্যন্টেনা এডজাস্ট করে স্যিগনাল ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের ছিল তিন লাঠির এন্টেনা, আর ছিল টিভি স্ক্রিনে পার্মানেন্ট ঝিলমিলানি, তাতে কোনও প্রব্লেমই হোত না, ওটা জীবনের অঙ্গ ধরাই ছিল। গন্ডগোল পাকাতো ঐ লোডশেডিং। আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা আত্মীয় স্বজন বাড়িতে আসার জন্য অপেক্ষা করেছি। ইচ্ছে করে বৃষ্টি ভিজে ইস্কুল থেকে বাড়ি ঢুকেছি। আমরা সেই শেষ জেনারেশন যাঁরা সূর্য ডোবার আগেই বাড়ি ঢুকেছি। আমরা সেই শেষ জেনারেশন যারা পূজো বা ঈদের সময় শুধু একটা নুতন জামার জন্য অপারগ বাবার দিকে চেয়ে থেকেছি। আমরা সেই শেষ প্রজন্ম যারা রাস্তাঘাটে স্কুলের স্যারকে দেখামাত্র রাস্তাতেই নির্দ্বিধায় পায়ে হাত ছুঁয়ে সালাম করেছি। আমরাই লাষ্ট জেনারেশন এখনও বন্ধু খুঁজি। জীবনের চলার স্রোতে হারিয়েছি জীবনের স্বর্গ। লস্ট প্যারাডাইস। এখন পৃথিবী রিটার্ন ব্যাক করবে ধীরে ধীরে সেই পিছনের দিনে ফিরে যাবে। আধুনিকতা বলতে আর কিছু সামনের দিকে আসবে না। পৃথিবীর নানা রকম অবক্ষয় হতেই থাকবে। সর্বশেষ আমরাই লাস্ট জেনারেশন যারা দেশদ্রোহী দেলু রাজাকারদের দেখেছি এবং তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতেও দেখেছি।
    Like
    5
    0 Комментарии 0 Поделились 675 Просмотры 0 предпросмотр
  • সবাই বুঝবে না। ছোটবেলায় এটাই আমাদের বার্গার, রোল সব ছিলো
    আহ্ কী সাদ্
    সবাই বুঝবে না। ছোটবেলায় এটাই আমাদের বার্গার, রোল সব ছিলো😋 আহ্ কী সাদ্😢
    Like
    Love
    6
    0 Комментарии 0 Поделились 728 Просмотры 0 предпросмотр
  • হয় মিটার ভাড়া মওকুফ করুন
    নয়তো আমাদের জমির ভাড়া দিন।
    নগদ টাকায় মিটার কিনে নিজের ঘরের ওয়ালে লাগিয়ে যদি ভাড়া দিতে হয়, তাহলে আমাদের জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি ফ্রি থাকবে কেন?
    গ্রাহক নিজের টাকায় বিদ্যুতের মিটার ক্রয় করার পরও যদি প্রতি মাসে মাসে মিটার ভাড়া দিতে হয়!

    তাহলে বিদ্যুৎ সংস্থা আমাদের জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি পুতে লাইন টানিয়ে ফসলি জমি গুলো নষ্ট করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করার পরও আমাদের জমির ভাড়া দিবে না এটা হতে পারে না।আপনাদের মতা মত চাই
    হয় মিটার ভাড়া মওকুফ করুন নয়তো আমাদের জমির ভাড়া দিন। নগদ টাকায় মিটার কিনে নিজের ঘরের ওয়ালে লাগিয়ে যদি ভাড়া দিতে হয়, তাহলে আমাদের জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি ফ্রি থাকবে কেন? গ্রাহক নিজের টাকায় বিদ্যুতের মিটার ক্রয় করার পরও যদি প্রতি মাসে মাসে মিটার ভাড়া দিতে হয়! তাহলে বিদ্যুৎ সংস্থা আমাদের জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি পুতে লাইন টানিয়ে ফসলি জমি গুলো নষ্ট করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করার পরও আমাদের জমির ভাড়া দিবে না এটা হতে পারে না।আপনাদের মতা মত চাই
    Like
    10
    0 Комментарии 0 Поделились 930 Просмотры 0 предпросмотр
  • very very true!!!
    very very true!!!
    Like
    Haha
    9
    0 Комментарии 0 Поделились 748 Просмотры 0 предпросмотр
  • একটা নিউজ থেকে জানলাম মেট্রো রেলে দিনে খরচ হয় ৩ কোটি, আয় হয় দেড় কোটি। এখন পর্যন্ত সক্ষমতার ৬০ ভাগ যাত্রী চলাচল করছে মেট্রোতে। ফলে, বাকী ৪০ ভাগ এ্যাচিভ হওয়ার পরেও মেট্রো লসে চলবে। মেট্রোরে প্রফিটেবল করার উপায় কী?

    মেট্রো স্টেশনগুলোরে মার্কেটে রুপান্তরিত করেন। স্টেশনের চারপাশে যদি যথেষ্ঠ পরিমান শপ থাকে, এগুলো থেকে যে আয় হবে সেটা টিকেটের আয়ের চাইতে বেশী হওয়ার কথা। ইভেন, শপিং থেকে আয় যদি টিকেটের আয়ের কয়েক গুন হয়ে উঠে তখন টিকিটেট প্রাইসও কমাতে পারবে মেট্রো কতৃপক্ষ। এতে যাত্রীর সংখ্যা যেমন বাড়বে, জনগনেরও উপকার হবে। কতৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারেন।
    একটা নিউজ থেকে জানলাম মেট্রো রেলে দিনে খরচ হয় ৩ কোটি, আয় হয় দেড় কোটি। এখন পর্যন্ত সক্ষমতার ৬০ ভাগ যাত্রী চলাচল করছে মেট্রোতে। ফলে, বাকী ৪০ ভাগ এ্যাচিভ হওয়ার পরেও মেট্রো লসে চলবে। মেট্রোরে প্রফিটেবল করার উপায় কী? মেট্রো স্টেশনগুলোরে মার্কেটে রুপান্তরিত করেন। স্টেশনের চারপাশে যদি যথেষ্ঠ পরিমান শপ থাকে, এগুলো থেকে যে আয় হবে সেটা টিকেটের আয়ের চাইতে বেশী হওয়ার কথা। ইভেন, শপিং থেকে আয় যদি টিকেটের আয়ের কয়েক গুন হয়ে উঠে তখন টিকিটেট প্রাইসও কমাতে পারবে মেট্রো কতৃপক্ষ। এতে যাত্রীর সংখ্যা যেমন বাড়বে, জনগনেরও উপকার হবে। কতৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারেন।
    Like
    11
    0 Комментарии 0 Поделились 819 Просмотры 0 предпросмотр
  • আমি কিছু জানি না।
    আমি কিছু জানি না।
    Like
    Haha
    9
    0 Комментарии 0 Поделились 712 Просмотры 0 предпросмотр
Больше